ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 392

03-11-2023

প্রাচীনকালে অনেকেই দুরন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষায় এবং বিশ্বাস অনুসারে এইভাবেই ঈশ্বরকে চেয়েছেন। তাদের চাওয়া ছিল একান্ত ভাবেই তাদের নিজস্ব কামনার অনুবর্তী। আপাতত এ প্রসঙ্গ আমরা সরিয়ে রাখব। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এমন একটি অনুশীলনের পন্থা সন্ধান করা, যাতে তোমাদের প্রত্যেকেই ঈশ্বরের সামনে এক স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে পারো এবং ক্রমে শয়তানের জাল এবং প্রভাব ছিন্ন করে বেরিয়ে আসতে পারো, যাতে তোমরা সর্বতোভাবে ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হতে পারো, এবং ঈশ্বরের তোমাদের প্রতি কাঙ্ক্ষিত দায়িত্ব পালন করে এই পৃথিবীতে জীবনযাপন করতে পারো। একমাত্র এই ভাবেই তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে পারো। ঈশ্বরে অনেকেই বিশ্বাস করে, কিন্তু বুঝে উঠতে পারে না ঈশ্বরের ইচ্ছা কোনগুলি এবং কোনটি শয়তানের। তারা পথ চলে নির্বোধের মত, গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয় এবং কোনোভাবেই স্বাভাবিক খ্রীষ্টান জীবন যাপন করতে পারে না। শুধু তাই নয়, তারা কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না, ঈশ্বরের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তোলা তো আরও দূরের কথা। এইসব দৃষ্টান্ত থেকেই বোঝা যায়, মানুষের মধ্যে যে সব দুর্বলতা ও ত্রুটি এবং অন্যান্য অন্তরায় আছে, যা ঈশ্বরের ইচ্ছাকে ব্যাহত করতে পারে, তার সংখ্যা অনেক। সুতরাং এ কথা নির্দ্বিধায় প্রমাণিত যে ঈশ্বর-বিশ্বাসে সঠিক পথের দিশা মানুষ এখনো পায়নি, এমনকি মানব জীবনের সঠিক অভিজ্ঞতায় প্রবেশও তাদের ঘটেনি। তা হলে ঈশ্বর-বিশ্বাসের সঠিক পথ বলতে আমরা কী বুঝবো? এক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি বলতে আমরা বুঝব সেই পন্থার কথা যেভাবে তুমি সবসময় ঈশ্বরের কাছে তোমার হৃদয় শান্ত রাখতে পার এবং ঈশ্বরের সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ উপভোগ করতে পারো, যেভাবে তুমি ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে থাকা সব দোষ ত্রুটি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করো এবং অর্জন করো ঈশ্বর সম্পর্কে গভীরতর জ্ঞান। এর মাধ্যমেই প্রতিদিন তোমার আত্মা অর্জন করবে নতুন অন্তর্দৃষ্টি এবং আলোকপ্রাপ্তি। তোমার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পাবে, তুমি সত্যের মধ্যে প্রবেশে সচেষ্ট হবে এবং প্রতিদিন নতুন আলো এবং বোধ লাভ করবে। এই পথ ধরেই তুমি ধীরে ধীরে ছিন্ন করবে শয়তানের প্রভাব এবং সমৃদ্ধ হবে তোমার জীবন। এমন মানুষই সঠিক পথে প্রবেশ করেছে। নিজের প্রকৃত অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করে এবং বিশ্বাসের যে পথ তুমি গ্রহণ করেছ তা পরীক্ষা করে দেখো: উপরে বর্ণিত পন্থা গুলির সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে তুমি কি নিজেকে সঠিক পথে পেয়েছ? কোন কোন বিষয়ে তুমি শয়তানের শৃঙ্খল আর শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়েছ? তুমি যদি এখনো সঠিক পথে না গিয়ে থাকো, তাহলে শয়তানের সঙ্গে তোমার বন্ধন এখনো ছিন্ন হয়নি। যদি সত্যিই এরকম হয়ে থাকে, তাহলে তোমার ঈশ্বরের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অনুসন্ধান কি তোমাকে প্রকৃত, একনিষ্ঠ এবং বিশুদ্ধ ভালোবাসার দিকে নিয়ে যেতে পারে? তুমি বল, ঈশ্বরের প্রতি তোমার ভালোবাসা অটুট এবং আন্তরিক, কিন্তু তুমি শয়তানের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত নও। সেক্ষেত্রে তুমি কি ঈশ্বরকে ঠকানোর চেষ্টা করছো না? তুমি যদি সেই অবস্থায় পৌঁছতে চাও যেখানে ঈশ্বরের প্রতি তোমার ভালোবাসা হবে নির্ভেজাল, এবং তুমি ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হতে চাও এবং তাঁর রাজ্যের একজন হিসেবে চিহ্নিত হতে চাও, তাহলে সর্বপ্রথমে অবশ্যই তোমাকে ঈশ্বর বিশ্বাসের সঠিক পথে নিজেকে স্থাপন করতে হবে।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, বিশ্বাসীদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন