ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 116
22-09-2023
ঈশ্বরের দ্বারা মানুষের উদ্ধার সরাসরি আত্মার পদ্ধতি এবং আত্মার পরিচয়ে হয় না, কারণ মানুষ তাঁর আত্মা দেখতে বা অনুভব করতে পারে না, তাঁর কাছেও যেতে পারে না। তিনি যদি সরাসরি আত্মার সাহায্যে মানুষকে উদ্ধার করার চেষ্টা করতেন, মানুষ তাঁর পরিত্রাণ লাভ করত না। ঈশ্বর যদি বাহ্যিকভাবে এক মানব-রূপ ধারণ না করতেন, তাহলে তাঁর পরিত্রাণ লাভের কোনো উপায় মানুষের কাছে থাকত না। কারণ মানুষের তাঁর কাছে যাওয়ার উপায় নেই, ঠিক যেমন যিহোবার মেঘের কাছে কেউ যেতে পারত না। একমাত্র সৃষ্ট মানুষ হয়ে, অর্থাৎ তাঁর বাক্য দেহে আবির্ভূত করে তিনি তাঁর অনুগামীদের মধ্যে বাক্য অনুযায়ী কার্য নির্বাহ করতে পারেন। একমাত্র তখনই মানুষ ব্যক্তিগতভাবে তাঁর বাক্য দেখতে এবং শুনতে পারে, এবং অধিকন্তু তাঁর বাক্য দ্বারা অধিকৃত হতে পারে, এবং পুরোপুরি উদ্ধার পেতে পারে। ঈশ্বর যদি অবতার রূপ ধারণ না করতেন, তাহলে রক্ত-মাংসের কোনো জীব এত বৃহৎ পরিত্রাণ লাভ করত না, এবং একজন মানুষও উদ্ধার পেত না। ঈশ্বরের আত্মা যদি মানবজাতির মাঝে সরাসরি কার্য নির্বাহ করত, তাহলে হয় সমগ্র মানবজাতি ধ্বংস হত, অথবা ঈশ্বরের সংস্পর্শে আসার কোনো উপায় না থাকায় তারা সম্পূর্ণরূপে শয়তানের বশ ও বন্দী হয়ে পড়ত। প্রথম অবতার এসেছিলেন মানুষকে পাপ থেকে মুক্তি দিতে, যীশুর নশ্বর দেহের মাধ্যমে তার মুক্তিদানের জন্য, অর্থাৎ তিনি ক্রুশের হাত থেকে মানুষকে উদ্ধার করেছিলেন, কিন্তু মানুষের মধ্যে ভ্রষ্ট শয়তানের স্বভাব তখনও রয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় অবতার রূপ পাপ-উৎসর্গ হিসেবে নয়, বরং পাপ থেকে মুক্তিলব্ধ মানুষদের সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করতে এসেছেন। এটি করা হল যাতে, যারা ক্ষমা পেয়েছে, তাদের পাপ থেকে মুক্তি দিয়ে সম্পূর্ণ নিষ্কলুষ করা যায়, এবং পরিবর্তিত স্বভাব লাভ করে তারা যাতে শয়তানের তামসিক প্রভাব ছিন্ন করে ঈশ্বরের সিংহাসনের কাছে প্রত্যাবর্তন করতে পারে। একমাত্র এই উপায়েই মানুষকে পুরোপুরি পবিত্র করা যেতে পারে। অনুশাসনের যুগের অবসান এবং অনুগ্রহের যুগের সূচনার পর ঈশ্বর পরিত্রাণের কার্য শুরু করেছিলেন, যা অন্তিম সময় অবধি চলবে, যখন তিনি মানবজাতিকে তাদের বিদ্রোহের জন্য বিচার এবং শাস্তিদানের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে শোধন করবেন। একমাত্র তখনই ঈশ্বর তাঁর পরিত্রাণের কার্য সম্পন্ন করে বিশ্রামে প্রবেশ করবেন। অতএব, কার্যের তিন পর্যায়ে, ঈশ্বর স্বয়ং মানুষের মাঝে কার্য নির্বাহের জন্য কেবলমাত্র দু’বার অবতার রূপ ধারণ করেছেন। এর কারণ তিনটি পর্যায়ের শুধুমাত্র একটি পর্যায়েই মানুষকে তার জীবনযাপনে দিশা দেখানোর কার্য নির্বাহ করতে হয়েছে। বাকি দু’টি পর্যায়ে রয়েছে পরিত্রাণের কার্য। একমাত্র অবতার রূপ ধারণ করেই ঈশ্বর মানুষের সাথে সহাবস্থান করতে পারেন, পৃথিবীর যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট অনুভব করতে পারেন, এবং এক সামান্য নশ্বর দেহে জীবনযাপন করতে পারেন। একমাত্র এই উপায়েই তিনি মানুষকে জীবনযাপনের প্রকৃত ব্যবহারিক পথ দেখাতে পারেন, যা সৃষ্ট জীব হিসেবে তাদের প্রয়োজন। ঈশ্বরের অবতার রূপের মাধ্যমেই মানুষ ইশ্বরের কাছ থেকে সম্পূর্ণ পরিত্রাণ লাভ করতে পারে, স্বর্গ থেকে প্রার্থনার উত্তর হিসেবে নয়। কারণ, মানুষ রক্ত-মাংসের জীব হওয়ায়, ঈশ্বরের আত্মাকে প্রত্যক্ষ করার, বা তাঁর আত্মার কাছে যাওয়ার কোনো উপায় তার নেই। মানুষ কেবলমাত্র ঈশ্বরের অবতার রূপের সান্নিধ্যে আসতে পারে, এবং কেবল এই উপায়েই মানুষ জীবনের সকল সত্য ও প্রকৃত পথ বুঝতে পারে, এবং সম্পূর্ণ পরিত্রাণ লাভ করতে পারে। দ্বিতীয় অবতার রূপটি মানুষের পাপ দূর করে তাকে পুরোপুরি শুদ্ধ করে তোলার জন্য যথেষ্ট। ফলতঃ, দ্বিতীয় অবতার রূপের মাধ্যমে ঈশ্বরের অবতার রূপের কার্যের সামগ্রিকতা সম্পূর্ণ হবে, এবং ঈশ্বরের অবতার রূপের তাৎপর্য সম্পন্ন হবে। এরপর ঈশ্বরের অবতার রূপের কার্য পুরোপুরি সমাপ্ত হবে। দ্বিতীয়বারের পর তিনি আর তাঁর কার্যের জন্য তৃতীয়বার অবতার রূপ ধারণ করবেন না। কারণ তাঁর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অন্তিম সময়ের অবতার তাঁর নির্বাচিত লোকেদের সম্পূর্ণরূপে লাভ করবে, এবং এই অন্তিম সময়ে মানবতা তার ধরন অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ হয়ে যাবে। তিনি আর পরিত্রাণের কার্য নির্বাহ করবেন না, বা কোনো কার্য সম্পন্ন করতে দেহরূপ ধারণ করেও প্রত্যাবর্তন করবেন না।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অবতাররূপের রহস্য (৪)
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
অন্যান্য ধরণের ভিডিও