অধ্যায় ১০০
যারা আমার দ্বারা পূর্বনির্ধারিত ও মনোনীত হয়নি তাদের সকলকেই আমি ঘৃণা করি। সুতরাং এই লোকগুলিকে আমি অবশ্যই একে একে আমার গৃহ থেকে বহিষ্কার করবো, এইভাবে আমার মন্দিরকে পবিত্র ও নিষ্কলঙ্ক করে তুলবো, আমার গৃহ হয়ে উঠবে চিরনতুন, কখনো তা পুরাতন হবে না, আমার পবিত্র নাম অনন্তকাল ধরে ব্যাপ্তি পেতে সক্ষম হবে, এবং আমার পবিত্র লোকেরা আমার প্রিয়জন হয়ে উঠতে সমর্থ হবে। এই ধরনের দৃশ্য, এই প্রকারের গৃহ, এই রকম রাজ্য হল আমার লক্ষ্য এবং আমার আবাস; এ হল আমার সমস্তকিছু সৃষ্টির ভিত্তি। কেউই তা আন্দোলিত বা পরিবর্তিত করতে পারবে না। এর মধ্যে শুধুমাত্র আমি স্বয়ং ও আমার প্রিয় পুত্রেরা একত্রে বসবাস করবো, এবং কেউই তা পদতলে দলিত করার অনুমোদন লাভ করবে না, কোনোকিছুকেই তা দখল করতে দেওয়া হবে না, এবং অপ্রীতিকর কিছু ঘটার সুযোগদান তো দূর অস্ত। সমস্তকিছুই হবে বন্দনা ও উল্লাস, এবং সকলকিছুই হবে মানুষের অকল্পনীয় এক দৃশ্য। আমি শুধু কামনা করি যে তোমরা তোমাদের সমগ্র মন-প্রাণ ও যথাসাধ্য দিয়ে নিজেদের সমস্ত শক্তি আমায় উৎসর্গ করো। আজ না হোক কাল, তুমি আমায় সেবাপ্রদানকারী কেউ হও কিংবা আশীর্বাদ অর্জনকারী কেউ, এই সমস্ত কিছু নির্বিশেষে, তোমাদের সকলেরই আমার রাজ্যের স্বার্থে যথাপরিমাণ শক্তি প্রয়োগ করা উচিত। এ হল এমন এক বাধ্যবাধকতা যা সকল সৃজিত মানুষের গ্রহণ করা উচিত, এবং আবশ্যিকভাবে তা এভাবেই সম্পন্ন ও কার্যায়িত করতে হবে। আমার রাজ্যের সৌন্দর্যকে চিরনতুন এবং আমার গৃহকে সমন্বয়পূর্ণ ও একতাবদ্ধ করে তোলার স্বার্থে সেবাপ্রদানের নিমিত্ত সমস্ত বস্তুকে আমি সমাবিষ্ট করবো। কেউই আমার বিরোধিতা করার অনুমতিপ্রাপ্ত নয়, কেউ যদি তা করে তবে সে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হবে ও অভিশপ্ত হবে। বর্তমানে সকল রাষ্ট্র ও সকল মানুষের উপর আমার অভিশাপ বর্ষিত হতে আরম্ভ করেছে, এবং আমার অভিশাপ আমার বিচার অপেক্ষাও কঠোরতর। বর্তমানে সকল মানুষকে দোষী সাব্যস্ত করতে শুরু করার সময়, সেকারণেই একে অভিশাপ বলা হয়। এর কারণ এই সময়টি হল চূড়ান্ত যুগ, এবং এটি সৃষ্টির কাল নয়। যেহেতু যুগের বদল ঘটেছে, সেহেতু অধুনা আমার কার্যের গতিও সম্পূর্ণ আলাদা। আমার কার্যের প্রয়োজনগুলির নিমিত্ত আমার প্রয়োজনীয় মানুষগুলিও ভিন্নতর; যারা পরিত্যাজ্য তাদের পরিত্যাগ করা হবে; যাদের বিচ্ছিন্ন করা উচিত তাদের ছেঁটে ফেলা হবে; যারা হননীয় তাদের হত্যা করা হবে, এবং যারা থাকবার তারা রয়ে যাবে। এ হল মানুষের ইচ্ছা নিরপেক্ষ এক অবশ্যম্ভাবী প্রবণতা, এবং কোনো মানুষের দ্বারা তা পরিবর্তনসাধ্য নয়। বাধ্যতামূলকভাবে তা আমার ইচ্ছানুসারে নিষ্পন্ন হবে! যাদের আমি পরিত্যাগ করতে চাই তাদেরই পরিত্যাগ করি, এবং যাদের বহিষ্কার করতে চাই তাদেরই বহিষ্কার করি; কেউই স্বেচ্ছাচারীসুলভ আচরণ করবে না। যারা রয়ে যাক বলে কামনা করি তাদের আমি থাকতে দিই এবং যাদের ভালোবাসতে চাই তাদের ভালোবাসি; অবশ্যই তা আমার ইচ্ছানুযায়ী সম্পন্ন হবে! আমি আবেগতাড়িত হয়ে কার্য করি না; আমার মধ্যে শুধু ন্যায়পরায়ণতা, বিচার এবং ক্রোধ রয়েছে—আদৌ কোনো আবেগ নেই। আমার মধ্যে মানবের ক্ষীণতম চিহ্নটুকুও নেই, কারণ আমি ঈশ্বর স্বয়ং, ঈশ্বরের ছবি। যেহেতু সকল মানুষ আমার মানবতার দিকটিই প্রত্যক্ষ করে এবং আমার দেবত্বের দিকটি তারা দেখেনি। বস্তুতই তারা অন্ধ ও হতবুদ্ধি!
তোমাদের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্যগুলি তোমরা অবশ্যই তোমাদের হৃদয়ে সংরক্ষণ করবে, তোমরা অবশ্যই আমার বাক্যের মাধ্যমে আমার অন্তরকে উপলব্ধি করবে এবং আমার দায়ভারের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করবে। তখন, তোমরা আমার সর্বশক্তিমানতাকে জানতে পারবে এবং আমার ছবি প্রত্যক্ষ করবে। কারণ আমার বাক্যসমূহ প্রজ্ঞাপূর্ণ বাক্য, এবং আমার বাক্যের পশ্চাতে নিহিত নীতি বা বিধানগুলি কেউই উপলব্ধি করতে পারে না। মানুষ মনে করে যে আমি চাতুর্য ও কুটিলতা অনুশীলন করি এবং আমার বাক্যের মাধ্যমে তারা আমার বিষয়ে অবহিত হয় না, বরং উল্টে তারা আমার নিন্দা করে। তারা কতখানি অন্ধ ও জ্ঞানহীন! এমনকি সামান্যতম বিচারবুদ্ধিও তাদের নেই। আমার উচ্চারিত প্রতিটি বাক্য কর্তৃত্ব ও বিচার বহন করে, এবং আমার বাক্যের পরিবর্তন-সাধনে কেউই সক্ষম নয়। আমার বাক্য একবার নির্গত হয়ে গেলে, নিশ্চিতরূপে বিষয়সমূহ আমার বাক্যানুসারে সম্পন্ন হবে; এ-ই আমার বৈশিষ্ট্য। আমার বাক্যসমূহই হল কর্তৃত্ব এবং সেগুলির যারা সংশোধন করে তারা আমার বিচারকে লঙ্ঘন করে, এবং আমি অবশ্যই তাদের আঘাত করবো। গুরুতর ক্ষেত্রে নিজেদের জীবনে তারা বিনষ্টি ডেকে আনে এবং মৃতস্থানে, অথবা অতল গহ্বরে, গমন করে। মানবজাতির সাথে মোকাবিলা করার এ-ই আমার একমাত্র পদ্ধতি, এবং মানুষের হাতে এর পরিবর্তন সাধনের কোনো উপায় নেই—এ হল আমার প্রশাসনিক ফরমান। এই বাক্য স্মরণে রেখো! আমার ফরমানকে লঙ্ঘন করার অনুমোদন কারো নেই; সমস্তকিছুই আবশ্যিকভাবে আমার ইচ্ছানুযায়ী সম্পন্ন হবে! অতীতে তোমাদের প্রতি আমি অতিশয় নরম ছিলাম এবং তোমরা কেবল আমার বাক্যের মুখোমুখি হয়েছিলে। মানুষকে আঘাত করার বিষয়ে যে উক্তি আমি করেছিলাম তা এখনো সংঘটিত হয়নি। কিন্তু আজ থেকে, যারা আমার ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় তাদের সকলকে শাস্তি দিতে একের পর এক