ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 135
বর্তমানে, বাস্তববাদী ঈশ্বর সম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান খুবই একপেশে, এবং ঈশ্বরের অবতাররূপ ধারণের তাৎপর্য সম্বন্ধে তাদের উপলব্ধি এখনও অতীব নগণ্য।...
ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য যারা আকুলভাবে অপেক্ষা করছেন তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই!
বহু সহস্রাব্দ ধরে মানুষ পরিত্রাতার আগমন প্রত্যক্ষ করার জন্য অপেক্ষা করেছে। যারা হাজার হাজার বছর ধরে পরিত্রাতা যীশুর আগমনের জন্য আকুল হয়ে আছে, তাঁর আকাঙ্ক্ষা করেছে, তাদের মাঝে তাঁর সশরীরে সাদা মেঘে চড়ে অবতীর্ণ হওয়াকে মানুষ চাক্ষুষ দেখবে বলে অপেক্ষা করেছে। মানুষ পরিত্রাতার প্রত্যাবর্তন এবং তাদের সঙ্গে পুনর্মিলনের অপেক্ষা করেছে; অর্থাৎ পরিত্রাতা যীশুর জন্য অপেক্ষা করেছে, যিনি হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা চায়, তিনি ফিরে আসুন এবং আরও একবার মুক্তির কার্য নির্বাহ করুন, যেমনটা তিনি ইহুদীদের মধ্যে করেছিলেন, মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং প্রেমময় হোন, মানুষের পাপ ক্ষমা করুন এবং বহন করুন, এমনকি মানুষের অধর্ম নিজস্কন্ধে বহন করে মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করুন। মানুষ চায়, পরিত্রাতা যীশু আগের মতোই হোন—একজন পরিত্রাতা যিনি প্রেমময়, সদয় এবং শ্রদ্ধেয়, যিনি কখনো মানুষের প্রতি ক্রোধান্বিত হন না, যিনি কখনো মানুষকে ভর্ৎসনা করেন না, বরং তাদের পাপ ক্ষমা করেন এবং গ্রহণ করেন, এমনকি যিনি গতবারের মতোই এবারও মানুষের জন্য ক্রুশের উপর মৃত্যুবরণ করবেন। যেসব শিষ্যরা তাঁকে অনুসরণ করেছিল, এমনকি যেসব সন্ত তাঁর নামে রক্ষা পেয়েছিল, যীশুর প্রস্থানের পর থেকেই তারা সকলে তাঁর জন্য নিদারুণ শোকগ্রস্ত হয়ে আছে এবং অধীরভাবে তাঁর অপেক্ষা করছে। অনুগ্রহের যুগে যারা যীশু খ্রীষ্টের করুণায় পরিত্রাণ পেয়েছিল, তারা সকলেই অন্তিম সময়ের সেই আনন্দময় দিনটির জন্য অপেক্ষা করছে, যেদিন পরিত্রাতা যীশু সাদা মেঘে চড়ে সর্বসমক্ষে অবতীর্ণ হবেন। বলা বাহুল্য, আজকের দিনে যারা পরিত্রাতা যীশুর নাম গ্রহণ করছে, এটি তাদের সকলেরও সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যারাই পরিত্রাতা যীশুর পরিত্রাণের কথা জানে, তারা সকলেই অধীরভাবে প্রতীক্ষা করছে, কখন যীশু অকস্মাৎ আবির্ভূত হবেন এবং পূর্ণ করবেন পৃথিবীতে থাকাকালীন তাঁর বলা বাক্য: “আমি যেমন প্রস্থান করেছি, তেমনভাবেই আগমন করব”। মানুষ বিশ্বাস করে, ক্রুশবিদ্ধ হওয়া এবং পুনরাবির্ভূত হওয়ার পর যীশু একটি সাদা মেঘে চড়ে স্বর্গে প্রত্যাবর্তন করেন এবং পরমেশ্বরের ডান পাশে তাঁর স্থান গ্রহণ করেন। একইভাবে, যীশু পুনরায় একটি সাদা মেঘে চড়ে (এখানে বলা হচ্ছে সেই মেঘের কথা, যা চড়ে তিনি স্বর্গে ফিরে গিয়েছিলেন), যারা হাজার হাজার বছর ধরে অধীরভাবে তাঁর প্রতীক্ষা করেছে, তাদের মধ্যে ফিরে আসবেন, এবং তিনি ইহুদীদের বেশভূষা ও রূপ ধারণ করবেন। মানুষের কাছে আবির্ভূত হওয়ার পর, তিনি তাদের খাদ্য দেবেন, তাদের জন্য সজীব জল প্রবাহিত করবেন, এবং মানুষের মাঝেই করুণা ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ, প্রাণবন্ত এবং বাস্তব জীবনযাপন করবেন। এগুলি সবই মানুষের বিশ্বাসজাত ধারণা। কিন্তু পরিত্রাতা যীশু এসবের কিছুই করলেন না; তিনি মানুষের কল্পনার সম্পূর্ণ বিপরীত কার্য করলেন। যারা তাঁর প্রত্যাবর্তনের জন্য অধীরভাবে প্রতীক্ষা করেছিল, তিনি তাদের মাঝে এলেন না, এবং সাদা মেঘে চড়ে সব মানুষের সামনে আবির্ভূতও হলেন না। ইতিমধ্যেই তাঁর আগমন ঘটেছে, কিন্তু মানুষ তা জানে না, এবং অজ্ঞ হয়ে আছে। মানুষ নিতান্ত লক্ষ্যহীনভাবে তাঁর অপেক্ষা করছে, এ কথা না জেনে যে, তিনি ইতিমধ্যেই একটি “সাদা মেঘে” চড়ে অবতীর্ণ হয়েছেন (এই মেঘ তাঁর আত্মা, তাঁর বাক্য, তাঁর স্বভাব এবং তাঁর সম্পূর্ণ সত্তা), এবং বর্তমানে একদল মানুষের সঙ্গে আছেন, যাদের তিনি অন্তিম সময়ে জয়ী করবেন। মানুষ জানে না: পবিত্র পরিত্রাতা যীশুর তাদের প্রতি যতই স্নেহ ও ভালোবাসা থাকুক না কেন, তিনি কীভাবে কলুষিত ও অপবিত্র আত্মা-অধ্যুষিত “মন্দিরে” কাজ করতে পারেন? যদিও মানুষ তাঁর আগমনের প্রতীক্ষা করছে, তবু যারা অধার্মিকের মাংস ভক্ষণ করে, অধার্মিকের রক্ত পান করে, অধার্মিকের বেশভূষা পরিধান করে, যারা তাঁকে বিশ্বাস করে অথচ তাঁকে জানে না, এবং যারা ক্রমাগত তাঁর উপর জোরজুলুম করে, তাদের কাছে তিনি কীভাবে আবির্ভূত হবেন? মানুষ কেবল এইটুকু জানে যে, পরিত্রাতা যীশু প্রেমে পরিপূর্ণ ও সহানুভূতিতে উচ্ছ্বসিত, এবং তিনিই মুক্তিতে পূর্ণ পাপস্খালনের বলি। তথাপি, মানুষের কোনো ধারণা নেই যে তিনিই স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি ন্যায়পরায়ণতা, মহিমা, ক্রোধ, ও বিচারবোধে পরিপূর্ণ, কর্তৃত্বের অধিকারী, এবং মর্যাদায় পূর্ণ। অতএব, মানুষ যতই সাগ্রহে মুক্তিদাতার প্রত্যাবর্তন কামনা করুক, এমনকী তাদের প্রার্থনা যদি “স্বর্গ”-কেও আন্দোলিত করে, যারা পরিত্রাতা যীশুকে বিশ্বাস করে অথচ জানে না, তাদের সামনে তিনি আবির্ভূত হন না।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিত্রাতা ইতিমধ্যেই একটি “সাদা মেঘে” চড়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
বর্তমানে, বাস্তববাদী ঈশ্বর সম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান খুবই একপেশে, এবং ঈশ্বরের অবতাররূপ ধারণের তাৎপর্য সম্বন্ধে তাদের উপলব্ধি এখনও অতীব নগণ্য।...
অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতার প্রধানত এসেছেন তাঁর বাক্য বলতে, মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুর ব্যাখ্যা করতে, মানুষের কীসে প্রবেশ করা উচিত...
যে কর্তব্যগুলি মানুষের সম্পাদন করা উচিৎ তা তারা অবশ্যই পালন করবে। এটাই মানুষের মেনে চলা উচিৎ, আর এটাই মানুষের সম্পাদন করা উচিৎ। পবিত্র...
যদি অন্তিম সময়ে পরিত্রাতার আগমন হতো, এবং তখনও তাঁকে যীশু নামে ডাকা হতো, যদি তিনি পুনরায় যিহুদীয়ায় জন্মগ্রহণ করতেন, এবং সেখানে কার্যনির্বাহ...