ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 360
15-09-2023
যেকোনো মানুষ নিজের কথা ও কাজ দিয়ে তার স্বরূপ প্রকাশ করতে পারে। এই প্রকৃত স্বরূপই হল তাদের প্রকৃতি। তুমি যদি জটিল ভাবে কথা বলো তবে তোমার প্রকৃতিও জটিল। তোমার প্রকৃতি যদি ধূর্ত হয়, তবে তুমি ধূর্তের মতো কাজ করবে এবং অন্যরা খুব সহজেই তোমার দ্বারা প্রতারিত হবে। তোমার প্রকৃতি যদি অশুভ হয়, তাহলে তোমার মুখের কথা হয়তো খুব শ্রুতিমধুর হবে, কিন্তু তোমার কাজ সেই দুরভিসন্ধিকে ঢেকে রাখতে পারবে না। তুমি যদি অলস প্রকৃতির হও, তাহলে আলস্য ও অনিচ্ছার কারণে বড় বড় কথা বলে তুমি দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইবে, এবং তোমার সমস্ত কাজই হবে মন্থর ও অনিচ্ছুকভাবে সম্পাদিত, এবং তা দিয়ে তুমি সত্যকে ঢেকে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করবে। তোমার প্রকৃতিতে যদি অন্যের প্রতি সহমর্মিতা থাকে, তাহলে তোমার কথা হবে যুক্তিসঙ্গত, তোমার কাজও হবে সত্যাশ্রয়ী। তোমার প্রকৃতিতে যদি আনুগত্য থাকে তাহলে তোমার কথা হবে ঐকান্তিক, কাজ হবে বিচক্ষণ এবং সেই কাজে এমন কিছু থাকবে না যা তোমার প্রভুকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। তুমি যদি কামুক বা অর্থলোভী হও তাহলে তোমার হৃদয়ও এগুলো দিয়েই পূর্ণ থাকবে, অসচেতনভাবে তুমি বিচ্যুত হবে এবং অনৈতিক আচরণ করবে, যা মানুষ সহজে ভুলে যেতে পারবে না এবং তা মানুষের বিতৃষ্ণার উদ্রেক করবে। আর আমি ঠিক যেমন বলেছি, তোমাদের প্রকৃতিতে যদি বিশ্বাসঘাতকতা থাকে তাহলে সহজে তোমরা তা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারবে না। এরকম আস্থা রেখো না যে তুমি যদি কারো সাথে অন্যায় না করে থাকো, তাহলে তোমার প্রকৃতিতে বিশ্বাসঘাতকতা নেই। যদি তুমি এটাই ভেবে থাকো, তার মানে তুমি বিদ্রোহ করছ। আমি যখন যে কথাই বলি, তা সব মানুষের উদ্দেশ্যেই বলি, বিশেষ কোনো মানুষ বা বিশেষ কোনো ধরনের মানুষের উদ্দেশ্যে নয়। একটি ক্ষেত্রে তুমি যেহেতু আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করোনি, তার অর্থ এই নয় যে অন্য কোনো ক্ষেত্রেই তুমি আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। কিছু কিছু মানুষ দাম্পত্য জীবনে সমস্যার সম্মুখীন হলে সত্যান্বেষণে আস্থা হারিয়ে ফেলে। পরিবারে বিপর্যয় ঘটলে কেউ কেউ আমার প্রতি অনুগত থাকার দায়বদ্ধতা ভুলে যায়। কেউ কেউ আমাকে পরিত্যাগ করে গিয়ে আনন্দ উত্তেজনায় সময় কাটায়। কেউ কেউ আলোকিত জীবনের বদলে, বা পবিত্র আত্মার কাজের মাধ্যমে পরম সুখ পাওয়ায় বদলে, অন্ধকার খাদে তলিয়ে যেতে চায়। কেউ কেউ ধনসম্পদের বাসনা চরিতার্থ করার জন্য বন্ধুদের পরামর্শও উপেক্ষা করে। এমনকী, এখনও নিজেদের দোষত্রুটি স্বীকার করে নিয়ে সংশোধনের চেষ্টা করে না। কেউ কেউ আবার আমার সুরক্ষা পাওয়ার জন্য সাময়িক ভাবে আমার নামের ছত্রছায়ায় বাস করে, আবার অনেকে বাধ্য হয়ে আমার কাছে নিজেদের কিছুটা উৎসর্গ করে, কারণ তারা জীবনকে আঁকড়ে রাখতে চায়, মৃত্যুকে ভয় পায়। এই সমস্ত আচরণ, এবং অন্যান্য যে সব অনৈতিক কাজের মধ্যে কোনো সততা নেই সেগুলো দিয়ে কি মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাদের হৃদয়ের গভীর থেকে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে না? অবশ্য আমি জানি যে তারা পরিকল্পনা করে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে না; বিশ্বাসঘাতকতা হল তাদের প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রকাশ। কেউই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চায় না, এবং আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতামূলক কোনো কাজ করে কেউই খুশি হয় না। বরং, ঠিক তার বিপরীত, তারা ভয়ে কাঁপে, তাই নয় কি? তোমরা কি ভাবছ যে কীভাবে এই সমস্ত বিশ্বাসঘাতকতার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং কীভাবে বর্তমান এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো যায়?
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অত্যন্ত গুরুতর এক সমস্যা: বিশ্বাসঘাতকতা (১)
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
অন্যান্য ধরণের ভিডিও