যাবতীয় বিপর্যয় (এগুলি আমার প্রশাসনিক ফরমানসমূহের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত) নেমে আসবে। সত্যের অভ্যাগম হতেই হবে—অন্যথায় আমার ক্রোধ প্রত্যক্ষ করতে মানুষ অক্ষম হবে, বরং বারংবার তারা নিজেদের নীতিভ্রষ্ট করবে। এ হল আমার পরিচালনামূলক পরিকল্পনার এক ধাপ, এবং এই উপায়েই আমি স্বীয় কার্যের পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করি। এই বাক্য আমি পূর্বাহ্নেই তোমাদের জানিয়ে রাখি যাতে তোমরা অপরাধসাধন ও চিরকালীন নরকবাস ভোগ করা এড়াতে সক্ষম হও। অর্থাৎ, আজ থেকে, আমার প্রথমজাত পুত্রেরা ব্যতীত সকল মানুষকে আমি আমার ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে তাদের যথাযথ স্থান গ্রহণ করতে বাধ্য করবো, এবং একে একে তাদের আমি শাস্তি দেবো। তাদের একজনকেও আমি রেহাই দেবো না। তোমরা শুধু আরেকবার চরিত্রভ্রষ্ট হওয়ার স্পর্ধা করে দেখো! শুধু আরেকবার বিদ্রোহী হওয়ার দুঃসাহস করো! ইতিপূর্বে আমি বলেছি যে আমি সকলের প্রতি ন্যায়পরায়ণ, আমার মধ্যে আবেগের লেশমাত্র নেই, এবং এতেই প্রমাণিত হয় যে আমার স্বভাবকে ক্ষুব্ধ করা বিধেয় নয়। এই হল আমার ছবি। কেউ এর পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। সকল মানুষ আমার বাক্যসমূহ শ্রবণ করে এবং সকল মানুষ আমার মহিমান্বিত মুখাবয়ব দর্শন করে। সমস্ত মানুষ অবশ্যই আমায় সম্পূর্ণরূপে ও নিঃশর্তভাবে মান্য করবে—এ হল আমার প্রশাসনিক ফরমান। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও ধরণীর প্রান্তসমূহ জুড়ে সকল মানুষের আমার বন্দনা ও আমায় মহিমান্বিত করা উচিত, কারণ আমি অনন্য ঈশ্বর স্বয়ং, কারণ আমি ঈশ্বরের ছবি। কেউই আমার বাক্যাবলী ও উচ্চারণসমূহের, আমার বাচন ও চালচলনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে না, কারণ এগুলি একমাত্র আমারই স্বকীয় বিষয়, এবং অতি প্রাচীনকাল থেকে আমি এই বিষয়গুলির অধিকারী এবং চিরকালব্যাপী তা বজায় থাকবে।
মানুষ আমায় পরীক্ষা করার অভিপ্রায় পোষণ করে, এবং আমার বাক্যের মধ্যে তারা আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করার মতো কিছু খুঁজে পেতে চায়, যাতে আমায় অপবাদ দেওয়া যায়। আমি কি তোমার কুৎসালেপনের পাত্র? আমায় কি লঘুভাবে বিচার করা যায়? আমার কর্মকাণ্ড কি অযত্নসহকারে আলোচনার যোগ্য? তোমরা সত্যিই এমন একদল মানুষ যারা কীসে নিজের ভালো হয় তা-ই জানে না! আমাকে তোমরা আদৌ জানো না! সিয়োন পর্বত কী? আমার বাসস্থান কী? কনানের পবিত্র ভূমি কী? সৃষ্টির ভিত্তি কী? গত কয়েক দিন যাবৎ কেন আমি এই বাক্যসমূহের উল্লেখ করে চলেছি? সিয়োন পর্বত, আমার বাসস্থান, কনানের পবিত্র ভূমি, আমার সৃষ্টির ভিত্তি—এই সমস্তই আমার ছবির প্রসঙ্গক্রমে উক্ত হয় (আধ্যাত্মিক শরীরের সূত্র ধরে)। সকল মানুষ চিন্তা করে যে এই স্থানগুলির বাস্তব অস্তিত্ব রয়েছে। সিয়োন পর্বত হল আমার ছবি; তা আমার বাসস্থান। আধ্যাত্মিক জগতে যে প্রবেশ করবে সে-ই সিয়োন পর্বতে আরোহন করে আমার বাসস্থানে প্রবেশ করবে। সমুদয় বস্তুকে আমি নিজের ছবির অভ্যন্তরে সৃষ্টি করেছিলাম; অর্থাৎ, সকলকিছু আধ্যাত্মিক শরীরের ভিতর সৃজিত হয়েছিল, সুতরাং এই-ই হল বুনিয়াদ। আমি কেন বলে থাকি যে আমার সঙ্গে একত্রে তোমরা আধ্যাত্মিক শরীরের ভিতর প্রত্যাবর্তন করবে? এর মধ্যেই আদি অর্থটি নিহিত। ঠিক “ঈশ্বর” অভিধাটির মতোই, এই বিশেষ্যগুলির অভ্যন্তরে বা তাদের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই, বরং এগুলি হল বিভিন্ন স্থানের আমার প্রদত্ত বিভিন্ন নাম। সুতরাং এগুলির আক্ষরিক অর্থের প্রতি অত্যধিক মনোযোগ দিয়ো না, বরং শুধুমাত্র আমার বাক্যসমূহ শ্রবণের উপর মনোনিবেশ করো। সেগুলিকে তোমাদের এভাবেই দেখতে হবে, এবং তবেই তোমরা আমার ইচ্ছা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে। কেন তোমাদের আমি বারংবার স্মরণ করাই যে আমার বাক্যসমূহের মধ্যে প্রজ্ঞা রয়েছে? তোমাদের মধ্যে কতজন এর অন্তর্নিহিত অর্থ অনুধাবন করার চেষ্টা করেছো? তোমরা সকলেই অন্ধের মতো বিশ্লেষণ করছো এবং অযৌক্তিক হচ্ছো!
অতীতে আমার কথিত বাক্যসমূহের অধিকাংশ আজও পর্যন্ত তোমরা উপলব্ধি করো না। তোমরা এক সংশয়ান্বিত অবস্থায় রয়ে যাও এবং আমার অন্তরকে পরিতুষ্ট করতে পারো না। যে মুহূর্তে তোমরা আমার উচ্চারিত প্রতিটি বাক্যের বিষয়ে নিঃসন্দেহ হতে পারবে, ঠিক সেই মুহূর্তেই তোমাদের জীবন পূর্ণতাপ্রাপ্ত হবে। আমার কাছে, এক দিন এক হাজার বছরের সমান এবং এক হাজার বছর এক দিনের সমান; আমি যে কালের সম্পর্কে বলি তার বিষয়ে তোমরা কীরকম চিন্তা করো? একে তোমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করবে? তোমরা এর ভুল ব্যাখ্যা করো! উপরন্তু, অধিকাংশ মানুষ এবিষয়ে আমার সঙ্গে বাড়াবাড়ি করে, আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করার মতো কিছু খুঁজে পেতে চায়—কীসে তোমার ভালো তুমি তা জানো না! সতর্ক হও, কারণ অন্যথায় আমি তোমায় আঘাত করবো! সেদিন যখন আসবে যখন সমস্তকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে, তখন তোমরা সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করবে। এখনও আমি তোমাদের বলি না (এখন মানুষকে অনাবৃত করার সময়; আমার ইচ্ছাপূরণে সমর্থ হওয়ার জন্য প্রত্যেককে অবশ্যই সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে)। স্বীয় বাক্যের মাধ্যমে সকলকে আমি অনাবৃত করবো, এবং তারা খাঁটি কি না তা প্রদর্শন করতে তাদের আসল স্বরূপ প্রকাশিত করা হবে। কেউ যদি কোনো বারাঙ্গনা বা নষ্ট চরিত্রের হয়, তাহলে অবশ্যই আমি তাকে উন্মোচিত করবো। আমি পূর্বেই বলেছি যে অঙ্গুলিমাত্র উত্তোলন না করেই আমি কার্যসাধন করি এবং মানুষকে অনাবৃত করতে আমি শুধুমাত্র আমার বাক্যের ব্যবহার করি। কোনো ছদ্মবেশকে আমি ভয় পাই না; আমার বাক্যসমূহ একবার উচ্চারিত হয়ে গেলে, তুমি অবশ্যই তোমার আদি স্বরূপকে প্রকাশ করবে, এবং যত সুচারুভাবেই তুমি ছদ্মবেশ ধারণ করো না কেন, নিশ্চিতরূপেই তা ভেদ করে আমি গূঢ়মর্মটি ধরে ফেলবো। এ-ই হল আমার ক্রিয়াকর্মের নীতি—কোনোরকম শক্তি খরচ না করে শুধুমাত্র উচ্চারণসমূহের প্রয়োগ করা। আমার বাক্যসমূহের পরিপূরণ ঘটবে কি না এই চিন্তায় মানুষ অতিশয় বিচলিত হয়ে পড়ে, এবং আমার জন্য তারা শঙ্কাকুল হয় এবং উদ্বিগ্ন বোধ করে, কিন্তু এইসব উদ্যম সত্যিই নিষ্প্রয়োজন; এগুলি এমন মূল্য যা পরিশোধ করার কোনোও আবশ্যকতা নেই। আমার বিষয়ে তুমি উদ্বিগ্ন, কিন্তু তোমার নিজের জীবন কি পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়েছে? তোমার নিজের অদৃষ্ট নিয়ে কী বলা যায়? নিজেকে পুনঃপুন প্রশ্ন কোরো এবং বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ো না। সকল মানুষের উচিত আমার কার্যকে বিবেচনা করে দেখা এবং—আমার ক্রিয়াকলাপ ও বাক্যাবলীর মাধ্যমে—আমার ছবিকে দর্শন করা, আমার সম্বন্ধে অধিকতর জ্ঞান লাভ করা, আমার সর্বশক্তিমানতাকে জানা, আমার প্রজ্ঞার বিষয়ে অবহিত হওয়া এবং যে উপায় ও পদ্ধতিসমূহের দ্বারা আমি সকলকিছু সৃষ্টি করেছিলাম সেগুলির সম্পর্কে বিদিত হওয়া, এবং তদনুযায়ী আমার অনন্ত গুণকীর্তন করা। যে মানুষগুলির উপর আমি আমার প্রশাসনিক ফরমানসমূহের হস্ত স্থাপন করবো, যাদের উপর আমি কার্যসাধন করবো, তাদের সকলকে দেখতে বাধ্য করবো আমি কী করতে চাই এবং আমি কী সম্পূর্ণ করতে আকাঙ্ক্ষী। এটি এমন এক বিষয় যা প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই অর্জন করতে হবে, কারণ এ হল আমার প্রশাসনিক ফরমান। আমি যা বলি তা নিষ্পন্ন করবো। আমার বাক্যসমূহ লঘুভাবে বিশ্লেষণ করা কারোর পক্ষে বিধেয় নয়; আমার বাক্যসমূহের মাধ্যমে সকলকে আমার কৃতকর্মাদির নেপথ্যের নীতিগুলি বুঝতে হবে, এবং আমার বাক্যাবলী থেকে জানতে হবে আমার ক্রোধ কী, আমার অভিশাপ কী এবং আমার বিচার কী। এই যাবতীয় বিষয়গুলি আমার বাক্যাবলীর উপর নির্ভর করে এবং এগুলি এমন সব বিষয় যা প্রতিটি মানুষের আমার প্রত্যেক বাক্যের মধ্যে প্রত্যক্ষ করা উচিত।