অধ্যায় ১২০

সিয়োন! হরষিত হও! সিয়োন! গেয়ে ওঠো! আমি জয়লাভ করে ফিরেছি, আমি বিজয়ী হয়ে ফিরেছি! সকল মনুষ্যগণ! তাড়াতাড়ি সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হও! সৃষ্টির সকল কিছু! এবারে স্থির হও, কারণ আমার দেহ সমগ্র মহাবিশ্বের মুখোমুখি দাঁড়ায় এবং পৃথিবীর পূর্ব দিকে আবির্ভূত! কার এত স্পর্ধা যে সে পূজায় নতজানু না হয়? কার এত স্পর্ধা যে আমাকে সত্য ঈশ্বর বলে না ডাকে? কে শ্রদ্ধার চোখে তাকাবার সাহস না রাখে? কে প্রশংসা না করার স্পর্ধা দেখায়? আনন্দ না করার এত স্পর্ধা কার? আমার মানুষেরা আমার কণ্ঠস্বর শুনবে, এবং আমার পুত্রেরা আমার রাজ্যে বেঁচে থাকবে! পর্বত, নদী এবং সব কিছু অবিরাম উল্লাস প্রকাশ করবে এবং অবিরাম লাফাতে থাকবে। এই সময়ে, কেউ পিছিয়ে পড়ার সাহস করবে না এবং কেউ প্রতিরোধ করার স্পর্ধা দেখাবে না। এ হল আমার বিস্ময়কর কর্ম, এবং, তদুপরি, এ হল আমার মহান শক্তি! আমি সকল কিছুর হৃদয়ে আমার প্রতি শ্রদ্ধা জাগিয়ে তুলব এবং, তদুপরি, আমি সমস্ত কিছুকে দিয়েই আমার প্রশংসা করাব! এই হল আমার ছয় হাজার বছরের ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার চূড়ান্ত লক্ষ্য, এবং আমি এই আদেশই করেছি। এমনকি একজন ব্যক্তির বা বস্তুর বা ঘটনারও আমাকে প্রতিরোধ করতে বা আমার বিরোধিতা করার সাহস নেই। আমার সকল মানুষ আমার পর্বতের দিকে প্রবাহিত হবে (প্রকারান্তরে বললে, আমি পরে যে বিশ্ব সৃষ্টি করব) এবং তারা আমার সামনে সমর্পণ করবে, কারণ আমার মহিমা এবং বিচার রয়েছে, এবং আমি কর্তৃত্ব বহন করি। (এটি সেই সময়কে বোঝায় যখন আমি দেহধারণ করে থাকি। আমার দেহেও কর্তৃত্ব রয়েছে, কিন্তু যেহেতু স্থান ও কালের সীমাবদ্ধতা দেহের মাধ্যমে অতিক্রম করা যায় না, তাই একথা বলা যায় না যে দেহরূপে আমি সম্পূর্ণ গৌরব লাভ করেছি। যদিও আমি প্রথমজাত পুত্রদের দেহরূপে পেয়েছি, তবুও এমন বলা যায় না যে আমি সম্পূর্ণ গৌরব লাভ করেছি। আমি যখন সিয়োনে ফিরে যাই এবং আমার চেহারা পরিবর্তন করি একমাত্র তখনই বলা যেতে পারে যে আমি কর্তৃত্ব বহন করেছি – অর্থাৎ, আমি গৌরব লাভ করেছি।) আমার জন্য কিছুই কঠিন হবে না। আমার মুখের বাক্যগুলি দ্বারা, সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, এবং আমার মুখনিঃসৃত বাক্যসমূহের মাধ্যমে সমস্ত কিছুর সৃষ্টি হবে এবং সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। এমনই আমার মহান ক্ষমতা এবং এমনই আমার কর্তৃত্ব। যেহেতু আমি ক্ষমতায় পূর্ণ এবং কর্তৃত্বে পরিপূর্ণ, তাই কেউ আমাকে বাধা দেওয়ার সাহস পায় না। আমি ইতিমধ্যে সমস্ত কিছুর উপর বিজয় লাভ করেছি, এবং আমি ইতিমধ্যেই বিদ্রোহের সকল পুত্রদের উপর বিজয় অর্জন করেছি। আমি সিয়োনে ফিরে আসার জন্য আমার প্রথমজাত পুত্রদের আমার সঙ্গে নিয়ে আসছি। আমি একাকী সিয়োনে ফিরছি না। অতএব, সকলেই আমার প্রথমজাত পুত্রদের দেখতে পাবে এবং এইভাবে আমার প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ হৃদয় গড়ে তুলবে। প্রথমজাত পুত্রদের লাভ করার মাধ্যমে এ-ই হল আমার লক্ষ্য এবং জগত-সৃষ্টির পর থেকে এ-ই হল আমার পরিকল্পনা।

যখন সবকিছু প্রস্তুত হয়ে উঠবে, তখন সেই দিনটি হবে সিয়োনে আমার প্রত্যাবর্তনের দিন, এবং এই দিনটি সকল মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যখন আমি সিয়োনে ফিরে যাব, তখন পৃথিবীর সমস্ত কিছু নীরব হয়ে যাবে এবং পৃথিবীতে সকল কিছু শান্তিতে থাকবে। আমি যখন সিয়োনে ফিরে যাব, তখন সবকিছু তাদের মূল স্বরূপ থেকে পুনরায় আরম্ভ করবে। তারপর, আমি সিয়োনে আমার কাজ শুরু করব। আমি দুষ্টদের শাস্তি দেব এবং শিষ্টদের পুরস্কৃত করব এবং আমি আমার ন্যয়পরায়ণতা ও বিচার বলবৎ করব। আমি সমস্তকিছু সম্পাদন করার জন্য আমার বাক্যগুলি ব্যবহার করব, যাতে সকল মানুষ এবং সকল বস্তু আমার শাস্তি প্রদানকারী হাতের অভিজ্ঞতা লাভ করে, এবং আমি সকল মানুষকে আমার পূর্ণ মহিমা, আমার পূর্ণ জ্ঞান এবং আমার সম্পূর্ণ অনুগ্রহ দর্শন করাব। কেউই বিচার করতে উঠে আসার সাহস দেখাবে না, কারণ আমার মধ্যেই সমস্ত কিছু সম্পন্ন হয়; এবং এখানে, প্রতিটি মানুষ আমার পূর্ণ মর্যাদা দেখতে পাক, এবং আমার পূর্ণ বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করুক, কারণ আমারই মধ্যে সকল কিছু প্রকাশিত হয়েছে। এর থেকে আমার মহান শক্তি এবং আমার কর্তৃত্ব দেখতে পাওয়া সম্ভব। কেউ আমাকে ক্ষুব্ধ করার স্পর্ধা দেখাবে না, এবং কেউ আমাকে বাধা দেওয়ার সাহস করবে না। আমার মধ্যে, সমস্ত কিছু উন্মুক্ত হয়। কে কোনও কিছু লুকাবার সাহস করবে? আমি কখনই সেই ব্যক্তিকে কোনও করুণা দেখাব না! এই নরাধমদের আমার কঠোর শাস্তি পেতে হবে, এবং এই ধরনের ঘৃণ্যদের অবশ্যই আমার দৃষ্টি থেকে মুছে ফেলতে হবে। আমি তাদের লৌহ দণ্ড দিয়ে শাসন করব এবং আমি তাদের বিচার করার জন্য আমার কর্তৃত্ব ব্যবহার করব, সামান্যতম করুণা ছাড়াই এবং তাদের অনুভূতিগুলিকে বিন্দুমাত্র রেহাই না দিয়েই, কারণ আমি স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি আবেগহীন এবং মহিমান্বিত, এবং যাঁকে ক্ষুব্ধ করা যায় না। সকলের এটা বোঝা এবং দেখা উচিত, যাতে তারা আমার দ্বারা “কারণ বা যুক্তি ছাড়াই” আহত এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, কারণ যারা আমাকে ক্ষুব্ধ করে, আমার দণ্ড তাদের সকলকে আঘাত করবেই। তারা আমার প্রশাসনিক ফরমানসমূহের কথা জানে কিনা তার আমি তোয়াক্কা করি না; তা আমার কাছে বিন্দুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ আমার সত্তা কারো দ্বারা ক্ষুব্ধ হওয়া সহ্য করে না। এই কারণেই আমাকে সিংহ বলা হয়; আমি যাকে স্পর্শ করি, তাকে ধ্বংস করে দিই। সেই কারণেই বলা হয় যে একালে আমাকে করুণা ও প্রেমময়-দয়ার ঈশ্বর হিসাবে অভিহিত করা আদতে ঈশ্বর-নিন্দা। সারসত্য হল, আমি মেষশাবক নই, আমি সিংহ। কেউ আমাকে ক্ষুব্ধ করার সাহস রাখে না; যেই আমাকে ক্ষুব্ধ করে, আমি অবিলম্বে এবং করুণা ছাড়াই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেব। আমার স্বভাব দেখাবার জন্য এ-ই যথেষ্ট। অতএব, অন্তিম যুগে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রত্যাহার করবে, এবং তাদের পক্ষে সহ্য করা কঠিন হবে, তবে আমার ক্ষেত্রে, আমি স্বচ্ছন্দ এবং সুখী, এবং আমি একে মোটেই কঠিন কাজ হিসাবে দেখি না। এমনই হল আমার স্বভাব।

আমি আশা করি যে সকল মানুষের আমার সমস্ত কিছু মান্য করার মত আনুগত্যপূর্ণ হৃদয় থাকবে; যদি তাদের তা থাকে তাহলে আমি মানবজাতিকে অবশ্যই অতিশয় আশীর্বাদ করব, কারণ, যেমন আমি বলেছি, যারা আমার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, তারা সংরক্ষিত হবে, আর যারা আমার প্রতি শত্রুতাপূর্ণ, তারা অভিশপ্ত হবে। আমি এমন আদেশ করেছি, এবং কেউ এর পরিবর্তন করতে পারে না। আমি যে বিষয়গুলি নির্ধারণ করেছি সেগুলি হল আমার দ্বারা সম্পন্ন হওয়া বিষয়, এবং যে সেগুলির বিরুদ্ধে যায় তাকেই অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হবে। সিয়োনে আমার যা কিছু প্রয়োজন এবং আমি যা কিছু আকাঙ্ক্ষা করি, তা সকলই রয়েছে। সিয়োনে বিশ্বের কোন ইঙ্গিত নেই, এবং বিশ্বের তুলনায়, সেটি একটি প্রাসাদ, সমৃদ্ধ এবং বিশাল; কিন্তু সেখানে কেউ কখনও প্রবেশ করে নি, এবং সেইজন্য, মানুষের কল্পনাতে, তার কোনো অস্তিত্বই নেই। সিয়োনের জীবন পৃথিবীর জীবনের থেকে ভিন্ন; পৃথিবীতে, জীবন হল ভোজন করা, পোশাক পরিধান করা, খেলাধুলা করা এবং আনন্দের সন্ধান করা, যেখানে সিয়োনে তা ভীষণভাবেই আলাদা। সেখানে আনন্দে মগ্ন পিতা-পুত্রের জীবন, সর্বদা মহাবিশ্বের সমগ্র স্থান পূর্ণ করে, অথচ সর্বদা ঐক্যবদ্ধভাবে সমবেত হয়। এতদূর যখন বলাই হল, তখন আমি তোমাদের সিয়োন কোথায় অবস্থিত তা বলব এবার। সিয়োন হল সেই স্থান যেখানে আমি বাস করি; যেখানে আমার সত্তা অবস্থিত। অতএব, সিয়োন অবশ্যই একটি পবিত্র স্থান এবং অবশ্যই তা পৃথিবী থেকে বহুদূরে অবস্থিত। এই কারণেই আমি বলি যে আমি পৃথিবীর মানুষ, বস্তু এবং বিষয়গুলিকে হেয় জ্ঞান করি এবং আমি দেহরূপের পানাহার, খেলাধুলা এবং ভোগ-বিলাসের অন্বেষণকে ঘৃণা করি, কারণ পার্থিব আনন্দ যতই উপভোগ্য হোক না কেন, সেগুলিকে সিয়োনের জীবনের সঙ্গে তুলনা করা যায় না; এ-ই হল স্বর্গ এবং মর্ত্যের মধ্যেকার পার্থক্য, এবং উভয়ের তুলনা করার কোন উপায় নেই। পৃথিবীতে মানুষের দ্বারা সমাধানের অসাধ্য এমন অজস্র প্রহেলিকার উপস্থিতির কারণ হল এই যে, মানুষ সিয়োনের বিষয়ে বিন্দুমাত্র অবগত নয়। আচ্ছা, তবে সিয়োন ঠিক কোথায়? তা কি অন্য কোনো গ্রহে, যেমন মানুষ কল্পনা করে? না! তা মানুষের মনের নিছক কল্পনা মাত্র। তৃতীয় স্বর্গ, যার বিষয়ে আমি পূর্বে উল্লেখ করেছি, মানুষ তাকে পূর্বনির্ধারিতভাবে তথা রূপকার্থে কল্পনা করলেও, মানুষের সেই আমার অর্থের সরাসরি বিপরীতে। এখানে যে তৃতীয় স্বর্গের কথা বলা হয়েছে তা সামান্যতমভাবেও মিথ্যা নয়। এইজন্যই আমি বলি যে আমি সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র ও মহাজাগতিক বস্তুগুলিকে ধ্বংস করব না এবং স্বর্গ ও পৃথিবীও ধ্বংস করব না। আমি কি আমার বাসস্থান ধ্বংস করতে পারি? আমি কি সিয়োন পর্বতকে নির্মূল করতে পারি? এ কি হাস্যকর নয়? তৃতীয় স্বর্গ আমার অধিষ্ঠান; এ হল সিয়োন পর্বত, এবং এ হল পরম। (কেন আমি একে পরম বলি? কারণ আমি এখন যা বলি তা মানুষ একেবারেই বুঝতে পারে না; সে কেবল তা শুনতে পারে। মানুষের চিন্তার পরিধি একে কোনোভাবেই পরিবেষ্টন করতে পারে না, এবং তাই আমি এখন আর সিয়োন সম্পর্কে অধিককিছু বলব না, পাছে মানুষজন তাকে কল্পকাহিনী হিসাবে বিবেচনা করে।)

আমি সিয়োনে ফিরে আসার পর, পৃথিবীতে যারা আছে তারা অতীতের মতোই আমার প্রশংসা করতে থাকবে। সেই অনুগত সেবা-প্রদানকারীগণ আমার সেবা করার জন্য বরাবরের মতো অপেক্ষা করবে, কিন্তু তাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারা যা করতে পারবে তা হল পৃথিবীতে আমার উপস্থিতির পরিস্থিতিগুলি বিবেচনা করা। সেই সময়ে, যারা চরম দুর্দশা ভোগ করবে তাদের উপর আমি বিপর্যয় নামিয়ে আনা আরম্ভ করব; অথচ প্রত্যেকের বিশ্বাস যে আমি একজন ন্যায়পরায়ণ ঈশ্বর। আমি অবশ্যই সেইসকল অনুগত সেবা-প্রদানকারীদের শাস্তি দেব না, তাদেরকে কেবল আমার অনুগ্রহ লাভ করাব। কারণ আমি বলেছি যে আমি তাদের শাস্তি দেব যারা মন্দ কর্ম করে, এবং যারা ভাল কাজ করে তারা আমার দেওয়া বস্তুগত সুখ পাবে, যা প্রমাণ করে যে আমি স্বয়ং ন্যয়পরায়ণতার এবং বিশ্বস্ততার ঈশ্বর। সিয়োনে আমার ফিরে যাওয়ার পর, আমি বিশ্বের প্রতিটি জাতির দিকে নজর রাখা শুরু করব; আমি ইস্রায়েলীয়দের উদ্ধার করব এবং মিশরীয়দের শাস্তি দেব। এই হল আমার কাজের পরবর্তী ধাপ। তখন আমার কাজ এখনকার মতো হবে না: তা আমার দেহধারণপূর্বক অবতীর্ণ হয়ে সম্পন্ন কর্মের মতো হবে না, বরং সম্পূর্ণভাবে দৈহিকতাকে অতিক্রম করবে – এবং আমি যেমন বলেছি, তেমনই হবে; এবং আমি যেমন হুকুম দিয়েছি, ঠিক তেমনিই স্থিতনিশ্চয় থাকবে। যাই বলা হোক, যদি তা আমার মুখনিসৃত হয়, তবে তা তৎক্ষণাৎ বাস্তবায়িত হবে; এই হল আমার কথিত বাক্যসমূহের সঠিক অর্থ এবং একই সাথে এর পূর্ণতা ঘটছে, কারণ আমার বাক্য স্বয়ং কর্তৃত্ববাহী। আমি এখন কিছু সাধারণ বিষয়ে কথা বলছি, পৃথিবীর মানুষদের কিছু সূত্র দেওয়ার উপায় হিসাবে, যাতে তারা আন্দাজে কিছু উপলব্ধি করতে উদ্যত না হয়। যখন সেই সময় আসবে, সবকিছু আমার দ্বারা আয়োজিত হবে, এবং কেউ যথেচ্ছভাবে কাজ করবে না, পাছে তারা আমার হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মানুষের কল্পনায়, আমি যা বলি তা সকলই অস্পষ্ট, কারণ, মানুষের চিন্তাভাবনা আদতে সীমিত, এবং আমি যা বলি তার থেকে মানুষের চিন্তাভাবনাও স্বর্গ পৃথিবী থেকে যতটা দূরে অবস্থিত, ঠিক ততটাই দূরে অবস্থিত। অতএব, কেউ তা বুঝতে পারে না। আমি যা বলি তার সাথে সম্মত হওয়াই হল একমাত্র করণীয়; সেই পথই সকলকিছুর ক্ষেত্রেই অনিবার্য। আমি বলেছি: “অন্তিম সময়ে, আমার মানুষদের নির্যাতন করতে পশু আবির্ভূত হবে, এবং যারা মৃত্যুকে ভয় পায় তাদের সেই পশুর হাতে বন্দী হওয়ার জন্য একটি সীলমোহর দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। যারা আমাকে দেখেছে তারা পশুর দ্বারা নিহত হবে।” এই বাক্যগুলিতে “পশু” বলতে নিঃসন্দেহে শয়তানকে, মানবজাতির প্রতারককে, বোঝায়। প্রকারান্তরে বললে, আমি যখন সিয়োনে ফিরে যাই, তখন সেবা-প্রদানকারীদের এক বড় গোষ্ঠী প্রত্যাহার করে নেবে; অর্থাৎ, তারা পশুর দ্বারা বন্দী হবে। এই সমস্ত প্রাণীরা আমার অনন্ত শাস্তি পেতে অতল গহ্বরে যাবে। “যারা আমাকে দেখেছে” বলতে সেই অনুগত সেবা-প্রদানকারীদের বোঝায় যাদের আমি জয় করেছি। “আমাকে দেখেছে” বলতে বোঝায় যে তারা আমার দ্বারা বিজিত হয়েছে। “পশুর দ্বারা নিহত” বলতে বোঝায়, যে শয়তান আমার দ্বারা পরাভূত হয়ে, পুনর্বার আমার প্রতিরোধে উত্থিত হওয়ার স্পর্ধা রাখে নি। প্রকারান্তরে বললে, শয়তান সেই সেবা-প্রদানকারীদের উপর কোন কার্য সম্পাদন করার সাহস দেখাবে না, এবং তাই, সেই মানুষগুলির আত্মাকে উদ্ধার করা হবে; এমনটি হবে তাদের আমার প্রতি অনুগত থাকার ক্ষমতার কারণে, এবং এর অর্থ হল এই, যে, সেই অনুগত সেবা-প্রদানকারীগণ আমার অনুগ্রহ এবং আমার আশীর্বাদ লাভ করতে সক্ষম হবে। তাই, আমি বলি যে তাদের আত্মা উদ্ধারপ্রাপ্ত হবে। (এটি তৃতীয় স্বর্গে আরোহন করাকে নির্দেশ করে না, এমন মানুষের একরকম ধারণা মাত্র।) কিন্তু সেই দুষ্ট দাসগণ পুনরায় শয়তান দ্বারা বন্দী হবে এবং তারপর তাদের অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করা হবে। এ হল তাদের উদ্দেশ্যে আমার শাস্তিবিধান; এ তাদের প্রাপ্য এবং এ তাদের পাপের পুরস্কার।

আমার কাজের গতি যত দ্রুত হয়, পৃথিবীতে আমার সময়ও ততই ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। সিয়োনে আমার ফিরে যাওয়ার দিন ঘনিয়ে আসছে। পৃথিবীতে আমার কাজ যখন শেষ হবে, তখন আমার সিয়োনে ফিরে যাওয়ার সময় আসবে। আমি পৃথিবীতে বাস করতে একেবারেই চাই না, কিন্তু আমার ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে, আমার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে, আমি সমস্ত কষ্ট সহ্য করেছি। আজ, ইতিমধ্যেই সময় হয়ে এসেছে। আমি আমার গতি ত্বরান্বিত করব, এবং কেউ আমার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। মানুষ বুঝুক বা না বুঝুক, আমি তোমাদের সেই সমস্ত কিছুই সবিস্তারে বলব যা মানুষ বুঝতে অক্ষম, অথচ পৃথিবীতে তোমাদের অবশ্যই যা জানতে হবে। অতএব, আমি বলি যে আমি স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি স্থান ও কাল অতিক্রম করেন। আমার প্রথমজাত পুত্রদের প্রাপ্তি এবং এইভাবে শয়তানকে পরাজিত করার উদ্দেশ্য না থাকলে, আমি ইতিমধ্যেই সিয়োনে ফিরে যেতাম; অন্যথায়, আমি কখনোই মানবজাতিকে সৃষ্টি করতাম না। আমি মানবজগৎকে ঘৃণা করি, এবং আমি এমন মানুষদের ঘৃণা করি যারা আমার থেকে এতটাই পৃথক যে, তারা এক ধাক্কায় সমগ্র মানবজাতিকে ধ্বংস করে ফেলার কথাও বিবেচনা করে। যাইহোক, আমার কাজের ক্রম এবং কাঠামো আছে, অনুপাত এবং সংযমের অনুভূতি রয়েছে এবং তা এলোপাথাড়ি নয়। আমি যা কিছু করি তার উদ্দেশ্য হল শয়তানকে পরাস্ত করা, এবং, সর্বোপরি, আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার প্রথমজাত পুত্রদের সাথে একসাথে থাকতে সক্ষম করা। এই হল আমার লক্ষ্য।

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ১১৯

পরবর্তী: অনুশীলন (৩)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন