অধ্যায় ৪৬

আমার বাক্যসমূহকে তাদের অস্তিত্বের ভিত্তিতে পরিণত করার কাজে মানুষ কতখানি সাফল্যলাভ করছে তা আমার জানা নেই। মানুষের অদৃষ্টের বিষয়ে সততই আমি উদ্বিগ্ন বোধ করেছি, তথাপি এ সম্পর্কে মানুষের কোনো বোধ আছে বলে মনে হয় না—ফলস্বরূপ, আমার কার্যকলাপের দিকে কখনো তারা কোনো ভ্রূক্ষেপ করেনি, এবং তাদের প্রতি আমার মনোভাবের দরুন আমার সম্বন্ধে কোনো সপ্রেম শ্রদ্ধাবোধ তাদের মধ্যে কখনো বিকশিত হয়ে ওঠেনি। মনে হয় বুঝি আমার হৃদয়কে সন্তুষ্ট করতে বহুপূর্বেই তারা আবেগমোচন করেছিল। এহেন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে, আরেকবার আমি নীরব হয়ে যাই। আমার বাক্যসমূহ কেন মানুষের বিবেচনার, কেন আরো দূর অবধি প্রবেশের যোগ্য নয়? তা কি এই কারণে যে আমার কোনো বাস্তবিকতা নেই এবং মানুষের বিরুদ্ধে প্রয়োগযোগ্য কিছু খুঁজে পেতে আমি প্রয়াসী? মানুষ সর্বদাই আমায় “বিশেষ খাতিরযত্ন” প্রদান করে কেন? আমি কি তার নিজস্ব বিশেষ ওয়ার্ডে ভর্তি কোনো পঙ্গু ব্যক্তি? আজ পরিস্থিতি যখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখন মানুষ এখনো আমায় কেন অন্য নজরে দেখে? মানুষের প্রতি আমার মনোভঙ্গিতে কি কোনো ত্রুটি রয়েছে? আজ, ব্রহ্মাণ্ডের ঊর্ধ্বে আমি নবকার্যের সূত্রপাত করেছি। ধরাধামের মানুষকে এক নতুন সূচনা প্রদান করেছি, এবং তাদের সকলকে আমার বাসগৃহ পরিত্যাগ করতে বলেছি। এবং মানুষ সততই যেহেতু নিজেদের ভোগবাসনা চরিতার্থ করতে পছন্দ করে, সেহেতু আমি তাদের আত্মসচেতন হওয়ার, এবং আমার কার্যকে সর্বদাই বিঘ্নিত না করার পরামর্শ দিই। আমার স্থাপিত “অতিথিশালায়” মানুষের অধিক ঘৃণার্হ আর কিছু নেই, কারণ মানুষ নিয়তই আমায় সমস্যায় ফেলে ও হতাশ করে। তাদের আচরণ আমায় কলঙ্কিত করে এবং কখনো আমি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারিনি। সেকারণেই, আমি শান্তভাবে তাদের যত শীঘ্র সম্ভব আমার গৃহ পরিত্যাগ করতে এবং বিনামূল্যে আমার অন্নধ্বংস করা বন্ধ করতে বলি। যদি তারা থাকতে চায়, তবে অবশ্যই তাদের যন্ত্রণাভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং আমার শাস্তি সহ্য করতে হবে। তারা ভাবে যে তাদের কাজকর্ম বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ অনবহিত ও অবিদিত, এবং সেকারণেই অধঃপতনের কোনো চিহ্ন ব্যতিরেকে সর্বদাই গর্বিতবদনে তারা আমার সম্মুখে এসে দাঁড়িয়েছে, নিছক সংখ্যাবর্ধনের নিমিত্ত মনুষ্যগুণসম্পন্ন হওয়ার ভান করেছে। মানুষের কাছে আমি যখন চাহিদা জ্ঞাপন করি, তখন তারা বিস্মিত হয়: তারা কদাপি চিন্তাও করেনি যে, এত বৎসরব্যাপী যে ঈশ্বর সদয় ও দয়ালু ছিলেন, তিনি কখনো এহেন বাক্য, এমন হৃদয়হীন ও অযৌক্তিক বাক্য, উচ্চারণ করতে পারেন, এবং সেহেতু তারা হতবাক হয়ে পড়ে। এমন সময়কালেই, আমি লক্ষ্য করি যে মানুষের হৃদয়ে আমার প্রতি ঘৃণাবোধ আরেকবার বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে, কারণ পুনরায় তারা অনুযোগের কার্য শুরু করেছে। নিয়তই তারা মর্ত্যের বিরুদ্ধে কটুকাটব্য করে ও স্বর্গকে অভিসম্পাত দেয়। অথচ তাদের বাক্যে নিজেদের শাপান্তকারী কোনোকিছু আমি লক্ষ্য করি না, কারণ তাদের আত্মপ্রেম অত্যধিক। অতএব, মানবজীবনের অর্থের আমি সারসংক্ষেপ করি: মানুষ নিজেদের অত্যধিক ভালোবাসে বলে তাদের সমগ্র জীবনটাই যন্ত্রণাক্লিষ্ট ও অন্তঃসারশূন্য, এবং আমার প্রতি তাদের ঘৃণার কারণে তারা নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনে।

মানুষের কথায় যদিও আমার প্রতি অব্যক্ত “প্রেম” নিহিত রয়েছে, কিন্তু যাচাইয়ের নিমিত্ত এই কথাগুলি যখন আমি “পরীক্ষাগার”-এ নিয়ে গিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে নিরীক্ষণ করি, তখন সেগুলির অভ্যন্তরস্থ সমস্তকিছু সুস্পষ্টরূপে উদ্ঘাটিত হয়। এক্ষণে, মানুষকে তাদের “চিকিৎসাসংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি” দেখার সুযোগ দিতে আরেকবার আমি তাদের মাঝে আসি, যাতে তারা অন্তর থেকে প্রতীত হতে পারে। সেগুলি দেখার পর মানুষের মুখমণ্ডল বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, স্বীয় অন্তরে তারা অনুতাপ বোধ করে, এমনকি এতোটাই শঙ্কাকুল হয়ে পড়ে যে আমার সন্তোষবিধানের মানসে তৎক্ষণাৎ তাদের মন্দ জীবনরীতি পরিত্যাগ করে তারা সঠিক পন্থায় প্রত্যাবর্তন করতে অধীর হয়ে ওঠে। তাদের এই সংকল্প দেখে আমি নিরতিশয় পুলকিত হই; আনন্দে অভিভূত হয়ে পড়ি: “ধরাধামে, মানুষ ছাড়া কে-ই বা আর সুখ-দুঃখ-যন্ত্রণা আমার সাথে ভাগ করে নিতে পারে? একমাত্র মানুষই কি একাজে সক্ষম নয়?” তথাপি আমার প্রস্থানমাত্র মানুষ নিজেদের চিকিৎসাসংক্রান্ত কাগজপত্রগুলি ছিন্ন করে মেঝেতে নিক্ষেপ করে, তারপর সদর্পে নিষ্ক্রান্ত হয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে, মানুষের কাজকর্মের মধ্যে অতি অল্প বস্তুই আমি দেখেছি যা আমার ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। অথচ আমার সম্মুখে তাদের সংকল্পসমূহ প্রভূত পরিমাণে স্তূপীকৃত হয়েছে, এবং এই সংকল্পগুলির দিকে দৃকপাত করে আমি বিতৃষ্ণ বোধ করি, কারণ সেগুলির মধ্যে আমার উপভোগের নিমিত্ত তুলে ধরার যোগ্য কিছুই নেই; সেগুলি অতিমাত্রায় কলুষিত। তাদের সংকল্পের প্রতি আমার উপেক্ষা লক্ষ্য করে, মানুষ নিরুত্তাপ হয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে, কদাচিৎ-ই তারা কোনো “আবেদনপত্র” দাখিল করেছে, কারণ মানুষের হৃদয় কখনো আমার দ্বারা প্রশংসিত হয়নি, চিরকালই শুধু আমার প্রত্যাখ্যান লাভ করেছে—মানুষের জীবনে আর কোনো আধ্যাত্মিক অবলম্বন নেই, সেকারণেই তাদের উদ্দীপনা অন্তর্হিত হয়, এবং আবহাওয়াটি এখন আমার আর “দগ্ধকারী রকমের উত্তপ্ত” বলে বোধ হয় না। জীবনব্যাপী মানুষ এমনই ব্যাপক কষ্টভোগ করে যে, আজকের পরিস্থিতির আগমনের সাথেসাথে, আমার দ্বারা অমানুষিক “নিপীড়িত” হয়ে তারা ত্রিশঙ্কুর মতো জীবন-মৃত্যুর মধ্যিখানে ভাসমান থাকে। ফলস্বরূপ, তাদের মুখের জ্যোতি নিষ্প্রভ হয়ে আসে এবং নিজেদের “প্রাণোচ্ছলতা” তারা খুইয়ে ফেলে, কারণ তারা সকলেই “সাবালক হয়ে উঠেছে”। শাস্তিভোগকালে যখন তারা পরিমার্জিত হয় তখন মানুষের সকরুণ অবস্থা দেখে আমার কষ্ট হয়—তথাপি শোচনীয় পরাজয় থেকে কে-ই বা মানবজাতিকে পরিত্রাণ করতে পারে? দুর্বিষহ মানবজীবন থেকে তাদের উদ্ধার করতে কে-ই বা সক্ষম? যন্ত্রণাপারাবারের অতল থেকে নিজেদের বিমুক্ত করতে মানুষ সততই ব্যর্থ হয়েছে কেন? আমি কি সুচিন্তিতভাবে মানুষকে পাশবদ্ধ করি? আমার মেজাজমর্জি মানুষ কখনোই উপলব্ধি করেনি, এবং সেকারণেই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের উদ্দেশ্যে আমি বিলাপ করি যে আকাশ ও পৃথিবীর সমস্ত বস্তুর মধ্যে, কখনোই কোনোকিছু আমার অন্তরকে অনুধাবন করেনি, এবং কোনোকিছুই আমায় প্রকৃত অর্থে ভালোবাসে না। এমনকি আজও আমি জানিনা মানুষ কেন আমায় ভালোবাসতে অক্ষম। তারা আমায় তাদের হৃদয়দান করতে পারে, আমার নিমিত্ত নিজেদের নিয়তিকে বিসর্জন দিতেও সক্ষম, অথচ আমায় প্রেমদানে কেন তারা অপারগ? আমার যা কাঙ্ক্ষিত তারা কি তা-র অধিকারী নয়? মানুষ আমায় ব্যতিরেকে বাকি সমস্তকিছু ভালোবাসতে সক্ষম—তাহলে আমায় ভালোবাসতে কেন তারা অপারক? তাদের প্রেম সর্বদাই প্রচ্ছন্ন কেন? তারা যে অদ্যাবধি আমার সম্মুখে দণ্ডায়মান, অথচ কদাপি তাদের প্রেম প্রত্যক্ষ করিনি কেন? তা কি তাদের কোনো অপ্রতুলতা? পরিস্থিতিকে কি আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষের জন্য জটিল করে তুলছি? এখনো কি তাদের অন্তরে বিবেকবোধের অস্তিত্ব রয়েছে? অযোগ্য ব্যক্তির প্রতি প্রেমনিবেদন করে আত্মপ্রতিকারে ব্যর্থ হবে—এই আশঙ্কাতেই কি তারা শঙ্কিত? মনুষ্যমধ্যে অগণিত দুর্জ্ঞেয় রহস্য রয়েছে, এবং সেই হেতু মানুষের সম্মুখে নিয়তই আমি “ভীত ও সন্ত্রস্ত”।

আজ, রাজ্যের তোরণদ্বারের অভিমুখে অগ্রগমনকালে, সকল মানুষ দৃঢ়তা সহযোগে আগুয়ান হতে শুরু করে—কিন্তু তারা তোরণের সম্মুখে এসে উপনীত হলে, আমি তোরণদ্বার বন্ধ করে দিই, তাদের প্রবেশ রুদ্ধ করে প্রবেশপত্র প্রদর্শনের দাবি করি। এবম্বিধ অদ্ভুত এক পদক্ষেপ মানুষের প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত, এবং তারা সকলেই বিস্মিত। যে তোরণদ্বারটি সর্বদাই পূর্ণ অবারিত ছিল, আজ সহসাই তা এমন দৃঢ়ভাবে অবরুদ্ধ কেন? ভূমিতে সজোরে পদাঘাত করে মানুষ ইতস্তত পদচারণা করতে থাকে। তারা মনে করে যে কৌশলপ্রয়োগে ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে, কিন্তু তাদের নকল প্রবেশপত্রগুলি আমায় প্রদান করামাত্র আমি তৎক্ষণাৎ সেগুলি অগ্নিময় গহ্বরে নিক্ষেপ করি, এবং নিজেদের “অধ্যবসায়ী প্রচেষ্টা”-কে দগ্ধীভূত হতে দেখে তারা আশা হারিয়ে ফেলে। রাজ্যের অভ্যন্তরস্থ নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলী প্রত্যক্ষ করা সত্ত্বেও প্রবেশে অসমর্থ হয়ে, সাশ্রুলোচনে তারা আপন মস্তক আঁকড়ে ধরে। তথাপি তাদের শোচনীয় অবস্থার কারণে প্রবেশানুমতিদানে বিরত থাকি—যদৃচ্ছভাবে আমার পরিকল্পনাকে বিপর্যস্ত করে এমন সাধ্য কার? ভবিষ্যতের আশীর্বাদসমূহ কি মানুষের উদ্দীপনার বিনিময়ে প্রদত্ত হয়? ইচ্ছামতো আমার রাজ্যে প্রবেশের মধ্যেই কি মনুষ্য-অস্তিত্বের অর্থ নিহিত রয়েছে? আমি কি এতোই হীনগোত্রীয়? আমার রূঢ় বাক্যের অবর্তমানে মানুষ কি বহুপূর্বেই রাজ্যে প্রবেশ করতো না? সুতরাং, আমার অস্তিত্বের হেতু তাদের যাবতীয় বিব্রতাবস্থার কারণেই মানুষ আমায় ঘৃণা করে। আমার অবিদ্যমানতায় তারা উপস্থিত সময়েই রাজ্যের আশীর্বাদসমূহ উপভোগ করতে সক্ষম হতো—সেক্ষেত্রে এই যন্ত্রণাভোগের কি কোনো প্রয়োজন হতো? সেকারণেই মানুষকে আমি বলি যে তাদের প্রস্থান করাই শ্রেয়, সাম্প্রতিক অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করে নির্গমনের এক নিজস্ব পথ খুঁজে নেওয়াই তাদের পক্ষে বিধেয়; তাদের উচিত নবীন বয়সেই বর্তমান সময়ের সুযোগ নিয়ে কিছু দক্ষতা অর্জন করা। অন্যথায়, ভবিষ্যতে খুব বেশি বিলম্ব হয়ে যাবে। আমার গৃহে, কেউ কোনোদিন আশীর্বাদ লাভ করেনি। মানুষকে আমি সত্ত্বর প্রস্থান করতে বলি, “দারিদ্র্য”-ক্লিষ্ট জীবনযাপনে আশ্লিষ্ট হতে নিষেধ করি; আগামীতে অনুশোচনার পক্ষে বড়ো বেশি দেরি হয়ে যাবে। নিজের প্রতি কঠোর হোয়ো না; নিজের পরিস্থিতিকে কেন সঙ্কটাকীর্ণ করে তুলবে? তথাপি মানুষকে আমি এ-ও জানাই যে আশীর্বাদলাভে ব্যর্থ হলে কেউ যেন আমার সম্পর্কে অনুযোগ না করে। মানুষের সাথে বৃথা বাক্যব্যয় করার অবকাশ আমার নেই। আমার আশা মানুষের তা স্মরণে থাকবে, তারা তা বিস্মৃত হবে না—এই বাক্যসমূহ হল আমার প্রদত্ত অস্বস্তিকর সত্য। বহুপূর্বেই আমি মানুষের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছি এবং বহুপূর্বেই তাদের উপর আশা খুইয়ে ফেলেছি, কারণ তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব রয়েছে, তারা কখনোই আমায় এক ঈশ্বর-প্রেমী হৃদয় নিবেদনে সক্ষম হয়নি, পরিবর্তে সর্বদাই তাদের প্রণোদনা প্রদান করে। মানুষের উদ্দেশ্যে আমি প্রভূত বাক্য উচ্চারণ করেছি, কিন্তু যেহেতু আমার পরামর্শকে তারা আজও উপেক্ষা করে, সেহেতু ভবিষ্যতে আমার অন্তরকে যাতে ভুল না বোঝে তাই আমি তাদের স্বীয় অভিমত জ্ঞাপন করি; আগামীদিনে তারা বাঁচুক কি মরুক তা তাদের বিষয়; আমার এতে কোনো হাত নেই। আমার আশা তারা তাদের উদ্বর্তনের নিজস্ব পথ খুঁজে নেবে। এবিষয়ে আমি ক্ষমতাহীন। মানুষ প্রকৃত প্রস্তাবে আমায় ভালোবাসে না বলে, আমরা কেবল পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি মাত্র; ভবিষ্যতে, আমাদের মধ্যে আর কখনো কোনো বাক্যালাপ হবে না, আর কখনো আলাপচারিতা করার মতো আমাদের কিছু থাকবে না, একে অপরের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে আমরা দুজনেই নিজ-নিজ রাস্তায় চলবো, মানুষ যেন আমার সন্ধানে না আসে, এবং আমিও আর কখনো মানুষের “সহায়তা” প্রার্থনা করবো না। বিষয়টি আমাদের মধ্যে, এবং ভবিষ্যতে কোনো সমস্যার সম্ভাবনা এড়াতে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে আলাপআলোচনা করেছি। এতে কি বিষয়টি সহজতর হয় না? আমরা উভয়েই স্ব-স্ব পথে চলি এবং পরস্পরের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিনা—এতে সমস্যার কী আছে? আমার আশা এবিষয়ে মানুষ কিছুটা বিচারবিবেচনা করে দেখবে।

মে ২৮, ১৯৯২

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ৪৫

পরবর্তী: অধ্যায় ৪৭

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন