অধ্যায় ৯৪

আমার প্রথমজাত পুত্রদের সঙ্গে আমি সিয়োনে প্রত্যাবর্তন করি—তোমরা কি সত্যই এই বাক্যগুলির প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করো? আমি যেহেতু তোমাদের বারংবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছি, আমি তাই চাই যে তোমরা দ্রুত পরিণত হয়ে ওঠো এবং আমার সঙ্গে রাজত্ব করো। তোমরা কি স্মরণ করতে পারো? এই বিষয়গুলি সবই আমার অবতাররূপের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত: সিয়োন থেকে, দেহধারণ করে আমি এই পৃথিবীতে এসেছিলাম, যাতে দেহের মাধ্যমে এমন একটি জনগোষ্ঠীকে অর্জন করতে পারি যারা আমার সঙ্গে সমমনোভাবাপন্ন, এবং এই কাজ সম্পন্ন করে আমি সিয়োনে প্রত্যাবর্তন করব। এর অর্থ হল আমাদের এখনও দেহ থেকে আদি শরীরে ফিরে যেতে হবে। এটাই “সিয়োনে প্রত্যাবর্তন করা”-র প্রকৃত অর্থ। সেইসঙ্গে এটা আমার সমগ্র পরিচালনামূলক পরিকল্পনার প্রকৃত অর্থ এবং তার কেন্দ্রবিন্দুও বটে, এবং তার চেয়েও বড় কথা, এটা আমার পরিচালনামূলক পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যাতে কেউ বাধা দিতে পারে না, এবং যা অবিলম্বে সম্পন্ন হবে। দেহরূপে থাকাকালীন কেউ কখনো মনুষ্যসুলভ পূর্বধারণা ও চিন্তাভাবনা বর্জন করতে পারে না এবং পৃথিবীর বায়ু বা পৃথিবীর ধুলোকে পরিহার করতে তো আরোই অপারগ, এবং একজন দেহধারী মানুষ সর্বদা কাদামাটিই রয়ে যাবে; একমাত্র আদি শরীরেই একজন মানুষ আশীর্বাদ উপভোগ করার যোগ্যতাসম্পন্ন হতে পারে। আশীর্বাদ কী? তোমরা কি স্মরণ করতে পারো? দেহসত্তায়, আশীর্বাদ নিয়ে কোনো বিবেচনা থাকতে পারে না, তাই প্রত্যেক প্রথমজাত পুত্রকে দেহসত্তা থেকে আদি শরীরের উত্তরণের পথটি অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। দেহরূপে, অতিকায় লাল ড্রাগনের দ্বারা তুমি উৎপীড়িত এবং নির্যাতিত হও (তার কারণ তোমার কোনো শক্তি নেই এবং তুমি কোনো মহিমা অর্জন করোনি), কিন্তু আদি শরীরে, বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্নরকম হবে, এবং তখন তুমি গর্বিত ও প্রফুল্ল হবে। অত্যাচারের দিনগুলির সম্পূর্ণরূপে অবসান ঘটবে, এবং তুমি চিরদিনের মুক্ত ও স্বাধীন হয়ে যাবে। একমাত্র এই উপায়েই আমি তোমাদের মধ্যে আমি যা এবং আমার যা আছে তাকে সংযুক্ত করতে পারব। অন্যথায়, তোমরা শুধুমাত্র আমার গুণাবলী লাভ করবে। বাহ্যিকভাবে এক ব্যক্তি অন্য একজন ব্যক্তিকে যতই অনুকরণ করুক না কেন, তারা হুবহু এক হতে পারে না। একমাত্র পবিত্র আধ্যাত্মিক শরীরেই (অর্থাৎ আদি শরীরে) আমরা হুবহু এক হতে পারি (এর অর্থ হল একই গুণাবলী, একই সত্তা ও একই সম্পদসমূহের অধিকারী হওয়া, এবং সকলের একই রকম ঐক্যবদ্ধ, অখণ্ড, ও অবিভাজিত মানসিকতার অধিকারী হতে সমর্থ হওয়াটাইই হল পবিত্র আধ্যাত্মিক শরীর)।

তোমরা কেন এখন এই পৃথিবীকে ঘৃণা করতে শুরু করেছ, খাওয়া-দাওয়া, সাজসজ্জা এবং এই ধরনের সব বিরক্তিকর বিষয়গুলির প্রতি বিতৃষ্ণা বোধ করতে শুরু করেছ, উপরন্তু, সেগুলির হাত থেকে মুক্তিলাভের জন্য তোমাদের আর তর সইছে না? তুমি যে আধ্যাত্মিক জগতে (আদি শরীরে) প্রবেশ করবে এটা তারই লক্ষণ। তোমরা সকলেই এর পূর্বাভাষ লাভ করেছ (যদিও লোকবিশেষে তার মাত্রাপার্থক্য আছে)। বিভিন্ন লোক, বিভিন্ন ঘটনা ও বিভিন্ন বিষয়কে আমি ব্যবহার করব, সবকিছুই আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের সেবায় নিয়োজিত, এবং এগুলি সবই আমার নিমিত্ত সেবা প্রদান করবে। আমি এটা করবই। (আমি অবশ্যই এটা দেহরূপে সম্পন্ন করতে পারি না, এবং স্বয়ং আমার আত্মাই একমাত্র এই কাজ করতে পারে, কারণ সে সময় এখনো আসেনি)। এটা কর্মের সেই চূড়ান্ত ধাপটুকু যা সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পাদন করবে। প্রত্যেকে উৎফুল্ল চিত্তে আমার স্তুতি ও বন্দনা করবে। আমার মহান কার্য সমাপ্ত। ব্যাধির সাতটি পাত্র আমার হাত থেকে উপচে পড়ে, সপ্ত বজ্রনিনাদ গর্জে ওঠে, সপ্ত ভেরী ধ্বনিত হয়, এবং সপ্ত সীলমোহর উন্মোচন করা হয়—সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, সমস্ত দেশ, সকল মানুষ, এবং পর্বতমালা, নদনদী এবং সকল বস্তুর কাছে। ব্যাধির সাতটি পাত্র কী কী? সেগুলির উদ্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুটি ঠিক কী? আমি কেন বলছি যে সেগুলি আমার হাত থেকে উপচে পড়বে? প্রত্যেকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হওয়ার আগে, প্রত্যেকে পুরোপুরি উপলব্ধি করে ওঠার আগে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে যাবে। এমনকি, আমি যদি এখনই তোমাদের বলতামও, তোমরা শুধুমাত্র একটা ক্ষুদ্র অংশ উপলব্ধি করতে। মানুষের কল্পনা অনুযায়ী, ব্যাধির সাতটি পাত্রের লক্ষ্যবস্তু বিশ্বের তাবৎ দেশ ও তাবৎ মানুষ, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা তা নয়। “ব্যাধির সাতটি পাত্র” শয়তান ও দানবের প্রভাব এবং অতিকায় লাল ড্রাগনের ষড়যন্ত্রকে নির্দেশ করে (আমার প্রতি সেবা প্রদানের জন্য যে বস্তুকে আমি ব্যবহার করি)। সেই সময়, পুত্রদের ও লোকদের শাস্তিদানের জন্য আমি শয়তান ও অতিকায় লাল ড্রাগনকে আমি মুক্ত করব, এবং এভাবেই প্রকাশিত হবে কারা পুত্র ও কারা লোক। যারা আমার পূর্বনির্ধারণের লক্ষ্যবস্তু ছিল না তারাই প্রতারিত, অন্যদিকে আমার প্রথমজাত পুত্ররা সেইসময় আমার সঙ্গে রাজত্ব করবে। এইভাবে, পুত্রদের ও লোকদের আমি সম্পূর্ণ করব। ব্যাধির সাতটি পাত্রর থেকে উৎসারণ সমস্ত দেশ ও সমস্ত মানুষের উপর প্রভাব ফেলবে না, বরং শুধুমাত্র আমার পুত্র এবং আমার লোকদের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য হবে। আশীর্বাদ সহজে মেলে না; তার জন্য একটা পূর্ণ মূল্য চুকাতে হয়। যখন পুত্রগণ ও লোকেরা পরিণত হবে, তখন ব্যাধির সাতটি পাত্র সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে ফেলা হবে, এবং পরবর্তীকালে, সেগুলির আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। “সাতটি বজ্রনিনাদ” আসলে কী? এটা উপলব্ধি করা কঠিন নয়। যে মুহূর্তে আমার প্রথমজাত পুত্রগণ ও আমি আদি শরীরে পরিণত হব, তখন সাতটি বজ্রনির্ঘোষ নিনাদিত হবে। এটা সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে প্রকম্পিত করবে, যেন স্বর্গ ও পৃথিবীকে ওলোটপালট করা হচ্ছে। প্রত্যেকে এটা জানবে, কেউই এ বিষয়ে অনবহিত থাকবে না। সেই সময়ে, আমার প্রথমজাত পুত্ররা ও আমি একসঙ্গে মহিমার মাঝে অবস্থান করব এবং কার্যের পরবর্তী ধাপের সূচনা করব। সপ্ত বজ্রনিনাদের কারণে বহু মানুষ করুণা ও ক্ষমা ভিক্ষার জন্য নতজানু হবে। কিন্তু তখন সেটা আর অনুগ্রহের যুগ থাকবে না: সেটা হবে ক্রোধের কাল। যারা মন্দ কাজ করে (যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, কলুষিত টাকাপয়সার কারবার করে, বা বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে অস্পষ্ট সীমারেখা বজায় রাখে, বা যে আমার ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটায় বা ক্ষতিসাধন করে, বা আধ্যাত্মিক বিষয়গুলি যে উপলব্ধি করে না, বা যারা দুষ্ট আত্মার কবলিত হয়েছে এবং ইত্যবিধ—আমার নির্বাচিতরা ব্যতীত সকলে), তাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না, কাউকে ক্ষমাও করা হবে না, বরং তাদের প্রত্যেককে মৃতস্থানে নিক্ষেপ করা হবে, যেখানে তারা চিরকালের জন্য পচতে থাকবে! “সাতটি ভেরীধ্বনি” কোনো বিরাট, প্রতিকূল পরিবেশকে নির্দেশ করে না, তা পৃথিবীর উদ্দেশ্যে কোনো ঘোষণাকেও বোঝায় না; এগুলো সম্পূর্ণভাবে মানুষের পূর্বধারণা। “সপ্ত ভেরী” বলতে ক্রুব্ধ উচ্চারণকে বোঝায়। যখন আমার কণ্ঠস্বর (মহিমান্বিত বিচার এবং ক্রোধপূর্ণ বিচার) বিনির্গত হয়, সাতটি ভেরী ধ্বনিত হয়ে ওঠে। (এই মুহূর্তের পরিপ্রেক্ষিতে, আমার গৃহে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ এবং কেউই এর হাত থেকে রেহাই পাবে না।) মৃতস্থান ও নরকের ছোটো-বড় সব দানবরা ক্ষোভে মাথা চাপড়াবে, এবং লজ্জায় মুখ লুকাবার কোনো স্থান না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে দাঁতে দাঁত ঘষতে ঘষতে যেদিকে পারে ছুটে পালাবে। সেই মুহূর্তে, সত্যি যে সাতটি ভেরী ধ্বনিত হতে শুরু করবে এমন নয়, বরং আমার প্রচণ্ড ক্রোধ এবং আমার সবচেয়ে ভয়াবহ বিচার চারদিকে ধাবিত হবে, যার হাত থেকে কোনো মানুষই রেহাই পাবে না এবং তার মধ্যে দিয়ে সকলকেই যেতে হবে। এই সময়ে, যা প্রকাশিত হয়েছে তা সাতটি সীলের আধেয় নয়। সাতটি সীলমোহর হল সেই আশীর্বাদসমূহ যা ভবিষ্যতে তোমরা উপভোগ করবে। “উন্মোচন করা” বলতে সেগুলি সম্বন্ধে তোমাদের অবহিত করাকে বোঝায়, কিন্তু তোমরা এখনো এই আশীর্বাদগুলি উপভোগ করোনি। যখন তোমরা সত্যিই এই আশীর্বাদগুলি উপভোগ করবে, তখন তোমরা সাতটি সীলমোহরের অভ্যন্তরস্থ বস্তুসমূহকে জানতে পারবে। এখন তোমরা কেবল এক অসম্পূর্ণ অংশকে স্পর্শ করছ। ভবিষ্যৎ কার্যের সম্পাদনের সময় যখন যে ধাপ উদ্ভূত হবে আমি শুধু তাদের প্রতিটির বিষয়েই বলতে পারি, যাতে তোমরা নিজে সেটির অভিজ্ঞতা অর্জন করো এবং এক অতুলনীয় গৌরব অনুভব করো, এবং তোমরা এক অন্তহীন পরমানন্দের মধ্যে বিরাজ করবে।

প্রথমজাত পুত্র হওয়ার সৌভাগ্য উপভোগ করাটা কোনো সহজ বিষয় নয়, বা এটা এমন কোনো ব্যাপারও নয় যা একজন গড়পড়তা ব্যক্তি অর্জন করতে পারে। আমি আরো একবার গুরুত্বসহকারে বলব এবং আরো জোর দিয়ে বলব যে আমার প্রথমজাত পুত্রদের কাছ থেকে অবশ্যই আমি কঠোর দাবি করব। অন্যথায়, তারা আমার নামকে মহিমান্বিত করতে পারবে না। এই পৃথিবীতে যারা কলঙ্কিত তাদের আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি, এবং যে ব্যভিচারী তাকে আমি আরো বেশি করে প্রত্যাখ্যান করি। (ঈশ্বরের লোক হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো ভূমিকা নেই—এই বিষয়টিতে আমি সবিশেষ জোর দিই।) ভেবো না যে তোমরা অতীতে যা করেছে তা শেষ হয়ে গেছে এবং চুকেবুকে গেছে—বিষয়টা এত উত্তম কেমন করে হতে পারে! প্রথমজাত পুত্রের মর্যাদা অর্জন কি এতই সহজ? অনুরূপভাবে আমি তাদের প্রত্যেককে প্রত্যাখ্যান করি যারা আমার বিরুদ্ধে, যারা দেহরূপে আমাকে স্বীকার করে না, যারা আমার অভিপ্রায় পূরণের কাজে হস্তক্ষেপ করে, এবং যারা আমাকে নির্যাতন করে—আমি এতটাই নিষ্ঠুর (কারণ আমি আমার ক্ষমতা সম্পূর্ণ রূপে প্রত্যাহার করে নিয়েছি)! পরিশেষে, একই ভাবে আমি তাদের প্রত্যেককেও প্রত্যাখ্যান করি যারা জীবনে কখনো কোনো বাধাবিঘ্নের মুখোমুখি হয়নি। আমি তাদেরই চাই যারা আমারই মতো তাদের দুঃখযন্ত্রণা থেকে বিনির্গত হয়েছে, তা সে যত ক্ষুদ্র যন্ত্রণাই হোক না কেন। তারা যদি তা না হয়ে থাকে, তবে তারা আমার দ্বারা বহিষ্কৃত মানুষদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আমার প্রথমজাত পুত্র হতে চেয়ে আমার সামনে নিজেকে জাহির করে বেড়ানোর মতো নির্লজ্জ হয়ো না। এক্ষুনি আমার সামনে থেকে সরে যাও! আমার মনোরঞ্জনের চেষ্টা করতে গিয়ে তোমরা আগেও আমাকে তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়ে কথা বলেছ! এটা অন্ধত্ব! অপদার্থ নচ্ছার, তুমি কি এটা জানো না যে আমি তোমাকে ঘৃণা করি? তুমি কি মনে করো যে আমি তোমার অসাধু কারবার সম্বন্ধে জানি না? তুমি বার বার আত্মগোপন কর! তুমি কি এটা জানো না যে তুমি তোমার দানবিক চেহারা প্রকাশ করে ফেলেছ? যদিও মানুষ তা দেখতে পায় না, কিন্তু তুমি কি ভাবো যে আমিও তা দেখতে পাই না? যারা আমার নিমিত্ত সেবা প্রদান করে তারা ভালো মানুষ নয়, তারা একদল অপদার্থ পাজী। আমি তাদের মোকাবিলা করবই। আমি তাদের অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করব এবং তাদের দগ্ধ করে মারব!

