অধ্যায় ৪৯

সমন্বয়মূলকভাবে সেবা করার জন্য, অবশ্যই সঠিক ভাবে সমন্বয়সাধন করতে হবে, কর্মশক্তি নিয়ে, প্রাণবন্তভাবে। উপরন্তু, অবশ্যই জীবনীশক্তি, প্রাণশক্তি থাকতে হবে, এবং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হতে হবে, যাতে অন্যেরা যখন দেখবে, তখন তারাও সংস্থান পাবে ও পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। আমার সেবা করতে হলে, তোমাকে অবশ্যই আমার ইচ্ছা অনুসারে করতে হবে, শুধুমাত্র আমার হৃদয়ের সাথে সঙ্গত হয়ে নয়, বরং আমার অভিপ্রায় পূরণ করেও তা করতে হবে, যাতে তোমার মধ্যে আমি যা অর্জন করি তাতে আমি পরিতৃপ্তি পাই। তোমাদের জীবন আমার বাক্যের দ্বারা পূর্ণ কর, তোমাদের বাচন আমার ক্ষমতায় পূর্ণ কর-তোমাদের কাছে এই আমার অনুরোধ। তোমাদের নিজেদের বাসনার অনুগামী হওয়া কি আমার প্রতিরূপকে প্রকাশ করে? তা কি আমার হৃদয়কে পরিতুষ্ট করবে? তুমি কি এমন কেউ, যে আমার অভিপ্রায়সমূহ আন্তরিকভাবে পালন করেছে? তুমি কি এমন কেউ, যে প্রকৃতই আমার হৃদয় উপলব্ধি করার প্রয়াস করেছ? তুমি কি প্রকৃতই নিজেকে আমার কাছে নিবেদন করেছ? তুমি কি যথার্থই নিজেকে আমার জন্য ব্যয় করেছ? তুমি কি আমার বাক্যসমূহ নিয়ে নিবিষ্টভাবে চিন্তাভাবনা করেছ?

তোমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রজ্ঞা প্রয়োগ করতে হবে এবং আমার ত্রুটিহীন পথে যাত্রার জন্য প্রজ্ঞার ব্যবহার করবে। যারা আমার বাক্যের অভ্যন্তরে কাজ করে তারাই সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী, এবং যারা আমার বাক্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাজ করে, তারাই সর্বাপেক্ষা অনুগত। আমি যা বলি সেটাই ধ্রুব, এবং তোমাদের এ নিয়ে আমার সঙ্গে বিতর্ক করার বা যুক্তিবিস্তারের চেষ্টা করা নিষ্প্রয়োজন। আমি যা কিছু বলি, তোমাদের কথা মাথায় রেখেই বলি (সে আমি কড়া অথবা নরম-যা-ই হই না কেন)। তুমি যদি অনুগত হওয়ার বিষয়ে মনোনিবেশ কর, তাহলে খুব ভালো কথা, এবং এটাই প্রকৃত জ্ঞানার্জনের পথ (এবং তোমার ঈশ্বরের বিচারের সম্মুখীন হওয়া নিবারণের পথও বটে)। আজ, আমার গৃহে, আমার সামনে মার্জিত থেকে আমার আড়ালে অন্য কথা বোলনা। আমি চাই, তোমরা বাস্তববাদী হও; তোমাদের ঝলমলে আলঙ্কারিক ভাষা ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। যারা বাস্তবসম্মত, তাদের জন্য সব কিছুই রয়েছে। যারা নও, তাদের জন্য কিছুই নেই। এমনকী তাদের সঙ্গে তাদের নশ্বর দেহও অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে, কারণ ব্যবহারিকতা ছাড়া, শুধু শূন্যতাই থাকে; এর অন্য কোন ব্যাখ্যা নেই।

তোমাদের ইশ্বরের প্রতি বিশ্বাসে, আমি চাই তোমরা আন্তরিক হও এবং তোমাদের কী লাভ-লোকসান হতে পারে, বা তোমাদের যাকিছু আছে, তা গ্রাহ্যের মধ্যে এনো না; তোমাদের শুধু প্রকৃত পথে পদক্ষেপ করার অন্বেষণ চালিয়ে যেতে হবে এবং কারোর দ্বারা বিপথে চালিত হওয়া অথবা কারোর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া চলবে না। গির্জার এক স্তম্ভ, রাজ্যের এক বিজেতা হয়ে ওঠা একেই বলে; এর অন্যথা করার অর্থ, তোমরা আমার সামনে জীবনধারণের যোগ্য নও।

ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে, আমার নিকটবর্তী হওয়ার উপায়ও একইরকমভাবে ভিন্ন। অনেকে আমার সামনে শ্রুতিমধুর শব্দ আউড়াতে এবং ধর্মপ্রাণ হওয়ার অভিনয় করতে ভালোবাসে। কিন্তু, আড়ালে, তারা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল এবং তাদের মধ্যে আমার বাক্যসমূহের উপস্থিতি প্রায় লক্ষ্যই করা যায় না। তারা ন্যক্কারজনক এবং বিরক্তিকর; এটা অচিন্তনীয় যে তারা কাউকে নৈতিকভাবে উন্নীত করতে বা কারো সংস্থান যোগাতে পারবে। তোমরা আমার হৃদয়ের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে অক্ষম শুধুমাত্র এই কারণে যে, তোমরা আমার আরও সাহচর্য বা আমার সঙ্গে আরো বেশি আলাপ-আলোচনার সুযোগ লাভ করতে পারো না; তোমরা আমাকে তোমাদের জন্য সর্বদা চিন্তান্বিত করে তোল এবং আমাকে তোমাদের জন্য সবসময় পরিশ্রম করতে হয়।

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ৪৮

পরবর্তী: অধ্যায় ৫০

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন