অধ্যায় ১৬
মনুষ্যপুত্রকে চাক্ষুষ করার পর, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর প্রকাশ্যে আমাদের কাছে নিজেকে ন্যায়পরায়ণতার সূর্যরূপে প্রকাশ করেছিলেন। এটা পর্বতোপরি নবরূপপরিগ্রহ! এখন এটা ক্রমাগত আরো বাস্তব হয়ে উঠছে, প্রকৃত সত্যের আরো কাছাকাছি। আমরা দেখেছি কীভাবে পবিত্র আত্মা কার্য করেন, এবং ঈশ্বর স্বয়ং দেহ থেকে উদ্ভূত হয়েছেন। তিনি মানুষ, বা স্থান, বা ভূগোল-কোনকিছুরই নিয়ন্ত্রণের অধীন নন; তিনি পৃথিবী ও সমুদ্রের সীমা অতিক্রম করে যান, তিমি সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ব্যাপ্ত থাকেন, এবং সমস্ত দেশ এবং সমস্ত মানুষ নীরবে তাঁর কণ্ঠস্বর শ্রবণ করছে। যখন আমরা আমাদের আধ্যাত্মিক চক্ষু উন্মীলন করি, তখন আমরা দেখতে পাই যে ঈশ্বরের বাক্য তাঁর মহিমান্বিত দেহ থেকে উদ্ভূত হয়েছে; ইনিই স্বয়ং ঈশ্বর, দেহ থেকে আবির্ভূত। তিনিই স্বয়ং প্রকৃত ও সম্পূর্ণ ঈশ্বর। তিনি আমাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে কথা বলেন, তিনি আমাদের মুখোমুখি, তিনি আমাদের উপদেশ দেন, তিনি আমাদের করুণা করেন, তিনি আমাদের জন্য অপেক্ষা করেন, তিনি আমাদের স্বাচ্ছন্দ্য দেন, তিনি আমাদের অনুশাসন করেন, এবং তিনি আমাদের বিচার করেন। তিনি নিজের হাতে আমাদের চালিত করেন, এবং আমাদের জন্য তাঁর উদ্বেগ তাঁর ভেতরে অগ্নিশিখার মতো জ্বলে; আকুল হৃদয়ে তিনি জেগে ওঠার জন্য এবং তাঁর অভ্যন্তরে প্রবেশ করার জন্য আমাদের তাগিদ দেন। তাঁর অতীন্দ্রিয় জীবন আমাদের সকলের মধ্যে গ্রথিত হয়েছে, এবং যারা তাঁর মধ্যে প্রবেশ করবে তারা সকলে শ্রেষ্ঠতা অর্জন করবে এবং এই পৃথিবী ও সকল শয়তানকে জয় করবে, এবং তাঁর সঙ্গে একত্রে রাজা হয়ে শাসন করবে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হলেন ঈশ্বরের আধ্যাত্মিক দেহ। তিনি যদি এটাই স্থির করেন, তবে তা-ই হবে; তিনি যদি এমনই বলে থাকেন, তবে তা-ই হবে, এবং তিনি যদি এটাই আদেশ করেন, তবে তা এমনটাই। তিনি হলেন একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর! শয়তান তাঁর পায়ের নীচে, অতল গহ্বরের মধ্যে। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও সমস্তকিছু তাঁর করতলে; সময় সমাগত, এবং সমস্ত কিছুই শূন্যতায় প্রত্যাবর্তন করে আবার নতুন করে জন্মলাভ করবে।