তুমি অধার্মিকের মতো কথা বলো, অবিশ্বাসীর মতো আচরণ করো এবং অন্যদের সঙ্গে যথাযথভাবে সহযোগিতা করো না; আর এই ধরনের একজন ব্যক্তি এখনও রাজা হওয়ার বাসনা রাখে—তুমি কি স্বপ্ন দেখছ না? তুমি কি মতিভ্রান্ত নও? তুমি ঠিক কী তা কি তুমি দেখতে পাও না? তুমি একজন অপদার্থ হতভাগ্য! এই ধরনের ব্যক্তি কি কোনো কাজে লাগে? সত্বর আমার চোখের সামনে থেকে বিদায় হও! আমি সুস্পষ্টভাবে যা বলি প্রত্যেকের তা উপলব্ধি করা উচিত, আমার বাক্যগুলির দ্বারা অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত, আমার সর্বশক্তিমত্তাকে স্বীকার করা এবং আমার প্রজ্ঞাকে জানা উচিত। একথা প্রায়শই বলা হয়েছে যে পবিত্র আধ্যাত্মিক সত্তা আবির্ভূত হয়েছে। শেষপর্যন্ত, তোমরা কি বলবে যে পবিত্র আধ্যাত্মিক সত্তা আবির্ভূত হয়েছে নাকি হয়নি? আমি যা বলি তা কি ফাঁকা বুলি? পবিত্র আধ্যাত্মিক সত্তা কী? কোন পরিস্থিতিতে পবিত্র আধ্যাত্মিক সত্তা বিরাজ করে? মানুষের কাছে, এটা কল্পনাতীত এবং বোধগম্য নয়। আমি তোমাদের বলি: আমি ত্রুটিহীন, এবং আমাতে সবকিছুই দরাজ, এবং সবকিছুই মুক্ত (কারণ আমি বিচক্ষতার সঙ্গে আচরণ করি এবং খোলামেলা ভাবে কথা বলি)। আমার কর্মগুলির মধ্যে কোনোটাই লজ্জাজনক নয়, এবং সবকিছুই আলোর মাঝে সম্পন্ন, যাতে প্রত্যেকে সম্পূর্ণরূপে জাতপ্রত্যয় হতে পারে। উপরন্তু, কোনো মানুষই তার মধ্যে এমনকিছু আয়ত্তে পেতে পারে না যা সে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। “পবিত্র আধ্যাত্মিক সত্তা”-র মধ্যে এটাই হল “পবিত্র” শব্দের ব্যাখ্যা। তাই, বারংবার আমি এ ব্যাপারে জোর দিয়েছি যে যারা লজ্জাজনক কাজ করে তাদের একজনকেও আমি চাই না। এটা আমার প্রশাসনিক ফরমানসমূহের একটা বিষয়, এবং এটা আমার স্বভাবের একটা অঙ্গও বটে। “আধ্যাত্মিক সত্তা” কথাটি আমার উচ্চারণসমূহকে নির্দেশ করে। আমি যা বলি সর্বদা তার একটা উদ্দেশ্য থাকে, সর্বদা তাতে প্রজ্ঞা থাকে, কিন্তু তা কোনো নিয়ন্ত্রণের অধীন নয়। (যা আমি বলতে চাই তা-ই আমি বলি, এবং এ হল আমার আত্মার কণ্ঠোৎসারিত উচ্চারণ, এবং এ আমার সত্তার মুখনিঃসৃত বাচন)। আমি যা বলি তা স্বাধীনভাবে নির্গত হয়, এবং যখন তা মানুষের পূর্বধারণাসমূহের সম্মুখীন হয় না, তখন সেটাই মানুষকে উদ্ঘাটিত করার সময়। এটাই আমার যথাযথ বন্দোবস্ত। তাই, যখনই আমার সত্তা কথা বলে বা কাজ করে, তখন সেটা সবসময়ই শয়তানের উপাদানকে উদ্ঘাটিত করার একটা উত্তম সুযোগ। আমার অধিকৃত সত্তার অভিষেকের সাথেসাথেই পবিত্র আধ্যাত্মিক সত্তা উদ্ভূত হয়েছে। ভবিষ্যতে, “পবিত্র আধ্যাত্মিক সত্তা” বলতে শরীরকে বোঝাবে, এবং এই অর্থের দুটি দিক রয়েছে। এই অর্থের একটি দিক রয়েছে বর্তমান কালে এবং আরেকটি দিক রয়েছে ভবিষ্যতে। কিন্তু ভবিষ্যতে, পবিত্র আধ্যাত্মিক সত্তা বর্তমানের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে—তাদের মধ্যে স্বর্গ-মর্ত্যের তুল্য ব্যবধান থাকবে। কেউ তার মর্মোদ্ধার করতে পারবে না, এবং আমাকে ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের কাছে তা প্রকাশ করতে হবে।

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ৯৩

পরবর্তী: অধ্যায় ৯৫

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।👇

সম্পর্কিত তথ্য

পরিশিষ্ট ১ ঈশ্বরের আবির্ভাব এক নতুন যুগের সূচনা করেছে

ঈশ্বরের ছয় হাজার বছরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনা শেষ হতে চলেছে, এবং যারা তাঁর আবির্ভাবের পথ চেয়ে আছে তাদের সকলের জন্য স্বর্গের দ্বার ইতিমধ্যেই...

সর্বশক্তিমানের দীর্ঘশ্বাস

তোমার হৃদয়ে এক বিশাল গোপন বিষয় আছে যার ব্যাপারে তুমি কখনও সচেতন ছিলে না, কারণ তুমি বেঁচে আছ আলোকহীন এক জগতে। তোমার হৃদয় আর তোমার আত্মাকে...

রাজ্যের যুগই হল বাক্যের যুগ

রাজ্যের যুগে, যে পদ্ধতিতে তিনি কাজ করেন তা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে, এবং সমগ্র যুগের কাজ সম্পাদন করার জন্য, ঈশ্বর নতুন যুগের সূচনা করতে বাক্যের...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন