অধ্যায় ১১২

“বাক্য এবং বাস্তবিকতা পাশাপাশি অগ্রসর হয়”—এটা আমার ধার্মিক স্বভাবের অংশ। এই বাক্য থেকে আমি নিশ্চিতভাবেই সকলকে আমার স্বভাবের সামগ্রিকতা প্রত্যক্ষ করাবো। মানুষ ভাবে এটা অর্জন করা যায় না, কিন্তু আমার জন্য এটা সহজ ও সুখকর, এবং এতে কোনো প্রয়াস লাগে না। আমার বাক্য মুখ থেকে নির্গত হওয়ার সাথে সাথেই অবিলম্বে একটা সত্য প্রত্যেকের দৃষ্টিগোচর হয়। এ-ই হল আমার স্বভাব। যেহেতু আমি কিছু বিষয়ে বলেছি, সেগুলো নিশ্চিতভাবেই সম্পন্ন হবে। নচেৎ আমি বলতামই না। মানুষে ধারণায়, “পরিত্রাণ” শব্দটা সকল মানুষের বিষয়ে বলা হয়, কিন্তু তা আমার অভিপ্রায়ের সাথে মেলে না। অতীতে আমি বলেছি, “আমি সর্বদা তাদেরই উদ্ধার করি, যারা অজ্ঞ ও যারা উদ্যমী অন্বেষণকারী।” এখানে, “উদ্ধার” শব্দটা তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, যারা আমায় সেবা প্রদান করে এবং এর অর্থ হল আমি সেবা-প্রদানকারীদের প্রতি বিশেষ আচরণ করবো। অন্যভাবে বলতে গেলে, আমি সেই মানুষগুলোর শাস্তি কমিয়ে দেবো। তবে, যে সকল সেবা-প্রদানকারীরা কুটিল ও শঠ, তারাই ধ্বংসের লক্ষ্যবস্তুসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে, অর্থাৎ আমি তাদের কঠিন দণ্ডের সম্মুখীন করবো। (যদিও তারা ধ্বংসের লক্ষ্যবস্তুর অন্তর্ভুক্ত, তবে তারা যারা ধ্বংস হতে চলেছে তাদের থেকে অনেক আলাদা: তারা চিরতরে কঠিন দণ্ড পাবে এবং তারা যে দণ্ড ভোগ করবে, তা হল অপদেবতার ও শয়তানের প্রাপ্য শাস্তি। যখন আমি বলেছিলাম যে, এই ব্যক্তিগণ অতিকায় লাল ড্রাগনের বংশধর, সেটার প্রকৃত অর্থও এ-ই।) কিন্তু আমার প্রথমজাত পুত্রদের ক্ষেত্রে আমি এই ধরনের বাক্য ব্যবহার করি না, বলি যে আমার প্রথমজাত পুত্রদের পুনরুদ্ধার করবো, তারা আরো একবার সিয়োনে প্রত্যাবর্তন করবে। অতএব, আমি সর্বদাই বলে এসেছি যে, আমার প্রথমজাত পুত্ররা হল আমার পূর্বনির্ধারিত ও মনোনীত লোক। আমার প্রথমজাত পুত্ররা মূলত আমারই ছিল এবং আমার কাছ থেকেই তাদের আগমন ঘটেছে, তাই তাদের অবশ্যই আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। প্রথমজাত পুত্রদের তুলনায় পুত্র ও ব্যক্তিগণের সত্যিই আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে: পুত্র ও ব্যক্তিগণ সেবা-প্রদানকারীদের চেয়ে অনেক ভালো হলেও, তারা কোনোভাবেই আমার নয়। এটাও বলা যেতে পারে যে, পুত্র এবং ও ব্যক্তিগণকে মানবজাতির মধ্য থেকেই অতিরিক্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। অতএব, আমি সর্বদা আমার শক্তি প্রথমজাত পুত্রদের ওপরেই নিবদ্ধ করেছি এবং তারপর আমি প্রথমজাত পুত্রদের দিয়ে এই পুত্র ও ব্যক্তিগণের সম্পূর্ণ করতে দেব। এগুলোই আমার ভবিষ্যৎ কাজের পদক্ষেপ। এখন তোমাদের জানিয়ে লাভ নেই, তাই আমি পুত্র ও ব্যক্তিগণের কাছে এটা খুব কমই উল্লেখ করেছি, তবে শুধুমাত্র প্রথমজাত পুত্রদের কাছে আমি বারবার এটা বলেছি, এবং বারবার এই বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি। এটাই আমার বাক্য উচ্চারণ ও কার্যসাধনের পদ্ধতি। কেউই তা পরিবর্তন করতে পারে না—সবকিছুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কেবল আমার একারই রয়েছে।

রোজ আমি তোমাদের ধারণার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি, এবং দিনের পর দিন, তোমাদের প্রত্যেকের বিশ্লেষণ করছি। আমি কোনো নির্দিষ্ট মাত্রা অবধি বক্তব্য রাখার পর তোমরা আবার অধঃপতিত হও, আবার আমার মানবতা থেকে দেবত্বকে পৃথক করে ফেলো। এই পর্যায়ে, মানুষকে প্রকাশ করার সময় সমাগত: লোকেরা ভাবে যে, আমি এখনো দেহরূপেই বাস করি, আমি কোনোমতেই স্বয়ং ঈশ্বর নই, আমি হলাম মানুষ আর ঈশ্বর হলেন ঈশ্বর, এবং আমি যে ব্যক্তি তার সাথে ঈশ্বরের কোনো সম্পর্ক নেই। এই মানবজাতি কতখানি ভ্রষ্ট! আমি আগে অনেক বাক্য বলেছি, কিন্তু তোমরা সেগুলোর প্রতি এমন মনোভাব দেখিয়েছ যেন সেগুলোর কোনো অস্তিত্বই নেই, এবং তা আমায় অস্থিমজ্জা অবধি তোমদের প্রতি ঘৃণায় পরিপূর্ণ করেছে! বস্তুতই, তা আমাকে তোমাদের ঘৃণা করতে বাধ্য করে! আমাকে লঘুচিত্তে ক্ষুব্ধ করার সাহস কার আছে, আমি, যিনি পূর্ণতই স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি মানবতা এবং সম্পূর্ণ দেবত্বের অধিকারী, তাঁকে? আমাকে চিন্তাভাবনায় প্রতিরোধ করার সাহস কার আছে? আমার সর্বনাশা বিপর্যয় যখন ঘনিয়ে আসবে, তখন আমি একে একে তাদের শাস্তি দেব, কাউকে রেহাই দেব না, বরং তাদের সবাইকে কঠোর শাস্তি দেব। আমার আত্মা ঈশ্বরের ছবিরূপে কর্মরত। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, আমি স্বয়ং ঈশ্বর নই, বরং পরিবর্তে, তা আরো বেশি করে বোঝায় যে, আমিই স্বয়ং ঈশ্বর। মানুষ আমায় জানে না—তারা সকলেই আমায় প্রতিরোধ করে, আমার বাক্যে আমার সর্বশক্তিমত্তা প্রত্যক্ষ করে না, বরং পরিবর্তে, আমার বাক্যে তারা এমন বিষয় খুঁজে বার করতে চায়, যেগুলো আমার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা যাবে, যেগুলো থেকে আমার খুঁত বার করা যাবে। একদিন যখন আমি আমার প্রথমজাত পুত্রদের সাথে সিয়োনে উপস্থিত হব, তখন আমি এই হতভাগ্য প্রাণীদের সাথে মোকাবিলা শুরু করব। এই সময়ে আমি মূলত এই কাজই করছি। যখন একটা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত বাক্য বলা হয়ে যাবে, তখন প্রচুর সংখ্যক সেবা-প্রদানকারী পিছু হটবে এবং প্রথমজাত পুত্ররাও সমস্ত রকমের কষ্টভোগ করবে। কাজের এই দুই ধাপের অগ্রগতির সাথে সাথেই আমার কাজের একটি পর্যায় শেষ হবে। সেই একই সময়ে, আমার প্রথমজাত পুত্রদের আমি সিয়োনে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এগুলোই হল আমার কাজের ধাপ।

আমার প্রথমজাত পুত্ররা আমার রাজ্যের এক অপরিহার্য অংশ, যা থেকে প্রতিভাত হয় যে আমার ছবিই আসলে সেই রাজ্য—আমার রাজ্যের জন্ম হয় আমার প্রথমজাত পুত্রদের জন্মের মাধ্যমে। প্রকারান্তরে বললে, এই মহাবিশ্বের সূচনালগ্ন থেকেই আমার রাজ্যের অস্তিত্ব রয়েছে এবং আমার প্রথমজাত পুত্রদের অর্জন (অর্থাৎ আমার প্রথমজাত পুত্রদের পুনরুদ্ধার) করাই হল আমার রাজ্যের পুনরুদ্ধার সাধন। এর থেকেই দেখা যায় যে, প্রথমজাত পুত্রদের বিশেষে গুরুত্ব রয়েছে। আমার প্রথমজাত পুত্ররা বিদ্যমান হলেই রাজ্যের সৃষ্টি হবে, ক্ষমতায় রাজত্ব করার বাস্তবিকতা সাধিত হবে, নতুন জীবনের আগমন এবং পুরানো যুগের সম্পূর্ণ সমাপ্তি ঘটবে। এ-ই হল অনিবার্য প্রবণতা। যেহেতু প্রথমজাত পুত্ররা এই অবস্থানে রয়েছে, সেহেতু তারাই হল এই বিশ্বের ধ্বংসসাধন, শয়তানের সর্বনাশসাধন, সেবা-প্রদানকারীদের প্রকৃত রূপ অনাবৃতকরণের প্রতীক, এবং অতিকায় লাল ড্রাগনের যে কোনো বংশধর থাকবে না এবং সেটি যে জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে পতিত হবে—এই সত্যেরও প্রতীকস্বরূপ। অতএব, ক্ষমতাবানগণ এবং অতিকায় লাল ড্রাগনের বংশধরেরা বারংবার বাধা, প্রতিরোধ এবং ধ্বংসের সম্মুখীন হবে। ইতিমধ্যে, আমি উন্নীত হবো, সাক্ষ্য দেবো এবং আমার প্রথমজাত পুত্রদের বারংবার প্রকাশ করবো। কারণ আমার থেকে উদ্গতরাই আমার সাক্ষ্য দেওয়ার যোগ্য; একমাত্র তারাই আমায় যাপন করার যোগ্য, একমাত্র তাদেরই সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার এবং আমার জন্য সুন্দর বিজয়টি অর্জন করার ভিত্তি রয়েছে। যারা আমার থেকে দূরে রয়েছে, তারা আমার হাতের কাদামাটির মাত্র—তারা প্রত্যেকেই সৃষ্ট সত্তা। যারা পুত্র এবং মানুষ, তারা সৃষ্ট প্রাণীকুলের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া উন্নত প্রাণীর চেয়ে বেশি কিছু না, তবে তারা আমার নয়। তাহলে প্রথমজাত পুত্র ও পুত্রদের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। পুত্ররা প্রথমজাত পুত্রদের সাথে তুলনার যোগ্য নয়—তারা প্রথমজাত পুত্রদের দ্বারা চালিত এবং শাসিত। এখন তোমাদের কাছে এই বিষয়টা স্ফটিক-স্বচ্ছ হওয়া উচিত! আমার বলা প্রতিটি বাক্যই সত্য, কোনো ভাবেই মিথ্যা নয়। এই সবই আমার ছবির অভিব্যক্তির অংশ, এবং এ-ই হল আমার কথন।

আমি বলেছি যে আমি ফাঁকা বুলি বলি না, ভুল করি না; এটাই আমার মহিমা দেখানোর পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু মানুষ ভালো-মন্দের তফাৎ ধরতে পারে না এবং তাদের উপর আমার শাস্তি নেমে এলে তবেই তারা যথাযথভাবে নিশ্চিত হয়; নাহলে তারা বিদ্রোহী ও একগুঁয়েই থেকে যায়। এই কারণেই সমগ্র মানবজাতিকে প্রত্যাঘাত করার জন্য আমি শাস্তি ব্যবহার করি। মানুষের ধারণা অনুসারে, যেহেতু একজনই স্বয়ং ঈশ্বরই রয়েছেন, তাহলে আমার থেকে এত প্রথমজাত পুত্রের আগমন কেন ঘটল? আমি এটা এইভাবে বলতে পারি: আমার নিজস্ব বিষয়ে আমি যেভাবে খুশি সেভাবেই বাক্য উচ্চারণ করতে পারি। মানুষ আমার কী করবে? আমি এভাবেও এটা বলতে পারি: যদিও আমার প্রথমজাত পুত্র, এবং আমি অভিন্ন প্রতিমূর্তি ধারণ করি না, কিন্তু আমরা একই আত্মার অংশীদার, তাই তারা সকলে আমার সাথে সমভাব হয়ে সহযোগিতার করতে পারে। সকল মানুষই যাতে আমার ছবির প্রতিটি অংশ অসাধারণ স্বচ্ছভাবে দেখতে সক্ষম হয়, সেই কারণেই আমরা অভিন্ন প্রতিমূর্তিধারী নই। এই কারণেই আমি আমার প্রথমজাত পুত্রদের আমার সাথে সমস্ত দেশ ও সমস্ত মানুষের উপর কর্তৃত্ব করতে দিয়েছি। এটাই আমার প্রশাসনিক ফরমানের চূড়ান্ত টীকা (এই “চূড়ান্ত টীকা”-র অর্থ হল আমার স্বর নরম এবং আমি পুত্র এবং লোকেদের প্রতি বাক্য উচ্চারণ আরম্ভ করেছি)। বেশিরভাগ লোকই এই বিষয়ে সন্দেহ করে, তবে নিজেদের এত সন্দেহপূর্ণ করে তোলার দরকার নেই। আমি এক এক করে সমস্ত মানুষের পূর্বধারণা অনাবৃত করব, যাতে লোকে লুকোনোর জায়গা না পেয়ে লজ্জিত হয়। আমি মহাবিশ্ব জুড়ে এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্ত অবধি ভ্রমণ করি, এবং মহাবিশ্বের সামগ্রিক চেহারা পর্যবেক্ষণ করি। আমি প্রত্যেক ধরনের মানুষকে পরীক্ষা করি—আমার হাত থেকে কেউ নিস্তার পায়না। আমি সকল প্রকার বিষয়ে অংশগ্রহণ করি, এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে পরিচালনা করিনি এমন কোনো বিষয় নেই। আমার সর্বশক্তিমত্তা অস্বীকার করার সাহস কে রাখে? আমার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ নিশ্চিত না হওয়ার স্পর্ধা রয়েছে কার? আমার সামনে পূর্ণ সাষ্টাঙ্গ না হওয়ার সাহস কে ধরে? আমার প্রথমজাত পুত্রদের কারণেই সমগ্র স্বর্গ পরিবর্তিত হবে, উপরন্তু আমার ও আমার প্রথমজাত পুত্রদের জন্যই ধরিত্রী ভয়াবহভাবে কেঁপে উঠবে। সকল মানুষকে আমার ছবির সামনে নতজানু হতে হবে এবং সকল বস্তু নিশ্চিতভাবেই আমার করায়ত্ত থাকবে—এতে তিলার্ধ ত্রুটিও থাকবে না। প্রত্যেককে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্বাস করতে হবে এবং প্রতিটি বস্তু আমার গৃহে আসবে এবং আমার সেবা করবে। এ-ই হল আমার প্রশাসনিক ফরমানের শেষ অংশ। এখন থেকে, আমার প্রশাসনিক ফরমানের বিভিন্ন প্রবন্ধের সমস্ত কিছু, যেগুলো বিভিন্ন মানুষের প্রতি নিবদ্ধ, সেগুলো ফলপ্রসূ হতে শুরু করবে (কারণ আমার প্রশাসনিক ফরমান সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়েছে, এবং প্রত্যেক ধরনের ব্যক্তি এবং জিনিসের জন্য উপযুক্ত আয়োজন করা হয়েছে। সমস্ত লোকেরা তাদের সঠিক স্থানে থাকবে, এবং আমার প্রশাসনিক ফরমানের কারণে প্রত্যেক ধরনের ব্যক্তির স্বরূপ অনাবৃত হবে)। এইভাবেই যথার্থ ও প্রকৃত প্রশাসনিক ফরমানের আগমন ঘটবে।

এখন আমার কাজের ধাপ অনুযায়ী আমার যা বলতে ইচ্ছা করে, আমি বলি এবং প্রত্যেককেই আমার বাক্য গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। যুগ যুগ ধরে, প্রত্যেক সন্তই “নতুন জেরুশালেম”-এর কথা বলেছে, সকলেই তা জানে, কিন্তু এই শব্দের প্রকৃত অর্থ কেউই উপলব্ধি করতে পারে না। বর্তমানের কাজ এই পর্যায় পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে বলে, আমি তোমাদের কাছে এই শব্দের প্রকৃত অর্থ প্রকাশ করব, যাতে তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো। কিন্তু আমার প্রকাশের সীমাবদ্ধতা আছে—আমি যতই স্পষ্ট করে বলি, যেভাবেই ব্যাখ্যা করি না কেন, তোমরা কখনোই সম্পূর্ণ উপলব্ধি করতে পারবে না, কারণ এই শব্দের বাস্তবতা স্পর্শ করার সাধ্য কোনও মানুষেরই নেই। অতীতে, জেরুশালেম ছিল এই পৃথিবীতে আমার আবাসস্থল, যেখানে আমি যাতায়াত ও বিচরণ করতাম। কিন্তু এই “নতুন” শব্দটা পুরো শব্দটাকে বদলে দিয়েছে, এবং এখন আর আগের মতো একেবারেই নেই। মানুষ এর তিলমাত্রও উপলব্ধি করতে পারে না। কেউ কেউ ভাবে যে তা আমার রাজ্যকে উল্লেখ করছে, কেউ বা ভাবে তা নতুন স্বর্গ ও মর্ত্যকে বোঝাচ্ছে; এবং কেউ কেউ ভাবে এই বিশ্ব ধ্বংস করার পর যে নতুন বিশ্ব সৃষ্টি হবে, এটা হল সেটাই। এমনকি যদি কারোর মন মাত্রাতিরিক্ত জটিল হয় এবং আকর্ষক কল্পনা করতে সক্ষম হয়, তাহলেও সে এই বিষয়টা অনুধাবন করতে পারেনা। যুগ যুগ ধরে, মানুষ এই শব্দের প্রকৃত অর্থ জানতে বা দেখতে চেয়েছে, কিন্তু তারা তাদের এই ইচ্ছা পূরণ করতে পারেনি—সকলেই নিরাশ হয়েছে, নিজেদের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে অপূর্ণ রেখে মারা গিয়েছে; যেহেতু আমার সময় তখনো আসেনি, সেহেতু আমি কাউকেই সহজে জানাতে পারতাম না। যেহেতু এখন আমার কাজ এই পর্যায় অবধি সম্পন্ন হয়েছে, সেহেতু আমি তোমাদের সবকিছু বলব। নতুন জেরুশালেমে চারটি বিষয়ের সমাহারে গঠিত: আমার ক্রোধ, আমার প্রশাসনিক ফরমান, আমার রাজ্য এবং আমার প্রথমজাত পুত্রদের প্রতি আমার বর্ষিত অসীম আশীর্বাদ। আমি “নতুন” শব্দটা ব্যবহার করি কারণ এই চারটি অংশ প্রচ্ছন্ন রয়েছে। যেহেতু আমার ক্রোধ আর আমার প্রশাসনিক ফরমান কেউ জানেনা, যেহেতু আমার রাজ্য কেউ দেখেনি এবং আমার আশীর্বাদও কেউই উপভোগ করেনি, সেহেতু “নতুন” শব্দটির মাধ্যমে এই প্রচ্ছন্ন বিষয়গুলোকেই বোঝানো হয়েছে। আমি যা বলেছি তা কেউ পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে না, কারণ নতুন জেরুশালেম পৃথিবীতে নেমে এলেও কেউই ব্যক্তিগতভাবে নতুন জেরুশালেমের বাস্তবিকতা অনুভব করেনি। আমি এই বিষয়ে যতই সম্পূর্ণভাবে বলি না কেন, মানুষ পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারবে না। এমনকি কেউ উপলব্ধি করতে পারলেও, সেই উপলব্ধি হবে কেবল তাদের কথা, মন এবং ধারণামাত্র। এ-ই হল অনিবার্য প্রবণতা; এ-ই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় এবং তা থেকে নিস্তার পায় না।

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ১১১

পরবর্তী: অধ্যায় ১১৬

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।👇

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বর হলেন মানুষের জীবনের উৎস

ক্রন্দনরত অবস্থায় এই জগতে ভূমিষ্ঠ হবার সময় থেকেই তুমি তোমার কর্তব্য পালন করা শুরু করো। ঈশ্বরের পরিকল্পনা ও তাঁর নির্ধারিত নিয়তি অনুসারে...

রাজ্যের যুগই হল বাক্যের যুগ

রাজ্যের যুগে, যে পদ্ধতিতে তিনি কাজ করেন তা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে, এবং সমগ্র যুগের কাজ সম্পাদন করার জন্য, ঈশ্বর নতুন যুগের সূচনা করতে বাক্যের...

তুমি কি জানতে? ঈশ্বর মানুষের মধ্যে এক মহান কাজ করেছেন

পুরনো যুগ অতিক্রান্ত এবং নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ঈশ্বর প্রভূত কাজ করেছেন। তিনি জগতে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং তারপর...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন