ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 141

29-04-2023

বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঈশ্বরের কাজকে জানার অর্থই হল, অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের অবতারের প্রধান সেবাব্রত সম্পর্কে জানা, এবং তিনি এই পৃথিবীতে কী করতে এসেছেন তা জানা। আমি আমার বাক্যের মাধ্যমে আগেই উল্লেখ করেছি যে, ঈশ্বর এই ধরাধামে (অন্তিম সময়কালে) তাঁর প্রস্থানের পূর্বে এক দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য এসেছেন। ঈশ্বর কীভাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন? তিনি তাঁর কথিত বাক্যের মাধ্যমে, এবং দেশ জুড়ে কাজ ও আলাপচারিতার মাধ্যমেই তা করেন। এটাই হল ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কার্য; তিনি শুধু কথন করেন, যাতে এই পৃথিবী, বাক্যের বিশ্বে পরিণত হয়, প্রত্যেক ব্যক্তি তাঁর বাক্যের দ্বারা বাঁচার রসদ পায় এবং আলোকিত হয়, যাতে মানুষের আত্মা জাগ্রত হয় এবং দৃষ্টির স্বচ্ছতা আসে। অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের অবতার পৃথিবীতে এসেছেন প্রধানত বাক্য উচ্চারণের জন্যই। যীশু যখন এসেছিলেন, তিনি স্বর্গ রাজ্যের সুসমাচারের প্রচার করেছিলেন, এবং ক্রুশবিদ্ধকরণের মুক্তির কার্য সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি বিধানের যুগের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছিলেন, পুরাতন সমস্ত কিছু নির্মূল করেছিলেন। যীশুর আবির্ভাব বিধানের যুগের সমাপ্তি ঘটিয়ে অনুগ্রহের যুগের সূচনা করেছিল; অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতারের আগমন অনুগ্রহের যুগের সমাপ্তিসাধন করেছে। তিনি এসেছেন প্রধানত তাঁর বাক্য উচ্চারণের জন্য, বাক্য ব্যবহার করে মানুষকে নিখুঁত করে তোলার জন্য, তাকে প্রদীপ্ত ও আলোকিত করার জন্য, এবং তাদের অন্তর থেকে অস্পষ্ট ঈশ্বরের আসন অপসারণের জন্য। এটা যীশুর আগমনের সময়কার কাজের পর্যায় নয়। যীশু যখন এসেছিলেন, তখন তিনি অনেক অলৌকিক কার্য সম্পাদন করেছিলেন, অসুস্থদের নিরাময় করেছিলেন, অপদেবতাদের বিতাড়ন করেছিলেন এবং ক্রুশবিদ্ধকরণের মুক্তির কাজ করেছিলেন। ফলস্বরূপ, মানুষ তার ধারণায় বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বরের এমনই হওয়া উচিত। কারণ যীশুর আগমনকালে, তিনি মানুষের অন্তর থেকে অস্পষ্ট ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি অপসারণের কাজ করেননি; আগমনের পরে তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল, তিনি অসুস্থদের নিরাময় এবং অপদেবতা বিতাড়ন করেছিলেন, এবং স্বর্গরাজ্যের সুসমাচার ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এক দিকে, মানুষের ধারণায় যাতে আর অনিশ্চিত ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি না থাকে, সেজন্য ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের অবতার মানুষের ধারণা থেকে অস্পষ্ট ঈশ্বরের অধিকৃত স্থানটি মুছে দেন। তাঁর প্রকৃত কাজ ও বাক্যের মাধ্যমে, সকল ভূমি জুড়ে তাঁর গতিবিধির মাধ্যমে, এবং মানুষের মধ্যে যে ব্যতিক্রমীভাবে বাস্তব ও স্বাভাবিক কাজ তিনি করেন তার মাধ্যমে, তিনি মানুষকে ঈশ্বরের বাস্তবিকতার উপলব্ধি প্রদান করেন, এবং তাদের অন্তর থেকে অনিশ্চিত ঈশ্বরের স্থান অপসারণ করেন। অন্য দিকে, ঈশ্বর তাঁর দেহরূপের মাধ্যমে উচ্চারিত বাক্য ব্যবহার করে মানুষকে সম্পূর্ণ করেন ও সমস্ত কিছু অর্জন করেন। অন্তিম সময়ে ঈশ্বর এই কাজই সম্পন্ন করবেন।

তোমাদের অবশ্যই যা জানা উচিত:

১. ঈশ্বরের কাজ অতিপ্রাকৃতিক নয়, এবং এই বিষয়ক কোনো ধারণা তোমাদের পোষণ করা উচিত নয়।

২. এখন ঈশ্বরের অবতার প্রধান যে কাজ করতে এসেছেন, তা তোমাদের অবশ্যই বোঝা উচিত।

তিনি অসুস্থদের নিরাময় করতে বা অপদেবতা বিতাড়ন করতে বা অলৌকিক কার্য সম্পাদন করতে আসেননি, এবং অনুতাপের সুসমাচার প্রচার করতে বা মানুষকে মুক্ত করতেও তিনি আসেননি। কারণ হল, যীশু ইতিমধ্যেই এই কাজ করেছেন আর ঈশ্বর একই কাজের পুনরাবৃত্তি করেন না। আজ, ঈশ্বর অনুগ্রহের যুগের পরিসমাপ্তি ঘটাতে এবং সেই যুগের সমস্ত প্রথা পরিহার করার জন্য এসেছেন। ঈশ্বর যে বাস্তব, মূলত এটা দেখানোর জন্যই বাস্তববাদী ঈশ্বর এসেছেন। যীশু যখন এসেছিলেন, তিনি অল্প কিছু বাক্যই উচ্চারণ করেছিলেন; তিনি মুখ্যত অলৌকিক কার্য সম্পাদন করেছিলেন, কিছু সংকেত প্রদর্শন করেছিলেন ও আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, পীড়িতদের নিরাময় এবং অপদেবতাদের বিতাড়ন করেছিলেন, নয়তো তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যাতে মানুষকে বোঝানো যায় এবং দেখানো যায় যে তিনি সত্যই ঈশ্বর, এক নির্বিকার ঈশ্বর। পরিশেষে, তিনি ক্রুশবিদ্ধকরণের কাজ সম্পূর্ণ করেছিলেন। বর্তমানের ঈশ্বর সংকেত ও বিস্ময়কর ঘটনা প্রদর্শন করেন না, পীড়িতদের নিরাময় বা অপদেবতা বিতাড়নও করেন না। যীশু যখন এসেছিলেন, তখন তাঁর কাজ ঈশ্বরের একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করেছিল, কিন্তু এইবার ঈশ্বর অবশিষ্ট কাজের পর্যায়টি সম্পূর্ণ করতে এসেছেন, কারণ ঈশ্বর একই কাজের পুনরাবৃত্তি করেন না; তিনি চিরনতুন, কখনোই পুরাতন হন না, আর তাই তুমি বর্তমানে যা কিছু দেখো, তা বাস্তববাদী ঈশ্বরের বাক্য ও কার্য ছাড়া আর কিছুই না।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের বর্তমানের কার্যকে জানা

অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতার মূলত বাক্যের কাজ করেন

অন্তিম সময়ের অবতার ঈশ্বর অনুগ্রহের যুগ করেন শেষ, বাক্য ব্যবহার করেন করতে মানুষকে নিঁখুত, যা মানুষের হৃদয় হতে দূর করে অস্পষ্ট ঈশ্বরের স্থান। যীশু যে কাজ করেছিলেন তা ছিল ভিন্ন। তিনি করেছিলেন অলৌকিক কাজ, করেছিলেন প্রচার স্বর্গরাজ্যের সুসমাচার, আর হয়েছিলেন ক্রুশবিদ্ধ করতে মানুষকে মুক্ত। তাই মানুষ করেছিল ধারণা যে ঈশ্বর সর্বদা এমনই থাকবেন। অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতার বাক্য দিয়ে সব পূর্ণ ও প্রকাশ করেন। তাঁর বাক্যে তুমি দেখো—তিনি যা; তাঁর বাক্যে তুমি দেখো—তিনি ঈশ্বর।

অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতার মানুষের ধারণা হতে সরান অস্পষ্ট ঈশ্বরের স্থান। তাঁর বাক্য ও কর্মের মাধ্যমে, মানুষের মাঝে তাঁর বাস্তব ও স্বাভাবিক কাজে, জানে মানুষ ঈশ্বরের বাস্তবিকতাকে, বিশ্বাস করে না সেই ঈশ্বরে যা অস্পষ্ট। দেহরূপী ঈশ্বরের বাক্যের মাধ্যমে, করেন মানুষকে সম্পূর্ণ আর সব কিছু সম্পন্ন। এটি সেই কাজ যা ঈশ্বর সব শেষে অর্জন করবেন। অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতার বাক্য দিয়ে সব পূর্ণ ও প্রকাশ করেন। তাঁর বাক্যে তুমি দেখো—তিনি যা; তাঁর বাক্যে তুমি দেখো—তিনি ঈশ্বর।

দেহরূপে ঈশ্বর শুধু বাক্যই উচ্চারণ করেন, কারণ জগতে এটিই তাঁর কাজ। তাঁর বাক্যের মাধ্যমে তাঁকে দেখতে পারো সম্পূর্ণরূপে, শক্তিশালী, মহত্তম, বিনয়ী। দেহরূপে ঈশ্বর শুধু বাক্যই উচ্চারণ করেন, কারণ জগতে এটিই তাঁর কাজ। তাঁর বাক্যের মাধ্যমে তাঁকে দেখতে পারো সম্পূর্ণরূপে, শক্তিশালী, মহত্তম, বিনয়ী। অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতার বাক্য দিয়ে সব পূর্ণ ও প্রকাশ করেন। তাঁর বাক্যে তুমি দেখো—তিনি যা; তাঁর বাক্যে তুমি দেখো—তিনি ঈশ্বর। অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতার বাক্য দিয়ে সব পূর্ণ ও প্রকাশ করেন। তাঁর বাক্যে তুমি দেখো—তিনি যা; তাঁর বাক্যে তুমি দেখো—তিনি ঈশ্বর।

—মেষশাবককে অনুসরণ করুন ও নতুন গীত গান

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন