অধ্যায় ২৫

সময় অতিবাহিত হয়, এবং চোখের নিমেষে, বর্তমান সময় এসে উপস্থিত হয়েছে। আমার আত্মার পথনির্দেশনার অধীনে, সকল মানুষ আমার আলোকের মাঝে বসবাস করে, এবং কেউই আর অতীত দিনের কথা চিন্তা করে না বা বিগত সময়ের প্রতি কোনো মনোযোগ দেয় না। বর্তমান সময়ে কখনো জীবনধারণ করেনি এবং অস্তিমান থাকেনি, এমন কে-ই বা আছে? কোনজন রাজ্যের মাঝে চমৎকার দিবস ও মাসসমূহ অতিবাহিত করেনি? সূর্যের নীচে কেই-বা বাস করেনি? রাজ্য যদিও মানুষের মাঝে অবতরণ করেছে, তবু প্রকৃত অর্থে কেউই রাজ্যের উষ্ণতাকে অনুভব করেনি; মানুষ কেবল বাহ্যিকভাবে তা নিরীক্ষণ করে, তা-র সারসত্য অনুধাবন করে না। আমার রাজ্য যখন নির্মিত হয়, তখন সেই কারণে কে-ই বা আহ্লাদিত হয় না? পৃথিবীপৃষ্ঠের রাষ্ট্রগুলি সত্যিই কি নিস্তার পেতে পারে? অতিকায় লাল ড্রাগন কি সত্যিই তার ধূর্ততার দ্বারা রেহাই পেয়ে যেতে সক্ষম? বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে আমার প্রশাসনিক ফরমানসমূহ ঘোষণা করা হয়, সেগুলি সকল মানুষের মাঝে আমার কর্তৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করে, এবং নিখিল মহাবিশ্বব্যাপী বলবৎ হয়; তবুও, মানুষ প্রকৃতপক্ষে তা কখনোই জানেনি। আমার প্রশাসনিক ফরমানসমূহ যখন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কাছে প্রকাশ করা হয়, ঠিক সেই সময়েই ধরাতলে আমার কার্যও প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে আসে। যখন আমি সকল মানুষের মাঝে রাজত্ব করবো ও আমার ক্ষমতা প্রয়োগ করবো, এবং যখন আমি স্বয়ং একমদ্বিতীয়ম ঈশ্বর হিসাবে স্বীকৃত হবো, তখনই পৃথিবীর বুকে আমার রাজ্য সম্পূর্ণরূপে অবতরণ করবে। আজ, সকল মানুষ এক নতুন পথে নব সূচনা লাভ করেছে। তারা এক নতুন জীবন আরম্ভ করেছে, তবু কেউই কখনো সম্যকরূপে মর্ত্যলোকে স্বর্গসম এক জীবনের অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। তোমরা কি সত্যিই আমার আলোকের মাঝে বাস করো? তোমরা কি যথার্থই আমার বাক্যের মাঝে বসবাস করো? নিজের আশাআকাঙ্ক্ষার কথা কে-ই বা চিন্তা না করে? নিজের অদৃষ্টের কারণে কে-ই বা যন্ত্রণাপীড়িত না হয়? দুঃখক্লেশময় এক সাগরমাঝে কে-ই বা সংগ্রাম না করে? কে চায় না নিজেকে মুক্ত করতে? মেদিনীবক্ষে মনুষ্যকুলের শ্রমসাধ্য কাজের বিনিময়েই কি রাজ্যের আশীর্বাদসমূহ প্রদত্ত হয়? মানুষের সকল বাসনা কি তার ইচ্ছামাফিক চরিতার্থ হতে পারে? একদা মানবসমক্ষে আমি রাজ্যের মনোহর দৃশ্য পেশ করেছিলাম, কিন্তু সে কেবল দৃশটির দিকে লুব্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল, এবং এমন একজনও ছিল না যে প্রকৃতই এই রাজ্যে প্রবেশের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছিল। একদা আমি মানুষের কাছে মর্ত্যলোকের প্রকৃত পরিস্থিতির “বিবরণ পেশ করেছিলাম”, কিন্তু সে নিছক শ্রবণমাত্র করেছিল, এবং অন্তর দিয়ে আমার মুখনিঃসৃত বাক্যগুলির মুখোমুখি হয়নি; একদা মানুষকে আমি স্বর্গের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলাম, কিন্তু আমার বাক্যগুলিকে সে বিস্ময়কর গল্প বলে বিবেচনা করেছিল, এবং আমার মুখের বর্ণনাকে প্রকৃত অর্থে গ্রহণ করেনি। আজ, রাজ্যের দৃশ্যাবলী মানুষের মাঝে চকিতে ঝলকে ওঠে, কিন্তু কেউ কি কখনো তা-র খোঁজে “আকাশ-পাতাল মথিত করেছে”? আমি তাগাদা না দিলে, মানুষ এখনো তার স্বপ্ন থেকে উত্থিত হতো না। সে কি পৃথিবীতে তার জীবনের দ্বারা সত্যিই এতখানি বিমোহিত? তার হৃদয়ে প্রকৃতই কি কোনো মহৎ আদর্শমানসমূহ নেই?

যাদের আমি আমার লোক বলে পূর্বনির্ধারিত করেছিলাম তারা আমার কাছে নিজেদের উৎসর্গ করতে এবং আমার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ভাবে জীবন যাপন করতে সক্ষম। আমার দৃষ্টিতে তারা মূল্যবান, এবং আমার রাজ্যে আমার প্রতি ভালোবাসায় তারা ভাস্বর। আজকের মানুষদের মধ্যে, এমন শর্তাবলী কে পূরণ করে? আমার চাহিদানুসারী গুণমান অর্জন করে কোনজন সমর্থ? আমার চাহিদাগুলি কি সত্যিই মানুষের কাছে সমস্যার সৃষ্টি করে? আমি কি ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ভুল করতে বাধ্য করি? সকল মানুষের প্রতি আমি ক্ষমাশীল, এবং তাদের প্রতি আমি পক্ষপাতপূর্ণ আচরণ করি। কিন্তু, তা কেবল চীনদেশে আমার লোকজনের প্রতি। এমন নয় যে তোমাদের সামর্থ্যের প্রতি আমার নিচু ধারণা আছে, এমনও নয় যে তোমাদের আমি সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখি, বরং আমি তোমাদের প্রতি ব্যবহারিক ও বাস্তববাদী। মানুষ তাদের জীবনে অবধারিতভাবেই বিপত্তিসমূহের সম্মুখীন হয়, তা তাদের পরিবারিক ক্ষেত্রেই হোক বা কোনো বিস্তৃততর ক্ষেত্রে। তবু কার-ই বা কষ্টভোগ তার স্বহস্তে আয়োজিত হয়েছে? মানুষ আমায় জানতে অক্ষম। আমার বাহ্যিক অবয়ব বিষয়ে তার কিছু উপলব্ধি আছে, তবু আমার সারসত্য বিষয়ে সে অনবহিত; যে খাদ্য সে গ্রহণ করে তার উপাদানসমূহ তার জানা নেই। প্রণিধান সহকারে আমার হৃদয়কে কে উপলব্ধি করতে পারে? আমার উপস্থিতিতে কে-ই বা আমার ইচ্ছা সম্যকভাবে বুঝে উঠতে পারে? যখন আমি পৃথিবীতে অবতরণ করি, পৃথিবী তখন অন্ধকারের আচ্ছাদনে আবৃত, এবং মানুষ “গভীর নিদ্রায় মগ্ন”। সকল স্থানে আমি বিচরণশীল হই, এবং যা কিছু আমি দেখি সকলই শতচ্ছিন্ন এবং তাকিয়ে দেখাও দুঃসহ। মনে হয় যেন মানুষ কেবল উপভোগ করতেই ইচ্ছুক, এবং “বহির্জগত থেকে আগত বস্তু”-র প্রতি কর্ণপাত করার কোনো বাসনা তার নেই। সকল মানুষের অজান্তে, সমগ্র পৃথিবী আমি নিরীক্ষণ করি, তবু এমন কোনো স্থান আমি দেখি না যা প্রাণচ্ছলতায় পূর্ণ। তৎক্ষণাৎ, আমি আলোক ও উত্তাপ প্রজ্বলিত করি, এবং তৃতীয় স্বর্গ থেকে পৃথিবীর দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করি। যদিও আলোক এসে ভূপৃষ্ঠে আপতিত হয় এবং উত্তাপ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে, তবু মনে হয় যেন আলোক ও উত্তাপই শুধু আনন্দে উদ্বেলিত হচ্ছে; মানুষের মাঝে সেগুলি কিছুই জাগিয়ে তোলে না, মানুষ তখন আয়েশে হুল্লোড়ে মাতোয়ারা। তা দেখে, অবিলম্বে আমি মানুষের মাঝে আমার প্রস্তুত “যষ্টিটি” অর্পণ করি। যষ্টিটি যখন আপতিত হয়, আলোক ও উত্তাপ তখন ক্রমশ বিলীন হয়ে যায় এবং পৃথিবী তৎক্ষণাৎ জনমানবশূন্য ও অন্ধকার হয়ে পড়ে—এবং অন্ধকারের কারণে উদ্ভূত মানুষ তাদের আত্ম-উপভোগ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগটিকে সাগ্রহে গ্রহণ করে। আমার যষ্টির আবির্ভাব সম্বন্ধে মানুষের আবছা এক অবগতি আছে, কিন্তু সে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে না, এবং তার “পৃথিবীবক্ষের সৌভাগ্য” উপভোগ অব্যাহত রাখে। এর পর, আমার মুখগহ্বর সকল মানুষের শাস্তি ঘোষণা করে, এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে মানুষকে উল্টো করে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। যখন আমার শাস্তির অভ্যুদয় হয়, পাহাড় ধ্বসে পড়ার ও পৃথিবী বিদীর্ণ হওয়ার শব্দে মানুষ প্রকম্পিত হয়, যা পর সে সচকিত হয়ে জেগে ওঠে। বিস্ময়বিমূঢ় ও আতঙ্কিত হয়ে, সে দৌড়ে পালাতে চায়, কিন্তু ততক্ষণে সাতিশয় বিলম্ব ঘটে গিয়েছে। আমার শাস্তি আছড়ে পড়ার সাথে সাথে, মর্ত্যলোকে আমার রাজ্য অবতীর্ণ হয়, এবং সকল রাষ্ট্র ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়, চিহ্নমাত্র অবশিষ্ট না রেখে অদৃশ্য হয়ে যায়।

প্রতিটি দিন আমি ব্রহ্মাণ্ডের দিকে দৃষ্টিপাত করি, এবং প্রত্যেক দিন মানুষের মাঝে আমি আমার নব কার্য সম্পাদন করি। তবু সকল মানুষ তাদের নিজেদের কাজেই মগ্ন থাকে, এবং কেউই আমার কার্যের ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়ার প্রতি মনোযোগ দেয় না অথবা নিজেদের পরিসরের বাইরে বিষয়াদির পরিস্থিতির দিকে নজর করে দেখে না। মনে হয় যেন মানুষ তাদের নিজের হাতে নির্মিত এক নতুন স্বর্গে ও এক নতুন পৃথিবীতে বাস করে, এবং অন্য কেউ তাতে হস্তক্ষেপ করুক, তা তারা চায় না। তারা সকলেই নিজেদেরকে উপভোগ করায় নিমগ্ন, এবং তাদের “শারীরিক প্রশিক্ষণের ব্যায়ামগুলি”-কে তারা যেভাবে তারিফ করে, সেভাবেই নিজেদেরকেও তারিফ করছে। মানুষের অন্তরে কি সত্যিই আমার আদৌ কোনো স্থান নেই? মানুষের হৃদয়ের অধীশ্বর হতে সত্যিই কি আমি অক্ষম? মানুষের আত্মা কি সত্যিই তাকে ত্যাগ করেছে? কে কবে আমার মুখনিঃসৃত বাক্যগুলি সতর্কভাবে বিবেচনা করে দেখেছে? কে কবে আমার অন্তরের কামনা উপলব্ধি করেছে? মানুষের হৃদয় সত্যিই কি অন্য কিছুর দ্বারা দখলীকৃত হয়েছে? বহুবার উচ্চৈঃস্বরে আমি মানুষের উদ্দেশ্যে চিৎকার করেছি, তবু কেউ কি কখনো করুণা অনুভব করেছে? কেউ কি কখনো মানবতার মাঝে জীবন যাপন করেছে? মানুষ দেহের মধ্যে বাস করতে পারে, কিন্তু তার মানবতা নেই। তার কি প্রাণীজগতে জন্ম হয়েছিল? নাকি সে স্বর্গজাত, এবং দেবত্বের অধিকারী? মানুষকে আমি আমার চাহিদাগুলি জানাই, তবু মনে হয় যেন সে আমার বাক্য উপলব্ধি করে না, বুঝিবা আমি তাদের অজানা কোনো অনভিগম্য দৈত্যবিশেষ। কতবার মানুষ আমাকে হতাশ করেছে, কতবার তার দীন কর্মসম্পাদনের দরুন আমি কুপিত হয়েছি, এবং কতবার-ই না তার দুর্বলতার কারণে আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি। কেন আমি মানুষের হৃদয়ে আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগ্রত করতে পারি না? কেন আমি মানুষের অন্তরে ভালোবাসার উদ্রেক ঘটাতে পারি না? কেন মানুষ আমায় তার নয়নের মণি বলে গণ্য করে না? মানুষের হৃদয় কি তার নিজের নয়? অন্য কোনো বস্তু কি তার আত্মার মধ্যে বাসা বেঁধেছে? কেন মানুষ অবিরাম বিলাপ করে? সে কেন দুর্দশাগ্রস্ত? সে যখন দুঃখপীড়িত, তবুও কেন সে আমার অস্তিত্বকে অবজ্ঞা করে? এমন কি হতে পারে যে আমি তাকে বিদ্ধ করেছি? এমন কি হতে পারে যে আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে পরিত্যাগ করেছি?

আমার দৃষ্টিতে, মানুষ সকল কিছুর শাসনকর্তা। তাকে নেহাৎ স্বল্প কর্তৃত্ব আমি দিইনি, তাকে আমি ধরাতলের সকল কিছুকে—পর্বতোপরি তৃণগুল্মাদি, অরণ্যমাঝে প্রাণীসকল, এবং বারিমাঝে মৎস্যকুলকে—পরিচালনা করার অনুমোদন দিয়েছি। কিন্তু এর দরুন খুশী হওয়ার পরিবর্তে, মানুষ উদ্বেগে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। তার সমগ্র জীবন নিদারুণ যন্ত্রণাক্লীষ্ট ও অনির্দিষ্ট ধাবমানতায় পরিকীর্ণ, রিক্ততা-সহ সংযোজিত কৌতুকে পূর্ণ; তার সমগ্র জীবনে নতুন কোনো আবিষ্কার বা সৃজন নেই। এই শূন্যগর্ভ জীবন থেকে কেউ নিজেকে বিমুক্ত করতে সক্ষম নয়, কেউ কখনো কোনো অর্থপূর্ণ জীবনের সন্ধান পায়নি, এবং কেউ-ই কখনো কোনো প্রকৃত জীবনের অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। যদিও আজকের সকল মানুষ আমার দীপ্যমান আলোকের নিচে বসবাস করে, তবু স্বর্গের জীবন সম্পর্কে কিছুই জানে না। আমি যদি মানুষের প্রতি সদয় না হই এবং মানবজাতিকে সুরক্ষা না দিই, তাহলে সকল মানুষ বৃথাই এসেছে, পৃথিবীর বুকে তাদের জীবনের কোনো অর্থ নেই, এবং তারা বৃথাই বিদায় নেবে, গর্ব করার মতো কিছুই অর্জন করবে না। প্রত্যেক ধর্মের, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের, প্রত্যেক রাষ্ট্রের, এবং প্রত্যেক গোষ্ঠীর সকল মানুষ পৃথিবীবক্ষের রিক্ততা বিষয়ে অবহিত, এবং তারা সকলেই আমার সন্ধান করে ও আমার প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করে—অথচ আমার আগমনের সময় আমায় চিনে নিতে সক্ষম, এমন কে রয়েছে? সমস্ত বস্তুকে আমি নির্মাণ করেছিলাম, আমি মানবজাতিকে সৃজন করেছিলাম, এবং আজ আমি মানুষের মাঝে অবতরণ করেছি। মানুষ কিন্তু আমায় প্রত্যাঘাত করে, এবং আমার উপর প্রতিশোধ নেয়। মানুষের উপর যে কার্য আমি সম্পন্ন করি, তা কি তার জন্য কল্যাণকর নয়? আমি কি সত্যিই মানুষের সন্তুষ্টিবিধানে অক্ষম? মানুষ কেন আমায় প্রত্যাখ্যান করে? মানুষ কেন আমার প্রতি এত শীতল ও উদাসীন? পৃথিবী শবদেহে আকীর্ণ কেন? মানুষের জন্য যে পৃথিবী আমি নির্মাণ করেছিলাম, এ-ই কি তার প্রকৃত অবস্থা? এমন কেন হয় যে, মানুষকে আমি অতুলনীয় ঐশ্বর্য প্রদান করা সত্ত্বেও, এর বিনিময়ে সে আমায় দুখানি রিক্ত হস্ত নিবেদন করে? মানুষ আমায় কেন সত্যিকারের ভালোবাসে না? কেন সে কখনো আমার সম্মুখে আসে না? আমার সকল বাক্য কি অহেতুক ছিল? আমার বাক্যগুলি কি উত্তাপ প্রয়োগে জলবৎ বাষ্পীভূত হল তবে? কেন মানুষ আমার সাথে সহযোগিতায় অনিচ্ছুক? আমার দিবসের আবির্ভাব কি সত্যিই মানুষের মৃত্যুর ক্ষণ? যে সময় আমার রাজ্য আকার পরিগ্রহ করবে, তখন কি সত্যিই আমি মানুষকে ধ্বংস করতে পারি? আমার সমগ্র পরিচালনামূলক পরিকল্পনা চলাকালীন একজন মানুষও কেন আমার অভিপ্রায় কখনো উপলব্ধি করেনি? আমার মুখনিঃসৃত উচ্চারণসমূহ লালন করার পরিবর্তে, মানুষ কেন সেগুলিকে ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান করে? কাউকে আমি দোষী সাব্যস্ত করি না, বরং আমি শুধু সকল মানুষকে প্রশান্তির মধ্যে ফিরিয়ে আনি, এবং তাদেরকে দিয়ে আত্মসমীক্ষার কাজ সম্পন্ন করা করাই।

মার্চ ২৭, ১৯৯২

পূর্ববর্তী: অধ্যায় ২৪

পরবর্তী: আনন্দ কর, হে সকল মানুষ!

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন