পথ … (২)

চীনের মূল ভূখণ্ডের ঈশ্বরের কাজের ক্রম, ধাপ এবং পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের ভাই ও বোনেদের কিছু ধারণা থাকতে পারে, কিন্তু আমি এখনও মনে করি যে এই বিষয়গুলির দিকে ফিরে তাকানো বা এর একটি দ্রুত সারাংশ তোমাদের দেওয়ার মূল্য রয়েছে। আমার হৃদয়ে যা রয়েছে কেবল তা বলার জন্যই আমি এই সুযোগটি ব্যবহার করব, এবং আমি এই কাজের বাইরের বিষয়গুলি নিয়ে বলব না। আমি আশা করি যে, ভাই ও বোনেরা আমার মনের ভাব বুঝতে পারবে, আর আমি বিনীতভাবে এ-ও অনুরোধ করব যে, যারা আমার বাক্যগুলি পড়ো তারা আমার ক্ষুদ্র আত্মিক উচ্চতা, আমার জীবনের অভিজ্ঞতার অপ্রতুলতা, এবং ঈশ্বরের সামনে মাথা উঁচু রাখার অক্ষমতা বুঝবে এবং ক্ষমা করবে। তবুও, আমার বোধ হয় যে এগুলো কেবল নৈর্ব্যক্তিক কারণ। সংক্ষেপে, যা-ই হোক না কেন, কোনো মানুষ, ঘটনাবলী বা বস্তুসমূহ আমাদের ঈশ্বরের সামনে আলোচনা করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না, এবং আমি আশা করি যে আমাদের ভাই ও বোনেরা ঈশ্বরের সামনে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে আমার সাথে যোগ দিতে পারবে। আমি নিম্নলিখিত প্রার্থনা নিবেদন করতে চাইব: “হে ঈশ্বর! দয়া করে আমাদের প্রতি করুণা করুন যাতে আমি এবং আমার ভাই ও বোনেরা মিলে আমাদের সার্বজনীন আদর্শের আধিপত্যের অধীনে একসাথে সংগ্রাম করতে পারি, মৃত্যু পর্যন্ত আপনার প্রতি অনুগত থাকতে পারি, আর কখনো কোনো অনুশোচনা না হয়!” এই বাক্যগুলি ঈশ্বরের সামনে আমার সংকল্প, কিন্তু এটাও বলা যেতে পারে যে, ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত দেহরূপী মানুষ হিসেবে এগুলি আমার নিজের নীতিবাক্য। আমি এই বাক্যগুলি বহুবার আমার পাশে থাকা ভাই ও বোনদের সাথে আলোচনায় ভাগ করে নিয়েছি, এবং আমার পাশে যারা আছে তাদেরকে এগুলি বার্তা হিসেবে দিয়েছি। আমি জানি না লোকেরা তাদের সম্পর্কে কী ভাবে, তবে যাই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি যে এই বাক্যগুলি কেবলমাত্র বিষয়গত প্রচেষ্টার একটি দিকই নয়, তদুপরি, তারা বস্তুনিষ্ঠ তত্ত্বের একটি দিকও ধারণ করে। এই কারণে, এমনটা সম্ভব যে, কিছু লোকের কিছু নির্দিষ্ট মতামত রয়েছে, এবং তোমার পক্ষে ভালো হবে এই বাক্যগুলিকে নীতি হিসাবে গ্রহণ করে দেখা যে ঈশ্বরকে ভালোবাসার জন্য তোমার উদ্যম কত মহান হয়ে ওঠে। কিছু লোক যখন এই বাক্যগুলি পড়বে, তখন তারা একটি নির্দিষ্ট ধারণা গড়ে তুলবে এবং ভাববে: “এমন নৈমিত্তিক, সাধারণ বাক্যগুলি কেমন করে লোকজনদের আমৃত্যু ঈশ্বরকে ভালোবাসার জন্য এমন মহান উদ্যম জোগাতে পারে? এবং আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি, অর্থাৎ ‘পথ’, তার সাথে এর কোনো সম্পর্কই নেই।” আমি স্বীকার করি যে এই শব্দগুলি বিশেষভাবে চিত্তাকর্ষক না-ও হতে পারে, কিন্তু আমি সবসময় ভেবেছি যে এগুলি মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারে, এবং হাল ছেড়ে না দিয়ে অথবা পশ্চাদপসারণ না করে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের পথে সমস্ত ধরনের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারে। এই কারণেই আমি সবসময় সেগুলিকে আমার নীতিবাক্য হিসাবে বিবেচনা করি। আমি আশা করি লোকেরাও সেগুলির বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করবে। তবে, সবাইকে আমার নিজস্ব মতামত গ্রহণ করতে বাধ্য করা আমার উদ্দেশ্য নয়—এটি নিতান্তই একটি পরামর্শ। অন্য লোকেরা আমার সম্পর্কে যা-ই ভাবুক না কেন, আমি মনে করি যে ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেকের অন্তরের গতিবিধি বোঝেন। ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে ক্রমাগত কাজ করছেন, এবং তাঁর কাজ অক্লান্ত। যেহেতু আমরা সকলেই অতিকায় লাল ড্রাগনের দেশে জন্মগ্রহণ করেছি, তিনি আমাদের মধ্যে এইভাবে কাজ করেন। যারা অতিকায় লাল ড্রাগনের দেশে জন্মগ্রহণ করেছিল তারা পবিত্র আত্মার এই কাজটি লাভ করার বিষয়ে ভাগ্যবান। তাদের একজন হিসাবে, আমার ঈশ্বরের প্রীতিপ্রদতা, সম্মানের যোগ্যতা, এবং প্রেমময়তা সম্পর্কে একটি মহৎ বোধ আছে। এ হল আমাদের প্রতি ঈশ্বরের যত্নশীলতা। এহেন এক পশ্চাৎপদ, রক্ষণশীল, সামন্তবাদী, কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং সর্বহারা শ্রেণীর অধঃপতিত সাম্রাজ্যের পক্ষে ঈশ্বরের কাছ থেকে এই ধরনের কাজ লাভ করতে পারা এটাই দেখায় যে, আমরা, অন্তিম যুগের এই দলটি কতমাত্রায় আশীর্বাদধন্য। আমি বিশ্বাস করি যে, যে সকল ভাই ও বোনের আধ্যাত্মিক চোখ উন্মীলিত হয় যাতে তারা এই কাজ দেখতে পারে, তারা এর ফলস্বরূপ আনন্দে অশ্রুপাত করবে। এবং সেই সময়, তুমি কি আনন্দে নৃত্যরত হয়ে নিজেকে ঈশ্বরের কাছে প্রকাশ করবে না? তুমি কি তোমার হৃদয়ের গীতটি ঈশ্বরের প্রতি অর্পণ করবে না? সেই সময়ে, তুমি কি ঈশ্বরের কাছে তোমার সংকল্প প্রদর্শন করবে না এবং তাঁর সামনে আরেকটি পরিকল্পনা করবে না? আমি মনে করি যে, এই সবকিছুই ঈশ্বরে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষের করা উচিত। মানুষ হিসাবে, আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের প্রত্যেকেরই ঈশ্বরের সামনে কোনো না কোনো অভিব্যক্তি থাকা উচিত। অনুভূতিসম্পন্ন যেকোনো ব্যক্তির এমনটাই করা উচিত। আমাদের মধ্যে প্রত্যেকের যোগ্যতা এবং আমরা কোথায় জন্মগ্রহণ করেছি তা দেখায় যে, আমাদের মাঝে আসার জন্য ঈশ্বর কতটা অপমান সহ্য করেছিলেন। আমাদের অন্তরে ঈশ্বর সম্বন্ধে কিছু জ্ঞান থাকতে পারে, কিন্তু আমরা যা অবশ্যই জানি—অর্থাৎ, ঈশ্বর যে এত মহান, এত সর্বাত্মক এবং এত সম্মানের যোগ্য—সেটুকুই তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট যে মানুষের মধ্যে তাঁকে কী বিপুল পরিমাণে অবমাননা সহ্য করতে হয়েছে। তবুও আমার এই বাক্যগুলি এখনও অস্পষ্ট, এবং মানুষ এগুলিকে আক্ষরিক অর্থে তথা মতবাদ হিসাবে বিবেচনা করতে পারে, কারণ আমাদের মধ্যে থাকা লোকেরা অত্যন্ত অসাড় এবং অপ্রতিভ। তাই আমার একমাত্র বিকল্প হল, যে সমস্ত ভাই ও বোনেরা এটি গ্রহণ করবে, তাদের কাছে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য আরও প্রচেষ্টা ব্যয় করা, যাতে আমাদের আত্মা ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা চালিত হতে পারে। ঈশ্বর যেন আমাদের আধ্যাত্মিক চোখ খুলে দেন, যাতে আমরা দেখতে পারি যে ঈশ্বর কত মূল্য দিয়েছেন, তিনি কতখানি প্রচেষ্টা করেছেন, এবং তিনি আমাদের জন্য কত শক্তি ব্যয় করেছেন।

আমাদের ক্ষমতার কতটা অভাব রয়েছে সেবিষয়ে, চীনের মূল ভূখণ্ডে ঈশ্বরের আত্মা-গ্রহণকারীদের একজন হিসাবে, আমার গভীর ধারণা আছে। (আমি আশা করি যে আমাদের ভাই ও বোনেরা এর কারণে নেতিবাচক বোধ করবে না—এটি হল পরিস্থিতিগত বাস্তবতা।) আমার ব্যবহারিক জীবনে আমি স্পষ্টভাবে দেখেছি যে, আমাদের যা আছে এবং আমরা যা, তা সবই অত্যন্ত পশ্চাদগামী। প্রধান দিকগুলির প্রেক্ষিতে, তা হল আমরা আমাদের জীবনে এবং ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেভাবে আচরণ করি, এবং গৌণ দিকগুলির প্রেক্ষিতে, তা হল আমাদের প্রত্যেকটি ধারণা এবং চিন্তাভাবনা। এগুলি এমন সব বিষয় যা বস্তুনিষ্ঠভাবে বিদ্যমান, এবং এগুলি শব্দ বা প্রতারণার মাধ্যমে গোপন করা কঠিন। তাই, যখন আমি তা বলি, তখন বেশিরভাগ লোকেরাই তাদের মাথা নেড়ে তা স্বীকার করে এবং সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়, যদি না তাদের স্বাভাবিক যুক্তিবোধের অভাব থেকে থাকে: এই ধরনের লোকেরা আমার এই মতামতগুলি গ্রহণ করতে অক্ষম। সম্ভবত আমি অত্যন্ত অমার্জিত, উদগ্রভাবে এই ব্যক্তিগণকে প্রকৃত পশু হিসাবে উল্লেখ করছি। এর কারণ হল, এই যে অতিকায় লাল ড্রাগনের দেশে, এরা শূকর বা কুকুরের মতো হীনদের ভিতর হীনতম। এদের মতো ক্ষমতা অভাব আর কারোরই নেই; এরা ঈশ্বরের সামনে আসার যোগ্য নয়। সম্ভবত আমার কথাগুলি খুব “উদ্ধত।” যে ঈশ্বরের আত্মা আমার মধ্যে কাজ করছেন তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে আমি এহেন পাশবিক, কলুষিত প্রাণীকে অভিশাপ দিই, এবং আমি আশা করি যে আমার ভাই ও বোনেরা এতে দুর্বল হবে না। এমনটা সম্ভব যে আমাদের মধ্যে এমন কোনো লোক নেই, তবে সত্য যা-ই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি যে এই ধরনের লোকেদের সাথে এভাবেই আচরণ করা উচিত। তুমি কি মনে করো?

অতিকায় লাল ড্রাগনের সাম্রাজ্য কয়েক হাজার বছর ধরে টিকে আছে, এবং এটি সর্বত্র অধোগামী হয়েছে—কারণ তা এই সমগ্র সময় ধরে ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করেছে, ঈশ্বরের অভিশাপ এবং ক্রোধের মুখোমুখি হয়েছে, যার পরে এসেছে ঈশ্বরের শাস্তি। ঈশ্বরের দ্বারা অভিশপ্ত এই দেশ ক্রমাগত জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়েছে, এবং পশ্চাৎপদ অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। যে দেশে আমরা জন্মেছি, তা সমস্ত রকমের কলুষিত দানবে পরিপূর্ণ, যারা নিজেদের আধিপত্যের অন্বেষণে লাগামহীন—অর্থাৎ, এখানে যারা জন্মগ্রহণ করেছে, তাদের তারা কলঙ্কিত করে। মানুষের অভ্যাস, রীতিনীতি, চিন্তা এবং ধারণাগুলি পশ্চাৎপদ এবং সেকেলে, তাই তারা ঈশ্বর সম্পর্কে সমস্ত ধরনের ধারণা তৈরি করে যা তারা এখন পর্যন্ত ঝেড়ে ফেলতে পারে নি। বিশেষ করে, তারা ঈশ্বরের সামনে একভাবে কাজ করে এবং তাঁর পিছনে অন্যভাবে কাজ করে, ঈশ্বরের সেবা করা হচ্ছে ভেবে ভ্রান্তিবসত শয়তানের উপাসনালয় প্রতিষ্ঠা করে, যা প্রতিপন্ন করে যে তারা সর্বাধিক পশ্চাৎপদ। ঈশ্বর চীনের মূল ভূখণ্ডে এত কাজ করেছেন এবং তাঁর এত বাক্য বলেছেন, কিন্তু মানুষ এখনও সম্পূর্ণ অসাড় এবং উদাসীন। তারা এখনও সেই কাজই করে চলেছে যা তারা পূর্বে করেছিল, এবং তাদের ঈশ্বরের বাক্যগুলির বিষয়ে কোনোরকম উপলব্ধি নেই। যখন ঈশ্বর ঘোষণা করলেন যে কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং কোনো আশা নেই, তখন যে গির্জাটি গ্রীষ্মের উত্তাপে জীবিত ছিল, অবিলম্বে সেটি যেন এক হিমেল শৈত্যে পতিত হয়েছিল। মানুষের প্রকৃত ব্যক্তিত্ব দিনের আলোতে উন্মোচিত হয়েছিল এবং তাদের পূর্বের আত্মবিশ্বাস, ভালোবাসা এবং শক্তি সবই লেশমাত্র অবিশিষ্ট না রেখে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। আর আজ, তাদের কেউই নিজেদের জীবনীশক্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে নি। তারা তাদের কথায় বলে যে তারা ঈশ্বরকে ভালোবাসে, এবং যদিও তারা তাদের হৃদয়ে অভিযোগ করার স্পর্ধা রাখে না, তবু, যাই হোক না কেন, তাদের সেই ভালোবাসা আদৌ নেই-ই। সেই বিষয়টা কী? আমি মনে করি আমাদের ভাই ও বোনেরা এই সত্যটি স্বীকার করবে। ঈশ্বর আমাদের আলোকিত করুন, যাতে আমরা সকলেই তাঁর মাধুর্য জানতে পারি, আমাদের হৃদয়ের গভীরে আমাদের ঈশ্বরকে ভালোবাসতে পারি, এবং আমাদের বিভিন্ন অবস্থানে ঈশ্বরের প্রতি আমাদের সকলের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি; ঈশ্বর আমাদের তাঁর প্রতি আন্তরিক ভালোবাসার অটল হৃদয় দান করুন—আমি এটাই আশা করি। এমনটা বললাম বটে, তবে আমি আমার সেইসব ভাই এবং বোনদের জন্য খানিক সহানুভূতি অনুভব করি, যারা এই কলুষিত দেশে জন্মগ্রহণ করেছিল, আর তাই আমার অন্তরে অতিকায় লাল ড্রাগনের প্রতি ঘৃণা জন্মেছে। সেটি আমাদের ঈশ্বরপ্রেমকে বিঘ্নিত করে, এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার উদ্দেশ্যে আমাদের লোভকে প্ররোচিত করে। সেটি আমাদের নেতিবাচক হতে, ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করতে প্রলুব্ধ করে। এটি হল সেই অতিকায় লাল ড্রাগন যা এখনও অবধি আমাদের এতটাই প্রতারিত, কলুষিত এবং বিধ্বস্ত এখনও পর্যন্ত যে, আমরা আমাদের হৃদয় দিয়ে ঈশ্বরের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে অক্ষম। আমাদের হৃদয়ে উদ্যম রয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা শক্তিহীন। আমরা সবাই সেটির শিকার। এই কারণে, আমি সেটিকে আমার অন্তঃস্থল থেকে ঘৃণা করি, এবং আমি এটির ধ্বংসাধনে উন্মুখ। তথাপি, যখন আমি আবার ভাবি, তাতে কোনো লাভ হবে না এবং তা শুধুমাত্র ঈশ্বরের জন্য সমস্যা নিয়ে আসবে, তাই আমি এই বাক্যগুলিতে ফিরে আসি—আমি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার উদ্দেশ্যে—ঈশ্বরপ্রেমের নিমিত্ত—আমার অন্তরকে প্রণোদিত করি। এই যে পথ আমি গ্রহণ করছি—এ হল সেই পথ যা ধরে তাঁর এক সৃষ্টি হিসেবে আমার চলা উচিত। এভাবেই আমার জীবন অতবাহিত করা উচিত। এগুলি হল আমার হৃদয় থেকে উৎসারিত বাক্য, এবং আমি আশা করি যে আমার ভাই ও বোনেরা এই বাক্যগুলি পড়ার পরে কিছুটা উৎসাহ পাবে যাতে আমার হৃদয় কিছুটা শান্তি পেতে পারে। কারণ আমার লক্ষ্য হল ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করা এবং এইভাবে একটি উজ্জ্বল এবং দ্যুতিময় তথা অর্থপূর্ণ জীবন যাপন করা। এমনটা হলে, আমি তৃপ্তি ও আরামে পরিপূর্ণ হৃদয় সহকারে বিনা অনুশোচনায় মৃত্যুবরণ করতে পারব। তুমি কি তা করতে চাও? তোমার কি এই ধরনের সংকল্প রয়েছে?

ঈশ্বর যে তথাকথিত “পূর্ব এশিয়ার অসুস্থ মানুষ”-দের মাঝে কাজ করতে সক্ষম, সেটাই হল তাঁর মহান শক্তি। এ হল তাঁর বিনয় এবং প্রচ্ছন্নতা। আমাদের প্রতি তিনি কঠোর বাক্য বা শাস্তিদান করেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর বিনয়ের জন্য আমাদের হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তাঁর প্রশংসা করা উচিত এবং এই কারণে শেষ অবধি তাঁকে ভালোবেসে যাওয়া উচিত। বহু সহস্র বছর ধরে শয়তানের দ্বারা আবদ্ধ মানুষ তার প্রভাবের অধীনে জীবনযাপন করে চলেছে, এবং তারা তাকে পরিহার করে নি। তারা তিক্তভাবে হাতড়ে চলেছে, সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। অতীতে তারা ধূপ জ্বালাত, এবং শয়তানকে পূজ্যজ্ঞানে প্রতিষ্ঠা করত, এবং তারা পরিবার এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ক জটিলতাগুলির সাথে সাথে সামাজিক আদানপ্রদানের সঙ্গেও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ ছিল। তারা সেগুলিকে প্রত্যাহার করতে পারে নি। এই ধরনের নির্দয় সমাজে সার্থক জীবন কেউ কোথায় পাবে? লোকেরা যা বর্ণনা করে তা হল কষ্টের জীবন, এবং সৌভাগ্যবশত, ঈশ্বর এই নির্দোষ লোকদের উদ্ধার করেছেন, আমাদের জীবনকে তাঁর যত্ন ও সুরক্ষার অধীনে স্থাপিত করেছেন, যাতে আমাদের জীবন আনন্দময় হয় এবং আর উদ্বেগে পরিপূর্ণ না থাকে। আমরা এতদিন পর্যন্ত তাঁর অনুগ্রহে জীবনযাপন করে চলেছি। এটা কি ঈশ্বরের আশীর্বাদ নয়? ঈশ্বরের কাছ থেকে অযৌক্তিক দাবি করার সাহস কীভাবে কারোর থাকতে পারে? তিনি কি আমাদের এতই কম দিয়েছেন? তুমি কি এখনও সন্তুষ্ট নও? আমি মনে করি যে আমাদের ঈশ্বরের ভালোবাসা পরিশোধ করার সময় এসে গিয়েছে। ঈশ্বরবিশ্বাসের পথ অনুসরণ করার কারণে আমাদের প্রভূত পরিমাণে উপহাস, অপবাদ এবং নিপীড়নও ভোগ করতে হতে পারে, তবে আমি বিশ্বাস করি যে তা হল এক অর্থপূর্ণ বিষয়। তা লজ্জার নয়, গৌরবের বিষয়, এবং যাই হোক না কেন, আমরা প্রভূত পরিমাণে আশীর্বাদ উপভোগ করি। অগণিত প্রত্যাশাভঙ্গের সময়ে, ঈশ্বরের বাক্য সান্ত্বনা এনেছে, এবং আমরা তা জানার আগেই, আমাদের দুঃখ আনন্দে পরিণত হয়েছে। অগণিত প্রয়োজনের সময়ে, ঈশ্বর আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন এবং তাঁর বাক্যের মাধ্যমে আমাদের সরবরাহ করা হয়েছে। অগণিত অসুস্থতার সময়ে, ঈশ্বরের বাক্য জীবন দিয়েছে—আমরা বিপদ থেকে মুক্ত হয়েছি, এবং বিপদ থেকে নিরাপত্তা পেয়েছি। তুমি ইতিমধ্যেই এমন অনেক বিষয় উপভোগ করেছ, যদিও তুমি তা উপলব্ধি করো নি। তোমার কি তা কিছুই মনে নেই?

পূর্ববর্তী: পথ … (১)

পরবর্তী: পথ … (৩)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন