ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 394

17-09-2023

ঈশ্বরে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে মানুষের সবথেকে বড় ভুল হল যে তারা নিছক মৌখিকভাবেই তাদের বিশ্বাস জাহির করে, এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনে ঈশ্বর পূর্ণত অনুপস্থিত থাকেন। সকল মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করে ঠিকই, অথচ ঈশ্বর তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ নন। মানুষের মুখ ঈশ্বরের কাছে কতই না প্রার্থনা করে, কিন্তু তাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের জন্য স্থান সামান্যতম, আর তাই ঈশ্বর তাদেরকে পরীক্ষা করে চলেন বারংবার। মানুষ অশুদ্ধ হওয়ার কারণেই ঈশ্বরের কাছেও আর কোনো বিকল্প নেই তাদের বারবার পরীক্ষা নিয়ে যাওয়া ছাড়া, যাতে করে তারা লজ্জিত বোধ করে, এবং তাদের পরীক্ষার মাঝেই যাতে তারা নিজেদেরকে চিনতে পারে। তা না হলে, মানবতা প্রধান দেবদূতের উত্তরপুরুষ হয়ে উঠবে, এবং উত্তরোত্তর ভ্রষ্ট হয়ে উঠবে। তাদের ঈশ্বরবিশ্বাসের পদ্ধতিতে, প্রত্যেক ব্যক্তিই ঈশ্বরের বিরামহীন শোধনের দ্বারা তার ব্যক্তিগত বহু ইচ্ছা এবং উদ্দেশ্য বিসর্জন দেয়। তা না হলে, ঈশ্বরের কাউকে ব্যবহার করার উপায় থাকে না, এবং মানুষের মাঝে তাঁর যে কাজ করার কথা, তা করার উপায় থাকে না। ঈশ্বর প্রথমে মানুষকে শুদ্ধ করেন, এবং এই পদ্ধতির মাধ্যমে, তারা হয়তো নিজেদের জানতে পারে এবং ঈশ্বর তাদের পরিবর্তন করে দিতে পারেন। কেবলমাত্র তবেই ঈশ্বর তাঁর কাজ সম্পন্ন করেন, এবং শুধুমাত্র এই ভাবেই তাদের হৃদয় সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের দিকে ধাবিত হয়। আর এই কারণেই আমি বলি, ঈশ্বরে বিশ্বাস করা ততটা সহজ নয় যতটা লোকে বলে। ঈশ্বর যেভাবে দেখছেন, তোমার যদি শুধুমাত্র জ্ঞান থাকে অথচ তাঁর বাক্যগুলি তোমার জীবন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে থাকে, এবং তুমি যদি তোমার জ্ঞান দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়ে থাকো অথচ সত্যের পালন বা ঈশ্বরের বাক্য যাপন করতে না পারো, তবে তা প্রমাণ করে যে তোমার হৃদয়ে ঈশ্বরপ্রেম নেই, এবং এর থেকে প্রতীয়মান হয় যে তোমার হৃদয়ে ঈশ্বরের অধিকার নেই। কেউ বিশ্বাস স্থাপনের দ্বারাই ঈশ্বরকে জানতে পারে: এটিই সর্বশেষ লক্ষ্য, এবং মানুষের অভীষ্ট লক্ষ্য। ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে যাপন করার জন্য তোমাকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে, যাতে তোমার পালনের দ্বারা সেগুলি বাস্তবায়িত হয়। তোমার যদি শুধু মতবাদ-বিষয়ক জ্ঞানই থাকে, তবে ঈশ্বরের প্রতি তোমার বিশ্বাস শূন্যে এসে ঠেকবে। শুধুমাত্র ঈশ্বরের বাক্য পালন ও যাপনের মাধ্যমে তোমার বিশ্বাস পূর্ণতা পেয়েছে বলে বিবেচিত হতে পারে, এবং ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে। এই পথে, অনেকেই অনেক জ্ঞানের কথা বলতে পারে, কিন্তু তাদের মৃত্যুর সময়ে তাদের চোখ অশ্রুতে ভেসে যায়, একটি জীবৎকাল নষ্ট করার জন্য এবং পরিণত বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত বিফলে বেঁচে থাকার জন্য তারা নিজেদেরকে ঘৃণা করে। তারা নিছক মতবাদসমূহ বোঝে, কিন্তু সত্যের পালন করতে অথবা ঈশ্বরের সাক্ষ্য দিতে পারে না; পরিবর্তে, তারা ভ্রমরের ন্যায় শশব্যস্ত ভাবে ইতি-উতি ছুটে বেড়ায়, শুধু মৃত্যুক্ষণে অবশেষে তারা দেখতে পায় যে তাদের নিজেদের মধ্যে প্রকৃত সাক্ষ্যের অভাব রয়ে গিয়েছে, যে তারা ঈশ্বরকে আদৌ জানেই না। এবং তখন কি খুবই দেরি হয়ে যায় না? কেন তুমি সময় থাকতে তোমার আকাঙ্ক্ষিত সত্যের অন্বেষণ করছ না? আগামীকালের জন্য কেন অপেক্ষা করছ? বেঁচে থাকতে তুমি যদি সত্যের জন্য পীড়িত না হও, অথবা তা অর্জনের অন্বেষণ না করো, তবে কি তুমি নিজ মৃত্যুক্ষণে অনুতপ্ত হতে চাও? তাই যদি হয়, তবে ঈশ্বরে বিশ্বাসই বা কেন করো? প্রকৃত অর্থে, এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেখানে সামান্যতম প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষ সত্যের পালন করতে পারে এবং ফলত ঈশ্বরের তুষ্টি অর্জন করতে পারে। এর একমাত্র কারণ হল যে, মানুষের হৃদয় নিয়তই এতমাত্রায় দানবদের দখলে থাকে, যে, তারা ঈশ্বরের নিমিত্তে কাজ করতে পারে না, এবং দৈহিক ইচ্ছা চরিতার্থ করার স্বার্থেই সর্বদা ব্যতিব্যস্ত থেকে যায়, এবং শেষমেশ তাদের দেখাবার মতো কিছুই থাকে না। এই কারণে, মানুষ সর্বদা সমস্যা এবং প্রতিবন্ধকতা দ্বারা জর্জরিত। এসব কি শয়তানের উৎপীড়ন নয়? এ কি দৈহিক ভ্রষ্ট আচরণ নয়? তোমাদের মৌখিকভাবে বিশ্বাসের ভান করে ঈশ্বরকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। বরং তোমার বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। নিজের সাথে প্ররোচনা কোরো না—এতে কী লাভ? দৈহিক ইচ্ছা পরিতৃপ্তির স্বার্থে এবং লাভ ও খ্যাতির জন্য সংগ্রাম করতে করতে বেঁচে থেকে তুমি কী পাবে?

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যেহেতু তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করো, তোমার অবশ্যই সত্যের জন্য জীবনযাপন করা উচিত

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন