অধ্যায় ৬
সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, যিনি সকল কিছুর প্রধান, তিনি তাঁর সিংহাসন থেকে তাঁর রাজকীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এবং সকল বস্তুকে শাসন করেন এবং তিনি সমগ্র পৃথিবীতে আমাদের পথপ্রদর্শনের কাজ করেন। আমরা প্রতি মুহূর্তে তাঁর নিকটে থাকব, শান্তভাবে তাঁর সামনে আসব, এক মুহূর্তও নষ্ট না করে এবং সবসময় কিছু শিখব। চারপাশের প্রকৃতি থেকে শুরু করে মানুষ, ঘটনাবলী ও বস্তুসমূহ, সবকিছুই তাঁর সিংহাসনের অনুমতিতে বিদ্যমান। কোনো পরিস্থিতিতেই তোমাদের হৃদয়ে যেন কোনো অভিযোগ না ওঠে, নাহলে ঈশ্বর তোমার উপর তাঁর অনুগ্রহ অর্পণ করবেন না। অসুখের সময়ে এটিই ঈশ্বরের স্নেহ এবং অবশ্যই তাঁর সদয় উদ্দেশ্যগুলি এতে আশ্রয় পায়। তোমার দেহ যদি বা কিঞ্চিৎ কষ্ট ভোগ করে, তবুও শয়তানের কোনো ধারণাকে মনে স্থান দিও না। তোমার অসুস্থতার মধ্যেই ঈশ্বরের স্তুতি কোরো এবং সেই স্তবের মাধ্যমেই ঈশ্বরের সান্নিধ্য উপভোগ কোরো। অসুস্থতার মধ্যেও মনোবল হারিও না, হার না মেনে বারবার অনুসন্ধান করতে থাকো, তাহলেই ঈশ্বর তোমায় তাঁর আলোকে উদ্ভাসিত করবেন। ইয়োবের বিশ্বাস কেমন ছিল? সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হলেন একজন সর্বক্ষমতাসম্পন্ন চিকিৎসক! অসুস্থতার মধ্যে বাস করাই হল অসুস্থতা, কিন্তু উদ্দীপনার মধ্যে বাস করাই হল সুস্থতা। যতক্ষণ তোমার মধ্যে একটিও শ্বাস আছে, ঈশ্বর তোমায় মারা যেতে দেবেন না।
আমাদের অন্তরে রয়েছে খ্রীষ্টের পুনরুত্থিত জীবন। নিঃসন্দেহে ঈশ্বরের উপস্থিতিতে আমাদের বিশ্বাসের অভাব রয়েছে: ঈশ্বর আমাদের মধ্যে প্রকৃত বিশ্বাস স্থাপন করবেন কি না। ঈশ্বরের বাক্য সত্যিই মধুর! ঈশ্বরের বাক্য যেন ঔষধ! এ শয়তান এবং অপদেবতাকে লজ্জা দেয়! ঈশ্বরের বাক্য উপলব্ধি করে আমরা অবলম্বন পাই। আমাদের হৃদয়কে রক্ষা করতে তাঁর বাক্য দ্রুত কাজ করে! এ সবকিছু দূর করে, এবং সকল কিছুকে শান্ত করে। বিশ্বাস হল একটি এক কাঠের সেতুর মতো: যারা কৃপণের মতো জীবনকে আঁকড়ে থাকে তাদের পারাপার করতে অসুবিধা হবে, কিন্তু যারা নিজেকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত, যারা নিশ্চিন্তে দৃঢ় পায়ে পেরিয়ে যেতে পারবে। মানুষ যদি তার মনে ভয়ের চিন্তা পোষণ করে, তার কারণ শয়তান তাদের বোকা বানিয়েছে, কারণ সে ভয় পায় পাছে আমরা বিশ্বাসের সেতু পেরিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রবেশ করি। শয়তান যেকোনো প্রকারে তার চিন্তাধারা আমাদের প্রেরণ করতে চেষ্টা করছে। আমাদের প্রতি মুহূর্তে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা উচিত যাতে তিনি তাঁর আলোকে আমাদের আলোকিত করেন, আমাদের অন্তর থেকে শয়তানের বিষ মুছে ফেলার জন্য প্রতি মুহূর্তে ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখব, কীভাবে ঈশ্বরের নিকটে আসা যায়, প্রতি মুহূর্তে তার আত্মিক অনুশীলন করব, এবং আমাদের সমগ্র অস্তিত্বের উপর ঈশ্বরের আধিপত্য স্বীকার করব।