অনুশীলন (৮)
তোমরা এখনও সত্যের বিভিন্ন দিক উপলব্ধি করো না, এবং তোমাদের অনুশীলনে এখনও বেশ কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গিয়েছে; বিভিন্ন ক্ষেত্রে তোমরা নিজেদের পূর্বধারণা ও কল্পনাই অনুসরণ করো, সদাই অক্ষম থাকো অনুশীলনের নীতিগুলির উপলব্ধিতে। এইভাবে, মানুষকে এখনও সঠিক পথে প্রবেশে নির্দেশিত করা প্রয়োজন; অন্য কথায়, যাতে তারা নিজেদের মানবীয় ও আধ্যাত্মিক জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়, উভয় দিকেরই অনুশীলন করতে পারে, এবং যাতে তাদের ঘন ঘন সমর্থনের কিংবা পথ প্রদর্শনের প্রয়োজন না হয়। শুধুমাত্র তখনই তারা প্রকৃতও আত্মিক উচ্চতার অধিকারী হবে। এবং ভবিষ্যতে যদি তোমায় পথনির্দেশ করার মতো কেউ না-ও থাকে, তুমি নিজেই অনুভবে সক্ষম হবে। আজ, তুমি যদি সত্যের কোন দিকগুলি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনগুলি নয় তা উপলব্ধি করতে পারো, তাহলে ভবিষ্যতে তুমি বাস্তবিকতায় প্রবেশ করতে সক্ষম হবে। আজ, তোমাদের সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যাতে তোমরা বহু সত্য উপলব্ধি করতে পারো, এবং ভবিষ্যতে, তুমি আরও গভীরে যেতে সক্ষম হবে। বলা যেতে পারে যে, মানুষকে এখন যা উপলব্ধি করানো হচ্ছে, তা-ই হল বিশুদ্ধতম উপায়—এবং একদিন যখন তোমাকে পথে দেখাবার কেউ থাকবে না, সেদিন তুমি সকল পথের মধ্যে বিশুদ্ধতম পথটি অনুসারেই অনুশীলন করবে ও আরও গভীরে এগিয়ে যাবে। আজ, মানুষকে কোন ধরনের অনুশীলনগুলি সঠিক এবং কোনগুলি বিচ্যুতিপূর্ণ তা উপলব্ধি করানো হচ্ছে। এইগুলি উপলব্ধি করার পর, ভবিষ্যতে, তাদের অভিজ্ঞতা গভীরতর হবে। আজ, তোমাদের অনুশীলনে থাকা যে ধারণা, কল্পনা ও বিচ্যুতিগুলিকে বাতিল করা হচ্ছে, এবং তোমাদের কাছে অনুশীলনের ও প্রবেশের পথ প্রকাশ করা হচ্ছে, এর পর, কার্যের এই পর্যায়টি সমাপ্ত হবে, এবং মানুষের যে পথে হাঁটা উচিত, সেই পথে চলা শুরু করবে তোমরা। তারপর, আমার কার্য সমাপ্ত হবে, এবং সেই মুহূর্ত থেকেই, তোমরা আর আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে না। আজ, তোমাদের আত্মিক উচ্চতা এখনও স্বল্প। মানুষের প্রকৃতি ও সারমর্ম থেকে এখনও বহুবিধ সমস্যা উদ্ভূত হয়, এবং সেহেতু, এখনও বহু বদ্ধমূল বিষয়আশয় রয়েছে যেগুলি উৎখাত করতে হবে। তোমরা মানুষের প্রকৃতি ও সারমর্মের অনুপুঙ্খগুলি উপলব্ধি করো না, তোমাদের এখনও আমাকে প্রয়োজন সেগুলির দেখিয়ে দেওয়ার জন্য, অন্যথায়, তোমরা সেগুলি চিনতে পারবে না। একটা নির্দিষ্ট সময়ে, যখন তোমাদের রক্তে ও অস্থিমজ্জায় থাকা বিষয়গুলি অনাবৃত হবে, তাকে বলা হয় শাস্তি এবং বিচার। আমার কার্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হলে তবেই আমি তা শেষ করতে পারব। তোমাদের ভ্রষ্ট সারমর্ম যত প্রকটভাবে অনাবৃত হবে, তোমরা তত বেশি জ্ঞানের অধিকারী হবে, এবং তোমাদের ভবিষ্যত সাক্ষ্যের আর নিখুঁত হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও তা হবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শাস্তি ও বিচারের কাজটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সম্পন্ন হলে তবেই আমার কার্য সম্পূর্ণ হবে এবং তোমরা আমাকে আমার শাস্তি ও বিচার থেকে জানতে পারবে। তোমরা যে শুধু আমার স্বভাব ও ন্যায়পরায়ণতাই জানতে পারবে তা নয়, যা আরও জরুরি তা হল, তোমরা আমার শাস্তি ও বিচারকে জানবে। তোমাদের মধ্যে অনেকেরই আমার কার্যের নবত্ব ও বিশদ স্তর সম্পর্কে প্রবল সব ধারণা রয়েছে। সে যা-ই হোক, তোমাদের দেখতে হবে যে আমার কার্য নতুন এবং বিস্তারিত, এবং দেখতে হবে যে আমি তোমাদের হাতে ধরে সামনাসামনি অনুশীলন করতে শেখাই। শুধুমাত্র এটিই তোমাদের অনুশীলনের পক্ষে এবং ভবিষ্যতে তোমাদের অবিচল থাকার ক্ষমতার জন্য উপকারী, অন্যথায়, তোমরা হয়ে উঠবে হেমন্তের ঝড়ে পড়া বিবর্ণ, বিশুষ্ক পাতার মতো, যার মূল্য কানাকড়িও নয়। তোমাদের জানা উচিত যে, আমি তোমাদের হৃদয়ের ও অন্তরাত্মার সবকিছুই জানি; এবং তোমাদের এ-ও জানা উচিত যে, আমি যে কার্য সম্পাদন করি ও যে বাক্যগুলি উচ্চারণ করি, সেগুলি পরম নিগূঢ়। তোমাদের স্বভাব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে, এইভাবেই তোমাদের পরিচালিত হওয়া উচিত। শুধুমাত্র এইভাবেই আমার শাস্তি ও বিচার সম্পর্কে তোমাদের জ্ঞান স্পষ্টতর হবে, এবং আজ না হোক কাল তোমরা জানবেই। সৃষ্ট যেকোন সত্তা আমার শাস্তি এবং বিচারের বাক্যের মধ্যেই পতিত হবে, কারণ আমি আমার প্রতি কারও বিরোধিতা সহ্য করি না।
তোমাদের সকলকে তোমাদের নিজ নিজ জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতে হবে। তোমরা প্রতিটি দিনকে নিজেদের ইচ্ছামতো গুছিয়ে নিতে পারো; তোময়া তোমাদের যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারো; পারো ঈশ্বরের বাক্য পাঠ করতে, স্তোত্র বা উপদেশ শুনতে পারো, কিংবা ভক্তিমূলক সূত্র লিখতে পারো; এবং তা যদি তোমার আগ্রহ জাগায়, তবে তুমি কোনো স্তোত্র রচনাও করতে পারো। এই সবগুলিই কি এক উপযুক্ত জীবন গঠন করে না? এই সবগুলিরই কিন্তু এক মানবোচিত জীবন গঠন করা উচিত। মানুষের উচিত স্বাভাবিকভাবে বাঁচা; যখন তারা তাদের স্বাভাবিক মানবতা এবং তাদের আধ্যাত্মিক জীবনে ফল লাভ করে, কেবলমাত্র তখনই তারা স্বাভাবিক জীবনে প্রবেশ করেছে বলে মনে করা যেতে পারে। আজ, তোমার অন্তর্দৃষ্টির ও যুক্তিবোধের অভাব শুধুমাত্র যে মানবতার পরিসরেই রয়েছে, এমনটা নয়। আরও বহুবিধ জ্ঞাতব্য দর্শন রয়েছে যা তোমাদের থাকতে হবে, এবং যে পাঠের সম্মুখীনই তুমি হও না কেন, তোমাকে তা শিখতে হবে; তোমাকে অবশ্যই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হতে হবে। নিজের শিক্ষার স্তরকে উন্নত করাকে ফলপ্রসূ হতে হলে, তা হতে হবে দীর্ঘমেয়াদি। স্বাভাবিক মানবসুলভ জীবনের জন্য তোমার নিজেকে অবশ্যই কিছু কিছু বিষয় দ্বারা প্রস্তুত হতে হবে, এবং নিজের জীবনে প্রবেশকেও তোমায় অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে। আজ, তুমি ঈশ্বরের অনেক বাক্যই উপলব্ধি করতে পেরেছ—আগে যেগুলি উপলব্ধি করতে পারোনি সেগুলি এখন আবারো পাঠ করছ, এবং তোমার হৃদয়ও আরো বেশি অবিচল হয়ে উঠেছে। এগুলিও তোমার অর্জিত ফলাফল। যেদিনই তুমি ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করো এবং তোমার অন্তরে সামান্য উপলব্ধিও যদি হয়, তুমি তা ব্রাদার-সিস্টারদের সাথে অবাধে ভাগ বিনিময় করতে পারো। তোমার জীবন কি এমনই হওয়া উচিত নয়? কখনও কখনও, কিছু কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, কিংবা তুমি কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করো, এবং তা তোমার বিচক্ষণতাকে আরও শানিয়ে তোলে, তোমাকে আরও অন্তর্দৃষ্টি ও প্রজ্ঞা দেয়, তুমি কিছু কিছু সত্য উপলব্ধি করতে পারো—এবং তা-ই কি আজকের কথিত আধ্যাত্মিক জীবনের মধ্যে যা নিহিত রয়েছে, তা নয়? আধ্যাত্মিক জীবনের একটা দিকেরই অনুশীলন করাটা গ্রহণযোগ্য নয়; ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান, প্রার্থনা ও স্তব গান করা—এই সব নিয়েই আধ্যাত্মিক জীবন গঠিত, এবং যখন তুমি আধ্যাত্মিক জীবনের অধিকারী হও, তখন তোমার অবশ্যই স্বাভাবিক মানবতাও থাকে। আজকের বাক্যগুলি অনেকাংশেই মানুষকে যুক্তিবোধ ও অন্তর্দৃষ্টি দেওয়ার লক্ষ্যে বলা হয়েছে, যাতে তারা স্বাভাবিক মানবতা-সম্পন্ন জীবনের অধিকারী হয়। অন্তর্দৃষ্টি থাকার অর্থ কী; স্বাভাবিক আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক থাকার মানে কী; মানুষের সঙ্গে তোমার কীভাবে আলাপচারিতা করা উচিত—ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করার মধ্য দিয়ে তোমাকে এই বিষয়গুলি দ্বারা প্রস্তুত হবে, এবং তোমার যা প্রয়োজন তা স্বাভাবিক মানবতার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব। যাকিছু দ্বারা প্রস্তুত হতে হবে, তা দ্বারা প্রস্তুত হও, এবং যা যথাযথ তা অতিক্রম কোরো না; কিছু কিছু মানুষ তাদের শব্দভাণ্ডার থেকে সবরকমের শব্দ ব্যবহার করে নিজেদের আকর্ষণীয়তা প্রদর্শন করে। আবার কিছু কিছু মানুষ সবরকমের বইপত্র পাঠ করার মধ্য দিয়ে দৈহিক কামনা-বাসনা চরিতার্থ করে। এমনকি তারা বিশ্বের তথাকথিত মহান ব্যক্তিদের জীবনী এবং উদ্ধৃতিগুলি অধ্যয়ন করে, অনুকরণ করে, এবং অশ্লীল বই পড়ে—যা কিনা আরও হাস্যকর! এই ধরনের মানুষ জীবনে প্রবেশের পথই জানে না, ঈশ্বরের বর্তমানের কাজ সম্পর্কে তো তারা আরোই জানে না। প্রতিটি দিন যে কীভাবে অতিবাহিত করতে হয়, তা-ও তারা জানে না। এমনই শূন্য তাদের জীবন! তারা যে কোথায় প্রবেশ করবে সে সম্পর্কে তারা সম্পূর্ণই অজ্ঞ। তারা শুধু জানে কথা বলতে আর অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে, যেন-বা কথা বলাটা তাদের নিজস্ব প্রবেশের বিকল্প হতে পারে। এদের কি কোনোই লজ্জা নেই? এরাই হল সেই মানুষ যারা কীভাবে বাঁচতে হয় জানে না, যাদের মানবজীবনের উপলব্ধি নেই; সারাটা দিন তারা কাটিয়ে দেয় খাদ্য গলধঃকরণ আর নিরর্থক অকাজ করে-করেই—এভাবে বেঁচে থেকে লাভ কী? আমি দেখেছি যে, অনেকের ক্ষেত্রেই, কাজ করা, খাওয়া-দাওয়া এবং পোশাক-আশাক পরিধান ছাড়া তাদের মহামূল্যবান সময়টা জুড়ে থাকে শুধু অর্থহীন বিষয়-আশয়—তা ঠাট্টা-তামাশা আর নিরর্থক মজা করাই হোক, পরচর্চা করাই হোক, কিংবা সারাটা দিন ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেওয়াই হোক। এ কি কোনো সন্তের জীবন? এ কি একজন স্বাভাবিক মানুষের জীবন? এমন এক জীবন—যা হীন, পশ্চাদগামী এবং নিস্পৃহ—তা কি তোমায় নিখুঁত করে তুলতে পারে? তুমি কি এখনও নেহাতই শয়তানের কাছে হেরে যেতে ইচ্ছুক? মানুষের জীবন যখন অত্যন্ত সহজ হয়ে ওঠে, তাদের আশেপাশে যখন কোনো কষ্টই থাকে না, তখন তারা অভিজ্ঞতা লাভে অক্ষম হয়। আরামপ্রদ পরিবেশে, মানুষের পক্ষে উচ্ছন্নে যাওয়াটা সহজ—কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশ তোমায় আরও সনির্বন্ধ তৎপরতা সহযোগে প্রার্থনা করায়, যাতে তুমি ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করার স্পর্ধা না রাখো। মানুষের জীবন যত সহজ ও নিস্তেজ হয়, ততই তারা অনুভব করে যে, বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই, এবং তারা এমনকি এ-ও অনুভব করে যে, মরে যাওয়াটাই বেশি ভালো। কলুষিত মানুষের দেহ এমনই; পরীক্ষার মুখে ফেলে অনাবৃত করলে তবেই তাদের উপকার হয়।
যীশুর কার্যের সেই পর্যায়টি সংঘটিত হয়েছিল যিহুদীয়া এবং গালীলে এবং অইহুদিরা সে সম্পর্কে সচেতন ছিলো না। তাঁর কাজটি ছিল অত্যন্ত গোপনীয় এবং ইসরায়েল ব্যতীত অন্য কোনো দেশ এটি সম্পর্কে অবগত ছিল না। শুধুমাত্র যখন যীশু তাঁর কাজ শেষ করেন এবং তা এক হট্টগোল সৃষ্টি করে, তখন মানুষ তা জানতে পারে, এবং সেই সময় তিনি প্রস্থান করেছিলেন। যীশুর আগমন ঘটেছিল কাজের এক পর্যায় সম্পাদন করার জন্য, তিনি কিছু কিছু মানুষকে অর্জন করেছিলেন এবং কাজের একটি পর্যায় সম্পূর্ণ করেছিলেন। ঈশ্বর কার্যের যে পর্যায়ই সম্পাদন করুন না কেন, তাঁর অনেক অনুগামী থাকে। যদি তা কেবলমাত্র স্বয়ং ঈশ্বরের দ্বারাই সম্পাদিত হতো, তাহলে তা অর্থহীন হতো; এমন কিছু কিছু মানুষকে অবশ্যই থাকতে হবে, যারা ঈশ্বর সেই পর্যায়ের কার্য একেবারে শেষ অবধি সম্পাদন করা অবধি তাঁকে অনুসরণ করবে। যখন স্বয়ং ঈশ্বরের কার্য সমাপ্ত হয়, তখনই মানুষ ঈশ্বরের অর্পিত কার্য সম্পাদন করতে শুরু করে, এবং তখনই ঈশ্বরের কার্য বিস্তারলাভ করতে শুরু করে। ঈশ্বর শুধুমাত্র একটি নতুন যুগের সূচনা করার কার্য করেন; মানুষের কাজ হল তা অব্যাহত রাখা। সুতরাং, আজকের কার্য দীর্ঘস্থায়ী হবে না; মানুষের সাথে আমার জীবন আর খুব বেশি দিন অব্যাহত রইবে না। আমি কেবল আমার কার্য সম্পূর্ণ করি, এবং তোমাদের পালনীয় কর্তব্য তোমাদের দিয়ে পালন করাই, যাতে এই কার্য এবং এই সুসমাচার যত দ্রুত সম্ভব অইহুদি এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে—কেবলমাত্র এইভাবেই তোমরা মানুষ হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারো। আজকের সময়টা সর্বাধিক মূল্যবান। তা উপেক্ষা করলে তুমি মূর্খ; যদি, এই পরিবেশে, তুমি এই বাক্যগুলি ভোজন ও পান করো এবং এই কার্যের অভিজ্ঞতা লাভ করো, তা সত্ত্বেও যদি তোমার মধ্যে সত্য অনুসরণ করার সংকল্পের অভাব থেকে যায় এবং তোমার যদি ভার হনের সামান্যতম বোধও না থাকে—তাহলে তোমার ভবিষ্যতের কী হবে? তোমার মত একজন মানুষ কি বহিষ্কৃত হওয়ার যোগ্য নয়?