ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 220

10-07-2023

তোমরা কি অনুধাবন করেছ ঈশ্বর মানুষের এই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন কাজ সম্পন্ন করবেন? একবার ঈশ্বর বলেছিলেন, এমনকি সহস্রবর্ষীয় রাজত্বেও মানুষকে অবশ্যই তখনও তাঁরই বাক্য অনুসরণ করে যেতে হবে, এবং ভবিষ্যতেও ঈশ্বরের বাক্যই সরাসরি মানুষের জীবনকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে কানানের শুভ উদ্যানে। মোশি যখন এক জনহীন স্থানে ছিলেন, ঈশ্বর সরাসরি তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। স্বর্গ থেকে ঈশ্বর মানুষের উপভোগের জন্য খাদ্য, জল ও মান্না পাঠিয়েছিলেন, এবং আজও তেমনই ঘটে: ঈশ্বর ব্যক্তিগতভাবে মানুষের উপভোগের জন্য খাদ্য ও পানীয় পাঠিয়েছেন এবং তিনি নিজে মানুষকে শাস্তিদানের জন্য অভিশাপ প্রেরণ করেছেন। সুতরাং তাঁর কাজের প্রত্যেকটি পর্যায়ই ঈশ্বর স্বয়ং সমাধা করেন। বর্তমানে মানুষ সত্যের সংঘটন খোঁজে, তারা সংকেত ও অলৌকিক ঘটনা খোঁজে, এবং সম্ভবত এমন সমস্ত মানুষই বহিষ্কৃত হবে, কারণ ঈশ্বরের কাজ ক্রমশ আরো বাস্তববাদী হয়ে উঠছে। কেউই জানেনা যে ঈশ্বর নেমে এসেছেন স্বর্গ থেকে, তারা এও জানেনা যে ঈশ্বর স্বর্গ থেকে খাদ্য ও বলবর্ধক পানীয় পাঠিয়েছেন—তবু ঈশ্বর প্রকৃতই আছেন, এবং সহস্রবর্ষীয় রাজত্বের যেসব উত্তেজক দৃশ্য মানুষ কল্পনা করে তাও ঈশ্বরের ব্যক্তিগত উচ্চারণ। এটাই সত্য, এবং কেবলমাত্র একেই বলা হয় পৃথিবীতে ঈশ্বরের সঙ্গে রাজত্ব করা। পৃথিবীতে ঈশ্বরের সঙ্গে রাজত্ব দেহকে নির্দেশ করে। যা দৈহিক নয়, পৃথিবীতে তার অস্তিত্ব নেই, এবং সেকারণে যে সব মানুষ তৃতীয় স্বর্গে যাওয়ার জন্য মনোনিবেশ করে তারা বৃথাই তা করে। একদিন যখন সমগ্র মহাবিশ্ব ঈশ্বরের প্রত্যাগমন করবে, মহাবিশ্বব্যাপী ঈশ্বরের কর্মকেন্দ্র তাঁরই কথনকে অনুসরণ করবে; অন্যত্র, কিছু মানুষ দূরভাষযন্ত্র ব্যবহার করবে, কিছু মানুষ বিমান ব্যবহার করবে, কিছু মানুষ নৌকোয় সাগর পাড়ি দেবে, এবং কিছু মানুষ ঈশ্বরের কথন গ্রহণের জন্য লেজার ব্যবহার করবে। সবাই বন্দনা করবে, সবাই আকুল হবে, সবাই ঈশ্বরের কাছে আসবে, সবাই ঈশ্বরের কাছে সমবেত হবে, এবং সবাই ঈশ্বরের অর্চনা করবে—আর এই সবই হবে ঈশ্বরের কর্ম। এটা মনে রেখো! ঈশ্বর নিশ্চিতভাবেই আবার অন্য কোথাও তাঁর কাজ শুরু করবেন না। ঈশ্বর যে ঘটনাটি ঘটাবেন তা হলো: তিনি সমগ্র মহাবিশ্বের সমস্ত মানুষকে তাঁর সামনে আসতে ও পৃথিবীতে ঈশ্বরের অর্চনা করতে বাধ্য করবেন, অন্যান্য স্থানে তাঁর কাজ থেমে যাবে, এবং মানুষ বাধ্য হবে প্রকৃত পথ খুঁজতে। বিষয়টি হবে যোষেফের মত; সবাই তাঁর কাছে এসেছিলো খাদ্যের জন্য, এবং তাঁর কাছে নতমস্তক হয়েছিল, কারণ তাঁর কাছে খাদ্যবস্তু ছিলো। দুর্ভিক্ষ এড়ানোর জন্য মানুষ বাধ্য হবে প্রকৃত পথটি খুঁজে নিতে। সমগ্র ধর্মীয় সম্প্রদায় চরম দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হবে, এবং একমাত্র বর্তমান ঈশ্বরই প্রাণবারির প্রস্রবণ, মানুষের উপভোগের জন্য বরাদ্দ সতত প্রবহমান প্রস্রবণের অধিকারী এবং মানুষ তাঁর কাছে আসবে এবং তাঁর ওপর নির্ভর করবে। ঈশ্বরের কর্মের প্রকাশ ঘটবে তখনই এবং তখনই ঈশ্বর মহিমান্বিত হয়ে উঠবেন; সমগ্র মহাবিশ্বব্যাপী সমস্ত মানুষ এই বিশেষত্বহীন “মানুষ” টির উপাসনা করবে। সেই দিনটিই কি ঈশ্বরের মহিমার দিন হয়ে উঠবে না? একদিন বৃদ্ধ যাজকেরা প্রাণবারির প্রস্রবণ থেকে জল নেওয়ার উদ্দেশ্যে তারবার্তা পাঠাবে। বয়সে তারা যথেষ্ট বৃদ্ধ হলেও সেই মানুষটিকে পূজা করার জন্য তারা আসবে, যাকে তারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলো। তারা তাঁকে মুক্তকন্ঠে স্বীকৃতি দেবে এবং অন্তর থেকে বিশ্বাস করবে—এটা কি একটা সংকেত ও অলৌকিক ঘটনা নয়? যেদিন সারা রাজ্য আনন্দমুখর হবে সে দিনটিই হবে ঈশ্বরের মহিমার দিন, এবং যে মানুষ তোমাদের কাছে এসে ঈশ্বরের সুসমাচার গ্রহণ করবে, সেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করবে, এবং যে সব দেশ ও জনজাতি তা করবে তারা ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও তত্ত্বাবধান পাবে। ভবিষ্যতের অভিমুখ হবে এইরকম: যারা ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত কথন লাভ করবে তারা পৃথিবীতে চলার একটা পথ পাবে, আর যারা ঈশ্বরের বাক্য লাভ করবে না এক পা অগ্রসর হতেও তাদের কঠিন সমস্যা হবে—সে তারা ব্যবসায়ী বা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ বা শিল্পপতি যাই হোক না কেন, এবং তারা সঠিক পন্থা খুঁজতে বাধ্য হবে। “সত্যকে সঙ্গে রাখলে তুমি সারা পৃথিবী ঘুরতে পার, সত্য বিনা তুমি কোথাও পৌঁছতে পারবে না” বাক্যবন্ধটির অর্থ এই। প্রকৃত সত্যটা হলো: ঈশ্বর এই পন্থা ব্যবহার করে (যার অর্থ তাঁর সমস্ত বাক্য) সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে আদেশ দেবেন এবং মানুষকে শাসন ও জয় করবেন। মানুষ সবসময় ঈশ্বরের কর্মপন্থায় এক বিশাল পরিবর্তন আশা করে। সহজভাবে বলতে গেলে, ঈশ্বর তাঁর বাক্যের মাধ্যমে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করেন, এবং তিনি যা বলেন তোমাদের অবশ্যই তা করতে হবে তা সেটা স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়; এটি এক বস্তুনিষ্ঠ সত্য, এবং সবাইকেই তা মান্য করে চলতে হবে, এবং সেইকারণে এটি অমোঘ এবং সর্বজনবিদিতও বটে।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সহস্রবর্ষীয় রাজত্বের যুগ উপস্থিত

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন