অধ্যায় ১১১
সমস্ত দেশ তোমার কারণেই নিশ্চিতভাবে আশীর্বাদধন্য হবে; তোমার কারণেই সকল জাতির মানুষ আমার জয়ধ্বনি দেবে এবং প্রশংসা করবে। আমার রাজ্য সমৃদ্ধ ও বিকশিত হবে, এবং চিরকাল বিদ্যমান থাকবে। এর অবমাননা কেউই করতে পারবে না এবং আমার সাথে সুসঙ্গত নয়, এমন কোনো কিছুই থাকতে পারবে না, কারণ আমিই স্বয়ং মহিমান্বিত ঈশ্বর, যিনি কোনো অপরাধ বরদাস্ত করেন না। আমি কাউকে আমার বিচার করতে দেবো না, আমার সাথে কাউকে অসঙ্গতও হতে দেবো না। এটাই আমার স্বভাব ও মহিমা প্রদর্শনের পক্ষে যথেষ্ট। কেউ আমার প্রতিরোধ করলে, আমি আমার সময়মতোই তাকে শাস্তি দেবো। আমাকে কাউকে শাস্তি দিতে কেউ দেখেনি কেন? তার একমাত্র কারণ হল, আমার সময় এখনো সমাগত হয় নি, এবং আমার হাত এখনো প্রকৃতপক্ষে কাজ শুরু করেনি। বিশাল বিপর্যয় ইতিমধ্যে বর্ষিত হলেও, তার মধ্যে কেবল মহাবিপর্যয় বিষয়ক ব্যাপারগুলো নিয়েই বলা হয়েছে, মহাবিপর্যয়ের বাস্তবতা কোনো মানুষের ওপর নেমে আসেনি। আমার বাক্য থেকে তোমরা কি আদৌ কিছুই উপলব্ধি করতে পেরেছ? আজ, আমি মহাবিপর্যয়ের বাস্তবিকতা প্রকাশ করা শুরু করবো। এরপরে, যে আমাকে প্রতিরোধ করবে, তাকে আমার হাতে শাস্তি পেতে হবে। অতীতে, আমার করা সমস্ত কাজের উদ্দেশ্য ছিল মাত্র কিছুজনকে অনাবৃত করা; তখনও কোনো মহাবিপর্যয়ের আগমন ঘটেনি। বর্তমানকাল অতীতের থেকে আলাদা। যেহেতু আমি তোমাদের আগেই মহাবিপর্যয়ের বিষয়ে অবহিত করেছি, নির্দিষ্ট সময় এলে আমি প্রকাশ্যে মহাবিপর্যয়ের বাস্তবিকতা ঘোষণা করবো। তার আগে, মহাবিপর্যয় কাউকে স্পর্শ করেনি, তাই বেশিরভাগ লোক (অর্থাৎ অতিকায় লাল ড্রাগনের পুত্ররা) নির্বিচারে বেপরোয়াভাবে কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছে। বাস্তবিকতার আগমন ঘটবে, এইসকল ঘৃণ্য প্রাণীগণ সম্পূর্ণ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত হবে। নয়ত, প্রত্যেকেই আমার সম্পর্কে অনিশ্চিত থাকবে, কেউই আমার বিষয়ে স্পষ্ট হবে না। এ হল আমার প্রশাসনিক ফরমান। এর থেকে দেখা যায় যে, আমার কাজের পদ্ধতি (অর্থাৎ, সকল মানুষের মধ্যে আমার কাজ করার পদ্ধতি) পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে: আমি আমার ক্রোধ, বিচার এবং অভিশাপ অতিকায় লাল ড্রাগনের বংশধরদের প্রতি প্রদর্শিত করছি, এবং আমার প্রতিরোধকারী সকলকে আমার হস্তযুগল শাস্তি দেওয়া শুরু করেছে। আমি প্রথমজাত পুত্রদের মাধ্যমেই আমার করুণা ও প্রেমপূর্ণ উদারতা প্রদর্শন করছি। এছাড়াও, প্রথমজাত পুত্রদের মাধ্যমে আমি আমার পবিত্র স্বভাব, যে স্বভাব কোনো অপরাধ বরদাস্ত করে না, তা প্রদর্শিত করছি। আমি আমার কর্তৃত্ব প্রদর্শন করছি, আমার ছবি প্রদর্শন করছি। সেবা-প্রদানকারীরা আমায় সেবা প্রদানে থিতু হয়েছে এবং আমার প্রথমজাত পুত্রদের আরও বেশি করে জানানো হচ্ছে। আমার প্রতিরোধকারীদের আঘাত করার মাধ্যমে, আমি সেবা-প্রদানকারীদের নিজের নির্দয় হস্ত প্রত্যক্ষ করিয়েছি, যাতে তারা ভীত-কম্পিত ভাবে আমার সেবা করে। এছাড়াও, আমি আমার প্রথমজাত পুত্রদের নিজের কর্তৃত্ব প্রত্যক্ষ করিয়েছি ও আমার বিষয়ে আরো ভালো উপলব্ধি প্রদান করেছি, যাতে তারা জীবনে সমৃদ্ধ হতে পারে। শেষবার আমি যে বাক্য বলেছিলাম (প্রশাসনিক ফরমান, ভবিষ্যদ্বাণী এবং সমস্ত ধরনের লোকের বিচার সহ), তা ক্রমানুসারে রূপায়িত হতে শুরু করেছে; অর্থাৎ, লোকেরা তাদের চোখের সামনে আমার বাক্যের রূপায়ণ দেখতে পাবে, প্রত্যক্ষ করবে যে আমার কোনো বাক্যই নিষ্ফল নয়, বরং প্রত্যেকটাই ব্যবহারিক। আমার বাক্য রূপায়িত হওয়ার আগে, অনেক লোক চলে যাবে, কারণ তাদের পূর্ণ করা হয়নি। এইভাবেই আমি কাজ করি—এটা কেবল আমার লৌহ যষ্টির কাজ নয়, বরং তার চেয়েও বড় কথা, এ হল আমার বাক্যের প্রজ্ঞা। এগুলো থেকে, যেকেউ আমার সর্বশক্তিমত্তা এবং অতিকায় লাল ড্রাগনের প্রতি আমার ঘৃণার মনোভাব প্রত্যক্ষ করতে। (আমি আমার কাজ শুরু করার পরেই কেবল এটা প্রত্যক্ষ করা যায়। এখন মাত্র কয়েকজনই অনাবৃত হয়েছে—যা আমার শাস্তির একটা ছোট অংশমাত্র, তবে এটাকে মহাবিপর্যয়ের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এটা বোঝা খুব কঠিন নয়। এইভাবে দেখা যাচ্ছে যে, এখন থেকে আমার কাজের পদ্ধতি বোঝা মানুষের কাছে আরো দুরূহ হয়ে উঠবে। আজ আমি তোমাদের এমনটা বলছি, যাতে সময় আগত হলে তোমরা দুর্বল না হয়ে পড়ো। আমি এই দায়িত্বই তোমাদের উপর অর্পণ করছি, কারণ এমন কিছু ঘটবে যা মানুষ প্রাচীনকাল থেকে কখনো দেখেনি এবং এমন জিনিসপত্র ঘটবে যাতে মানুষের পক্ষে নিজেদের আবেগ এবং নিজেদের নৈতিকতার বিষয়ে ঔদ্ধত্য দূরে রাখা কঠিন হয়ে উঠবে।) অতিকায় লাল ড্রাগনকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমার বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করার কারণ হল যে, সে আমার শত্রু এবং প্রতিপক্ষ। আমাকে অবশ্যই তার সমস্ত বংশধরদের ধ্বংস করতে হবে—তবেই আমার হৃদয় থেকে ঘৃণা দূরীভূত হবে এবং শুধু তখনই আমি অতিকায় লাল ড্রাগনকে যথোচিতভাবে অপমান করতে পারবো। কেবলমাত্র এ-ই হবে অতিকায় লাল ড্রাগনের সম্পূর্ণ ধ্বংসসাধন এবং তাকে জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে, অতল গহ্বরে নিক্ষেপণ।
আমি যে শুধু বিগতকালেই আমার প্রথমজাত পুত্রদের আমার সাথে রাজত্ব করতে দিয়েছি, আমার সাথে সমস্ত দেশগুলোকে শাসন করার কাজে যুক্ত করেছি, আশীর্বাদ ভোগ করতে দিয়েছি—তা নয়; আমি আজও তা করি, এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমি আগামীদিনেও তা-ই করব। আমি আমার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি—আমি সর্বদাই এমনটা বলে আসছি, এবং এ-ও বলা যেতে পারে যে, সৃষ্টির সূচনাকাল থেকেই আমি তা বলে এসেছি, কিন্তু আমার বলছি, মানুষ উপলব্ধি করতে পারেনা। সৃষ্টির সময় থেকে এখন পর্যন্ত আমি ব্যক্তিগতভাবে কাজ করিনি; প্রকারান্তরে বললে, আমার আত্মা কখনোই কথন এবং কার্যের উদ্দেশ্যে মানুষের মাঝে পূর্ণত অবতীর্ণ হয় নি। কিন্তু বর্তমান অতীতের থেকে ভিন্নতর: আমার আত্মা এই বিশ্বচরাচরে সর্বত্র ব্যক্তিগতভাবে কাজ করছে। কারণ অন্তিম সময়ে আমি এমন একটা দলকে অর্জন করতে চাই, যারা আমার সাথে ক্ষমতাসীন হয়ে শাসন করবে, আমি প্রথমে এমন কাউকে অর্জন করি যে আমার সাথে সমভাব, যে আমার অর্পিত দায়িত্বের প্রতি সহানুভূতিশীল। তারপর, আমার কণ্ঠস্বর প্রকাশের জন্য, আমার প্রশাসনিক ফরমান জারির জন্য, এবং বিশ্বসংসারে আমার রহস্য প্রকাশের জন্য, আমার আত্মা তার উপর সম্পূর্ণরূপে অবতীর্ণ হবে। আমার আত্মা ব্যক্তিগতভাবে তাকে নিখুঁত করবে; অনুশাসন করবে। তিনি স্বাভাবিক মানবিকতায় জীবনযাপন করেন বলে, কেউই স্পষ্টভাবে প্রত্যক্ষ করতে পারেনা। আমার প্রথমজাত পুত্ররা যখন দেহে প্রবেশ করবে, তখনই সম্পূর্ণ স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, আমি এখন যা করছি, তা-ই বাস্তব কি না। অবশ্যই, মানুষের চোখে, মানুষের ধারণায়, কেউই বিশ্বাস করে না, কেউই আজ্ঞাকারী নয়। কিন্তু মানুষের প্রতি আমার সহিষ্ণুতা এমনই। যেহেতু বাস্তবিকতার এখনো আগমন ঘটেনি, সেইজন্যই মানুষ বিশ্বাস বা উপলব্ধি করতে পারে না। এমন কেউ কখনো ছিল না, যে স্বীয় মনুষ্যোচিত ধারণার মাঝে আমার বাক্যে বিশ্বাস করবে। সব মানুষই এই রকম: হয় তারা কেবল আমার দৈহিক সত্তার যা বলে তা বিশ্বাস করে, নতুবা তারা কেবল আমার আত্মার কণ্ঠস্বরকেই বিশ্বাস করে। এ-ই হল মানুষের মধ্যে মোকাবিলা করার পক্ষে সবচেয়ে কঠিন বিষয়। স্বচক্ষে কিছু ঘটতে না দেখলে, কেউই তার নিজস্ব ধারণা পরিত্যাগ করতে পারে না, এবং আমি যা বলি, তা কেউই বিশ্বাস করতে পারে না। সেই কারণেই আমি সেই আনুগত্যহীনতার পুত্রদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আমার প্রশাসনিক ফরমান ব্যবহার করি।
আমি এই ধরনের বিষয়ে আগেও বলেছি: আমিই আদি এবং আমিই অন্ত, এবং সূচনালগ্ন থেকে শেষ অবধি আমিই সমস্ত কিছুর নিয়ন্তা। অন্তিম সময়ে আমি ১৪৪,০০০ জন বিজেতা শিশুপুত্রকে অর্জন করবো। “বিজেতা শিশুপুত্র”—এই শব্দবন্ধনীর বিষয়ে কিছুটা আক্ষরিক উপলব্ধি রয়েছে তোমাদের—কিন্তু এই সংখ্যা ১৪৪,০০০-এর বিষয়ে তোমরা স্পষ্ট নও। মানুষের ধারণা অনুযায়ী, কোনো সংখ্যা অবশ্যই কোনো সংখ্যক ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায়। এই যে “১৪৪,০০০”-জন “বিজেতা শিশুপুত্র”-কে পরিবর্তিত করছে—এখানে “১৪৪,০০০ জন বিজেতা শিশুপুত্র”—মানুষ ভাবে যে, এই শব্দবন্ধনী অনুসারে, ১৪৪,০০০ জন বিজেতা শিশুপুত্র রয়েছে। উপরন্তু, কেউ কেউ ভাবে যে, এই সংখ্যায় কোনো প্রতীকী অর্থ নিহিত রয়েছে, এবং তারা ১৪০,০০০ এবং ৪,০০০ এই দুটোকে আলাদা অংশ হিসাবে নেয়। কিন্তু উভয় ব্যাখ্যাই ভ্রান্ত। এ কোনো প্রকৃত সংখ্যাকে বোঝায় না, এর কোনো প্রতীকী অর্থ তো আরোই নেই। মানবজাতির মধ্যে, এমন কেউই নেই যে এর অর্থ অনুধাবন করতে পারে—বিগত প্রজন্মের লোকেরা মনে করত যে এটা হয়ত কোনো প্রতীকী অর্থ নির্দেশ করে। “১৪৪,০০০” সংখ্যাটি বিজেতা শিশুপুত্রদের সাথে যুক্ত। সেই হিসাবে, ১৪৪,০০০ সংখ্যাটি অন্তিম সময়ের লোকেদের দলকে বোঝায়, যারা রাজত্ব করবে এবং যাদের আমি ভালোবাসি। অর্থাৎ, ১৪৪,০০০ সংখ্যাটিকে কে এমন লোকদের দল হিসাবে ব্যাখ্যা করা উচিত, যারা সিয়োন থেকে এসেছে এবং সিয়োনেই ফিরে যাবে। ১৪৪,০০০ জন বিজেতা শিশুপুত্রের সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা নিম্নরূপ: তারা হল সেই মানুষ যারা সিয়োন থেকে এই বিশ্বে অবতীর্ণ হয়েছিল আর শয়তানের দ্বারা ভ্রষ্ট হয়েছিল, এবং তারাই শেষ পর্যন্ত আমার দ্বারা পুনরায় অর্জিত হবে এবং আমার সাথেই সিয়োনে ফিরে আসবে। আমার বাক্য থেকে, যে কেউ আমার কাজের ধাপ প্রত্যক্ষ করতে পারে, যার অর্থ হল, তোমাদের দেহে প্রবেশ করার সময় আগতপ্রায়। এই কারণেই আমি এই দিকটা তোমাদের বারবার ব্যাখ্যা করেছি, এবং এই বিষয়টা মনে করিয়ে দিয়েছি। তোমরা স্পষ্টত প্রত্যক্ষ করবে, এবং আমার বাক্য থেকে অনুশীলনের উপায় খুঁজে পাবে; আমার বাক্য থেকেই তোমরা আমার কাজের গতির বিষয়ে জানতে পারবে। পবিত্র আত্মার কাজের গতি খুঁজতে হলে, আমি যে রহস্য প্রকাশ করি তা থেকেই তা বুঝে নিতে হবে (কারণ কেউই দেখতে পায় না এবং কেউই পবিত্র আত্মার কাজের মর্মভেদ করতে পারে না)। সেই কারণেই আমি অন্তিম সময়ে রহস্য প্রকাশ করি।
আমার গৃহে, আমার সাথে অসঙ্গত কিছু থাকবে না, এবং এখন থেকে আমি একটু একটু করে শোধন ও শুদ্ধিকরণ শুরু করবো। মানুষের মধ্যে কেউই হস্তক্ষেপ করতে পারেনা, কেউই এই কাজ করতে পারে না। এ থেকেই প্রকাশিত হয় কেন আমি নিজের ছবিতেই অন্তিম সময়ের কাজ নির্বাহ করছি। আমি তোমাদের বহুবার বলেছি যে তোমাদের শুধু নিজেদের উপভোগ করে যেতে হবে, একটা আঙুলও নাড়ানোর দরকার নেই। এর মাধ্যমেই আমার ক্ষমতা প্রকাশিত হয়, আমার ন্যায়পরায়ণতা ও মহিমা প্রকাশিত হয়, এবং প্রকাশিত হয় সেই সমস্ত রহস্য যা মানুষ উন্মোচন করতে পারেনা। (কারণ আমার পরিচালনামূলক পরিকল্পনার বিষয়ে অথবা আমার কাজের ধাপ সম্পর্কে মানুষের কখনো কোনো জ্ঞান ছিল না, তারা সেগুলোকে “রহস্য” বলে দাগিয়ে দিত।) অন্তিম সময়ে আমি কী অর্জন করব এবং কী করব, সেটা রহস্য। আমি বর্তমানে যা করি, তা বিশ্বসৃষ্টির আগে কখনো করিনি এবং আমি কখনোই মানুষকে আমার গৌরবান্বিত মুখমণ্ডল অথবা আমার ছবির কোনো অংশবিশেষ দেখাইনি; শুধুমাত্র আমার আত্মা কিছু মানুষের উপর কাজ করেছিল। (কারণ, সৃষ্টির সময়কাল থেকে, কেউই আমার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়নি, কেউই আমাকে ব্যক্ত করতে সক্ষম হয়নি, আমি কখনোই মানুষকে আমার ছবিকে প্রত্যক্ষ করতে দিইনি, এবং আমার আত্মা কয়েকজনের উপর কাজ করেছে।) শুধুমাত্র আজ আমি আমার মহিমান্বিত প্রতিমূর্তি এবং আমার ছবি মানুষের কাছে প্রকাশ করেছি, এবং শুধু এখনই তারা এই বিষয়গুলো প্রত্যক্ষ করছে। কিন্তু তোমরা আজ যা দেখছ, তা এখনও অসম্পূর্ণ, এবং আমি তোমাদের যা দেখাতে চাই, এটা এখনও তা নয়। আমি তোমাদের শুধু যা দেখাতে চাই, তা কেবলমাত্র দেহে রয়েছে এবং এই মুহূর্তে কেউই এই শর্ত পূরণ করতে পারে না। প্রকারান্তরে বললে, দেহে প্রবেশ করার আগে কেউই আমার ছবি দেখতে পারবে না। অতএব, আমি বলি যে, সিয়োন পর্বত থেকেই আমি আমার ছবি বিশ্বজগতে প্রকাশ করব। এ থেকে দেখা যায় যে, সিয়োন পর্বতে প্রবেশ করাই হল আমার পরিকল্পনার চূড়ান্ত অংশ। সিয়োন পর্বতে প্রবেশের সময়, আমার রাজ্য সফলভাবে নির্মিত হবে। প্রকারান্তরে বললে, আমার ছবিই হল রাজ্য। প্রথমজাত পুত্রদের দেহে প্রবেশ করার সময়টাই হল সেই সময়, যখন রাজ্যের বাস্তবায়ন ঘটবে, তাই আমি বারবার প্রথমজাত পুত্রদের সিয়োন প্রবেশের বিষয়টি বলছি। এ-ই হল আমার সামগ্রিক পরিচালনামূলক পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু, যা আগে কেউ কখনো উপলব্ধি করেনি।
আমার কাজের পদ্ধতি আমি বদলে নেওয়ার পর এমন অনেক কিছু ঘটবে যা মানুষের চিন্তাভাবনার সীমার বাইরে, সুতরাং এই বিষয়ে সতর্ক থেকো। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো মানবীয় চিন্তাভাবনার সীমার বাইরে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি যা বলছি তা ভুল। শুধু বিষয়টা হল, মানুষের কষ্টভোগ করাটা আরো প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে, এবং মানুষের আমার সাথে সহযোগিতা করাটা আরো বেশি করে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে উচ্ছৃঙ্খল হোয়ো না, নিছক নিজস্ব ধারণাগুলোর অনুসরণ করে যেও না। কারণ, যারা আমার সেবা প্রদান করে, তাদের বেশিরভাগই এই বিষয়ে স্খলন ঘটে। আমি আমার বাক্যের মাধ্যমে মানুষের প্রকৃতি ও পূর্বধারণা প্রকাশ করছি। (কিন্তু যারা আমায় সেবা প্রদান করে, আমি তাদের পূর্বধারণাগুলো পরিবর্তন করি না বলেই তারা পতিত হবে, পক্ষান্তরে, আমি আমার প্রথমজাত পুত্রদের পূর্বধারণায় পরিবর্তন করি এবং এর মাধ্যমে তাদের চিন্তাভাবনার অপসারণ করি।) তাই পরিশেষে, আমার প্রকাশিত রহস্যগুলোর কারণেই আমার সকল প্রথমজাত পুত্রকে নিখুঁত করা হবে।