অধ্যায় ৩০
জাগ্রত হও, ভ্রাতারা! জাগ্রত হও ভগিনীরা! আমার দিবসের আগমনে বিলম্ব নেই; সময়ই জীবন, এবং সময়কে ধরে রাখার অর্থ জীবনের উদ্ধার! সেই সময় আর দূরে নেই! তুমি যদি কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হও, তাহলে তুমি পড়াশোনা করতে পারবে এবং যতবার খুশি পরীক্ষায় বসতে পারবে। কিন্তু, আমার দিবস আর কোনো বিলম্ব সহ্য করবে না। মনে রেখো! মনে রেখো! আমি এই মঙ্গলময় বাক্যে তোমাদের কাছে অনুরোধ করছি। এই বিশ্বের অন্তিম পর্ব তোমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে, এবং প্রবল বিপর্যয়গুলি দ্রুতবগে নিকটবর্তী হচ্ছে। কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ: তোমাদের জীবন, নাকি তোমাদের নিদ্রা, তোমাদের খাদ্য, পানীয় ও পরিধেয়? তোমাদের এই বিষয়গুলির তুল্যমূল্য বিচার করার সময় এসেছে। আর সন্দিহান হয়ো না, এবং যা নিশ্চিত তা থেকে দূরে সরে যেয়ো না।
কী দুঃখজনক! কী শোচনীয়! কী অন্ধ! মানবজাতি কী নিষ্ঠুর! বস্তুত, আমার বাক্যগুলিতে তোমরা কর্ণপাতমাত্র করো না—আমি কি বৃথাই তোমাদের বলছি? তোমরা এখনো এত অমনোযোগী—কেন? এরকম কেন? তোমরা কি সত্যিই কখনো এহেন চিন্তা পোষণ করোনি? আমাকে বিশ্বাস করো! আমি তোমাদের রক্ষাকর্তা! আমিই একমাত্র সর্বশক্তিমান! লক্ষ্য রাখো! লক্ষ্য রাখো! চলে যাওয়া সময় আর ফিরে আসে না—এ কথা মনে রেখো! বিশ্বে এমন কোনো ওষুধ নেই যা অনুশোচনার নিরাময় করতে পারে! তাই, আমার কীভাবে তোমাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত? আমার বাক্য কি তোমাদের সযত্নসহকারে বারংবার বিবেচনা করার যোগ্য নয়? তোমরা আমার বাক্য নিয়ে এত অমনোযোগী এবং নিজেদের জীবন নিয়ে এত দায়িত্বহীন; কীভাবে আমি তা সহ্য করব? কেমন করে আমি তা করতে পারি?
এই সময়ের মধ্যে কেন তোমাদের মধ্যে একটা যথাযথ গির্জা-জীবন গড়ে ওঠেনি? তার কারণ তোমাদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব রয়েছে; তোমরা মূল্য পরিশোধে, নিজেদের উৎসর্গ করতে, আমার সম্মুখে নিজেদের ব্যয় করতে অনিচ্ছুক। জাগ্রত হও, আমার পুত্রগণ! আমাকে বিশ্বাস করো, আমার পুত্রগণ! আমার প্রিয়তম, আমার হৃদয়ে কী রয়েছে তা তোমরা কেন বিবেচনা করবে না?