অধ্যায় ৪১

একদা মানুষের মাঝে আমি এক মহান উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু তারা খেয়াল করেনি, তাই স্বীয় বাক্যের ব্যবহারের মাধ্যমে আমাকে তা তাদের কাছে ধাপে ধাপে প্রকাশ করতে হয়েছিল। তথাপি মানুষ আমার বাক্যের অর্থ উপলব্ধি করতে পারেনি, এবং আমার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যের বিষয়ে অনবহিতই রয়ে গিয়েছিল। এবং সেকারণেই, তাদের ঘাটতি ও অক্ষমতার দরুন, আমার ব্যবস্থাপনাকে বিঘ্নিত করতে মানুষ অনেককিছু করেছিল, এবং যাবতীয় প্রকারের কলুষিত আত্মাদের প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছিল, যার ফলে মানবজাতি তাদের শিকারে পরিণত হয়েছিল এবং সম্পূর্ণরূপে দূষিত না হওয়া পর্যন্ত এই কলুষিত আত্মাদের দ্বারা নিপীড়িত হয়েছিল। কেবল তখনই আমি মানুষের অভিপ্রায় ও লক্ষ্যসমূহ সুস্পষ্টরূপে প্রণিধান করেছিলাম। মেঘরাজির মধ্য থেকে আমি দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করেছিলাম: মানুষ সততই কেন নিজেদের নিমিত্ত কর্মসাধন করে? আমার শাস্তিসমূহ কি তাদের নিখুঁত করার উদ্দেশ্যে নয়? আমি কি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ইতিবাচক মনোভঙ্গিতে আঘাত হানছি? মানুষের ভাষা মনোরম ও মার্জিত, অথচ তার কার্যকলাপ সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল। মানুষের কাছে আমার দাবিগুলি সর্বদাই নিষ্ফল হয় কেন? এমন কি হতে পারে যে এক সারমেয়কে আমি বৃক্ষারোহণের নির্দেশ দিচ্ছি? আমি কি ক্ষুদ্র বিষয়কে অযথা বৃহৎ করে তুলছি? আমার সমগ্র পরিচালনামূলক পরিকল্পনা গতিপথ জুড়ে, আমি বহু বিচিত্র “পরীক্ষামূলক ভূখণ্ড” কর্তন করেছি; কিন্তু, হীনাবস্থা ও বহু বৎসরব্যাপী সূর্যালোকের ঘাটতির দরুন, ভূপ্রকৃতির ক্রমাগত পরিবর্তন ঘটছে, যার ফলে জমিতে “ভাঙন” ধরেছে। এবং সেকারণেই, আমার স্মরণকালে, এজাতীয় অসংখ্য তালুক আমি পরিত্যাগ করেছি। এমনকি এখনো, ভূখণ্ডের ব্যাপক অংশ জুড়ে পরিবর্তন ঘটে চলেছে। একদিন এই ভূখণ্ড সত্যিই যদি প্রকৃতিগতভাবে রূপান্তরিত হয়, তাহলে আঙুলের একটি টোকায় একে আমি পরিহার করবো—বর্তমান পর্যায়ে সম্যক অর্থে এই-ই কি আমার কার্য নয়? কিন্তু মানবজাতি এবিষয়ে বিন্দুমাত্র অবহিত নয়; তারা কেবলমাত্র আমার “পথনির্দেশনা”-র অধীনে “শাস্তিপ্রাপ্ত” হয়। তাতে কী লাভ? আমি কি এমন এক ঈশ্বর হতে পারি যিনি মানুষকে শাস্তিদানের বিশেষ উদ্দেশ্যেই সমাগত? ঊর্ধ্বস্থ স্বর্গে একদা আমি পরিকল্পনা করেছিলাম যে, মানুষের মাঝে আগমনের পর তাদের সঙ্গে আমি একাত্ম হয়ে উঠবো, যাতে যাদের আমি ভালোবাসি তারা সকলেই আমার অন্তরঙ্গ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু, আজ এই পর্যায়ে উপনীত হওয়ার পর, মানুষ যে শুধু আমার সঙ্গে সংযোগবিচ্ছিন্ন তা-ই নয়, পরিবর্তে বরং আমার শাস্তির দরুন সে-ই আমায় দূরে রাখে। তার এড়িয়ে চলার কারণে আমি অশ্রুবর্ষণ করি না। এই ব্যাপারে কী-ই বা করা যায়? মানুষেরা সকলেই মনোরঞ্জনকারী কলাকার মাত্র, যে সুর বাজানো হয় তাতেই তারা কণ্ঠারোপ করে। এক আত্মপ্রত্যয়ী সামর্থ্যের সাথে মানুষকে আমি আমার কব্জা গলে “নিষ্ক্রান্ত” হতে দিই, এবং ততোধিক আত্মপ্রত্যয়ী সামর্থ্যের সঙ্গে তাদের আমি “স্থানান্তর” থেকে আমার “কারখানা”-য় পুনরানীত করি। এই সন্ধিক্ষণে উপনীত হয়ে, সম্ভাব্য কোন অসন্তোষ মানুষ পোষণ করতে পারে? এবং মানুষ আমার কী-ই বা করতে পারে? মানুষ কি প্রাচীরগাত্রে গজিয়ে ওঠা তৃণমাত্র নয়? তৎসত্ত্বেও, এই ত্রুটির দরুন মানুষের কোনো অনিষ্টসাধন করি না, বরং তাদেরকে আমার পুষ্টিউপাদানসমূহ প্রদান করি। মানুষ দুর্বল, ক্ষমতাহীন ও পুষ্টিউপাদানে অপ্রতুল; তারা ঠিক এমনই। উষ্ণ আলিঙ্গনের দ্বারা আমি মানুষের শীতল হৃদয়ের রূপান্তরণ ঘটাই: আমি বিনা আর কেই-বা এমনতরো কর্মসাধনে সক্ষম? মানুষের মাঝে এহেন কার্য আমি গ্রহণ করেছি কেন? মানুষ কি যথার্থই আমার হৃদয়কে উপলব্ধি করতে পারে?

আমার মনোনীত সকল মানুষের মাঝে আমি এক “কারবার”-এ লিপ্ত হয়েছি, সেকারণেই আমার গৃহে এক বিরামহীন প্রবাহে মানুষের যাওয়া-আসা অনবরত লেগেই আছে। আমার বাসস্থানে তারা নানাবিধ আনুষ্ঠানিকতায় নিরত হয়, যেন-বা আমার সাথে তারা ব্যবসায়ের বিষয়ে আলোচনা করছিল, যার ফলে আমার কার্য ভীষণ ব্যস্ততাপূর্ণ হয়ে ওঠে, মাঝেমাঝে এতটাই যে তাদের কলহসমূহে হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগও আমার থাকে না। মানুষকে আমি নির্বন্ধ করি যাতে তারা আমার কর্মভার আরো বাড়িয়ে না তোলে; প্রতিনিয়ত আমার উপর নির্ভর করার পরিবর্তে তারা বরং নিজেদের গতিপথ নিজেরাই নির্ধারণ করুক। চিরটাকাল তারা আমার গৃহের শিশুসন্তান হয়ে থেকে যেতে পারে না; তাতে কোন উপকার সাধিত হবে? আমি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যকর্ম সম্পন্ন করি; “পাড়ার জলখাবারের দোকান”, অথবা অন্য মামুলি কোনো “নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বিপণি” চালাই না। সমুদয় মানুষ আমার মানসিক গঠন উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়, যেন-বা তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সঙ্গে মস্করা করছে, যেন-বা তারা সকলেই সেইসব দুষ্টু শিশু কিছুতেই যাদের খেলাধুলা করে আশ মেটে না, কখনোই কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে না, ফলে তাদের অনেকেই আমার অর্পিত “ঘরের কাজ” সমাপন করে উঠতে অকৃতকার্য হয়। এধরনের মানুষেরা তাদের “শিক্ষক”-এর কাছে মুখ দেখানোর ধৃষ্টতা রাখে কী করে? কখনোই তাদের যা করণীয় কাজে মনোনিবেশ করে না কেন? মানুষের হৃদয় কেমন প্রকারের বস্তু? অদ্যাবধি আমার কাছে তা অস্পষ্টই রয়ে গেলো। মানুষের হৃদয় কেন অনবরতই পরিবর্তিত হয়? এ যেন জুন মাসের কোনো দিবসের মতো: এক্ষুনি রৌদ্রে ঝলসে দিচ্ছে, পরক্ষণেই মেঘের ঘনঘটা, আবার কিছুপরেই গর্জে উঠছে তীব্র বাতাস। তাহলে মানুষ কেন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে অক্ষম? হয়তো আমার উক্তিগুলি এক অতিরঞ্জন। এমনকি বর্ষাকালে সঙ্গে একখানা ছাতা রাখতেও মানুষ জানেনা, এবং তাদের এই অজ্ঞানতার কারণেই আকস্মিক বর্ষনে তারা অগণনবার আপাদমস্তক সিক্ত হয়েছে, যেন-বা আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের উত্যক্ত করছিলাম এবং সর্বদাই তারা স্বর্গ-প্রেরিত বৃষ্টির দ্বারা লাঞ্ছিত হচ্ছিল। কিংবা, হয়তো আমি অতীব “নিষ্ঠুর”, মানুষকে বিক্ষিপ্তচিত্ত, এবং ফলস্বরূপ সর্বদাই আত্মবিস্মৃত ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়, করে তুলি। কোনো মানুষ কখনও প্রকৃত অর্থে আমার কার্যের লক্ষ্য বা তাৎপর্য উপলব্ধি করেনি। সেকারণেই, তারা সকলেই নিজেদের বিঘ্নিত ও শাস্তিপ্রাপ্ত করার এই কার্যে নিরত রয়েছে। সত্যই কি আমি মানুষকে শাস্তিদানে অভিলাষী? মানুষ কেন নিজেদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে? নিয়তই কেন তারা ফাঁদের মধ্যে পা বাড়িয়ে দেয়? আমার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে, পরিবর্তে কেন তারা কাজ হাসিল করার নিজস্ব পন্থার সন্ধান করে? এমন কি হতে পারে যে যাকিছু মানুষকে আমি প্রদান করি তা পর্যাপ্ত নয়?

সকল মানুষের মাঝে আমি আমার “প্রথম কার্য” প্রকাশিত করেছিলাম, এবং আমার প্রকাশনা মানুষের মাঝে অতীব মুগ্ধতাবোধ সৃষ্টি করে বলে, তারা সকলেই তা বিশদে ও সযত্নে অধ্যয়ন করে, এবং এই অনন্যচিত্ত অধ্যয়নের মাধ্যমে তারা প্রভূত লাভবান হয়েছে। আমার এই লেখ্যকার্যকে মনে হয় বুঝি কোনো চমকপ্রদ, অতিশয় জটিল উপন্যাস; মনে হয় বুঝি এক প্রণয়মূলক গদ্যকাব্য; মনে হয় যেন কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়ে এক পর্যালোচনা; মনে হয় অর্থনৈতিক প্রজ্ঞার এক সংকলন। আমার লেখ্যকার্য এতো সমৃদ্ধ হওয়ার দরুন এ বিষয়ে নানাবিধ অভিমত রয়েছে, এবং কেউই আমার এই কার্যের সারসংক্ষেপকারী কোনো প্রস্তাবনা প্রদানে সমর্থ হয়নি। মানুষ “অসামান্য” জ্ঞান ও প্রতিভার অধিকারী হতে পারে, কিন্তু আমার এই কার্য ওই সমস্ত সক্ষম ও প্রতিভাধর মানুষকে হতবুদ্ধি করার পক্ষে যথেষ্ট। যেক্ষণে তারা বলছে, “রক্ত বইতে পারে, অশ্রু ঝরতে পারে, তবু কারো মাথানত করা উচিত নয়”, তখন আমার লেখ্যকার্যের কাছে তাদের আত্মসমর্পণ প্রকাশার্থে ইতিমধ্যে তারা অজ্ঞানেই নিজেদের মস্তক অবনত করে ফেলেছে। স্বীয় অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা থেকে মানুষ আমার লেখ্যকার্যকে সারসংক্ষেপে অন্তরীক্ষচ্যুত এক স্বর্গীয় গ্রন্থ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। তথাপি মানুষকে আমি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হতে বারণ করি। আমার মতে, আমার বক্তব্যসকল অতি সাধারণ; তবু, আমি আশা রাখি যে আমার কার্যমধ্যে ধৃত ‘জীবনের বিশ্বকোষ’-এ জীবনযাত্রার রীতি সম্পর্কিত কিছু বিষয় খুঁজে পেতে মানুষ সক্ষম হবে; ‘মানুষের গন্তব্য’ অংশে তারা জীবনের অর্থের সন্ধান করতে পারে; ‘স্বর্গের গুপ্তকথা’-য় আমার ইচ্ছার অন্বেষণ করতে পারে; এবং ‘মানবজাতির পথ’ অংশে তারা জীবনশৈলীর সন্ধান করতে পারে। এভাবেই কি বিষয়সকল উত্তমতর হয়ে উঠবে না? মানুষকে আমি বাধ্য করি না; কেউ যদি আমার লেখ্যকার্যের বিষয়ে “অনাগ্রহী” হয়, তাহলে আমি তাকে “পরিষেবা মাশুল” সমেত আমার গ্রন্থের মূল্য “প্রত্যর্পণ” করবো। কারো উপর আমি বলপ্রয়োগ করি না। গ্রন্থটির লেখক হিসাবে আমার একমাত্র প্রত্যাশা হল আমার রচনাটি পাঠকদের ভালো লাগবে, কিন্তু মানুষের পছন্দবোধ সততই আলাদা। তাই মানুষকে আমি গুরুত্বসহকারে প্রবর্তনা দিই যাতে নিছক মুখরক্ষার খাতিরে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিষয়ে কোনো আপোস না করে। তা যদি করে, আমাহেন সদয়চিত্ত একজন কীভাবে এই নিদারুণ অপমান সহ্য করবে? তোমরা যদি আমার রচনার গুণগ্রাহী পাঠক হও, তাহলে আমি আশা রাখি যে তোমাদের মূল্যবান পরামর্শগুলি তোমরা আমায় অবগত করবে, যাতে আরো কার্যকরভাবে আমি স্বীয় লিখনকর্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এবং এইভাবে মানুষের প্রমাদগুলির সহায়তায় আমার রচনার বিষয়বস্তুর উন্নতিসাধন করতে পারি। এতে লেখক ও পাঠক উভয়েই উপকৃত হবে, তাই না? আমার এরকম বলা সঠিক কিনা আমার জানা নেই, এবং সম্ভবত এভাবে আমি আমার রচনাশক্তির উৎকর্ষসাধন করতে পারি, কিংবা হয়তো আমাদের মধ্যের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করে তুলতে পারি। মোটের উপর, আমি আশা রাখি যে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে সকল মানুষ আমার কার্যে সহযোগিতা করবে, যাতে আমার বাক্য প্রতিটি পরিবার ও গৃহে সঞ্চারিত হতে পারে, এবং যাতে ধরাধামের সকল মানুষ আমার বাক্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে সক্ষম হয়। এই-ই আমার লক্ষ্য। আমার আশা, আমার বাক্যাবলীর ‘জীবন বিষয়ক অধ্যায়’-টি পাঠ করার মাধ্যমে, সকলেই কিছু অর্জন করতে পারবে, তা জীবন বিষয়ক সাধারণ নীতিসমূহই হোক, কি মনুষ্যজগতের উপর আপতিত ভ্রান্তিসমূহের সম্বন্ধে জ্ঞান, কিংবা মানুষের কাছে আমার যা চাহিদা, অথবা আজকের রাজ্যের লোকজনের “গুহ্য রহস্যসমূহ”। তবে, তাদের আমি ‘আজকের মানুষদের অপযশ’ বিষয়ক আলোচনাটি এক নজর দেখার পরামর্শ দিই; সকলের ক্ষেত্রেই তা হিতকর হবে। ‘সাম্প্রতিক গোপন বিষয়সমূহ’ থেকেও প্রায়শই পাঠ করলে ক্ষতি কিছু নেই, মানুষের জীবনের পক্ষে বরং তা আরো বেশি উপকারী হবে। এছাড়া, মাঝেমাঝেই ‘সাম্প্রতিক উদ্দীপনাসৃষ্টিকারী প্রসঙ্গ’-এর বিভাগটি পাঠ কোরো—মানুষের জীবনের পক্ষে তা কি আরো কল্যাণকর হবে না? আমার পরামর্শ মেনে কোনো উপকার মেলে কিনা পরখ করতে ক্ষতি কিছু নেই, তারপর সেগুলি পাঠের পর তোমরা কেমন বোধ করো তা জানিও, যাতে আমি সঠিক ঔষধটি বিধান করতে আরো কার্যকরভাবে সক্ষম হই, এবং পরিশেষে, মানুষের সকল ব্যাধি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে পারি। আমার এই প্রস্তাবগুলির বিষয়ে তোমাদের মতামত কী তা আমার জানা নেই, তবে আমার আশা যে এগুলিকে তোমরা তোমাদের তথ্যসূত্রের উপকরণ হিসাবে গণ্য করবে। বিষয়টি কেমন হবে?

মে ১২, ১৯৯২

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ৪০

পরবর্তী: অধ্যায় ৪২

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন