অধ্যায় ৩৩

আমার গৃহে একসময় তারাই ছিল যারা আমার পবিত্র নামের গুণকীর্তন করতো, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করতো যাতে ধরিত্রীবক্ষে আমার মহিমা নভোমণ্ডলকে ভরিয়ে তোলে। এর দরুন, আমি যারপরনাই আনন্দিত ছিলাম, এবং আমার হৃদয় পুলকে পরিপূর্ণ ছিল—তবু আমার পরিবর্তে কে-ই বা দিবারাত্রি নিদ্রা বিসর্জন দিয়ে কাজ করে যেতে পারতো? আমার সম্মুখে মানুষের সংকল্প আমাকে আনন্দ দেয়, কিন্তু তার বিদ্রোহী মনোভাব আমার ক্রোধের উদ্রেক করে, এবং সেই হেতু, মানুষ কখনো তার কর্তব্য মেনে চলতে পারে না বলে, তার জন্য আমার দুঃখবোধ গভীরতর হয়ে ওঠে। সততই কেন মানুষ আমার কাছে নিজেদের উৎসর্গ করতে অক্ষম? নিয়তই কেন তারা আমার সাথে দরাদরি করার চেষ্টা করে? আমি কি কোনো ব্যবসায় কেন্দ্রের সাধারণ ব্যবস্থাপক? এমন কেন হয় যে, মানুষের চাহিদা আমি সর্বান্তঃকরণে পূরণ করা সত্ত্বেও, তবু মানুষের কাছে আমার যাচ্ঞা বিফলেই যায়? এমন কি হতে পারে যে ব্যবসায়ের প্রকৌশলে আমি সুনিপুণ নই, কিন্তু মানুষ সুদক্ষ? মানুষ কেন সর্বদাই সুমিষ্ট বচন ও স্তাবকতা দিয়ে আমায় প্রতারিত করে? প্রবেশের জন্য পিছনপথের প্রার্থনায়, সততই কেন মানুষ “উপঢৌকনাদি” হাতে এসে হাজির হয়? মানুষকে কি আমি এরূপ কর্মের শিক্ষা দিয়েছি? কেন মানুষ এরকমের কাজগুলি ক্ষিপ্রবেগে ও পরিপাটিভাবে সম্পাদন করে? আমায় প্রতারণা করতে মানুষ সর্বক্ষণ অনুপ্রাণিত কেন? আমি যখন মানবের মাঝে থাকি, তখন মানুষ আমায় এক সৃজিত সত্তা হিসাবে দেখে; যখন আমি তৃতীয় স্বর্গে অবস্থান করি, তখন তারা আমায় সকলকিছুর উপর সার্বভৌমত্বের ধারক সেই সর্বশক্তিমান বলে বিবেচনা করে; যখন আমি নভোমণ্ডলে বিরাজ করি, তখন তারা আমায় সকলকিছুর পূরণকারী আত্মা মনে করে। সংক্ষেপে, মানুষের অন্তরে আমার নিমিত্ত যথাযোগ্য কোনো স্থান নেই। মনে হয় আমি বুঝি কোনো অনাহূত অতিথি, মানুষ আমার প্রতি বিরাগ পোষণ করে, এবং সেই কারণেই আমি যখন একটি টিকিট তুলে নিয়ে আমার আসন গ্রহণ করি, তখন আমায় বিতাড়িত করে ছাড়ে, এবং বলে যে, এখানে আমার বসার মতো কোনো স্থান নেই, বলে আমি নাকি ভুল জায়গায় এসে পড়েছি, ফলে, ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানত্যাগ করা ভিন্ন আমার কোনো গত্যন্তর থাকে না। আমি মানুষের সাথে আর বিজড়িত না হওয়ার সঙ্কল্প করি, কারণ মানুষ অতি ক্ষুদ্রমনা, তাদের মহানুভবতা নিতান্তই অপ্রতুল। তাদের সাথে আমি আর কখনোই এক টেবিলে খাদ্যগ্রহণ করবো না, ধরাধামে তাদের সাথে আমি আর কোনো অবকাশ অতিবাহিত করবো না। কিন্তু আমি যখন বাক্যোচ্চারণ করি, মানুষ বিস্মিত হয়; আমি প্রস্থান করবো ভেবে তারা শঙ্কিত বোধ করে, এবং সেহেতু ক্রমাগতই তারা আমায় বিলম্ব করাতে থাকে। তাদের মমত্ব দেখে, তৎক্ষণাৎ আমার অন্তরে আমি কিঞ্চিৎ বিষণ্ণ ও অসুখী বোধ করি। মানুষ শঙ্কিত যে আমি তাদের পরিত্যাগ করে যাবো, এবং তাই আমি যখন তাদের সঙ্গ ত্যাগ করে বিদায় নিই, ধরাধাম তখনই অচিরাৎ ক্রন্দনধ্বনিতে পূর্ণ হয়, এবং মানুষের মুখমণ্ডল অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে। তাদের অশ্রুমোচন করে পুনর্বার তাদের উজ্জীবিত করে তুলি, এবং নির্নিমেষে তারা আমার পানে চেয়ে রয়, তাদের কাকুতিঘন চক্ষু বাহ্যত আমায় নিষ্ক্রান্ত না হতে মিনতি জানায়, এবং তাদের “ঐকান্তিকতার” দরুন আমি তাদের সঙ্গে রয়েছি। তবু আমার অন্তরের বেদনা কে-ই বা উপলব্ধি করতে পারে? আমার নিরুচ্চার্য বিষয়গুলির প্রতি কে-ই বা মনোযোগী? মানুষের দৃষ্টিতে, যেন-বা আমি আবেগশূন্য, এবং সেই কারণেই আমরা সততই দুই ভিন্ন পরিবারভুক্ত ছিলাম। আমার অন্তরের বিষণ্ণতাবোধ কীভাবে তারা অনুভব করতে পারে? মানুষ শুধু নিজেদের আনন্দই কামনা করে, এবং আমার ইচ্ছার বিষয়ে তারা মনোযোগী নয়, কারণ, আজ অবধি মানুষ আমার পরিচালনামূলক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনবহিতই রয়ে গেছে, এবং সেহেতু, তারা আজও নীরব অনুনয় জ্ঞাপন করে—কিন্তু তাতে কী লাভ?

মানুষের মাঝে বসবাসকালে তাদের অন্তরে আমি নির্দিষ্ট একটি স্থান অধিকার করি; যেহেতু আমি দেহরূপে আবির্ভূত হয়েছি এবং মানুষও পুরাতন দেহের মধ্যে বাস করে, সেহেতু তারা সর্বদা দেহের মাধ্যমেই আমায় আপ্যায়িত করে। যেহেতু মানুষ শুধুমাত্র দেহেরই অধিকারী এবং অতিরিক্ত কোনো অনুবন্ধী সংযোজন তাদের নেই, সেহেতু “তাদের যাকিছু আছে তা-র সমস্তই” তারা আমায় প্রদান করেছে। তা সত্ত্বেও তারা কিছুই জানে না; আমার সম্মুখে তারা নিছক “তাদের সমর্পণ নিবেদন করে”। যে ফসল আমি চয়ন করি তা মূল্যহীন আবর্জনা—অথচ মানুষ তা মনে করে না। আমি যখন আমার সামগ্রীর সাথে তাদের প্রদত্ত “উপঢৌকনগুলি” তুলনা করি, তখন মানুষ তৎক্ষণাৎ আমার মহার্ঘতা মেনে নেয়, এবং একমাত্র তখনই তারা আমার অপরিমেয়তাকে প্রত্যক্ষ করে। তাদের বন্দনার দরুন আমি গর্বিত বোধ করি না, বরং মানুষের কাছে আবির্ভূত হওয়া অব্যাহত রাখি, যাতে মানুষ আমায় সম্পূর্ণরূপে জানতে পারে। আমার সমগ্রতা যখন আমি তাদের কাছে প্রদর্শন করি, তখন বিস্ফারিত চক্ষে তারা আমার দিকে চায়, এক লবণস্তম্ভের মতো আমার সম্মুখে নিথর দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের এই অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে, হাস্যনিবারণ করাই আমার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। যেহেতু তারা হস্ত প্রসারণ করে আমার কাছে জিনিসপত্র প্রার্থনা করছে, সেহেতু আমার হস্তধৃত সামগ্রীগুলি আমি তাদের প্রদান করি, এবং তারা তা বক্ষে ধারণ করে, নবজাতক শিশুর মতন সেগুলিকে লালন করে, কিন্তু কেবল ক্ষণিকের তরেই তারা সেই গতিশীলতায় নিরত হয়। যখন আমি তাদের বসবাসের পরিমণ্ডলের পরিবর্তন সাধন করি, তখন অবিলম্বে তারা “শিশুটিকে” একপাশে নিক্ষেপ করে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পলায়ন করে। মানুষের দৃষ্টিতে, আমি হলাম সেই সহায়তা যা স্থান-কাল নির্বিশেষে বিদ্যমান; যেন বুঝি আমি কোনো পরিবেশক যে ডাকামাত্রই এসে উপস্থিত হয়। তাই, মানুষ সর্বদাই আমায় “শ্রদ্ধা করেছে”, যেন-বা বিপর্যয়ের সাথে লড়াই করার ক্ষেত্রে আমি অপরিসীম ক্ষমতার অধিকারী, এবং সেই কারণেই সততই আমার হস্ত ধারণপূর্বক দেশান্তরব্যাপী পরিভ্রমণে তারা আমায় পথপ্রদর্শন করেছে, যাতে সকল বস্তু দেখতে পায় যে তাদের এক শাসক রয়েছে, যাতে কেউ তাদের প্রতারিত করার স্পর্ধা না করে। অনেক পূর্বেই মানুষের “শৃগাল কর্তৃক ব্যাঘ্র-মহিমা ধারণের”-এর চালাকি আমি ধরে ফেলেছি, কারণ তারা সকলেই “কারবার ফেঁদে বসেছে”, চালাকির মাধ্যমে লাভবান হতে চাইছে। বহুপূর্বেই আমি তাদের ছলনাপূর্ণ, বিদ্বেষভাবাপন্ন অভিসন্ধির স্বরূপ বুঝে ফেলেছি, নেহাৎ আমাদের মধ্যের সম্পর্কটি আমি নষ্ট করতে চাই না তাই। অহেতুক আমি সমস্যার সৃষ্টি করি না—তাতে কোনো উপকারিতা বা গুরুত্ব নেই। মানুষের দুর্বলতার দরুন যে কার্য আমায় করতেই হবে আমি শুধুমাত্র তা সম্পন্ন করে যাই; অন্যথায়, আমি তাদের ভস্মে পরিণত করতাম, তাদের আর বিদ্যমান থাকতে দিতাম না। কিন্তু আমার সম্পাদিত কার্যের অর্থ রয়েছে, এবং সেহেতু মানুষকে আমি লঘুভাবে শাস্তিদান করি না। এই কারণেই মানুষ সর্বদাই তাদের দৈহিক বাসনাকে অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছে। তারা আমার ইচ্ছার পালন করে না, বরং চিরকাল আমার বিচারের আসনের সম্মুখে মিষ্টি কথার দ্বারা আমায় প্রতারিত করেছে। মানুষ অতীব নির্ভীক: সকল “নিপীড়ন-যন্ত্র” যখন তাদের ভীতিপ্রদর্শন করে, তাদের সঙ্কল্পে তখনও চুলমাত্র চিড় ধরে না। বাস্তব সত্যের সম্মুখে, কোনো প্রামাণ্য তথ্য প্রদানে তারা অসমর্থই রয়ে যায়, এবং একগুঁয়ের মতো আমাকে প্রতিরোধ করা ভিন্ন আর কিছুই করে না। সেকথা জিজ্ঞাসা করলে তারা যা কিছু কলুষ তা বের করে আনে, তখনো তারা আমায় রিক্ত দুখানি হাত প্রদর্শন করে—অন্যেরা কীভাবে একে এক “আদর্শ দৃষ্টান্ত” হিসাবে ব্যবহার না করে পারতো? মানুষের “বিশ্বাস” এত মহান বলেই তারা “প্রশংসনীয়”।

আমি আমার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ব্যাপী কার্যে প্রবৃত্ত হয়েছি; ব্রহ্মাণ্ডের মানুষজন সহসা জেগে উঠে আমার কার্যস্বরূপ কেন্দ্রবস্তুর চারিপাশে সঞ্চারমান হয়, এবং আমি যখন তাদের অভ্যন্তরে “ভ্রমণ করি”, সকলেই তখন শয়তানের দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়, এবং শয়তানের যন্ত্রণাদানের মাঝে উৎপীড়িত হয় না। আমার দিবসের আবির্ভাবের কারণে, মানুষ আনন্দে পরিপূর্ণ, তাদের হৃদয়ে নিহিত বিষাদ অন্তর্হিত, গগনমণ্ডলে বিমর্ষতার মেঘমালা অক্সিজেনে রূপান্তরিত হয়ে বাতাসে ভেসে রয়, এবং এই মুহূর্তে, আমি মানুষের সাথে সম্মিলিত হওয়ার আনন্দ উপভোগ করি। মানুষের কার্যকলাপ আমায় তৃপ্তিতে আস্বাদন করার মতো কিছু দেয়, এবং সেকারণেই আমি আর ক্ষুব্ধ নই। এবং, আমার দিবসের আবির্ভাবের সঙ্গী হয়ে, প্রাণশক্তির অধিকারী পৃথিবীর বস্তুসকল তাদের অস্তিত্বের উৎসমূল ফিরে পায়, ধরাধামের সকল বস্তু পুনরায় প্রাণময় হয়ে ওঠে, এবং আমায় তারা তাদের অস্তিত্বের ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করে, কারণ সকল বস্তুকে আমি প্রাণচঞ্চলতায় দীপ্যমান করে তুলি, এবং সেই একই কারণে, আমার হস্তক্ষেপে তাদের নিঃশব্দ অন্তর্ধানও সংঘটিত হয়। এইভাবে, সকল বস্তু আমার মুখনিঃসৃত নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে, এবং আমার কার্য ও বাক্যের দরুন প্রীত বোধ করে। সকলকিছুর মধ্যে আমি উচ্চতম—তবু সকল মানুষের মাঝে আমি জীবনযাপনও করি, এবং মানুষের ক্রিয়াকর্মকে আমি আমাদ্বারা আকাশ ও পৃথিবী সৃজনের উদ্ভাস হিসাবে ব্যবহার করি। আমার সম্মুখে যখন মানুষ মহান প্রশংসাবাক্য উচ্চারণ করে, তখন সকল বস্তুর মধ্যে আমি বন্দিত হই, এবং এইভাবে আতপ্ত সূর্যের নিচে ধরিত্রীবক্ষের পুষ্পগুলি আরো মনোহর হয়ে ওঠে, তৃণশষ্পাদি হয়ে ওঠে আরো সুশ্যামল, এবং আকাশের মেঘমালা সুনীলতর বলে প্রতিভাত হয়। আমার কণ্ঠস্বরের কারণে, মানুষ ইতস্তত ধাবিত হয়; আমার রাজ্যে আজ মানুষের মুখমণ্ডল পুলকে পরিপ্লুত, এবং তাদের জীবন বিকশিত হয়। আমার সকল মনোনীত মানুষের মাঝে আমি কার্য সম্পাদন করি, এবং আমার কার্যকে আমি মানবীয় ধারণাসকলের দ্বারা কলঙ্কিত হতে দিই না, কারণ আমার নিজের কার্য আমি স্বয়ং নিষ্পন্ন করি। আমার কার্য সম্পাদনকালে আকাশ ও পৃথিবী এবং এগুলির মধ্যস্থ সকলকিছু পরিবর্তিত ও নবায়িত হয়, এবং আমি যখন আমার কার্য সম্পূর্ণ করি, মানুষ তখন সর্বাংশে নতুন হয়ে ওঠে, আমার চাহিদার দরুন সে আর দুর্দশার মধ্যে জীবনযাপন করে না, কারণ সমগ্র বসুন্ধরা ব্যাপী আনন্দের কোলাহল শোনা যায়, এবং মানুষের প্রতি আমার প্রদত্ত আশীর্বাদ তাদের মাঝে সংস্থাপন করতে আমি এই সুযোগকে গ্রহণ করি। যখন আমি রাজ্যের নৃপতি, তখন মানুষ আমায় ভয় পায়, অথচ আমি যখন মানুষের মাঝে রাজা হয়ে বাস করি, তখন মানুষ আমাতে কোনো আনন্দ খুঁজে পায় না, কারণ আমার বিষয়ে তাদের পূর্বধারণা নিতান্তই শোচনীয়, এবং এই ধারণাগুলি এত গভীরভাবে দৃঢ়প্রোথিত যে নিষ্কাশন করা কষ্টসাধ্য। মানুষের উদ্ভাসের কারণে, আমি যথোপযুক্ত কার্য সম্পন্ন করি, এবং যখন আমি অম্বরের ঊর্ধ্বলোকে উন্নীত হয়ে মানুষের উপর নিজের ক্রোধকে অর্গলমুক্ত করি, তখন আমার বিষয়ে মানুষের বিভিন্ন মতামত অবিলম্বে ভস্মীভূত হয়। আমি তাদের আমার বিষয়ে আরো কিছু পূর্বধারণা ব্যক্ত করতে বলি, কিন্তু তারা হতবাক হয়ে রয়, বুঝি-বা তাদের কিছুই নেই, যেন তারা বিনম্র। যত বেশি করে আমি মানুষের পূর্বধারণার মধ্যে বাস করি, তত বেশি তারা আমায় ভালোবেসে ফেলে, এবং যত বেশি করে আমি মানুষের পূর্বধারণার বাইরে বাস করি, তত বেশি তারা আমার থেকে দূরে সরে যায়, এবং আমার বিষয়ে তারা আরো মতামত গড়ে তোলে, কারণ, বিশ্বসৃষ্টির পর থেকে আজ অবধি, আমি সর্বদাই মানুষের পূর্বধারণার মধ্যেই বাস করেছি। আজ মানুষের মাঝে এসে আমি মানুষের সকল পূর্বধারণা বিদূরিত করি, এবং সেই কারণেই মানুষ শুধুই প্রত্যাখ্যান করে—কিন্তু তাদের পূর্বধারণার মোকাবিলা করার জন্য আমার উপযুক্ত পদ্ধতি রয়েছে। মানুষের উদ্বিগ্ন বা চিন্তাকুল হওয়ার কোনো কারণ নেই; আমার নিজস্ব প্রণালীতে আমি সমগ্র মানবজাতিকে উদ্ধার করবো, যার ফলে সকল মানুষ আমায় ভালোবাসবে, এবং স্বর্গরাজ্যে আমি তাদের আমার আশীর্বাদ উপভোগ করার অনুমোদন দান করবো।

এপ্রিল ১৭, ১৯৯২

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ৩২

পরবর্তী: অধ্যায় ৩৪

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন