অধ্যায় ৪৪

আমার কার্যকে মানুষ সম্পূরক কোনো বস্তু বলে গণ্য করে; এর খাতিরে তারা আহার-নিদ্রা ত্যাগ করে না, ফলে মানুষের কাছে, আমার প্রতি তার মনোভঙ্গির সাথে মানানসই যথোচিত চাহিদাজ্ঞাপন করা ভিন্ন কোনো গত্যন্তর আমার নেই। আমার স্মরণ হয় যে একদা মানুষকে আমি প্রভূত অনুগ্রহ ও বিস্তর আশীর্বাদ প্রদান করেছিলাম, কিন্তু, সেগুলি ছিনিয়ে নেওয়ার পর, অবিলম্বে সে প্রস্থান করেছিল। মনে হচ্ছিল আমি সেগুলি বুঝি তাকে অচেতনভাবে প্রদান করেছিলাম। ফলত, মানুষ সততই আমায় তার নিজস্ব পূর্বধারণার মাধ্যমে ভালোবেসেছে। আমি চাই মানুষ প্রকৃত অর্থে আমায় ভালোবাসুক; যদিও এখনো মানুষ কালবিলম্ব করে, আমায় তাদের প্রকৃত ভালোবাসা প্রদানে অপারগ হয়। তাদের কল্পনায়, তারা বিশ্বাস করে যে আমায় প্রকৃত ভালোবাসা দিয়ে দিলে তাদের আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। আমি আপত্তি করলে তাদের সমগ্র শরীর কম্পিত হয়—তথাপি আমায় তাদের প্রকৃত ভালোবাসা প্রদানে তারা অনিচ্ছুকই রয়ে যায়। মনে হয় তারা বুঝি কোনোকিছুর জন্য অপেক্ষারত, সেকারণেই তারা সম্মুখপানে তাকায়, যা ঘটছে তা-র সত্যটি কখনো আমায় জ্ঞাপন করে না। মনে হয় বুঝি তাদের মুখ আঠালো কাগজের সাহায্যে সেঁটে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাই তাদের বচন ক্রমাগত স্খলিত হয়। মনে হয় মানুষের চোখে আমি যেন কোনো নির্মম পুঁজিপতিতে পরিণত হয়েছি। আমার সম্পর্কে মানুষ সর্বদাই ভীত: আমায় দেখামাত্র, তাদের পরিস্থিতির বিষয়ে কী প্রশ্ন করে বসবো তা ভেবে সন্ত্রস্ত হয়ে, তারা কোনো চিহ্ন অবধি না রেখে তারা অন্তর্হিত হয়। জানি না কেন মানুষ তাদের “স্বগ্রামের বাসিন্দা”-দের আন্তরিকভাবে ভালোবাসাতে সক্ষম, অথচ, আত্মায় অকপট এই যে আমি, সেই আমায় ভালোবাসতে অপারগ। সেকারণেই আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি: মানুষ নিয়তই কেন তাদের ভালোবাসা মনুষ্যজগতেই বিমুক্ত করে? আমি কেন মানবীয় প্রেমের আস্বাদন থেকে বঞ্চিত? তা কি আমি মনুষ্যজাতির কেউ নই বলে? মানুষ সততই আমায় পার্বত্যদেশ থেকে আগত কোনো বর্বর হিসাবে গণ্য করে। মনে হয় বুঝি কোনো স্বাভাবিক মনুষ্যসুলভ অঙ্গপ্রত্যঙ্গসকল আমার নেই, সেকারণেই আমার সম্মুখে মানুষ সর্বদাই এক উন্নত নৈতিকতার ছদ্ম স্বরভঙ্গি ধারণে প্রয়াসী হয়। প্রায়শই ভর্ৎসনামানসে আমায় তারা তাদের সমক্ষে টেনে নিয়ে যায়, কোনো প্রাক-বিদ্যালয় স্তরের শিশুজ্ঞানে আমায় তিরস্কার করে; আমার সম্মুখে মানুষ নিয়তই শিক্ষাদাতার ভূমিকা গ্রহণ করে, কারণ, তাদের স্মৃতিতে আমি এক বিচারবুদ্ধিরহিত অশিক্ষিত ব্যক্তি। তাদের ত্রুটিবিচ্যুতির কারণে মানুষকে আমি শাস্তি দিই না, বরং উপযুক্ত সহায়তাদান করি, তাদের নিয়মিত “অর্থনৈতিক আনুকূল্য” গ্রহণের সুযোগ দিই। যেহেতু মানুষ সর্বদা দুর্যোগের মধ্যে বাস করেছে এবং মুক্তিলাভ দুঃসাধ্য মনে করে, এবং, এই বিপর্যয়ের মাঝে, নিরন্তর সে আমায় আহ্বান করেছে, সেহেতু আমি তার হাতে “খাদ্যশস্যের যোগান” সময়নিষ্ঠভাবে পৌঁছে দিই, সমুদয় মানুষকে নতুন যুগের বৃহৎ পরিবারে বাস করার এবং এই বৃহৎ পরিবারের আন্তরিকতা অনুভবের সুযোগ দিই। মানুষের মাঝে কার্যটি পর্যবেক্ষণকালে আমি তার বহুবিধ ত্রুটি আবিষ্কার করি, এবং ফলস্বরূপ, তাকে সহায়তা প্রদান করি। এমনকি উপস্থিত সময়কালেও, মানুষের মাঝে এখনো ব্যতিক্রমী রকমের দারিদ্র্য রয়েছে, এবং সেকারণেই “দারিদ্র্যপীড়িত এলাকাসমূহে” আমি উপযুক্ত তত্ত্বাবধান প্রদান করেছি, তাদের দারিদ্র্যোত্তীর্ণ করেছি। এই উপায়েই আমি কার্যসাধন করি, সকল মানুষকে তাদের সাধ্যমতো আমার অনুগ্রহ উপভোগের সুযোগ দিই।

ধরাধামের মানুষ অচেতনভাবে শাস্তিভোগ করে, সেকারণেই আমার বৃহৎ হস্ত উন্মুক্ত করে আমি তাদের আমার পাশে টেনে আনি, ধরিত্রীবক্ষে আমার অনুগ্রহ উপভোগের সৌভাগ্যলাভের সুযোগ দিই তাদের। পৃথিবীর বুকে কোন বস্তুটি অন্তঃসারশূন্য ও মূল্যহীন নয়? মানবজগতের সর্বত্র আমি পরিভ্রমণ করি, এবং মানুষের দৃষ্টিসুখকর বিবিধ সুবিদিত স্মৃতিসৌধ ও প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী থাকলেও, যেখানেই আমি গমন করি তা বহুপূর্বেই তা প্রাণশক্তিবিবর্জিত হয়ে পড়েছে। কেবল তখনই পৃথিবীকে আমি অনালোকিত ও জনমানবশূন্য বোধ করি: ধরণীবক্ষ থেকে জীবন বহুপূর্বেই অন্তর্হিত হয়েছে। কেবলই মৃত্যুঘ্রাণ রয়েছে, সেকারণেই নিয়ত মানুষকে আহ্বান করে আমি সত্ত্বর এই যন্ত্রণাদীর্ণ ভূমি পরিত্যাগ করতে বলেছি। যা দেখি সকলই শূন্যতাময়। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আমি আমার মনোনীত ব্যক্তিদের অভিমুখে স্বীয় হস্ত-ধৃত জীবন সজোরে নিক্ষেপ করি; মুহূর্তমধ্যে, ভূখণ্ডের উপরিদেশে একফালি শ্যামলিমা পরিলক্ষিত হয়। মানুষ ধরাধামের প্রাণময় বস্তুসমূহের উপভোগে ইচ্ছুক, কিন্তু আমি এতে কোনো আনন্দ পাই না; মানুষ নিরন্তর ধরণীবক্ষের বস্তুসকলকে যত্নে আগলে রাখে, কখনোই সেগুলির অসারতা অনুভব করে না, সেই কারণেই, আজকের এই পর্যায়ে এসে উপনীত হওয়ার পরেও, এখনো তারা বিশ্বের প্রাণহীনতার কারণটি উপলব্ধিতে অপারগ। আজ, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডব্যাপী আমার পরিভ্রমণকালে, সকল মানুষ আমার অধিষ্ঠানস্থলের অনুগ্রহ উপভোগে সক্ষম, এবং তা তারা এক সম্পদরূপে ব্যবহার করে, কখনোই জীবনের উৎস অন্বেষণ করে না। আমার প্রদত্ত বস্তুগুলি তারা সকলেই সম্পদরূপে ব্যবহার করে, তথাপি তাদের কেউই প্রাণময়তার আদি কৃত্যটি সম্পাদনের চেষ্টা করে না। প্রাকৃতিক সম্পদসমূহের ব্যবহার বা বিকাশের বিধি তাদের অজ্ঞাত, এবং সেকারণেই তারা নিঃস্ব হয়ে পড়ে। মানুষের মাঝে আমি বসবাস করি, মানুষের মাঝে আমি জীবনধারণ করি, তথাপি মানুষ আজও আমায় জানে না। স্বভূমি থেকে এতো দূরে রয়েছি বলে মানুষ আমায় প্রভূত সহায়তা করেছে ঠিকই, তবু মনে হয় এখনো বুঝি আমি মানুষের সাথে যথার্থ বন্ধুত্বস্থাপন করে উঠতে পারিনি, এবং সেকারণেই আজো আমি মানবজগতের অবিচার অনুভব করি; আমার দৃষ্টিতে, এতদসত্ত্বেও, মানবজাতি অন্তঃসারশূন্য, এবং মানুষের মাঝে এমন কোনো গুপ্তধন নেই যা মূল্যবান। মানবজীবন সম্পর্কে মানুষের পরিপ্রেক্ষিত আমার অজ্ঞাত, কিন্তু, সংক্ষেপে, আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির সাথে “অন্তঃসারশূন্য” শব্দটি অবিচ্ছেদ্য। আশা রাখি, এর দরুন মানুষ আমায় মন্দ ভাববে না, কারণ আমি খুবই স্পষ্টবাদী, এবং শিষ্টাচারী হওয়ার চেষ্টা করি না। তবে, আমার চিন্তাভাবনার প্রতি মানুষকে আমি ঘনিষ্টতর মনোযোগ প্রদানের পরামর্শ দিই, কারণ আমার বাক্যসমূহ, তৎসত্ত্বেও, তাদের পক্ষে উপযোগী। “অন্তঃসারশূন্যতার”-র বিষয়ে মানুষের কী উপলব্ধি তা আমার জানা নেই। আমার আশা যে এই কার্যে তারা কিছুটা উদ্যম ব্যয় করবে। তারা যদি এক বাস্তববাদী উপায়ে মানবজীবনের অভিজ্ঞতা লাভ করে, এবং এর মধ্যে কোনো মূল্যবান “লুক্কায়িত আকরিক-শিরার” খোঁজ মেলে কি না তা অনুসন্ধান করে দেখে, তবে তাদের পক্ষে তা মঙ্গলকর হবে। মানুষের ইতিবাচকতাকে আমি হতোদ্যম করার চেষ্টা করছি না; আমি শুধু চাই আমার বাক্যসমূহ থেকে তারা কিছু জ্ঞান অর্জন করুক। মানবীয় বিষয়সমূহের স্বার্থে সর্বদাই আমি ইতস্তত ধাবিত হই, কিন্তু এখন, এই পরিস্থিতিতে, মানুষ এখনো ধন্যবাদজ্ঞাপক কোনো শব্দ উচ্চারণ করেনি, যেন-বা অতিব্যস্ততার কারণে তারা তা করতে ভুলে গিয়েছিল। এমনকি আজও আমি মানুষের এই নিরন্তর ছোটাছুটির ফলাফল উপলব্ধি করে উঠতে পারিনি। এমনকি আজও, মানুষের হৃদয়ে আমার কোনো স্থান নেই, এবং সেকারণেই, আরেকবার, আমি গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হই। আমি “মানুষ কেন প্রকৃত প্রস্তাবে আমায় ভালোবাসার মতো কোনো হৃদয়ের অধিকারী নয়” সে বিষয়ে গবেষণার কার্যে নিজেকে নিয়োজিত করতে শুরু করেছি। মানুষকে “অস্ত্রোপচারের টেবিলে” তুলে তার “হৃদয়” ব্যবচ্ছেদ করে আমি দেখবো কী তার হৃদয়ের পথ অবরুদ্ধ করে আমায় যথার্থরূপে ভালোবাসা থেকে তাকে নিবৃত্ত করছে। “ছুরি”-র প্রভাবে সজোরে চক্ষুনিমীলিত করে মানুষ আমার কার্যারম্ভের অপেক্ষা করে, কারণ সেক্ষণে সম্পূর্ণরূপে তারা বশ্যতাস্বীকার করেছে; তাদের হৃদয়ে আমি অন্য অনেক কলুষতা লক্ষ্য করি। এগুলির মধ্যে প্রধান হল মানুষের নিজস্ব বিষয়সকল। দৈহিকতার বহিঃস্থ কতিপয় বিষয় যদিও থাকতে পারে, কিন্তু দৈহিকতার অভ্যন্তরীন বিষয়গুলি সংখ্যায় অগণন। মনে হয় মানবহৃদয় বুঝি এক বৃহৎ গুদামঘর, ঐশ্বর্য ও নিত্যকালের প্রয়োজনীয় যাবতীয় সামগ্রীতে পরিপূর্ণ। কেবল এই মুহূর্তেই আমি উপলব্ধি করি মানুষ কেন আমার প্রতি কখনো কোনো বিবেচনা প্রদান করে না: এর কারণ তাদের যথেষ্ট পরিমাণে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা রয়েছে—আমার সহায়তায় তাদের কী প্রয়োজন? সুতরাং, আমি মানুষের কাছ থেকে প্রস্থান করি, কারণ আমার সাহায্য তাদের নিষ্প্রয়োজন; কেন-ই বা “নির্লজ্জের মতো আচরণ” করে আমি তাদের বিরক্তির উদ্রেক করবো?

কী জানি কেন, মানুষের মাঝে বাক্যালাপে তবুও আমি সততই ইচ্ছুক থেকেছি, যেন-বা নিজেকে নিবৃত্ত করতে আমি অপারগ। সেকারণেই, মানুষ আমায় অপদার্থ বিবেচনা করে, এবং আমার সাথে সদাই এমন আচরণ করে যেন-বা আমার মূল্য কানাকড়ি অপেক্ষাও অকিঞ্চিৎকর; আমায় তারা সম্মাননীয় গণ্য করে না। তারা আমায় লালন করে না, যখন ইচ্ছা হয় তখন আকর্ষণ করে আমায় বাড়িতে নিয়ে যায়, অতঃপর পুনরায় বাহিরে নিক্ষেপ করে, জনসমক্ষে তারা আমায় “অনাবৃত” করে। মানুষের কদর্য আচরণের প্রতি আমি চরম ঘৃণা পোষণ করি, এবং সেকারণেই ভণিতাহীনভাবে মানুষকে আমি বিবেকহীন আখ্যা দিই। কিন্তু মানুষ অনমনীয়; তারা তাদের “তলোয়ার-বল্লম” নিয়ে আমার সাথে যুদ্ধ করে, বলে আমার বাক্যসমূহ নাকি বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বলে আমি নাকি তাদের দুর্নাম করি—তবু তাদের হিংস্র আচরণের ফলস্বরূপ তাদের উপর আমি প্রতিশোধ গ্রহণ করি না। মানুষকে জয় করতে এবং তাদের মধ্যে নিজেদের সম্পর্কে লজ্জাবোধ আনতে আমি নিছকই আমার সত্যগুলি প্রয়োগ করি, তারপর তারা নীরবে পশ্চাদপসরণ করে। মানুষের সাথে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি না, কারণ তাতে কোনো লাভ নেই। আমি স্বীয় কর্তব্য পালন করবো, এবং আমার আশা, মানুষও নিজ কর্তব্যপালনে সমর্থ হবে এবং আমার বিরুদ্ধাচরণ করবে না। এই রূপে শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে চলাই কি শ্রেয়তর হবে না? আমাদের মধ্যের সম্পর্কটি ক্ষতিগ্রস্ত করে কী লাভ? এতগুলি বছর আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে থেকেছি—আমাদের উভয়ের জন্যই সমস্যা সৃষ্টির কী প্রয়োজন? আমাদের দুজনের সুনামের পক্ষেই কি তা সম্পূর্ণরূপে মঙ্গলবিবর্জিত হবে না? আমাদের মধ্যে বহুবছরের এক “পুরানো সখ্যতা”, এক “পুরাতন চেনাপরিচিতি” রয়েছে—তিক্ততাপূর্ণভাবে সম্পর্কচ্ছেদের কী দরকার? এমন করা কি শুভ হবে? আমি আশা রাখি মানুষ এই অভিঘাতের প্রতি অভিনিবেশ প্রদান করবে, তাদের জন্য কী শ্রেয় সেবিষয়ে বিদিত হবে। মানুষের প্রতি আমার বর্তমান যে মনোভাব তা তার এক জীবৎকাল জুড়ে আলোচনার পক্ষে পর্যাপ্ত—মানুষ সততই আমার সহৃদয়তাকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় কেন? তাদের ভাবপ্রকাশের অক্ষমতাই কি এর কারণ? তাদের শব্দভাণ্ডারে কি ঘাটতি রয়েছে? সর্বদাই তারা বাক্যহারা কেন? আমার আচরণরীতির সম্বন্ধে অবিদিত কে? আমার কৃতকর্মের বিষয়ে মানুষ যথেষ্ট পরিমাণে সচেতন—একমাত্র সমস্যা হল তারা নিয়ত অপরের কাছ থেকে সুবিধাগ্রহণ করতে পছন্দ করে, সেকারণেই নিজেদের স্বার্থকে দূরে সরিয়ে রাখতে তারা কখনোই ইচ্ছুক নয়। কোনো শব্দবন্ধ যদি তাদের স্বার্থকে ছুঁয়ে যায়, তবে প্রাধান্য অর্জন না করা পর্যন্ত আলগা দিতে তারা নারাজ—এর কি কোনো যুক্তি আছে? যে বিষয়ে অবদান রাখতে পারে সেবিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা অপারগ, অথচ যা অর্জনে তারা সক্ষম তা নিয়ে সংগ্রাম করে। তাদের পদমর্যাদায় কোনো উপভোগ না থাকলেও, তারা তা প্রবলভাবে আকাঙ্ক্ষা করে, এমনকি অমূল্য সম্পদ বলে গণ্য করে—এবং সেকারণেই পদমর্যাদার সুযোগসুবিধা ত্যাগ করার পরিবর্তে তারা বরং আমার শাস্তিস্বীকারেও প্রস্তুত। নিজেদের বিষয়ে মানুষ অতি উচ্চ ধারণা পোষণ করে, সেহেতু নিজেদের নির্লিপ্ত রাখতে তারা সদাই অনীহ। মানুষের বিষয়ে আমার মূল্যায়নে হয়তো ছোটোখাটো কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি রয়েছে, কিংবা তার উপর যে তকমা আমি সেঁটেছি তা কঠোর বা শিথিল কোনোটাই নয়, কিন্তু, সংক্ষেপে, আমার আশা মানুষ একে এক সতর্কবার্তা হিসাবে গ্রহণ করবে।

মে ২১, ১৯৯২

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ৪৩

পরবর্তী: অধ্যায় ৪৫

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন