অধ্যায় ৩৮
মানুষের অভিজ্ঞতায় আমার চিহ্নমাত্র কখনো ছিল না, কখনো আমার বাক্যের পথনির্দেশনা ছিল না। ফলস্বরূপ, মানুষকে সর্বদাই আমি তফাতে রেখেছিলাম এবং, পরবর্তীকালে, পরিত্যাগ করেছিলাম। মানুষের আনুগত্যহীনতাকে আমি ঘৃণা করি। কেন করি, তা জানি না; মনে হয় মানুষকে আমি যেন আদি থেকেই ঘৃণা করেছি, তা সত্ত্বেও তার প্রতি গভীর সমবেদনাও অনুভব করি। এইভাবে আমার প্রতি মানুষের সততই দ্বিবিধ মনোভাব ছিল—কারণ মানুষকে আমি ভালোবাসি, এবং মানুষকে আমি ঘৃণাও করি। মানুষের মধ্যে কে আমার ভালোবাসার প্রতি প্রকৃত মনোযোগী? কে-ই বা মনোযোগী আমার ঘৃণার বিষয়ে? আমার দৃষ্টিতে, মানুষ এক মৃত বস্তু, সকল কিছুর মাঝে এক মৃণ্ময় মূর্তির মতো নিষ্প্রাণ। তার অবাধ্যতার দরুন মানুষ মাঝে মাঝে আমার ক্রোধের উদ্রেক ঘটায়। যখন আমি মানুষের মাঝে বাস করি, তখন আমার আকস্মিক আবির্ভাবে তারা এক মৃদু হাসি হাসে, কারণ তারা সর্বদাই সচেতনভাবে আমার “সন্ধান করছে”, যেন-বা ধরিত্রীবক্ষে আমি মানুষের সাথে ক্রীড়ারত ছিলাম। কখনো আমায় তারা গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করে না, এবং আমার প্রতি তাদের মনোভাবের দরুন, মানবজাতির “কার্য একক” থেকে “অবসর” নেওয়া ভিন্ন আমার অন্য বিকল্প নেই। তা সত্ত্বেও, আমি নিবেদন করতে চাই যে, আমি “অবসর নিলে”-ও আমার “অবসরভাতা” এক পয়সাও কমানো যাবে না। মানবজাতির “কার্য এককে” আমার “বরিষ্ঠতা”-র কারণে, তাদের কাছে এখনো আমার যে পাওনা বকেয়া রয়েছে তার পরিশোধ আমি দাবি করে যাই। তারা আমায় পরিত্যাগ করেছে বটে, কিন্তু আমার কব্জা থেকে কীভাবে তারা মুক্তি পেতে পারে? একদা মানুষের উপর আমার আয়ত্তি আমি কিছু পরিমাণ শিথিল করেছিলাম, তাদের দৈহিক বাসনাদি অবাধে চরিতার্থ করার অনুমোদন দিয়েছিলাম—এবং এই কারণেই তারা এক নিয়ন্ত্রণহীন, লাগামছাড়া ধরনের আচরণ করার স্পর্ধা করেছিল, যার থেকে প্রতিপন্ন হয় যে প্রকৃতপ্রস্তাবে তারা আমায় ভালোবাসে না, কারণ তারা সকলেই দেহের মধ্যে জীবনযাপন করছে। এমন কি হতে পারে যে প্রকৃত প্রেম দেহের বিনিময়ে প্রদত্ত হয়? এমন কি হতে পারে যে মানুষের নিকট আমার যা কাঙ্ক্ষিত তা নিছক দৈহিক “ভালোবাসা”? তা-ই যদি সত্যি হতো, তাহলে মানুষের কী মূল্য থাকতো? সকল মানুষই নির্গুণ আবর্জনা! আমার সহিষ্ণুতার “বিশেষ ক্ষমতা” না থাকলে বহুপূর্বেই আমি মানবজাতিকে পরিত্যাগ করতাম—“উৎপীড়িত” হওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে থেকে কী লাভ? এখনো আমি সহ্য করি। মানুষের “কারবার”-এর তলদেশ অবধি আমি দেখে নিতে চাই। পৃথিবীতে আমার কার্য যখন সমাপন হবে, তখন সকলকিছুর “মালিক”-এর বিচার করতে আমি আকাশের ঊর্ধ্বদেশে আরোহন করবো; এটিই আমার প্রাথমিক কার্য, কারণ মানুষের প্রতি আমার বিতৃষ্ণা ইতিমধ্যেই এক নির্দিষ্ট মাত্রায় উপনীত হয়েছে। নিজের শত্রুকে কে-ই না ঘৃণা করে? কে-ই বা নিজের শত্রুকে সমূলে উৎপাটিত করবে না? স্বর্গলোকে, শয়তান আমার প্রতিপক্ষ; ধরিত্রীলোকে, মানুষ আমার শত্রু। স্বর্গ ও মর্ত্যের সম্মিলনের কারণে, তাদের সকলকেই আমি, নবম মাত্রার জ্ঞাতিত্ব পর্যন্ত, দোষী সাব্যস্ত করি, এবং তাদের একজনকেও মার্জনা করা হবে না। তাদের কে বলেছিল আমায় প্রতিরোধ করতে? কে বলেছিল আমায় অমান্য করতে? এমন কেন হয় যে, পুরাতন প্রকৃতির সাথে নিজেদের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধন ছেদনে মানুষ অপারগ? এমন কেন হয় যে তাদের দৈহিক বাসনা সর্বক্ষণ তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান? এই সমস্তকিছুই মানুষের সম্পর্কে আমার বিচারের সাক্ষ্যপ্রমাণ। বাস্তব সত্যের কাছে নতিস্বীকার না করার স্পর্ধা কে দেখায়? এমন কথা বলার দুঃসাহস কে করে যে, আমার বিচার আবেগরঞ্জিত? মানুষের থেকে আমি স্বতন্ত্র, এবং সেকারণেই আমি তাকে পরিত্যাগ করি, কারণ মোটেই আমি মনুষ্য প্রজাতির অন্তর্গত কেউ নই।
আমার সকল কার্যের এক ভিত্তি, এক বুনিয়াদ রয়েছে; মানুষ স্বমুখে যখন “প্রকৃত সত্যগুলি” আমার কাছে “প্রকাশিত করে”, তখন আমি প্রহরা দিয়ে তাকে “প্রাণদণ্ডের ময়দান”-এ নিয়ে যাই, কারণ মানবজাতির অপরাধ আমার শাস্তিপ্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জনের পক্ষে পর্যাপ্ত। এবং সুতরাং আমি অন্ধবৎ শাস্তিবিধান করি না, বরং মানুষকে আমি তাদের অপরাধের প্রকৃত পরিস্থিতি অনুযায়ী শাস্তি দিই। নচেৎ, নিজেদের বিদ্রোহী মনোভাবের কারণে, মানুষ কখনো আমার সম্মুখে অবনত হয়ে তাদের দোষ স্বীকার করতো না। শুধুমাত্র বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এসে উপনীত হয়েছে বলেই সকল মানুষ অনিচ্ছাসহকারে তাদের মস্তক অবনত করে—কিন্তু তাদের অন্তরে তারা অপ্রতীতই রয়ে যায়। মানুষকে পানের নিমিত্ত আমি “বেরিয়াম-মিশ্রিত আহার্য” প্রদান করেছি, এবং সেই কারণেই তাদের আভ্যন্তরীন অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি “ফ্লুয়োরোস্কোপ”-এর নিচে সুন্দর ও সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। মানুষের উদর থেকে কলুষ ও অশুদ্ধি লুপ্ত করা হয়নি; সকল প্রকারের আবিল বস্তু তাদের শিরার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, এবং সেকারণেই তাদের শরীরে বিষের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পায়। এরকম এই পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ বহু বৎসর যাবৎ বাস করেছে বলে তারা এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, তাদের কাছে এখন আর তা বিস্ময়কর বোধ হয় না। ফলে, তাদের শরীরের মধ্যে জীবাণুগুলি পূর্ণবিকশিত হয়ে তাদের প্রকৃতিতে পরিণত হয়, এবং প্রত্যেকেই সেগুলির আধিপত্যের অধীনে জীবনধারণ করে। সেকারণেই মানুষ সর্বত্র বন্য ঘোটকের ন্যায় ইতি-উতি ধাবিত হয়। তবু কখনো তারা তা সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করে না; তাদের মৌনসম্মতি জ্ঞাপন করতে তারা শুধু মাথা নাড়ে। সত্যটা হল মানুষ আমার বাক্যকে অন্তর দিয়ে গ্রহণ করে না। আমার বাক্যকে তারা যদি এক উত্তম প্রতিবিধান হিসাবে গ্রহণ করতো, তাহলে তারা “চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসরণ করতো”, এবং এই প্রতিষেধককে তাদের অভ্যন্তরস্থ অসুস্থতার নিরাময় ঘটাতে দিতো। কিন্তু, আমার মনে হয়, তাদের যা আচরণ তাতে এই ইচ্ছার পূরণ ঘটবে না, এবং সেহেতু আমি শুধুমাত্র “পরিস্থিতির অনিবার্যতা স্বীকার করে” নিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে আমার বাক্যোচ্চারণ অব্যাহত রাখতে পারি, সে তারা শুনুক বা না শুনুক: আমি কেবল আমার কর্তব্যসাধন করছি। মানুষ আমার আশীর্বাদ উপভোগে ইচ্ছুক নয়, পরিবর্তে নরকযন্ত্রণা ভোগেও প্রস্তুত—সুতরাং আমি বড়োজোর তাদের অনুরোধে সম্মতিজ্ঞাপন করতে পারি। কিন্তু, নরকে যাতে আমার সুনাম ও আমার আত্মাকে লজ্জিত হতে না হয়, তাই প্রথমে আমি তাদের অনুশাসন করবো, এবং তারপর তাদের ইচ্ছার কাছে “সমর্পণ” করবো, এমনভাবে করবো যাতে তারা “আনন্দে পরিপূর্ণ হয়”। মানুষকে আমি কখনো বা কোনো স্থানে, আমার কেতন উড়িয়ে, আমাকে লজ্জিত করার সুযোগ দিতে ইচ্ছুক নয়, সেই কারণেই বারংবার আমি তাদের অনুশাসন করি। আমার কঠোর উচ্চারণসমূহের সংদমন ব্যতীত, মানুষ কীভাবে অদ্যাবধি আমার সম্মুখে দাঁড়িয়ে রইতে সক্ষম হতো? শুধুমাত্র আমার প্রস্থান-আশঙ্কাতেই কি মানুষ পাপকার্য থেকে নিবৃত্ত থাকে না? এমন কি সত্য নয় যে একমাত্র আমার শাস্তির ভয়েই তারা কোনো অনুযোগ করে না? এমন কেউ কি রয়েছে যার সংকল্পসমূহ শুধুমাত্র আমার পরিকল্পনার খাতিরে গৃহিত হয়? সকল মানুষ চিন্তা করে যে আমার প্রকৃতি হল এক দেবত্বের প্রকৃতি, যাতে “ধীশক্তি গুণ”-এর ঘাটতি রয়েছে, কিন্তু কে উপলব্ধি করতে পারে যে আমার মানবতায় আমি সমস্তকিছুর মর্মার্থ অনুধাবন করতে সক্ষম? মানুষ যেমন বলে থাকে, “একটি পেরেক পোঁতার জন্য অতিকায় হাতুড়ি ব্যবহারের প্রয়োজন কী?” মানুষ আমায় “ভালোবাসে”, কিন্তু তা এই কারণে নয় যে আমার প্রতি তাদের এই প্রেম সহজাত, বরং এই কারণে যে তারা শাস্তিভয়ে ভীত। মানুষের মাঝে কে-ই বা আমার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে জন্ম নিয়েছিল? এমন কেউ কি আছে আমাকে যে আপন হৃদয়ের মতো করে বিবেচনা করে? এবং সেকারণেই মানবজগতের উদ্দেশ্যে এক আপ্তবাক্য সহকারে বিষয়টির সারসংক্ষেপ করি: মানুষের মাঝে এমন কেউই নেই যে আমায় ভালোবাসে।
শুধুমাত্র পৃথিবীর বুকে আমার কার্যের অবসান ঘটাতে চাই বলেই আমার কার্যের গতি আমি এমন ত্বরান্বিত করেছি, তা না হলে আমার দ্বারা মানুষ অতি দূরে নিক্ষিপ্ত হতো, এত দূরে যে অকূল পাথারে আপতিত হতো। বস্তুত যথার্থ পরিস্থিতির বিষয়ে পূর্বাহ্নেই আমি তাদের অবগত করেছি বলেই তারা কিছুটা সতর্ক। অন্যথায়, এমন কি কেউ রয়েছে যে ঝঞ্ঝামুখর আবহাওয়ার উপক্রমে পাল উত্তোলন করবে? প্রত্যেকেই আগাম সতর্কতা গ্রহণের কাজে নিয়োজিত। মনে হয় বুঝি তাদের অন্তরে আমি এক দস্যুতে পরিণত হয়েছি। তারা ভয় পায় যে তাদের গৃহের সমস্তকিছু বুঝি আমি জবরদস্তি দখল করবো, এবং সে কারণেই তারা সর্বশক্তি দিয়ে তাদের দুয়ারগুলি চেপে ধরে রাখে, সহসা আমি যদি বলপূর্বক প্রবেশ করি এই ভেবে মৃতবৎ আতঙ্কিত। তাদের ভীরু ইঁদুরের মতো আচরণ করতে দেখে, আমি নিঃশব্দে নিষ্ক্রান্ত হই। মানুষের কল্পনায়, মনে হয় বুঝি ধরাতল এক চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যেতে চলেছে, এবং সেকারণেই আতঙ্কে হতবুদ্ধি হয়ে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পলায়ন করে। একমাত্র এহেন সময়েই পৃথিবীর বুকে সর্বত্র আমি প্রেতাত্মাদের ঘুরে বেড়াতে দেখি। আমি না হেসে পারি না, এবং আমার হাস্যরোলের মাঝে মানুষ বিস্মিত ও সন্ত্রস্ত হয়। কেবল তখনই আমি বিষয়টির অন্তর্নিহিত সত্যটি উপলব্ধি করি, এবং সেকারণেই হাস্য সংবরণ করে আমি ধরাধামের ঘটনাপ্রবাহ অবলোকনে ক্ষান্তি দিই, পরিবর্তে পুনরায় আমার আদি পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্য সম্পাদনে নিরত হই। মানুষকে আমি আর আমার গবেষণায় নমুনার ভূমিকা পালনকারী এক আদর্শ প্রতিমান বলে গণ্য করি না, কারণ তারা অবাঞ্ছিত জঞ্জালের অতিরিক্ত আর কিছু নয়। একবার আমি বাতিল করে দিলে, তাদের আর কোনো কার্যকারিতা থাকে না—তারা অবাঞ্ছিত বস্তুর টুকরো। এই সন্ধিক্ষণে, তাদের নিশ্চিহ্ন করে আমি আগুনে নিক্ষেপ করি। মানুষের মনে, আমার করুণা ও মায়ামমতা আমার বিচার, মহিমা, ও ক্রোধের মধ্যে আধৃত। কিন্তু তারা সম্পূর্ণ অনবহিত যে, দীর্ঘকাল যাবৎ আমি তাদের দুর্বলতাকে অগ্রাহ্য করেছি, এবং বহুপূর্বেই আমি আমার করুণা ও মায়ামমতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি, এবং সেই কারণেই তারা আজকের পরিস্থিতিতে এসে উপনীত। আমায় জানতে কেউই সক্ষম নয়, এবং আমার বাক্য অনুধাবনে বা আমার মুখাবয়ব দর্শনে, অথবা আমার ইচ্ছা উপলব্ধিতেও, তারা অসমর্থ। মানুষ নিজেকে কি আজ এমনতরো অবস্থাতেই নিপাতিত দেখে না? তাহলে কীভাবে বলা যায় যে আমার করুণা ও মায়ামমতা রয়েছে? মানুষের দুর্বলতাকে আমি বিবেচনার মধ্যে আনি না, এবং তাদের অপ্রতুলতার “তত্ত্বাবধান”-ও আমি করি না। এখনো কি তা আমার করুণা ও মায়ামমতা হতে পারে? কিংবা এখনো কি তা আমার মানবপ্রেম হতে পারে? সকল মানুষ মনে করে যে আমি “শূন্যগর্ভ কুশলবাক্য” উচ্চারণ করছি, এবং সেকারণেই তারা আমার উক্তিগুলি বিশ্বাস করে না। কিন্তু এমনটা কি কেউ জানে: “এ এক অন্য যুগ হওয়ায়, বর্তমান সময়কালে আমার করুণা ও মায়ামমতার কোনো অস্তিত্ব নেই; তা সত্ত্বেও, চিরদিনই আমি এমন এক ঈশ্বর যিনি তাঁর প্রতিশ্রুত কার্য সম্পন্ন করেন”? মানবজাতির মাঝে অধিষ্ঠান করাকালীন মানুষ আমায় মনে-মনে সর্বোচ্চ জ্ঞান করে, এবং সেহেতু তারা বিশ্বাস করে যে আমি আমার প্রজ্ঞার অন্তর্দেশ থেকে বাক্যোচ্চারণ করতে পছন্দ করি। এর ফলে আমার বাক্যকে সর্বদাই তারা কিঞ্চিৎ সংশয়ের সহিত গ্রহণ করে। কিন্তু এমন কি কেউ রয়েছে, যে আমার বক্তব্যের নেপথ্যে নিহিত নিয়মনীতিগুলি, কিংবা আমার বাক্যের উৎসসমূহ, উপলব্ধি করতে পারে? এমন কি কেউ রয়েছে, যে আমি বস্তুত কী সম্পন্ন করতে চাই তা অনুধাবনে সক্ষম? কিংবা, কেই-বা আমার পরিচালনামূলক পরিকল্পনার সিদ্ধান্তের অনুপুঙ্খগুলি মর্মভেদ করতে পারে? কে আমার বিশ্বাসভাজন হতে সক্ষম? সকল বস্তুর মাঝে, আমি সঠিক কী সম্পন্ন করছি, তা আমি ব্যতিরেকে অপর কে-ই বা জানতে পারে? এবং কে-ই বা সক্ষম আমার চূড়ান্ত উদ্দেশ্যটিকে জানতে?
এপ্রিল ৩০, ১৯৯২