অধ্যায় ১০৯

প্রতিদিনই আমি উচ্চারণ করছি, বক্তব্য রাখছি, এবং আমার মহান চিহ্ন ও বিস্ময়করতা প্রকাশ করছি। এই সকল বিষয় নিয়েই গঠিত আমার আত্মার কর্ম। মানুষের দৃষ্টিতে আমি শুধুই একজন মানুষ, কিন্তু ঠিক এই মানবদেহের মধ্যেই আমি আমার সমস্ত কিছুর পাশাপাশি, আমার মহান ক্ষমতাও প্রকাশ করি।

আমি যে মানুষ, সেই মানুষটিকে লোকজন অগ্রাহ্য করে, তারা আমার ক্রিয়াকলাপ উপেক্ষা করে, তাই তারা ভেবে নেয় এই সমস্ত কিছু মানুষের দ্বারাই কৃত। তাহলে, কেন তুমি একটু সময় নিয়ে ভেবে দেখো না যে, আমি যা কিছু সিদ্ধ করেছি, কোনো মানুষের তা করতে সক্ষম কি না? মানুষ আমাকে এতটা অবধিও জানে না; তারা না করে আমার বাক্য উপলব্ধি, আবার না বোঝে আমার কর্মও। মন্দ, ভ্রষ্ট মানুষ! আমি কবে তোমায় গ্রাস করবো? কবে তোমায় জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে নিমজ্জিত করবো? কতবারই না তোমাদের দল থেকে আমি বিতাড়িত হয়েছি, কতবার মানুষ আমাকে অপমান করেছে, উপহাস করেছে, আমার অবমাননা করেছে, আর কত বারই না মানুষ প্রকাশ্যে আমার বিচার করেছে, আমাকে অস্বীকার করেছে। অন্ধ মানবজাতি! তোমরা কি জানো না যে, তোমরা নিছকই আমার হাতের একমুঠো কাদা? তোমরা কি জানো না যে, তোমরা শুধুই আমার সৃষ্ট বস্তুমাত্র? আমার ক্রোধের আগল এখন উন্মুক্ত হচ্ছে, কেউই তা প্রতিরোধ করতে পারে না। মানুষ কেবল বারংবার করুণা প্রার্থনাই করতে পারে। যাইহোক, আমার কর্ম এতদূর প্রসারিত হয়েছে, কেউই তা বদলাতে পারবে না। যাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, তারা মাটিতেই ফিরে যেতে হবে। এমন নয় যে আমি অধার্মিক, বরং মানুষই চূড়ান্ত ভ্রষ্ট ও উচ্ছৃঙ্খল, এবং তার কারণ হল তোমরা শয়তানের হাতে বন্দী হয়েছ, তার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছ। আমিই হলাম স্বয়ং পবিত্র ঈশ্বর; না যায় আমায় অবমাননা করা, না করি আমি কোনও অশুদ্ধ মন্দিরে বাস। এখন থেকে, আমার উন্মত্ত প্রকোপ (ক্রোধের চেয়েও তীব্রতর) সমস্ত দেশ ও লোকেদের ওপর বর্ষিত হওয়া শুরু হবে, তা হবে সেই সমস্ত জঞ্জালকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে, যারা আমার থেকে আসা সত্ত্বেও আমায় জানে না। আমি মানুষকে চূড়ান্ত ঘৃণা করি, এবং আমি আর কোনো করুণা করবো না; পরিবর্তে, আমি আমার সকল অভিশাপ বর্ষণ করবো। এরপরে আর কোনো ভালোবাসা ও সহানুভূতি অবশিষ্ট থাকবে না, সমস্ত কিছুই ভস্মীভূত ও বিলীন হবে, এবং শুধুমাত্র আমার রাজ্য থাকবে, যার ফলে আমার লোকেরা আমার গৃহে আমার প্রশংসা করবে, আমাকেই মহিমান্বিত করবে, এবং আমারই জন্য চিরকাল জয়ধ্বনি দেবে (এটাই আমার লোকদের কাজ)। আমার গৃহের ভিতরে এবং বাইরে থাকা সকলকেই আমার হস্ত আনুষ্ঠানিকভাবে শাস্তি দিতে শুরু করবে। কোনো মন্দ কর্ম সংঘটনকারীই আমার করতল এবং বিচারের হাত থেকে পালাতে পারবে না; প্রত্যেককে অবশ্যই এই অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং আমার উপাসনা করতে হবে। এ-ই হল আমার মহিমা, এবং উপরন্তু, এ এক প্রশাসনিক ফরমানও বটে, যা আমি মন্দ কর্ম সংঘটনকারীদের প্রতি জারি করেছি। কেউই আর কাউকে উদ্ধার করতে পারবে না। মানুষ কেবল নিজেদের প্রতিই যত্নবান হতে পারে, তবে তারা যা-ই করুক না কেন, আমার শাস্তির হাত থেকে নিস্তার পাবে না। এখানে কারণটি প্রকাশিত হয়েছে, উল্লেখ করা হয়েছে যে আমার প্রশাসনিক ফরমানসমূহ কঠোর; এই সত্য সমস্ত মানুষ স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে পারে।

যখন আমি ক্রোধান্বিত হতে শুরু করব, তখন ছোট-বড় সকল অপদেবতাই এই ভয়ে বিশৃঙ্খলভাবে পলায়ন করবে যে, আমার হস্ত তাদের প্রাণ কেড়ে নেবে—কিন্তু আমার হাত থেকে কেউই রেহাই পাবে না। শাস্তিদানের সকল সামগ্রী আমার হাতেই রয়েছে; আমার হাত সমস্ত কিছুর নিয়ন্তা, সকল কিছুই আমার করায়ত্তে, এবং কেউই মুক্ত হতে পারবে না। এ-ই হল আমার প্রজ্ঞা। মনুষ্যজগতে আগমনের পর, আমি ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছি, মানুষের মধ্যে আমার কর্মসূচনার ভিত্তি স্থাপন করেছি (কারণ আমিই হলাম প্রাজ্ঞ ঈশ্বর, এবং কী করা উচিত ও কী করা অনুচিত, সেবিষয়ে আমিই যথাযথভাবে মোকাবিলা করি)। সমস্তকিছু যথাযথভাবে আয়োজিত হয়ে যাওয়ার পর আমি দেহধারণ করি এবং মনুষ্যজগতে অবতীর্ণ হই। তবে, কেউই আমায় চিনতে পারেনি। যাদের আমি আলোকিত করেছি, তারা বাদে বিদ্রোহের সকল সন্তান আমায় অস্বীকার করেছে, অপমান করেছে, আমার প্রতি বিতৃষ্ণা দেখিয়েছে। যদিও পরিশেষে, আমি তাদের সদাচারী ও সমর্পিত করে তুলবো। মানুষের কাছে মনে হতে পারে যে, আমি খুব বেশি কিছু করছি না, কিন্তু আমার মহান কার্য ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। (মানুষেরা পুরোপুরি আমার মনুষ্যরূপকে মান্য করে, মুখের কথায় এবং হৃদয়েও; এ হল এক লক্ষণ।) বর্তমানে আমি উত্থিত হই, এবং যে সকল মন্দ আত্মা আমায় অস্বীকার করে, তাদের শাস্তি দিই। তারা যতকালই আমার অনুসারী থাকুক না কেন, তাদের অবশ্যই আমার পার্শ্ব ত্যাগ করতে হবে। আমার বিরুদ্ধাচরণকারী কাউকেই আমি চাই না (তারা হল সেই সব মানুষ যাদের আধ্যাত্মিক উপলব্ধির অভাব রয়েছে, যারা সাময়িকভাবে মন্দ আত্মার কবলে ছিল, এবং যারা আমায় জানে না)। আমি তাদের একজনকেও চাই না! তাদের সবাইকে অপসারণ করা হবে, তারা হয়ে উঠবে নরকবাসের সন্তান! আজ আমায় সেবা প্রদানের পর, তাদের অবশ্যই চলে যেতে হবে! আমার গৃহে ঘুরে বেড়িও না; তোমাদের ক্রমাগত করে চলা নির্লজ্জ পরগাছাবৃত্তি বন্ধ করো! শয়তানের অধিকৃত সকলে শয়তানেরই সন্তান এবং তারা চিরতরে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। যারা আমাকে অস্বীকার করো, তারা সকলে নিঃশব্দে আমার পার্শ্ব ত্যাগ করে চলে যাবে, যার ফলে আমার কর্মের গতি কোনো বিঘ্ন ব্যতিরেকেই কম অবরুদ্ধ হয়। সবকিছুই আমার আদেশে সম্পন্ন হবে, কোনো বাধা বা বিঘ্ন ছাড়াই। সকলই আমার দৃষ্টির সামনে পড়ে আমার রোষানলে ধ্বংস হবে। এ-ই আমার সর্বশক্তিমানতা এবং নিখুঁত প্রজ্ঞা প্রদর্শন করে (আমি আমার প্রথমজাত পুত্রদের সাথে যা করেছি)। তা আমার নামে বৃহত্তর গৌরব সংযুক্ত করবে, এবং আমাতে অধিকতর মহিমা যোগ করবে। আমি যা করি এবং আমার কণ্ঠনিঃসৃত স্বরভঙ্গি থেকে তোমরা সকলেই প্রত্যক্ষ করতে পারো যে, আমি আমার গৃহেই আমার সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছি, এবং আমি অইহুদি দেশগুলির অভিমুখী হওয়া শুরু করেছি। আমি সেখানে আমার কর্মের সূচনা করছি, এবং কার্যের পরবর্তী পর্যায় সম্পাদন করছি।

আমার বেশিরভাগ কাজই তোমাদের ধারণার সাথে মেলে না—কিন্তু আমার পুত্রগণ, তোমরা চলে যেও না। মনুষ্যসুলভ ধারণার সাথে সেগুলো না মেলার অর্থ এ-ই নয় যে, এগুলো আমার কথন নয়। বরং ঠিক ব্যাপারটা হল, তা প্রমাণ করে যে, আমি সেগুলো উচ্চারণ করেছি। যদি আমার বাক্য মানবোচিত ধারণার সাথে সঙ্গত হতো, তাহলে তা হতো মন্দ আত্মার কর্ম। এইভাবে, তোমাদের অবশ্যই আমার বাক্যের প্রতি আরো সচেষ্ট হতে হবে, আমি যা করি তোমাদেরও তা করতে হবে, এবং আমি যা ভালোবাসি, তা তোমাদেরও ভালোবাসতে হবে। এই অন্তিম যুগ হল সেই যুগ, যখন সকল বিপর্যয়ের পুনঃপ্রাদুর্ভাব ঘটবে, উপরন্তু এ হল সেই যুগ, যেখানে আমি আমার সকল স্বভাব প্রকাশ করে চলেছি। যখন আমার সকল পবিত্র ভেরী বেজে উঠতে শুরু করবে, মানুষ সত্যিই ভয় পাবে; সেই সময়ে কেউই মন্দ কর্ম করতে সাহস পাবে না, বরং তারা আমার সম্মুখে সাষ্টাঙ্গ হবে, আমার প্রজ্ঞা ও সর্বশক্তিমানতার প্রশংসা করবে। সব কিছুর পরেও আমিই হলাম স্বয়ং প্রাজ্ঞ ঈশ্বর! কে আমায় ভ্রান্ত প্রতিপন্ন করতে পারে? আমার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস কার আছে? আমার প্রজ্ঞা অস্বীকার করার সাহস কার? আমার সর্বশক্তিমানতা কার অজানা? আমার আত্মা যখন সর্বত্র ব্যাপক কর্ম সম্পাদন করে চলেছে, তখন সকলেই আমার সর্বশক্তিমানতার বিষয়ে অবগত, কিন্তু এখনও আমার লক্ষ্য পূরণ হয়নি। আমি চাই, আমার ক্রোধের ফলস্বরূপ, লোকে আমার সর্বশক্তিমানতা, প্রজ্ঞা এবং আমার ছবির গৌরব প্রত্যক্ষ করুক। (প্রথমজাত পুত্রদের মধ্যে এই সমস্ত কিছু প্রকাশিত হয়েছে; এটা সম্পূর্ণ সত্য। তারা বাদে, কেউই আমার ছবির অংশ হয়ে উঠতে পারে না; এ আমার দ্বারা আদিষ্ট।) আমার গৃহে এমন অনেক অন্তহীন রহস্য রয়েছে, মানুষ যেগুলোর তল পায়না। যখন আমি বাক্য উচ্চারণ করি, লোকে বলে যে আমি অত্যন্ত নির্দয়। তারা বলে যে, কত কত মানুষ আমাকে ইতিমধ্যেই সুনির্দিষ্ট মাত্রায় ভালোবাসে। তাহলে আমি তাদের দিকে অতিকায় লাল ড্রাগনের বংশধর বলে কেন আঙুল তুলি? উপরন্তু, আমি তাদের এক এক করে ত্যাগ-ই বা কেন করবো? আমার গৃহে আরও বেশি লোকজনের সমাগম হওয়াটাই কি বেশি ভালো নয়? তা সত্ত্বেও, আমি এইভাবে কাজ করে চলি। আমার পূর্বনির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে একজনও বেশি বা কম হতে পারে না। (এটাই আমার প্রশাসনিক ফরমান। এটা যে শুধু কোনো মানুষই পরিবর্তন করতে পারে না, তা নয়, এমনকি আমি নিজেও এটা পরিবর্তন করতে পারি না, কারণ শয়তানের সামনে আমি নতিস্বীকার করব না। আমার প্রজ্ঞা এবং মহিমা সুস্পষ্ট করার পক্ষে এ-ই যথেষ্ট। আমিই হলাম একমাত্র স্বয়ং ঈশ্বর। মানুষই আমার সামনে মাথা নত করে; আমি মানুষের সামনে মাথা নত করি না।) ঠিক এই বিষয়টাই শয়তানকে সবচেয়ে বেশি অপমানিত করে। আমি যে লোকেদের নির্বাচিত করেছি, তারা সকলেই বিনয়ী, সমর্পিত, বাধ্য ও সৎ, এবং তারা বিনয় সহযোগে ও প্রচ্ছন্নরূপে আমার সেবা করতে পারে। (শয়তান আমাকে অপমান করার জন্য এই সত্য ব্যবহার করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি শয়তানকে পরাজিত করেছি।) এই সব মানুষের মধ্যেই আমার স্বভাব প্রতীয়মান হয়। যখন আমি যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে প্রত্যাবর্তন করবো, তখন আমার প্রথমজাত পুত্রদেরই আমার রাজ্যের রাজা হিসাবে অভিষিক্ত করব, এবং কেবল তখনই আমি বিশ্রাম নেব, কারণ তারাই আমার সাথে সাথে রাজা হিসেবে রাজত্ব করবে। আমার প্রথমজাত পুত্ররা আমার প্রতিনিধিত্ব করে এবং আমাকে প্রকাশিত করে। তাদের বিনীত ও গোপন সেবায় আমার প্রতি তারা সমর্পিত হয়, তাদের সততা দ্বারাই তারা আমার বাক্য সম্পাদিত করে, সততা সহকারে আমার বাক্যের পুনরাবৃত্তি করে; এবং বিনয় সহযোগে আমার নাম মহিমান্বিত করে (ঔদ্ধত্য বা বর্বরতার মাধ্যমে নয়, বরং মহিমা ও ক্রোধের মাধ্যমে)। আমার প্রথমজাত পুত্রগণ! এই মহাবিশ্বকে বিচার করার সময় আগত! আমি তোমাদেরকে আশীর্বাদ করছি, কর্তৃত্ব প্রদান করছি এবং আশীর্বাদের একটা অংশ দিয়ে পুরস্কৃত করছি! সবকিছু ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে, এবং সমস্তটাই তোমাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং আয়োজিত হবে, কারণ আমিই তোমাদের পিতা; তোমাদের মজবুত কেল্লা, তোমাদের আশ্রয় এবং সমর্থনের স্থলও বটে। এছাড়াও, আমিই তোমাদের একমেবদ্বিতীয়ম সর্বশক্তিমান; তোমাদের সবকিছু! সকলই ন্যস্ত আমার করতলে, এবং তোমাদেরও করতলে। এর মধ্যে শুধু আজ নয়, গতকাল, এমনকি আগামীকালও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে! তা কি উদযাপনের যোগ্য নয়? তা কি তোমাদের হর্ষধ্বনির যোগ্য নয়? তোমরা আমার থেকে যা কিছু গ্রহণ করেছ, তা তোমাদেরই প্রাপ্য অংশ! আমি নিজের জন্য কিছু সঞ্চিত না রেখেই তোমাদের সমস্ত কিছু দিয়ে দিই, কারণ আমার সকল সম্পদই তোমাদের, এবং সকল ঐশ্বর্য তোমাদেরই উপর বর্ষিত। এই কারণেই, তোমাদের সৃষ্টি করার পর আমি বলেছিলাম: “খুব সুন্দর”।

তোমরা কি জানো যে, তোমরা আজ যা ভাবো ও বলো, তা কার দ্বারা নির্দেশিত? তোমাদের কার্যকলাপের পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে? আমি তোমাদের জিজ্ঞাসা করছি: মেষশাবকের বিবাহভোজে তোমরা কীভাবে যোগ দেবে? তা কি আজ? নাকি ভবিষ্যতের কোনো দিন? মেষশাবকের বিবাহভোজ বলতে কী বোঝায়? তোমরা জানো না, জানো কি? ঠিক আছে, তাহলে আমিই তোমাদের ব্যাখ্যা করে দিচ্ছি: মানবজগতে অবতীর্ণ হওয়ার পর, বর্তমান আমি-র সেবার জন্য সকল প্রকার মানুষ, ঘটনাবলী ও বস্তুসমূহের আয়োজন করেছিলাম। এখন যখন সমস্ত কিছুই সুসম্পন্ন হয়েছে, আমি সেবা-প্রদানকারীদের পার্শ্বে নিক্ষিপ্ত করছি। বিবাহ ভোজের ক্ষেত্রে এর তাৎপর্য কী? যখন এরা আমায় সেবা প্রদান করেছিল—অর্থাৎ, যখন আমি মেষশাবকে পরিবর্তিত হয়েছিলাম—তখন আমি বিবাহভোজের আস্বাদন অনুভব করি। প্রকারান্তরে বললে, আমি যা কিছু কষ্ট ভোগ করেছি, যেসব কাজ করেছি, যা কিছু বলেছি, যে সকল লোকের সংস্পর্শে এসেছি এবং আমার সারা জীবনে যা কিছু করেছি—সেই সমস্ত কিছু মিলিয়ে বিবাহভোজ গঠিত হয়। আমি মানুষ হিসাবে অভিষিক্ত হওয়ার পর, তোমরা আমার অনুসরণ আরম্ভ (এবং এই সময়েই আমি মেষশাবকে পরিণত হয়েছিলাম); এইভাবে, আমার নেতৃত্বে, তোমরা সমস্ত ধরনের যন্ত্রণা ও বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা লাভ করেছ, বিশ্বের দ্বারা পরিত্যক্ত এবং অপদস্থ হয়েছ, পরিবারের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়েছ, এবং আমার আশীর্বাদের অধীনে বাস করেছ। এই সমস্ত বিষয়ই মেষশাবকের বিবাহভোজের অংশ। “বিবাহভোজ” শব্দটা ব্যবহার করার কারণ হল, আমি তোমাদের যা কিছু করতে নির্দেশিত করি, সেই সকলকিছুরই উদ্দেশ্য তোমাদের অর্জন করা। তবে, এই সবই ভোজের অংশ। ভবিষ্যতে—বা, কেউ এমনও বলতে পারে যে, আজ—তোমরা যা কিছু উপভোগ করো, যা কিছু অর্জন করো এবং আমার যে রাজকীয় ক্ষমতা ভাগ করে নাও, তার সমস্তটাই—হল ভোজের অংশ। যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের উপর আমার ভালোবাসা বর্ষিত হয়। আমি যাদের ভালোবাসি, তারা চিরদিনই রয়ে যাবে, কখনও অপসারিত হবে না এবং চিরতরে আমার ভালোবাসার অধীনে থাকবে। চিরকালের মতো!

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ১০৮

পরবর্তী: অধ্যায় ১১০

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন