ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 393

17-09-2023

সকল মানুষের মাঝে বিদ্যমান সাধারণ সমস্যা হলো যে তারা সত্য উপলব্ধি করতে পারে কিন্তু তা পালনে ব্যর্থ হয়। এর কারণ হল, একদিকে তারা মূল্য দিতে অনিচ্ছুক, অপরদিকে, তাদের বিবেচনাশক্তি অপর্যাপ্ত হওয়ার কারণে দৈনন্দিন জীবনের অনেক প্রতিবন্ধকতা তারা সঠিক রূপে দেখতে পায় না, এবং কীভাবে সঠিক অনুশীলন করতে হয় তা তারা জানে না। যেহেতু মানুষের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত অগভীর, যোগ্যতা অতীব নগণ্য, এবং তাদের সত্য উপলব্ধির মাত্রা সীমিত, সেহেতু দৈনন্দিন জীবনে যে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন তারা হয়, সেগুলো সমাধান করার কোনো উপায় তাদের জানা নেই। তারা ঈশ্বরকে কেবল মুখের কথাতেই বিশ্বাস করে, অথচ তাদের দৈনন্দিন জীবনে ঈশ্বরকে স্থান দিতে অক্ষম। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, ঈশ্বর হলেন ঈশ্বর, জীবন হলো জীবন, এবং মানুষের জীবনের সাথে যেন ঈশ্বরের কোনো সম্পর্ক নেই। এমনটাই সবাই মনে করে। এই ধরনের ঈশ্বর বিশ্বাসের মাধ্যমে, প্রকৃত অর্থে মানুষ ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত এবং নিখুঁত হতে পারবে না। এমনটা নয় যে ঈশ্বরের বাক্য পূর্ণত অভিব্যক্ত হয় নি, বরং মানুষের তাঁর বাক্য গ্রহণ করার ক্ষমতাই ভীষণ অপর্যাপ্ত। কেউ হয়তো বলতে পারে যে প্রায় কেউই ঈশ্বরের প্রকৃত ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে না; বরং, তারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্য অনুযায়ী, তাদের অতীতে ধারণ করা ধর্মীয় মত অনুযায়ী, এবং তাদের কাজের নিজস্ব পদ্ধতি অনুযায়ী। ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ করার মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়েছে এবং তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করা শুরু করেছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা খুবই কম। তার বদলে, তারা তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাস ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। যখন মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করা শুরু করে, তারা তা করে ধর্মের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, এবং তারা সম্পূর্ণভাবে তাদের নিজস্ব জীবনযাপনের দর্শনের উপর ভিত্তি করেই বেঁচে থাকে আর অন্যদের সাথে মেলামেশা করে। বলা যায় যে, এমনটা দশ জনের মধ্যে নয় জনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এমন মানুষ সংখ্যায় খুবই কম, যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে শুরু করার পর আলাদা কোনো পরিকল্পনা করে এবং নতুন করে জীবনযাপন শুরু করে। মানবজাতি ঈশ্বরের বাক্যকে সত্য হিসেবে বিবেচনা করতে, বা সেই বাক্যকে সত্য হিসেবে গ্রহণ করে তাকে বাস্তবে অনুশীলন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

যেমন, যীশুর উপর বিশ্বাস। কেউ সদ্য বিশ্বাসী হোক অথবা দীর্ঘকালযাবৎ, সকলেই নিতান্তই নিজেদের বিদ্যমান প্রতিভা ও দক্ষতাগুলিকে কাজে লাগায় এবং প্রদর্শন করে। মানুষ কেবলই “ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস”—এই তিনটি কথা নিজেদের স্বাভাবিক জীবনে যোগ করেছে, কিন্তু তাদের স্বভাবের কোনো পরিবর্তন আনেনি, এবং তাদের ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস বিন্দুমাত্রও বৃদ্ধি পায়নি। তাদের সাধনা ঐকান্তিকও ছিল না, নির্লিপ্তও ছিল না। তারা তাদের বিশ্বাস বিসর্জন দেবে এমনটাও বলেনি, আবার ঈশ্বরের প্রতি তাদের সবকিছু নিবেদনও করেনি। তারা কোনোদিনই ঈশ্বরকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসেনি বা তাঁকে মান্যও করেনি। ঈশ্বরের প্রতি তাদের বিশ্বাস ছিল খাঁটি ও ভেজালে মিশ্রিত, তারা সেদিকে এগিয়েছে এক চোখ খোলা ও আরেক চোখ বন্ধ রেখে, আর তারা তাদের বিশ্বাস পালনের বিষয়ে আন্তরিক ছিল না। এরকম বিভ্রান্ত ভাবেই তারা এগিয়ে গিয়েছে, এবং পরিশেষে বিহ্বলতায় মৃত্যুবরণ করেছে। এসবের কী অর্থ? আজকের দিনে, বাস্তববাদী ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতে হলে তোমাকে অবশ্যই সঠিক পথে পা বাড়াতে হবে। যদি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস থাকে, তাহলে কেবল তাঁর আশীর্বাদ চাইলেই হবে না, ঈশ্বরপ্রেম এবং ঈশ্বরজ্ঞানের অন্বেষণ করতে হবে। তাঁর আলোকপ্রাপ্তির মাধ্যমে, তোমার নিজস্ব অন্বেষণের মাধ্যমেই তুমি তাঁর বাক্য ভোজন ও পান করতে পারবে, তুমি ঈশ্বর সম্পর্কে প্রকৃত উপলব্ধি অর্জন করতে পারবে, এবং তোমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তাঁর প্রতি বাস্তবিক ভালোবাসা আসবে। অর্থাৎ, যখন ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের ভালোবাসা সবচেয়ে অকৃত্রিম হবে, এবং তাঁর প্রতি তোমার ভালোবাসাকে কেউই বিনষ্ট বা ক্ষুণ্ণ করতে পারবে না, তখনই ঈশ্বরের প্রতি তোমার বিশ্বাস সঠিক পথে রয়েছে বলে বিবেচিত হবে। এতে প্রমাণিত হয় যে তুমি ঈশ্বরের অনুগত, তোমার হৃদয় ইতিমধ্যেই ঈশ্বরের অধিকারে রয়েছে, এবং কোনো কিছুই তোমায় দখল করতে পারবে না। তোমার অভিজ্ঞতা, তোমার উৎসর্গ করা মূল্য, এবং ঈশ্বরের কাজের মধ্যে দিয়ে, তুমি ঈশ্বরের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছ—এবং, এমনটা যখন পারবে, তখন তুমি শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে যাবে ও ঈশ্বরের বাক্যের আলোয় আলোকিত জীবন যাপন করতে পারবে। যখন তুমি অন্ধকারের প্রভাব ছিন্ন করতে পারবে কেবল তখনই ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হয়েছ বলে বিবেচিত হবে। ঈশ্বরের প্রতি তোমার নিজের বিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে তোমাকে অবশ্যই এই লক্ষ্য অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে। এটাই তোমাদের সবার কর্তব্য। তোমাদের কারোরই বর্তমানের অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়া উচিত নয়। ঈশ্বরের কর্মের প্রতি তোমরা দ্বিমনা হতে পারবে না বা এটিকে হালকা করে নেওয়া যাবে না। তোমাদের উচিত সব ক্ষেত্রে ও সব সময় ঈশ্বরকে স্মরণ করা, এবং সকল কর্ম তাঁরই জন্য করা। আর তোমরা যখনই কিছু বলবে বা করবে, তোমাদের উচিত ঈশ্বরের গৃহের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া। শুধুমাত্র এভাবেই তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারবে।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যেহেতু তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করো, তোমার অবশ্যই সত্যের জন্য জীবনযাপন করা উচিত

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন