অধ্যায় ৪২

নবকার্যের সূচনামাত্র, সকল মানুষ এক নতুন প্রবেশ লাভ করে, এবং আমার হাতে হাত রেখে তারা সম্মুখবর্তী হয়। আমরা একত্রে রাজ্যের সুমহান রাস্তা ধরে চলি, এবং মানুষ ও আমার মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক অন্তরঙ্গতা বিরাজ করে। আমার অনুভূতি ও মানুষের প্রতি আমার মনোভাব প্রদর্শনের নিমিত্ত সততই মানুষের উদ্দেশ্যে আমি বাক্যোচ্চারণ করেছি। অবশ্য, এই বাক্যসমূহের কতিপয় মানুষকে আহত করতে পারে, পক্ষান্তরে অপরকিছু তাদের পক্ষে অতিশয় সহায়তাকারীও হতে পারে, এবং সেকারণেই মানুষকে আমি আমার মুখনিঃসৃত বাক্যসকল আরো ঘনঘন শ্রবণ করার পরামর্শ দিই। আমার উচ্চারণসমূহ সবিশেষ মার্জিত না-ও হতে পারে, কিন্তু এই সমুদয় বাক্যই আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে নির্গত হয়। মানবজাতি আমার সুহৃদ বলে, মানুষের মাঝে স্বীয় কার্য আমি অব্যাহত রেখেছি, এবং মানুষও আমার সঙ্গে সহযোগিতার যথাসাধ্য চেষ্টা করে, আমার কার্যে বিঘ্ন ঘটাতে গভীর শঙ্কাবোধ করে। এক্ষণে, আমার হৃদয় বিপুল আনন্দে পরিপূর্ণ, কারণ মানুষের একটি অংশকে আমি অর্জন করেছি, এবং সেকারণেই আমার “উদ্যোগ” আর মন্দা-আক্রান্ত নয়; তা আর অন্তঃসারশূন্য বাক্য-নির্মিত নয়, এবং আমার “বিশেষ পণ্যের বাজার” আর মন্থর গতিতে কার্যরত নয়। যতোই হোক, মানুষ বিচক্ষণ—আমার সুনাম ও গরিমার স্বার্থে তারা সকলেই “আত্মোৎসর্গ করতে” ইচ্ছুক, এবং কেবল এভাবেই আমার “বিশেষ পণ্যের বিপণি” কিছু নতুন “পণ্যসামগ্রী” লাভ করে, এবং সেকারণেই আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে বহুসংখ্যক “খরিদ্দার” আমার “পণ্যসামগ্রী” ক্রয়ার্থে সমাগত হয়। শুধুমাত্র এই মুহূর্তের পরবর্তীকাল থেকেই আমি গৌরব অর্জন করি; কেবল তখনই আমার মুখনিঃসৃত বাক্যসমূহ আর অন্তঃসারশূন্য থাকে না। আমি বিজয়লাভ করেছি এবং জয়যুক্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করেছি, এবং সকল মানুষ আমায় উদযাপন করে। সেক্ষণে অতিকায় লাল ড্রাগনও “উদযাপন” করতে, আমার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শনার্থে এসে উপস্থিত হয়, সেই গুণমুগ্ধতা প্রতিপাদনের নিমিত্ত সে আমার পদতলে আত্মসমর্পণ করে, এবং এই ঘটনাকে আমি গৌরব হিসাবে বিবেচনা করি। সৃষ্টিকাল থেকে আজ অবধি, বহু বিজয়দৃপ্ত সংগ্রামে আমি লড়াই করেছি, এবং বহু শ্লাঘনীয় কর্ম সম্পন্ন করেছি। একদা বহু মানুষ আমার গুণকীর্তন করেছিল, আমার বন্দনা করেছিল, এবং আমার উদ্দেশ্যে নৃত্যরত হয়েছিল। এগুলি রোমাঞ্চকর ও অবিস্মরণীয় দৃশ্যপট হলেও, আমি কখনো আমার হাস্য প্রদর্শন করিনি, কারণ তখনো আমি মানুষকে জয় করিনি, এবং নিছক সৃষ্টির অনুরূপ কার্যের অংশবিশেষই সম্পন্ন করছিলাম। কিন্তু উপস্থিত সময় অতীতের মতো নয়। সিংহাসনে উপবিষ্ট হয়ে আজ আমি হাস্যময়, মানুষকে আমি জয় করেছি, এবং আমার আরাধনায় সকল মানুষ মাথা অবনত করে। আজকের মানুষ অতীতের লোকজন নয়। আমার কার্য কীভাবে অধুনা ব্যতীত অন্যকিছুর খাতিরে হতে পারতো? কীভাবে তা আমার মহিমা ব্যতীত অন্যকিছুর নিমিত্ত হতে পারতো? এক উজ্জ্বলতর আগামীর স্বার্থে, মানুষের ভিতর আমার সকল কার্য আমি বারংবার সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবো, যাতে আমার সমস্ত মহিমা সৃজিত মানুষের মধ্যে “স্থিতি” পায়। বিষয়টিকে আমি আমার কার্যের নীতি হিসাবে গ্রহণ করবো। যারা আমার সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, ওঠো, কঠোর পরিশ্রম করো, যাতে আমার অধিকতর মহিমা নভোমণ্ডলকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে। এখন বৃহৎ পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের কাল। আমার ভালোবাসার প্রযত্ন ও সুরক্ষার অধীনে যারা রয়েছে তাদের সকলেরই সুযোগ এসেছে আমার সঙ্গে এখানে তাদের সামর্থ্যগুলিকে কার্যে প্রযুক্ত করার, এবং সমস্তকিছুকে আমি এমনভাবে চালিত করবো যাতে সেসব আমার কাজের খাতিরে “আবর্তিত” হয়। আকাশে উড্ডীন বিহঙ্গসমূহ গগনপটে আমারই মহিমা, পৃথিবীপৃষ্ঠের সমুদ্রগুলি ধরিত্রীবক্ষে আমারই কার্যকলাপ, সকলকিছুর মালিক যাবতীয় বস্তুর মাঝে আমারই উদ্ভাস, এবং ধরাধামের সকল বস্তুকে আমি আমার ব্যবস্থাপনার মূলধন হিসাবে নিয়োজিত করি, সমস্তকিছুর সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটাই, উন্নতিসাধন করি, এবং জীবনের দ্বারা দীপ্যমান করে তুলি।

সৃষ্টিকালে, আমি ইতিপূর্বেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, অন্তিম যুগে ধরাধামে আমার কার্য এক সর্বাঙ্গীণ পরিসমাপ্তিতে উপনীত হবে। যেক্ষণে আমার কার্য সমাপ্ত হবে, ঠিক সেই সময়েই আমার সকল কর্মকাণ্ড গগনমণ্ডলে প্রতিভাত হয়ে উঠবে। ধরিত্রীর মানুষকে আমি আমার কৃতকর্মের মূল্যস্বীকারে বাধ্য করবো, এবং “বিচারের আসনের” সম্মুখে আমার কার্যাবলী প্রমাণিত হবে, যাতে তা স্বীকৃত হয় বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে, যারা সকলেই হার মানবে। এইভাবে, অতঃপর আমি বিগতযুগে অভূতপূর্ব এক কর্মোদ্যোগে প্রবৃত্ত হবো। আজ থেকে, স্বীয় কার্যকলাপ আমি ধাপে-ধাপে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবো, যাতে আমার প্রজ্ঞা, বিস্ময়করতা, ও অতলতা সমাজের প্রতিটি বিভাগে স্বীকৃত ও প্রতিপন্ন হয়। বিশেষ করে, পৃথিবীর সমস্ত শাসকদল আমার কার্যের গুরুত্ব স্বীকারে বাধ্য হবে, এমন যে আমার কৃতকর্মগুলি “বিচারকদের” দ্বারা মূল্যায়িত হবে, এবং “আইনজীবীদের” দ্বারা “সমর্থিত” হবে, এবং এইভাবে আমার কার্যসমূহ স্বীকৃতি লাভ করবে, যার ফলে সকল মানুষ নতমস্তকে বশ্যতাস্বীকারে বাধ্য হবে। বর্তমান সময়কাল থেকে, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের দ্বারা আমার ক্রিয়াকর্মগুলি স্বীকৃত হবে, এবং সেই মুহূর্তেই ধরাধামে আমি সকল মহিমা লাভ করবো। সেই সময়ে, আমি মানুষের কাছে দৃশ্যমান হবো, আর প্রচ্ছন্ন থাকবো না। বর্তমানে, আমার কার্যাবলী এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়নি। আমার কার্য অগ্রগামী, এবং যখন তা শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছাবে, তখন সমাপ্ত হবে। সকল রাষ্ট্রের জনগণকে আমি সম্পূর্ণভাবে জয় করবো, হিংস্র পশুদের আমি আমার সম্মুখে মেষশাবকের মতো বশীভূত করে তুলবো, এবং ধরাধামের মানুষের মতোই অতিকায় লাল ড্রাগনকেও আমি আমার সম্মুখে বশ্যতাস্বীকারে বাধ্য করবো। স্বর্গে আমার সকল শত্রুকে আমি পরাভূত করবো, এবং পৃথিবীবক্ষে আমার সকল প্রতিপক্ষকে আমি বিজিত হতে বাধ্য করবো। এ-ই হল আমার পরিকল্পনা, এবং এ-ই হল আমার কার্যাবলীর বিস্ময়করতা। মানুষ একমাত্র যা করতে পারে তা হল প্রকৃতির প্রভাবে ও আমার নির্দেশনার অধীনে জীবনধারণ করা—সে তার নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না! আমার হস্ত কে এড়াতে পারে? প্রকৃতির সকলকিছুকে আমি বিভিন্ন শ্রেণীতে বিন্যস্ত করেছি, এইভাবে সেটিকে বিধানসমূহের অভ্যন্তরে বিদ্যমান হতে বাধ্য করেছি, এবং শুধুমাত্র এই কারণেই পৃথিবীবক্ষে বসন্তে উষ্ণতা ও শরতে শীতলতার মতো নিয়মসমূহ রয়েছে। আমার হস্তের বিস্ময়করতার কারণেই ধরণীর পুষ্পনিচয় শীতকালে শুকিয়ে যায় এবং বসন্তে প্রস্ফুটিত হয়; তাপমাত্রাকে আমি নিয়ন্ত্রণ করি বলেই শীতকালে রাজহংসীরা দক্ষিণে উড়ে যায়; এবং বস্তুনিচয়কে জলতলের নিচে নিমজ্জিত করতে চাই বলেই সমুদ্র গর্জন করে। কোন বিষয়টিই বা আমার দ্বারা আয়োজিত নয়? এই মুহূর্ত থেকে, মানুষের “প্রকৃতির অর্থনীতি” আমার বাক্যসমূহের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে পরাভূত হয়, এবং “প্রাকৃতিক বিধানগুলি”-র অস্তিত্বের দরুন আমার উপস্থিতিকে মানুষ আর সমূলে উৎপাটিত করে না। কে-ই বা আর কখনো সমস্তকিছুর শাসকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করবে? স্বর্গে, আমিই প্রধান; সমস্তকিছুর মাঝে, আমিই প্রভু; এবং সকল মানুষের মাঝে, আমিই অগ্রগণ্য। এর উপর লঘুভাবে “বর্ণ” লেপনের স্পর্ধা কে করে? মিথ্যা কি সত্যের অস্তিত্বকে ব্যাহত করতে পারে? এই মূল্যবান অবকাশে, পুনরায় আমি আমার উপস্থিত কার্য শুরু করি, তা আর মানুষের হস্তক্ষেপের দ্বারা ব্যাহত নয়, এবং যন্ত্রসমূহের “আবর্তন” বহাল রাখি।

স্বীয় বাক্যসমূহে আমি নানাবিধ “মশলাপাতি” যুক্ত করেছি, এবং সেকারণেই মনে হয় আমি বুঝি মানুষদের শ্রেষ্ঠ পাচকদের অন্যতম। মশলাযোগে খাবারকে সুস্বাদু করার কৌশল মানুষের অনায়ত্ত হলেও, এর স্বাদটি তারা উপভোগ করে; “রেকাবি” হাতে ধরে তারা সকলেই আমার প্রস্তুত “খাদ্যবস্তু”-র আস্বাদন নেয়। কেন জানি না, তবে মানুষ সর্বদাই আমার স্বহস্তে প্রস্তুত খাদ্যদ্রব্য অধিক পরিমাণে ভক্ষণ করতে চায়। মনে হয় তারা বুঝি আমার সম্বন্ধে অতি উচ্চ ধারণা পোষণ করে, যেন-বা তারা আমায় স্বাদবর্ধক মশলাপাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠরূপে গণ্য করে, এবং অন্য মানুষদের ব্যাপারে তাদের আদৌ কোনো খেয়াল নেই। আমার আত্মসম্মানবোধ অত্যন্ত প্রবল বলে, আমার ব্যক্তিগত কারণে অন্যের “ভাতের হাঁড়ি” বিচূর্ণ করার পক্ষপাতী আমি নই। সেকারণেই, আমি “রন্ধনশালা” থেকে সরে আসার সুযোগ গ্রহণ করি এবং অন্যদের নিজেকে বিশিষ্ট প্রমাণ করার অবকাশ দিই। একমাত্র এভাবেই আমার অন্তর স্থিরতা পায়; মানুষকে দিয়ে অন্যদের তাচ্ছিল্য করিয়ে আমাকে সম্ভ্রমের দৃষ্টিতে দেখতে বাধ্য করাতে আমি চাই না; তা সমীচীন হবে না। মানুষের অন্তরে মর্যাদাসম্পন্ন হওয়ার কী মূল্য আছে? আমি কি প্রকৃতই এতোই অভব্য ও যুক্তিবোধহীন? আমি কি সত্যিই মর্যাদা দাবি করতে ইচ্ছুক? তা-ই যদি হবে, তাহলে আমি কেন এতো বৃহৎ এক উদ্যোগে প্রবৃত্ত হই? নামযশ ও সৌভাগ্যের জন্য অন্যদের সাথে লড়াই করার অভিরুচি আমার নেই, এবং পার্থিব খ্যাতি ও সমৃদ্ধিকে আমি ঘৃণা করি; এগুলি আমার অন্বেষণের লক্ষ্যবস্তু নয়। মানুষকে আমি কোনো আদর্শ নমুনা হিসাবে দেখি না, আমি মারামারি করি না বা ছিনিয়ে নিই না, বরং স্বীয় “দক্ষতা”-র উপর নির্ভর করে জীবিকানির্বাহ করি, এবং বিবেকবর্জিত কাজ আমি করি না। সেকারণেই, বিশ্বব্যাপী পরিভ্রমণকালে, প্রথমে আমি কার্য সম্পাদন করি এবং তারপরই “আমার হস্তশিল্পের দরুন প্রদেয় অর্থ” প্রার্থনা করি—শুধুমাত্র এ-ই হল মনুষ্যকথিত ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতা। এতে কোনো অতিরঞ্জন নেই, এবং তা বিন্দুমাত্র কমিয়ে বলাও হয়নি; আমি বাস্তব তথ্যের প্রকৃত অর্থ মাফিক বক্তব্য রাখি। ন্যায্য ও যুক্তিবাদী লোকের সন্ধানে মানুষের মাঝে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে আমি চলাফেরা করি, কিন্তু তবু তা নিষ্ফলই রয়ে গিয়েছে। এবং মানুষ দরাদরি করতে পছন্দ করে বলে মূল্যটি হয় অত্যুচ্চ নয়তো নিতান্তই স্বল্প হিসাবে ধার্য হয়, এবং সেহেতু আজও আমি আমার হস্তধৃত সেই কর্মই নির্বাহ করে চলেছি যার “সম্পাদনভার আমার উপর বর্তেছে”। আজ, আমার এখনও জানা নেই মানুষ কেন নিজের দায়িত্ব মেনে চলে না, এবং তার আত্মিক উচ্চতা যে কতখানি উত্তুঙ্গ সেবিষয়ে কেন সে ওয়াকিবহাল নয়। মানুষ এমনকি এ-ও জানে না যে তাদের আত্মিক উচ্চতার ওজন কয়েক গ্রাম নাকি কয়েক লিয়াং[ক]। এবং সেকারণেই, আজও তারা মিষ্ট কথায় আমার মন ভোলাতে চায়। মনে হয় বুঝি আমার সকল কার্য ব্যর্থ হয়েছে, যেন-বা আমার বাক্যসমূহ সুবিশাল পর্বতগাত্র থেকে প্রত্যাগত কেবলই এক প্রতিধ্বনি, এবং আমার বাক্য ও উচ্চারণসমূহের আদি ভিত্তিসমূহ কেউই কখনো হৃদয়ঙ্গম করেনি। সেকারণেই তৃতীয় প্রবচনটি সারসংক্ষেপ করার ভিত্তি হিসাবে আমি তা ব্যবহার করি: “আমায় দেখতে পায় না বলে মানুষ আমাকে জানে না।” মনে হয় বুঝি, আমার বাক্যসমূহ ভক্ষণ করার পর, পরিপাকে সহায়তার নিমিত্ত মানুষ কোনো ঔষধ পান করে, এবং ওই ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এতো তীব্র হওয়ায়, তাদের স্মৃতিভ্রংশ ঘটে, এবং সেকারণেই মানবজাতি আমার বাক্যসমূহ বিস্মৃত হয়, এবং আমার অধিষ্ঠানস্থলটি তাদের ভুলে যাওয়া প্রান্তে পরিণত হয়। সেহেতু আমি দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করি। এতো কর্ম আমি সম্পাদন করেছি, অথচ মানুষের মধ্যে তার কোনো নিদর্শন নেই কেন? আমি কি যথেষ্ট প্রচেষ্টা প্রয়োগ করিনি? নাকি কারণটি এই যে মানুষের কী প্রয়োজন আমি তা উপলব্ধ করিনি? বিষয়টি ইতিমধ্যেই এমন পর্যায়ে যে এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই, এবং আমার একমাত্র বিকল্প হল স্বীয় প্রশাসনিক ফরমানসমূহের প্রয়োগমাধ্যমে সকল মানুষকে জয় করা। আমি আর কোনো স্নেহশীলা মাতা রইবো না, বরং এক কঠোর পিতার মতো সমগ্র মানবজাতিকে পরিচালনা করবো!

মে ১৫, ১৯৯২

পাদটীকা:

ক। “লিয়াং” হল ভার পরিমাপের এক চৈনিক একক; এক লিয়াং ৫০ গ্রামের সমান।

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ৪১

পরবর্তী: অধ্যায় ৪৩

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন