পথ … (১)

জীবদ্দশায় কেউই জানে না তারা কী ধরনের বিপত্তির সম্মুখীন হতে চলেছে, বা তাদের কী ধরনের পরিমার্জনার মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে তা তাদের কাজের মধ্যে থাকে, কারো কারো ক্ষেত্রে তা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় থাকে, কারো কারো ক্ষেত্রে তা জন্মগ্রহণকারী পরিবারের মধ্যে থাকে, এবং কারো কারো ক্ষেত্রে তা থাকে বিবাহের মধ্যে। কিন্তু তাদের ও আমাদের মধ্যে পার্থক্য হল, বর্তমানে আমরা, এই একদল মানুষ, ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে যন্ত্রণা ভোগ করছি। অর্থাৎ, আমরা ঈশ্বরের সেবাকারী হিসেবে, তাঁকে বিশ্বাস করার পথে, যে পথে আমরা সকল বিশ্বাসীরা এগোই, যে পথ আমাদের সকলের পায়ের নিচে থাকে সেই পথে, বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছি। এই অবস্থান থেকেই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঈশ্বরবিশ্বাসের পথে যাত্রার সূচনা করি, আনুষ্ঠানিকভাবে মানবজীবনের যবনিকা উন্মোচন করি, এবং জীবনের সঠিক পথে পদার্পণ করি। অন্যভাবে বললে, এই সময়েই আমরা মানুষের পাশাপাশি বসবাসকারী ঈশ্বরের সঠিক পথে পদার্পণ করি, যে পথ সাধারণ মানুষ গ্রহণ করে। যে মানুষ ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর সেবা করে—যে মন্দিরে যাজকের পোশাক পরিধান করে, এবং ঈশ্বরের মর্যাদা, কর্তৃত্ব ও মহিমার অধিকারী—তেমন একজন হিসেবে আমি বিশেষভাবে সকল মানুষের প্রতি এই ঘোষণা করি: ঈশ্বরের গৌরবান্বিত মুখাবয়বই আমার গরিমা, তাঁর পরিচালনামূলক পরিকল্পনাই আমার মূল ভিত্তি। আমি আসন্ন বিশ্বে শতগুণ লাভ করতে চাই না, শুধু এই বর্তমান বিশ্বে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে চাই, যাতে তিনি আমার দেহরূপে করা স্বল্প প্রচেষ্টার সুফল হিসাবে, পৃথিবীতে তাঁর গৌরবের একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ উপভোগ করতে পারেন। এটাই হল আমার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা। আমার মতে, এটাই আমার একমাত্র আধ্যাত্মিক পরিপোষণ। আমি বিশ্বাস করি যে, দেহরূপে বসবাসকারী এবং আবেগে পরিপূর্ণ যে কারো পক্ষে এটাই “অন্তিম বাক্য” হওয়া উচিত। এটাই হল আজ আমার পায়ের তলায় থাকা পথ। আমার বিশ্বাস যে, আমার এই দৃষ্টিভঙ্গিই আমার দেহরূপে কথিত অন্তিম বাক্য, আর আমি আশা করি যে, মানুষ আমার বিষয়ে কোনও ধারণা বা অন্যরকম চিন্তাভাবনা পোষণ করবে না। যদিও আমি আমার সবটুকু দিয়েছি, তবুও আমি স্বর্গস্থ ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করতে পারিনি। আমি নিরতিশয় দুঃখিত। এই দেহরূপের উপাদান এমন কেন? এইভাবে, আমার অতীতের কাজ এবং আমার মধ্যে ঈশ্বরের সম্পাদিত বিজয়কার্যের ফলস্বরূপ, আমি মানবজাতির উপাদান সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি লাভ করতে পেরেছি। একমাত্র তারপরেই আমি নিজের জন্য সবচেয়ে মৌলিক মান নির্ধারণ করি, যেগুলি হল: শুধুমাত্র ঈশ্বরের ইচ্ছা পালনের চেষ্টা করা, এতেই আমার সমস্ত কিছু সমর্পণ করা, এবং কোনোকিছুর দ্বারাই আমার বিবেককে ভারাক্রান্ত না করা। ঈশ্বরের অন্যান্য সেবাকারীরা নিজেদের জন্য কী চায়, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। সংক্ষেপে, তাঁর ইচ্ছা পালনেই আমি আমার হৃদয় সমর্পণ করেছি। ঈশ্বরের সামনে তাঁর সেবাকারী এক সৃষ্ট সত্তা—যে সত্তা ঈশ্বরের দ্বারা উদ্ধারপ্রাপ্ত, তাঁর প্রিয় এবং তাঁর আঘাত সহ্য করেছে—তেমন সত্তা হিসাবে এটাই আমার স্বীকারোক্তি। এ হল ঈশ্বরের দ্বারা পর্যবেক্ষিত, সুরক্ষিত, ভালোবাসাপ্রাপ্ত এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একজনের স্বীকারোক্তি। এখন থেকে, যতক্ষণ না আমি ঈশ্বরের আমার উপর অর্পিত গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই পথেই চলতে থাকব। কিন্তু আমার মতে, পথের সমাপ্তি আসন্ন, কারণ তাঁর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, এবং আজ পর্যন্ত মানুষের পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব, তা তারা করেও ফেলেছে।

পুনরুদ্ধারের এই প্রবাহে চীনের মূল ভূখণ্ডের প্রবেশের ফলে, ধীরে ধীরে পবিত্র আত্মার কাজকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গির্জাগুলির উৎপত্তি হয়েছে। ঈশ্বর এই সকল স্থানীয় গির্জায় নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন, কারণ এই সময়ে উদ্ভূত গির্জাগুলিই পতিত রাজপরিবারের ঈশ্বরের মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ঈশ্বর এইরকম পরিবারে স্থানীয় গির্জা স্থাপন করে প্রভূত আনন্দ লাভ করেছিলেন, তাঁর সেই আনন্দ ছিল বর্ণনাতীত। চীনের মূল ভূখণ্ডে গির্জা স্থাপনের পরে, এবং বিশ্ব জুড়ে অন্যান্য স্থানীয় গির্জার ভাই-বোনেদের মধ্যে এই সুখবর ছড়িয়ে দেওয়ার পর, ঈশ্বর খুবই উৎসাহিত ছিলেন—তিনি চীনের মূল ভূখণ্ডে যে কাজ করতে চেয়েছিলেন, এটাই ছিল সেই কাজের প্রথম ধাপ। বলা যেতে পারে যে, এটাই ছিল তাঁর প্রথম কাজ। এবং তাঁর কাজের প্রথম ধাপটি যে এইরকম একটি দৈত্যদের দুর্গে—এমন এক দুর্গে যা কোনো মানুষ বা বস্তুর পক্ষে অগম্য—সাধিত হল, তা কি ঈশ্বরের মহান ক্ষমতা নয়? স্পষ্টতই এই কাজ পুনরুদ্ধার করার জন্য অগণিত ভাই-বোন শহীদ হয়েছে, শয়তানের নিষ্ঠুর ছুরিকাঘাতে মৃত্যুবরণ করেছে। এই সমস্ত বিষয় এখন উল্লেখ করার কারণে আমি বেদনাহত এবং ক্রুদ্ধ হই ঠিকই, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে, যন্ত্রণার দিনের অবসান ঘটেছে। আমি যে আজ ঈশ্বরের জন্য কাজ করতে পারছি, এবং আমি যে আজ আমার বর্তমান অবস্থানে পৌঁছতে পেরেছি, তার সামগ্রিক কৃতিত্ব হল ঈশ্বরের পরম পরাক্রমের। ঈশ্বর যাদের শহীদ হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন, তাদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা অনুভব করি; তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে এবং ঈশ্বরের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতে সক্ষম হয়েছিল। সত্যি বলতে, ঈশ্বরের কৃপা ও করুণা না থাকলে, আমি অনেক আগেই পঙ্কে নিমজ্জিত হয়ে যেতাম। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ! আমি ঈশ্বরকে সমস্ত গৌরব প্রদান করতে চাই, যাতে তিনি বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারেন। কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে: “আপনার অবস্থানের কারণে, আপনার মৃত্যু হওয়ার কথা নয়। তাহলে, ঈশ্বর যখন মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেন, তখন আপনি খুশি হন কেন?” সরাসরি জবাব দেওয়ার বদলে, আমি কেবল স্মিত হেসে বলি, “এটাই আমার অন্বেষণের পথ, যা আমাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।” আমার প্রতিক্রিয়ায় মানুষ হতচকিত হয়ে যায়। তারা কেবল বিস্ময় সহকারে আমার দিকে তাকাতে পারে, আমার প্রতি তাদের মনে সন্দেহ জাগে। তবে, আমি বিশ্বাস করি যে, যেহেতু এটাই হল আমার বেছে নেওয়া পথ, আর ঈশ্বরের সামনে এটাই আমার গ্রহণ করা দৃঢ় সংকল্প, তাই যত বড় অসুবিধাই হোক না কেন, আমাকে অবশ্যই সচেষ্ট ভাবে এগিয়ে চলতে হবে। আমার মতে, এই প্রতিশ্রুতিই ঈশ্বরের সেবাকারীদের বহাল রাখা উচিত—আর তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে একচুলও মুখ ফেরানো উচিত নয়। এটা হল একটা নিয়ম, একটি প্রবিধান, যা বহুকাল আগে বিধানের যুগে জারি করা হয়েছিল, যা ঈশ্বর-বিশ্বাসীদের উপলব্ধি করা উচিত। যদিও ঈশ্বর বিষয়ক জ্ঞান আমার স্বল্পই আছে এবং আমার প্রকৃত অভিজ্ঞতার মাত্রাও তুচ্ছ, উল্লেখযোগ্য নয়—এতোই কম যে তা বলার মতো কুশলী অন্তর্দৃষ্টিও আমার নেই—তবুও নিজের অভিজ্ঞতার নিরিখে আমি বলব যে, ঈশ্বরের বাক্যগুলি অবশ্যই তুলে ধরতে হবে, এবং সেগুলির বিরোধিতা করা যায় না। সত্যি বলতে, আমার নিজস্ব বাস্তবিক অভিজ্ঞতা স্বল্পই, কিন্তু যেহেতু ঈশ্বর আমার কাছে সাক্ষ্য দেন, এবং ব্যক্তি হিসাবে আমার প্রতি মানুষের অন্ধ ভরসা আছে, তাই আমি কীই বা করতে পারি? তবুও আমি আশা করি যে লোকেরা ঈশ্বরপ্রেমের বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি সংশোধন করবে। আমি কী ধরনের ব্যক্তি, তাতে কিছু যায় আসে না, কারণ আমিও ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের পথ অনুসরণ করি এবং আমি যে পথে চলি, তা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের পথ ছাড়া আর কিছুই নয়। কোনও ব্যক্তি ভালো হতেই পারে, কিন্তু তার কখনোই উপাসনার বস্তু হয়ে ওঠা উচিত নয়—সে শুধুমাত্র অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হিসাবেই কাজ করতে পারে। অন্যরা কী করে তা নিয়ে আমি ভাবিত নই, কিন্তু আমি মানুষের কাছে ঘোষণা করি যে, আমিও ঈশ্বরকে গৌরব প্রদান করি; আমি দেহরূপকে আত্মার গৌরব প্রদান করি না। আমি আশা করি, সবাই এই বিষয়ে আমার অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারবে। আমি আমার দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছি না, তবে এটাই হল পুরো ঘটনা। এটা স্ফটিকের ন্যায় স্পষ্ট হওয়া উচিত, যাতে এটি পুনরায় বলতে না হয়।

আজ, আমি ঈশ্বরের সামনে আলোকপ্রাপ্ত হলাম। এই পৃথিবীতে ঈশ্বরের কাজ হল পরিত্রাণের কাজ। তা কোনো কিছুর সদ্বারাই কালিমালিপ্ত হয় না। কেউ কেউ অন্যরকম ভাবতে পারে, কিন্তু আমার সর্বদা মনে হয়েছে যে পবিত্র আত্মা শুধুমাত্র কাজের একটি পর্যায়ই সমাধা করছে—পরিত্রাণের কাজ—আর অন্য কোনো কাজ নয়। এটা স্পষ্ট হওয়া উচিত। শুধুমাত্র বর্তমানেই চীনের মূল ভূখণ্ডে পবিত্র আত্মার কাজ স্পষ্ট হয়েছে। আর ঈশ্বর কেন এহেন এক স্থানে সমস্ত পথ এবং কাজের সূচনা করতে চাইবেন, যেখানে দৈত্যদের প্রচণ্ড দৌরাত্ম্য? এর থেকেই বোঝা যায় যে, ঈশ্বর, সর্বোপরি, পরিত্রাণের কাজই করছেন। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে, এ হল প্রধানত বিজয়কার্য। সূচনাকাল থেকেই থেকেই যীশুর নাম ডাকা হয়েছে। (কেউ কেউ হয়তো তা অভিজ্ঞতা করে নি, কিন্তু আমি বলব যে, এটাও পবিত্র আত্মার কাজেরই ধাপ।) এটা অনুগ্রহের যুগের যীশুর কাছ থেকে প্রস্থান করার জন্যই করা হয়েছিল, তাই আগে থেকেই কিছু লোকদের নির্বাচন করা হয়েছিল এবং তারপরে সেই নির্বাচনকে আরও সংকীর্ণ করা হয়েছিল। এরপরে, চীনের মূল ভূখণ্ডে সাক্ষী লি-র নাম ডাকা হয়েছিল, যা ছিল চীনের মূল ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে পবিত্র আত্মার কাজের দ্বিতীয় অংশ। কাজের এই প্রথম ধাপে, পবিত্র আত্মা মানুষকে নির্বাচন করা শুরু করেছিল, অর্থাৎ লোকেদের একত্রিত করা এবং নেতার দ্বারা তাদের পরিচর্যা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা; এই সেবা সম্পাদনে “সাক্ষী লি”-র নাম ব্যবহৃত হয়েছিল। ঈশ্বর ব্যক্তিগতভাবে “পরাক্রমশালী”-নামে সাক্ষ্য দেওয়ার কাজ করেছিলেন, তার আগে পর্যন্ত তা কেবল প্রস্তুতিমূলক স্তরেই ছিল। তাই, এটা সঠিক না ভুল, তাতে কিছু যায় আসে না, আর এটা ঈশ্বরের পরিকল্পনার অভ্যন্তরীণ প্রধান সমস্যাও নয়। “পরাক্রমশালী”-নামে সাক্ষ্য দেওয়ার পর, ঈশ্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নিজের কাজ ব্যক্তিগতভাবে শুরু করেছিলেন, এবং তারপরে, দেহরূপে তাঁর কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল। “পরাক্রমশালী প্রভু” এই নামের মাধ্যমে তিনি বিদ্রোহী এবং আনুগত্যহীন সকল লোকেদের নিয়ন্ত্রণভার স্বহস্তে গ্রহণ করেছিলেন। তারা মানুষের প্রতিমূর্তি ধারণ করতে শুরু করেছিল, ঠিক যেমন তেইশ বা চব্বিশ বছর বয়সে মানুষকে প্রাপ্তবয়স্ক বলে মনে হওয়া শুরু হয়; অর্থাৎ, মানুষ সবেমাত্র স্বাভাবিক মানুষের জীবন পাওয়া শুরু করেছিল। সেবাদাতাদের পরীক্ষার মাধ্যমে, ঈশ্বরের কাজ স্বাভাবিকভাবেই ঐশ্বরিক কাজ সম্পাদনের পর্যায়ে এগিয়ে যায়। বলা যেতে পারে যে, কাজের এই ধাপটিই তাঁর এত কাজের মূল ভিত্তি গঠন করে, এবং এটিই তাঁর কাজের প্রারম্ভিক ধাপ। মানুষ নিজেকে চিনতে পারে এবং ঘৃণা করে। তারা এমন এক অবস্থানে পৌঁছেছে, যেখানে তারা নিজেদের অভিসম্পাত করতে সক্ষম, নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েও তারা খুশি, আর তাদের মধ্যে ঈশ্বরের মাধুর্যের ক্ষীণ অনুভূতি থাকে, যার ভিত্তিতে তারা মানুষের অস্তিত্বের প্রকৃত অর্থ জানতে পারে—এইভাবে, তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা অর্জন করে। চীনের মূল ভূখণ্ডে ঈশ্বরের কাজ প্রায় শেষের পথে। ঈশ্বর এই কদর্য দেশে বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন, তবুও আগে কখনও মানুষ এখনকার মত অবস্থান অর্জন করতে পারেনি, যার অর্থ হল, ঈশ্বর তাঁর কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে আজই শুরু করলেন। এই বিষয়কে আরও বিশদে বা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করার দরকার নেই। তাই এ কথা বলা পূর্ণতই সঠিক হবে যে, এই কাজটি সরাসরি ঈশ্বরের দেবত্বের দ্বারা সম্পন্ন করা হলেও, তা মানুষের মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়। এমনটা কেউই অস্বীকার করতে পারে না। পৃথিবীতে ঈশ্বরের মহান শক্তির কারণেই, তাঁর কাজটি বর্তমানে এই লাম্পট্য-কলুষিত দেশের মানুষের মধ্যে এমন এক সীমায় পৌঁছতে পেরেছে। অন্য মানুষদের এই বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী করে তোলার উদ্দেশ্যে এই কাজের ফলটিকে যেকোনো জায়গায় স্থানান্তরিত করা যাবে। কেউই এই বিষয়ে লঘুভাবে রায় দিতে, এবং এটিকে অস্বীকার করতে, স্পর্ধা রাখবে না।

পূর্ববর্তী: মুখবন্ধ

পরবর্তী: পথ … (২)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন