অধ্যায় ৪০

আমার প্রতিটি চালচলন মানুষকে আবিষ্ট করে, যেন-বা আমি আকাশকে মাটিতে পেড়ে ফেলতে চলেছি, এবং আমার কাজকর্ম দেখে তারা সর্বদাই হতভম্ব, যেন আমার ক্রিয়াকলাপ তাদের কাছে সম্পূর্ণ দুর্বোধ্য। তাই, তাদের সকল কর্মে তারা আমাকে দেখে পথনির্দেশ লাভ করে, গভীর শঙ্কায় থাকে যে তারা বুঝি স্বর্গকে ক্ষুব্ধ করে “নশ্বরদের জগতে” নিক্ষিপ্ত হবে। মানুষের বিরুদ্ধে প্রয়োগযোগ্য কোনোকিছু খুঁজে বের করতে, বা তাদের অপারগতাগুলিকে আমার কার্যের লক্ষ্যবস্তু করতে আমি প্রয়াসী নই। এক্ষণে, তারা অতি আনন্দিত, আমায় ভরসা করছে। মানুষকে যখন আমি প্রদান করি, মানুষ তখন আমায় নিজেদের প্রাণসম ভালোবাসে, কিন্তু যখন তাদের কাছে কিছু চাই, তখন তারা আমায় এড়িয়ে যায়। এমন কেন হয়? মানবজগতের “ন্যায্যতা ও যুক্তিযুক্ততা”-কে কি তারা কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারে না? কেন আমি বারংবার মানুষের কাছে এবম্প্রকার দাবি রাখি? সত্যিই কি আমার কিছুই নেই? মানুষ আমার প্রতি ভিক্ষুকের মতো আচরণ করে। আমি যখন তাদের কাছে কিছু চাই, তখন আমার “উপভোগের” নিমিত্ত তারা নিজেদের “উচ্ছিষ্টগুলি” আমার সম্মুখে তুলে ধরে, এবং একথাও বলে যে তারা নাকি আমার বিশেষ যত্ন নিচ্ছে। আমি তাদের কুৎসিত মুখাবয়ব ও অদ্ভুত অবস্থার দিকে চেয়ে দেখি, এবং আরেকবার আমি মানুষকে ত্যাগ করে প্রস্থান করি। এমৎ পরিস্থিতিতে, মানুষ বোধক্ষমতা বিবর্জিতই রয়ে যায়, এবং যাকিছু থেকে তাদের আমি বঞ্চিত রেখেছিলাম পুনরায় সেগুলি গ্রহণ করে আমার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় থাকে। মানুষের স্বার্থে আমি প্রভূত সময় ব্যয় করেছি এবং এক বিরাট মূল্য পরিশোধ করেছি—কিন্তু এক্ষণে, কোনো এক অজ্ঞাত কারণে, মানুষের বিবেকবোধ নিজের আদি কার্যটি সম্পাদন করতেও নিরন্তর অসমর্থ রয়ে যায়। ফলস্বরূপ, এই “নাছোড় সংশয়টি” আমি “রহস্যময় শব্দাবলী”-র তালিকাভুক্ত করি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা “তথ্যসূত্রের” ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ এগুলিই হল মানুষের “কঠোর পরিশ্রম”-সঞ্জাত “বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ফলাফল”; আমি কীভাবে তা অবিবেচকের মতো মুছে ফেলতে পারতাম? তা কি মানুষের শুভ অভিপ্রায়কে “নাকচ করা” হতো ন? যতোই হোক, আমারও এক বিবেক রয়েছে, সেকারণেই মানুষের সাথে আমি শঠ ও চক্রান্তমূলক ক্রিয়াকর্মে নিরত হই না—আমার কার্যকলাপ কি এমনই নয়? এটিই কি মনুষ্য-কথিত “ন্যায্যতা ও যুক্তিযুক্ততা” নয়? অদ্যাবধি মানুষের মাঝে অবিরাম কার্যসাধন করেছি। বর্তমানের ন্যায় সময়কালের আবির্ভাবের পরেও, মানুষ এখনো আমায় জানে না, আমার প্রতি এখনো তারা অপরিচিতের মতন আচরণ করে, এবং, এমনকি, আমি তাদের এক “অন্ধগলি”-তে এনে হাজির করেছি বলে, আমার প্রতি আরো ঘৃণাপরায়ণ হয়ে ওঠে। এই সময়ে, তাদের হৃদয়ের প্রেম বহুপূর্বেই চিহ্নমাত্র না রেখে অন্তর্হিত হয়েছে। আমি দম্ভ করছি না, মানুষকে তো কোনোক্রমেই ছোটো করছি না। মানুষকে আমি অনন্তকালব্যাপী ভালোবাসতে পারি, অনন্তকালব্যাপী ঘৃণাও করতে পারি, এবং কখনো এর পরিবর্তন ঘটবে না, কারণ আমার অধ্যবসায় রয়েছে। কিন্তু মানুষ এই অধ্যবসায়ের অধিকারী নয়, আমার প্রতি তার মনোভাব সদাই পরিবর্তনশীল, যখন আমি ওষ্ঠ উন্মোচিত করে বাক্যোচ্চারণ করি কেবল তখনই আমার প্রতি সে যৎসামান্য মনোযোগ প্রদান করে, এবং যখন আমি ওষ্ঠ রুদ্ধ করে বাক্যোচ্চারণ স্থগিত করি, তখন অচিরেই সে বৃহৎ বিশ্বের তরঙ্গে নিরুদ্দিষ্ট হয়। তাই, বিষয়টি আমি আরেকটি প্রবচনের আকারে সংক্ষিপ্ত করি: মানুষের অধ্যবসায়ের অভাব রয়েছে, সুতরাং তারা আমার অন্তরকে তৃপ্ত করতে অক্ষম।

মানুষ যখন স্বপ্নমগ্ন, তখন মানুষের মাঝে আমার হস্তধৃত “মৃত্যুর ঘ্রাণ” আকীর্ণ করতে করতে আমি বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহব্যাপী ভ্রমণ করি। সমুদয় মানুষ তৎক্ষণাৎ প্রাণশক্তিকে পশ্চাতে পরিত্যাগ করে মনুষ্যজীবনের পরবর্তী স্তরে প্রবেশ করে। মানবজাতির মাঝে আর কোনো জীবন্ত বস্তু দেখা যায় না, শবদেহগুলি সর্বত্র বিক্ষিপ্ত পড়ে আছে, প্রাণময় বস্তুগুলি অবিলম্বে চিহ্নমাত্র না রেখে অদৃশ্য হয়, এবং শবদেহের শ্বাসরোধী গন্ধে চরাচর পরিব্যাপ্ত হয়। তৎক্ষণাৎ আপন মুখমণ্ডল আবৃত করে আমি মানুষকে ছেড়ে প্রস্থান করি, কারণ আমি কার্যের পরবর্তী পর্যায়ের সূচনা করছি, যারা বেঁচে উঠেছে তাদের জীবনযাপনের এক ক্ষেত্র প্রদান করছি, এবং সকল মানুষকে এক আদর্শ ভূমিতে এনে বসবাস করাচ্ছি। মানুষের তরে আমার সৃজিত এই ভূমি আশীর্বাদধন্য—এ এক দুঃখ-দীর্ঘশ্বাস বিরহিত ভূমি। উপত্যকার ঝর্নাধারা-নিঃসৃত জল তলদেশ পর্যন্ত স্ফটিকস্বচ্ছ, নিরবধি তা প্রবাহিত হয়, এবং কখনো বিশুষ্ক হয় না; ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষ সমন্বয়সহকারে বসবাস করে, পাখিরা গান গায়, এবং মৃদুমন্দ বাতাস ও কবোষ্ণ রৌদ্রের মাঝে স্বর্গ ও মর্ত্যলোক উভয়েই শান্তিপূর্ণ। আজ, এখানে, সকল মানুষের শবদেহ ইতস্তত শায়িত রয়েছে। মানুষের অজান্তেই, আমি স্বীয় হস্তধৃত মহামারী ব্যাধি বিমুক্ত করি, এবং মানবদেহগুলিতে পচন ধরে, আপাদমস্তক কোথাও মাংসের লেশমাত্র অবশিষ্ট থাকে না, এবং মানুষের থেকে আমি বহুদূরে চলে যাই। কখনো আর আমি মানুষের সাথে সম্মিলিত হবো না, কদাপি পুনর্বার মানুষের মাঝে আসবো না, কারণ আমার সমগ্র ব্যবস্থাপনার চূড়ান্ত পর্ব সমাপ্ত হয়েছে, এবং মানবজাতিকে আমি পুনর্বার সৃষ্টি করবো না, মানুষের প্রতি আর ভ্রূক্ষেপমাত্র করবো না। আমার মুখনিঃসৃত বাক্যগুলি পাঠ করার পর, সকল মানুষ আশাভরসা হারিয়ে ফেলে, কারণ তারা মরণে ইচ্ছুক নয়—কিন্তু “বেঁচে ওঠা”-র স্বার্থে কে-ই বা “মৃত্যুবরণ” করে না। আমি যখন মানুষকে বলি যে তাদের বাঁচিয়ে তোলার জাদু আমার অনায়ত্ত, তখন বেদনার্ত হয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে; বস্তুত, আমি সৃষ্টিকর্তা হলেও, আমার শুধু মানুষের মৃত্যু ঘটানোর ক্ষমতা রয়েছে, এবং তাদের বাঁচিয়ে তোলার সামর্থ্য আমার নেই। এই হেতু, মানুষের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করি। এই কারণেই, মানুষকে আমি অগ্রিম জানিয়েছিলাম যে “তার কাছে আমি এক অপরিশোধনীয় ঋণে ঋণী”—তথাপি সে ভেবেছিল আমি বুঝি বিনয়প্রকাশ করছি। বর্তমানে, বাস্তব সত্যের অভ্যাগমের সাথে, এখনো আমি সেই একই উক্তি করি। তাদের পূর্বধারণা অনুসারে, মানুষ বিশ্বাস করে যে, আমার বাক্যোচ্চারণের নানাবিধ পদ্ধতি রয়েছে, এবং সেকারণেই তাদের উদ্দেশ্যে আমার উচ্চারিত বাক্যকে আঁকড়ে ধরেও তারা অন্যকিছু প্রত্যাশা করে। এগুলি কি মানুষের ভ্রমাত্মক প্রণোদনা নয়? এই পরিস্থিতিতেই আমি “সাহসিকতার সঙ্গে” বলার স্পর্ধা করি যে মানুষ প্রকৃত অর্থে আমায় ভালোবাসে না। স্বীয় বিবেককে উপেক্ষা করে আমি বাস্তব সত্যকে বিকৃত করবো না, কারণ মানুষকে আমি তাদের আদর্শ ভূমিতে নিয়ে যাবো না; অন্তিমে, আমার কার্য সমাপ্ত হলে, তাদের চালিত করবো মৃত্যুলোকের দিশায়। সেকারণেই মানুষের আমার বিষয়ে অনুযোগ না করাই বিধেয়। এ কি আমার প্রতি মানুষের “ভালোবাসা”-র ফলশ্রুতি নয়? এ কি এই কারণে নয় যে, তাদের আশীর্বাদের আকাঙ্ক্ষা অতি তীব্র? মানুষ আশীর্বাদের অন্বেষণে আগ্রহী না হলে এই “দুর্ভাগ্য” কীভাবে আসতো? আমার প্রতি মানুষের “আনুগত্য”-র কারণে, বহু বছর ধরে তারা আমার অনুসরণ করেছে বলে, কখনো কোনো অনুদান না রাখলেও কঠোর পরিশ্রম করেছে বলে, “গোপন কক্ষে” যা ঘটে চলেছে তার সামান্য একটুখানি আমি তাদের কাছে প্রকাশ করি: যেহেতু বর্তমানে, আমার কার্য এখনো এক নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে উপনীত হয়নি এবং মানুষ এখনো অগ্নিময় গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হয়নি, সেহেতু তাদের প্রতি আমার উপদেশ হল যে, তারা যেন যথাশীঘ্র সম্ভব পলায়ন করে—যারা রয়ে যাবে তাদের দুর্ভাগ্য ভোগের সম্ভাবনা অধিক, এবং তারপরেও অন্তিমে তারা মৃত্যু এড়াতে সক্ষম হবে না। তাদের জন্য আমি “প্রাচুর্যের দ্বার” উন্মুক্ত করে দিই; যারা প্রস্থানে ইচ্ছুক তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাত্রা শুরু করা বিধেয়—শাস্তির অভ্যাগম অবধি অপেক্ষা করলে অতিশয় বিলম্ব ঘটে যাবে। এই বাক্যসমূহ উপহাস নয়—এগুলি বাস্তব সত্য। আমার বাক্যসমূহ নির্মল বিবেক-সহকারে মানুষের উদ্দেশ্যে উচ্চারিত হয়, এবং এখন বিদায় না নিলে, কখন নেবে? মানুষ কি যথার্থই আমার বাক্যে ভরসা রাখতে সক্ষম?

মানুষের নিয়তির বিষয়টি নিয়ে কখনো আমি খুব বেশি চিন্তা করিনি; আমি শুধুই আমার ইচ্ছা অনুসারে চলি, মানুষের কারণে সীমাবদ্ধ হই না। তাদের ভীতির দরুন স্বীয় হস্ত কীভাবে আমি প্রত্যাহার করে নিতে পারি? আমার সমগ্র পরিচালনামূলক পরিকল্পনায় মানুষের অভিজ্ঞতার জন্য কখনো আমি কোনো অতিরিক্ত আয়োজন করিনি। আমি শুধু আমার আদি পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করি। অতীতে মানুষ আমার উদ্দেশ্যে নিজেদের “নিবেদন করেছে” এবং তাদের প্রতি আমি এক নাতিশীতোষ্ণ মনোভাব অবলম্বন করেছিলাম। আজ আমার নিমিত্ত তারা নিজেদের “বিসর্জন দিয়েছে”, এবং এখনো তাদের প্রতি আমি নাতিশীতোষ্ণই রয়ে যাই। আমার জন্য মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করে বলে আমি আত্মপ্রসন্ন নই, অথবা অপরিসীম আনন্দে আত্মহারাও নই, বরং স্বীয় পরিকল্পনা অনুসারে তাদের বধ্যভূমিতে প্রেরণ করে চলি। স্বীকারোক্তিকালে তাদের মনোভঙ্গির প্রতি আমি ভ্রূক্ষেপমাত্র করি না—মনুষ্যহৃদয় আমার হিমশীতল অন্তরকে কীভাবে স্পর্শ করতে পারে? আমি কি মানবজাতির মাঝে এক আবেগতাড়িত জীব? মানুষকে বহুবার স্মরণ করিয়েছি যে আমি আবেগরহিত, কিন্তু তারা শুধু মুচকি হাসে, ভাবে আমি বুঝি নিছকই ভদ্রতা করছি। আমি বলেছি যে “মানবজাতির জীবনদর্শনের বিষয়ে আমি অনবহিত”, কিন্তু মানুষ কখনও তেমনটি মনে করেনি, এবং বলেছে যে, আমার কথনের পদ্ধতি নানাবিধ। মানুষের এই পূর্বধারণার সীমাবদ্ধতার কারণে, মানুষের সাথে কোন স্বরভঙ্গিমায়, এবং কোন উপায়ে, বাক্যালাপ করতে হবে তা আমার জানা নেই—এবং সেকারণেই, উপায়ান্তর না দেখে, আমি কেবলমাত্র কোনও রাখঢাক না করেই বাক্যোচ্চারণ করতে পারি। আর কী-ই বা আমার করণীয় আছে? মানুষের কথা বলার নানাবিধ উপায় রয়েছে—তারা বলে “আবেগের উপর নির্ভর না করে আমাদের ন্যায়পরায়ণতার অনুশীলন করা উচিত”, বহু বছরব্যাপী তারা এই ধরনের জিগির তুলে এসেছে, কিন্তু নিজেদের কথা অনুযায়ী কার্য করতে তারা অসমর্থ, তাদের উক্তিসমূহ শূন্যগর্ভ—সেকারণেই আমি বলি যে “তাদের উক্তি ও অর্জন যুগপৎ সংঘটিত” করার সামর্থ্য মানুষের নেই। স্বীয় অন্তরে মানুষ বিশ্বাস করে যে, এহেন আচরণই হল আমার সমকক্ষ হওয়া—কিন্তু তাদের অনুকরণে আমার কোনোই আগ্রহ নেই, এ বিষয়ে আমি বীতশ্রদ্ধ ও শ্রান্ত। তাদের যিনি খাদ্য যোগান তাঁর প্রতি মানুষ সর্বদাই কেন খড়্গহস্ত হয়ে ওঠে? মানুষকে কি আমি নিতান্তই স্বল্প পরিমাণ প্রদান করেছি? আমার আড়ালে মানুষ সততই কেন সঙ্গোপনে শয়তানের আরাধনা করে? মনে হয় বুঝি তারা আমার অধীনে কর্মরত এবং আমার প্রদত্ত মাসমাহিনা তাদের জীবনধারণের ব্যয় নির্বাহের পক্ষে পর্যাপ্ত নয়, সেকারণেই তাদের বেতন দ্বিগুণ করার উদ্দেশ্যে তারা নির্ধারিত কার্যকালের বাহিরে আরেকটি কাজের খোঁজ করে—কারণ মানুষের খরচখরচা অত্যধিক, এবং বোধ হয় চালিয়ে নেওয়ার কৌশল তাদের অজানা। বস্তুত তা-ই যদি হতো, তবে তাদের আমি আমার “কারখানা” ত্যাগ করার নির্দেশ দিতাম। বহুপূর্বেই আমি মানুষকে ব্যাখ্যা করেছিলাম যে, আমার হয়ে কাজ করার সাথে বিশেষ সুযোগসুবিধা পাওয়ার কোনো সংযোগ নেই: ব্যতিক্রমহীনভাবে, মানুষের সাথে আমি এক “কঠোর পরিশ্রমে অধিক প্রাপ্তি, কম পরিশ্রমে স্বল্প প্রাপ্তি, পরিশ্রম বিনা শূন্য প্রাপ্তি”-র নীতি অবলম্বন করে ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত আচরণ করি। বাক্যোচ্চারণকালে আমি কিছু গোপন করি না; আমার “কারখানার নিয়মকানুন”-কে কেউ কঠোর বলে মনে করলে অবিলম্বে তার প্রস্থান করা উচিত, তার শহর ত্যাগের “ভাড়া” আমি পরিশোধ করবো। এধরনের লোকগুলির মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে আমি “ক্ষমাপ্রবণ”, আমি তাদের থেকে যেতে বাধ্য করিনা। এত অসংখ্য মানুষের মাঝে, আমার ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ একজন “শ্রমিক”-ও কি আমি খুঁজে পেতে পারি না? আমায় তুচ্ছ জ্ঞান করা মানুষের বিধেয় নয়! এখনো মানুষ যদি আমায় অমান্য করে অন্যত্র “কর্মনিযুক্তি”-র অন্বেষণ করতে চায়, তাহলে তাদের উপর বলপ্রয়োগ করবো না—এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাবো, আমার গত্যন্তর নেই! এটি কি আমার অত্যধিক সংখ্যক “নিয়মাবলী ও প্রবিধান”-এর দরুন নয়?

মে ৮, ১৯৯২

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ৩৯

পরবর্তী: অধ্যায় ৪১

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন