মোয়াবের উত্তরসূরিদের উদ্ধার করার তাৎপর্য

এই দুই থেকে তিন বছরের কাজের মাধ্যমে তোমাদের উপর বিচারকার্য সম্পাদনের দ্বারা যা অর্জনীয় ছিল, তা মূলত অর্জিত হয়েছে। অধিকাংশ মানুষই তাদের ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং অদৃষ্টের কিছুটা পরিত্যাগ করেছে। তবে, যখন উল্লেখ করা হয় যে তোমরা মোয়াবের উত্তরসূরি, তখন তোমাদের অনেকেই তা সহ্য করতে পারো না—তোমাদের অবয়ব বিকৃত হয়, মুখমণ্ডল কুঞ্চিত হয় এবং চক্ষুযুগল স্থির হয়ে পড়ে। তোমরা নিছক বিশ্বাসই করতে পারো না যে তোমরা মোয়াবের উত্তরসূরি। অভিশপ্ত হওয়ার পর মোয়াব এই ভূমিতে নির্বাসিত হয়। তার উত্তরসূরিরা আজ অবধি তার বংশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে, এবং তোমরা সকলেই হলে তার বংশধর। এবিষয়ে আমার কিছুই করার নেই—কে তোমায় বলেছিল মোয়াবের গৃহে জন্ম নিতে? আমি তোমায় অনুকম্পা করি এবং চাই না যে তোমার এমন হোক, কিন্তু এই সত্য কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। তুমি হলে মোয়াবের উত্তরসূরি, এবং আমি একথা বলতে পারি না যে তুমি দাউদের উত্তরসূরি। যারই উত্তরসূরি হও না কেন, তুমি তবুও এক সৃষ্ট সত্তা, যদিও তোমার অবস্থান নিম্ন, তুমি হীন বংশজাত এক জীব। সকল সৃষ্ট সত্তাকে অবশ্যই ঈশ্বরের সমগ্র কার্যের অভিজ্ঞতা লাভ করতে হবে; তারা সকলেই তাঁর দ্বারা বিজিত হওয়ার লক্ষ্যবস্তু, তাদের সকলকেই তাঁর ধার্মিক স্বভাব প্রত্যক্ষ করতে হবে এবং তাঁর প্রজ্ঞা ও সর্বশক্তিমত্তার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আজ, তুমি মোয়াবের একজন উত্তরসূরি, এবং তোমাকে এই বিচার ও শাস্তি স্বীকার করে নিতেই হবে; যদি তুমি মোয়াবের উত্তরসূরি না হতে, তাহলে কি তোমার এই বিচার ও শাস্তি স্বীকার করার প্রয়োজনও হত না? এটা উপলব্ধি করো! প্রকৃতপক্ষে, আজ মোয়াবের উত্তরসূরিদের উপর কাজ করাই সর্বাপেক্ষা মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু তোমাদের উপর এই কার্য নির্বাহিত হচ্ছে, সেহেতু এটির গুরুত্ব প্রবল। যদি এই কার্য হাম-এর উত্তরসূরিদের উপর সম্পাদিত হত, তাহলে তা গুরুত্বপূর্ণ হত না, কারণ তারা মোয়াবের উত্তরসূরিদের মত হীন বংশজাত নয়। নোহের দ্বিতীয় পুত্র হামের বংশধরেরা শুধুমাত্র অভিশপ্ত—তারা ব্যভিচার-সঞ্জাত নয়। নিছকই তাদের অবস্থান নিম্ন, কারণ নোহ তাদের নিম্নতম দাসানুদাস হয়ে থাকার অভিশাপ দিয়েছিল। তাদের অবস্থান হীন, কিন্তু তাদের আদি মূল্য স্বল্প ছিল না। মোয়াবের বিষয়ে বলতে গেলে, মানুষ জানে যে তার আদি অবস্থান ছিল হীন, কারণ সে ছিল ব্যভিচার-সঞ্জাত। যদিও লোটের অবস্থান ছিল অত্যন্ত উচ্চ, কিন্তু মোয়াবের জন্ম হয়েছিল লোট ও তার কন্যার থেকে। লোটকে ধার্মিক বলা হত, কিন্তু মোয়াব তবুও অভিশপ্ত ছিল। মোয়াবের মূল্য ছিল ন্যূন, অবস্থান ছিল হীন, এবং সে যদি এমনকি অভিশপ্ত না-ও হত, তবু সে ক্লেদাক্তই হত, এবং তাই সে ছিল হামের চেয়ে ভিন্ন। সে যিহোবাকে স্বীকার করেনি, বরং পরিবর্তে, সে যিহোবার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ করেছিল—এবং সেহেতু সে অন্ধকারতম স্থানে পতিত হয়। আজ মোয়াবের উত্তরসূরিদের উপর কার্যসাধন করার অর্থ হল যারা চরম অন্ধকারে পতিত, তাদের উদ্ধার করা। যদিও তারা অভিশপ্ত হয়েছিল, ঈশ্বর তবু তাদের কাছ থেকে মহিমা অর্জন করতে ইচ্ছুক, কারণ প্রথমে তারাই ছিল এমন সব মানুষ যাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের অভাব রয়েছে; কেবলমাত্র যাদের অন্তরে ঈশ্বর নেই তাদেরকে ঈশ্বরের আজ্ঞাকারী ও ঈশ্বরপ্রেমী করে তোলাই হল প্রকৃত বিজয়, এবং এহেন কার্যের ফলই সর্বাপেক্ষা মূল্যবান ও সর্বাধিক প্রত্যয়জনক। কেবলমাত্র এটিই হল মহিমা অর্জন করা—এ-ই হল সেই মহিমা যা ঈশ্বর অন্তিম সময়ে অর্জন করতে চান। যদিও এই মানুষগুলির অবস্থান হীন, তবু তারা যে এখন এমন মহান পরিত্রাণ অর্জনে সক্ষম, তা প্রকৃতপক্ষেই ঈশ্বরকৃত এক উন্নীতকরণ। এই কার্য অতীব অর্থবহ, এবং বিচারের মাধ্যমেই তিনি এই মানুষগুলিকে অর্জন করেন। তাঁর অভিপ্রায় এই মানুষগুলিকে দণ্ড দেওয়া নয়, বরং তাদের উদ্ধার করা। অন্তিম সময়ে যদি তিনি এখনও ইসরায়েলেই বিজয়কার্য নির্বাহ করে যেতেন, তবে তা মূল্যহীন হত; এমনকি তা ফলবান হলেও সেই ফলের কোনও মূল্য বা বিরাট কোনও তাৎপর্য থাকত না, এবং তিনি সকল মহিমা অর্জন করতে পারতেন না। তোমরা, যারা অন্ধকারতম স্থানে পতিত হয়েছ, যারা সর্বাপেক্ষা অনগ্রসর, তিনি তোমাদেরই উপর কার্যরত। এই মানুষগুলি স্বীকার করে না যে একজন ঈশ্বর রয়েছেন, এবং তারা কখনোই জানেনি যে একজন ঈশ্বর রয়েছেন। এই জীবগুলি শয়তানের দ্বারা এতই কলুষিত হয়েছে যে তারা ঈশ্বরকে ভুলে গিয়েছে। তারা শয়তানের দ্বারা অন্ধ হয়েছে, এবং তারা একেবারেই জানে না যে স্বর্গে একজন ঈশ্বর রয়েছেন। নিজ-নিজ অন্তরে তোমরা সকলেই মূর্তিপূজা করো এবং শয়তানের উপাসনা করো—তোমরাই কি সকল মানুষের মাঝে হীনতম, অনগ্রসরতম নও? সকল দেহজ সত্তার মধ্যে তোমরাই হীনতম, তোমাদের কোনও ব্যক্তিস্বাধীনতা নেই, এবং তোমরা কষ্টভোগও করো। তোমরাই হলে এই সমাজের নিম্নতম স্তরে অবস্থানরত মানুষজন, এমনকি বিশ্বাসের স্বাধীনতাও নেই তোমাদের। এখানেই রয়েছে তোমাদের উপর কাজ করার তাৎপর্য। আজ তোমাদের উপর, অর্থাৎ মোয়াবের উত্তরসূরিদের উপর, কাজ করার উদ্দেশ্য তোমাদের অপদস্থ করা নয়, বরং তার উদ্দেশ্য হল কার্যের তাৎপর্যটিকে প্রকাশ করা। তোমাদের পক্ষে এ হল এক মহান উন্নীতকরণ। কোনও ব্যক্তির বোধ ও অন্তর্দৃষ্টি থাকলে সে বলবে: “আমি মোয়াবের এক উত্তরসূরি, আমি সত্যিই আজ ঈশ্বরের এই মহান উন্নীতকরণ বা এমন সুমহান আশীর্বাদ গ্রহণ করার অযোগ্য। আমি যা কিছু করি ও বলি তাতে, এবং আমার মর্যাদা ও মূল্য অনুসারে, আমি ঈশ্বরের এমন মহান আশীর্বাদ গ্রহণ করার পক্ষে সম্পূর্ণরূপে অযোগ্য। ইসরায়েলীদের ঈশ্বরের প্রতি প্রবল প্রেম রয়েছে, এবং তারা যে অনুগ্রহ উপভোগ করে তা তাদের তিনিই প্রদান করেছেন, কিন্তু তাদের মর্যাদা আমাদের তুলনায় অনেক উঁচুতে। অব্রাহাম যিহোবার প্রতি প্রবল নিষ্ঠাবান ছিল, এবং পিতর যীশুর প্রতি প্রভূত নিষ্ঠাবান ছিল—তাদের নিষ্ঠা ছিল আমাদের নিষ্ঠার তুলনায় একশো গুণ বেশি। আমাদের কাজকর্মগুলি অনুসারে, আমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহ উপভোগ করার পক্ষে একেবারেই অযোগ্য।” চীনের এই লোকগুলির সেবাদানকে তো ঈশ্বরের সামনে আনাই যায় না। তা সম্পূর্ণ ভগ্নদশায় রয়েছে; তোমরা যে এখন ঈশ্বরের প্রভূত অনুগ্রহ উপভোগ করো তা নিখাদভাবে ঈশ্বরপ্রদত্ত উন্নীতকরণ! কখন তোমরা ঈশ্বরের কার্যের অন্বেষণ করেছ? কখন তোমরা তোমাদের জীবন ঈশ্বরের জন্য উৎসর্গ করেছ? কখন তোমরা নির্দ্বিধায় নিজেদের পরিবার, পিতা-মাতা এবং সন্তানদের ত্যাগ করেছ? তোমাদের কেউই বিরাট কোনও মূল্য দাওনি! পবিত্র আত্মা তোমায় বাইরে না নিয়ে এলে তোমাদের মধ্যে কতজন সর্বস্ব পরিত্যাগ করতে সক্ষম হতে? শুধু বলপ্রয়োগ ও জোর খাটানোর ফলেই তোমরা আজ পর্যন্ত অনুসরণ করেছ। কোথায় তোমাদের নিষ্ঠা? কোথায় তোমাদের আনুগত্য? তোমাদের কাজকর্মগুলির উপর ভিত্তি করে তোমাদের অনেক আগেই ধ্বংস করে দেওয়া উচিত ছিল—তোমাদের সকলকেই নির্মূল করে ফেলা উচিত ছিল। কী তোমাদের এহেন সুমহান আশীর্বাদ উপভোগ করার উপযুক্ত করে তোলে? তোমরা এতটুকুও যোগ্য নও! তোমাদের মধ্যে কে তার নিজের পথ তৈরী করে নিয়েছে? তোমাদের মধ্যে কে নিজে নিজেই প্রকৃত পথ খুঁজে পেয়েছে? তোমরা সকলেই অলস, লোভী ও আরামপ্রিয় হীনজন! তোমরা কি মনে করো যে তোমরা মহান? বড়াই করার মতো কী আছে তোমাদের? এমনকি তোমরা যে মোয়াবের উত্তরসূরি এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করলেও, তোমাদের প্রকৃতি বা তোমাদের জন্মস্থান কি উচ্চতম প্রকারের? তোমরা যে তার উত্তরসূরি এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করলেও, তোমরা সকলেই কি আদ্যোপান্তই মোয়াবের বংশধর নও? সত্য বা তথ্যাবলীর কি পরিবর্তন ঘটানো যায়? এখন তোমাদের প্রকৃতি অনাবৃত করার অর্থ কি তথ্যবিধৃত সত্যের ভুল উপস্থাপনা করা? লক্ষ্য করো নিজেদের দাস মনোভাবের প্রতি, নিজেদের জীবনের প্রতি, এবং নিজেদের চরিত্রের প্রতি—তোমরা কি জানো না যে তোমরাই মানবজাতির মাঝে হীনদের মধ্যে হীনতম? বড়াই করার মতো কী আছে তোমাদের? সমাজে তোমাদের অবস্থানের দিকে লক্ষ্য করো। তোমরা কি সমাজের নিম্নতম স্তরে অবস্থিত নও? তোমরা কি ভাবছ যে আমি ভুল বলেছি? অব্রাহাম ইস্‌হাককে বলিপ্রদত্ত করেছিল—তোমরা কী উৎসর্গ করেছ? ইয়োব সমস্তকিছু অর্পণ করেছিল—তোমরা কী অর্পণ করেছ? প্রকৃত পথের সন্ধানে এত মানুষ জীবন দিয়েছে, মস্তক বলিদান করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে। তোমরা কি সেই মূল্য দিয়েছ? সেই তুলনায়, তোমরা এমন মহান অনুগ্রহ উপভোগ করার একেবারেই যোগ্য নও। তোমরা যে মোয়াবের উত্তরসূরি, আজ তা বললে কি তোমাদের সাথে অন্যায় করা হয়? নিজেদের বিষয়ে অতিমাত্রায় উচ্চ ধারণা পোষণ কোরো না। তোমার কাছে বড়াই করার মতো কিছুই নেই। এমন মহান পরিত্রাণ, এমন সুমহান অনুগ্রহ, তা তোমাদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। তোমরা কিছুই উৎসর্গ করোনি, তবু তোমরা মুক্তভাবে অনুগ্রহ উপভোগ করো। তোমাদের কি লজ্জাবোধ হয় না? এই প্রকৃত পথ কি এমন কিছু যা তোমরা নিজে থেকেই খুঁজে বের করেছ? পবিত্র আত্মাই কি তোমাদের তা গ্রহণ করায় বাধ্য করেননি? তোমাদের কখনোই অন্বেষণ করার মতো হৃদয় ছিল না, সত্যের জন্য আকুল ও সত্যসন্ধানী হৃদয় তো আরোই ছিল না। তোমরা শুধুই আরামে বসে তা উপভোগ করে চলেছ; বিন্দুমাত্র উদ্যম ব্যয় না করেই তোমরা এই সত্যটি অর্জন করেছ। অনুযোগ করার কী অধিকার রয়েছে তোমার? তুমি কি নিজেকে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান বলে মনে করো? যারা নিজেদের জীবনের বলিদান দিয়েছে এবং রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের তুলনায় অভিযোগ করার মতো কী রয়েছে তোমার কাছে? তোমাদের এখন ধ্বংস করে ফেলাই সঠিক এবং স্বাভাবিক হবে! মান্য করা আর অনুসরণ করা ছাড়া তোমাদের আর কোনও গতি নেই। তোমরা নিতান্তই যোগ্য নও! তোমাদের মধ্যে বেশিরভাগকেই আহ্বান করা হয়েছিল, কিন্তু তোমাদের পরিবেশ তোমাদেরকে বাধ্য না করলে, অথবা তোমাদের আহ্বান করা না হলে, তোমরা বেরিয়ে আসতে পূর্ণতই অনিচ্ছুক হতে। কে এমন ত্যাগ করতে ইচ্ছুক? কে-ই বা দৈহিক সুখভোগ পরিত্যাগ করতে ইচ্ছুক? তোমরা সকলেই এমন মানুষ যারা লোভাতুরভাবে আয়েশে লিপ্ত হয় এবং বিলাসবহুল জীবনের সন্ধান করে! তোমরা এমন মহান আশীর্বাদ লাভ করেছ—আর কী বলার আছে তোমাদের? কী অভিযোগ আছে তোমাদের? তোমাদের স্বর্গের বৃহত্তম আশীর্বাদ ও মহত্তম অনুগ্রহ উপভোগ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, এবং যে কার্য ইতিপূর্বে পৃথিবীতে সম্পাদিত হয়নি তা আজ তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। এ কি এক আশীর্বাদ নয়? আজ তোমাদের এভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে কারণ তোমরা ঈশ্বরের প্রতিরোধ করেছ এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছ। এই শাস্তির কারণে তোমরা ঈশ্বরের করুণা ও ভালোবাসা দেখতে পেয়েছ, এবং অধিকন্তু, তোমরা তাঁর ন্যায়পরায়ণতা ও পবিত্রতা প্রত্যক্ষ করেছ। এই শাস্তিদানের কারণে এবং মানবজাতির ক্লেদাক্ততার কারণে তোমরা ঈশ্বরের সুমহান ক্ষমতা চাক্ষুষ করেছ, এবং তোমরা তাঁর পবিত্রতা ও মহত্ত্ব দেখেছ। এ কি বিরলতম সত্য নয়? এ-ই কি এক অর্থবহ জীবন নয়? ঈশ্বর যে কাজ করেন, তা অর্থময়তায় পরিপূর্ণ! অতএব, তোমাদের অবস্থান যত নিম্নে, তত তা প্রমাণ করে যে তোমরা ঈশ্বরের দ্বারা উন্নীত হয়েছ, এবং তত তা তোমাদের উপর আজ তাঁর সম্পাদিত কার্যের বিপুল মূল্য প্রতিপন্ন করে। এ যথার্থই এক অমূল্য সম্পদ, যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না! যুগযুগান্ত ধরে কেউই এত মহৎ পরিত্রাণ উপভোগ করেনি। তোমাদের অবস্থান যে হীন, সেই তথ্যটিই দেখায় ঈশ্বরের পরিত্রাণ কত মহান, এবং তা দেখায় যে ঈশ্বর মানবজাতির প্রতি বিশ্বস্ত—তিনি উদ্ধার করেন, তিনি ধ্বংস করেন না।

চীনা মানুষেরা কখনোই ঈশ্বরে বিশ্বাস করেনি; তারা কখনোই যিহোবার সেবা করেনি, এবং কখনও যীশুর সেবাও করেনি। তারা শুধু নতজানু হয়ে অতিভক্তি প্রদর্শন করে, ধূপ-ধুনো পোড়ায় এবং বুদ্ধের উপাসনা করে। তারা কেবল মূর্তিপূজা করে—তারা প্রত্যেকেই অত্যুগ্রভাবে বিদ্রোহী স্বভাবের। অতএব, মানুষের অবস্থান যত হীন হয়, ততই তা প্রদর্শন করে যে ঈশ্বর তোমাদের থেকে আরো বেশি করে মহিমা অর্জন করছেন। কেউ তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে পারে: “ঈশ্বর, আপনি যে কাজটি করেন সেটি কী? আপনার মতো এত সুউচ্চ, পবিত্র ঈশ্বর এক কলুষিত ভূমিতে অবতীর্ণ হন? আপনি কি নিজেকে এতই অকিঞ্চিৎকর বলে মনে করেন? আমরা এত ক্লেদাক্ত, কিন্তু তবু আপনি আমাদের সাথে থাকতে ইচ্ছুক? আপনি আমাদের মাঝে জীবনযাপন করতে ইচ্ছুক? আমাদের অবস্থান এত হীন, তবু আপনি আমাদের সম্পূর্ণ করে তুলতে ইচ্ছুক? এবং তবুও আপনি আমাদের আদর্শ ও নমুনা হিসাবে ব্যবহার করবেন?” আমি বলি: তুমি আমার ইচ্ছা উপলব্ধি করো না। আমি যে কাজ করতে চাই সেটিও তুমি উপলব্ধি করো না, অথবা আমার স্বভাবও তুমি উপলব্ধি করো না। আমি যে কার্য নির্বাহ করতে চলেছি তার তাৎপর্য তোমার অর্জন করার সামর্থ্যের ঊর্দ্ধে। আমার কাজ কি তোমার মনুষ্যসুলভ পূর্বধারণার সাথে সঙ্গত হতে পারে? মানুষের ধারণা অনুসারে আমাকে বেশ ভালো একটা দেশে জন্ম নিতে হত, যাতে দেখানো যায় যে আমার অবস্থান উচ্চ, আমার মূল্য সুবিশাল, দেখানো যায় আমার সম্মান, পবিত্রতা, এবং মহত্ত্ব। যদি আমায় চিনতে পারে এমন কোনও স্থানে, সম্ভ্রান্ত কোনও পরিবারে, আমি জন্ম নিতাম, এবং আমার যদি উচ্চ অবস্থান ও মর্যাদা থাকত, তাহলে আমার সঙ্গে খুব ভালো আচরণ করা হত। তাতে আমার কাজের উপকার হত না, এবং তাহলে কি আর এমন মহান পরিত্রাণ প্রকাশিত হত? যারাই আমায় দেখতে পেত, তারাই আমায় মান্য করত, এবং তারা ক্লেদের দ্বারা দূষিত হত না। এই ধরনেরই কোনও এক স্থানে আমার জন্মগ্রহণ করা উচিত ছিল। এটাই তোমরা বিশ্বাস করো। কিন্তু ভেবে দেখো: ঈশ্বর কি আনন্দ উপভোগ করতে পৃথিবীতে এসেছিলেন, না কাজ করতে? আমি যদি সেরকম একটা সহজ, আরামপ্রদ স্থানে কার্যরত হতাম, তাহলে কি আমি পূর্ণ মহিমা অর্জন করতে পারতাম? আমি কি সক্ষম হতাম আমার সমগ্র সৃষ্টিকে জয় করতে? ঈশ্বর যখন পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তিনি তখন এই বিশ্বজগতের কেউ ছিলেন না, এবং তিনি জগৎকে উপভোগ করার উদ্দেশ্য নিয়ে দেহধারণ করেননি। যে স্থানে তাঁর কার্যসাধন তাঁর স্বভাবকে প্রকাশিত করবে এবং সর্বাধিক অর্থবহ হবে, সেই স্থানেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তা পবিত্র ভূমিতেই হোক অথবা ক্লেদাক্ত ভূমিতে, এবং যেখানেই তিনি কাজ করুন না কেন, তিনি পবিত্র। এই বিশ্বের সকলকিছুই তাঁর দ্বারা সৃষ্ট, যদিও তা সকলই শয়তানের দ্বারা কলুষিত হয়েছে। তবু, সমস্তকিছু আজও তাঁরই; সে সকলই রয়েছে তাঁর হাতে। তিনি একটি ক্লেদাক্ত ভূমিতে অবতীর্ণ হয়ে সেখানে তাঁর পবিত্রতা প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে কার্যরত হন; তিনি কেবল তাঁর কাজের স্বার্থেই তা করেন, যার অর্থ হল যে এই ক্লেদাক্ত ভূমির মানুষদের উদ্ধার করার উদ্দেশ্যে কার্য করবেন বলে তিনি প্রবলভাবে অপদস্থ হওয়া সহন করে নেন। তা করা হয় সাক্ষ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে, সমগ্র মানবজাতির স্বার্থে। এই কাজ মানুষকে যা দেখায় তা হল ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতা, এবং তা ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠত্বকে আরও ভালোভাবে প্রদর্শন করতে সক্ষম। একদল হীন মানুষ, যাদের অন্যরা অবজ্ঞা করে, তাদের পরিত্রাণের মধ্যেই তাঁর মহত্ত্ব ও ঋজুতা উদ্ভাসিত হয়। তাঁর ক্লেদাক্ত ভূমিতে জন্মগ্রহণ করা একেবারেই প্রতিপন্ন করে না যে তিনি হীন; তা নিছকই সকল সৃষ্টিকে তাঁর মহত্ত্ব ও মানবজাতির প্রতি তাঁর প্রকৃত প্রেম চাক্ষুষ করার অনুমতি দেয়। যত তিনি তা করেন, ততই মানুষের প্রতি তাঁর নিখাদ, ত্রুটিহীন প্রেম প্রকাশিত হয়। ঈশ্বর পবিত্র ও ন্যায়পরায়ণ। যদিও তিনি ক্লেদাক্ত ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেছেন, এবং যদিও তিনি এমন মানুষজনের সাথে বসবাস করেন যারা ক্লেদে পরিপূর্ণ, ঠিক যেমন অনুগ্রহের যুগে যীশু পাপীদের সাথে বাস করেছিলেন, তবু তাঁর কাজের প্রতিটি অংশই কি সকল মানবজাতির বেঁচে থাকার স্বার্থে কৃত নয়? তা কি মানবজাতি যাতে সুমহান পরিত্রাণ লাভ করতে পারে, পূর্ণতই সেই উদ্দেশ্যে কৃত নয়? দুই হাজার বছর আগে, তিনি বেশ কিছু বছর পাপীদের সাথে বাস করেছিলেন। তা ছিল মুক্তির কার্যের স্বার্থে। আজ তিনি একদল ক্লেদাক্ত, হীন ব্যক্তির সাথে বসবাস করছেন। এ হল পরিত্রাণের স্বার্থে। তাঁর সকল কর্মই কি তোমাদের, মানুষদের, স্বার্থেই কৃত নয়? মানবজাতিকে উদ্ধার করার জন্য না হলে কেনই বা তিনি একটি আস্তাবলে জন্মগ্রহণ করে পাপীদের সাথে এত বছর ধরে বসবাস এবং কষ্টভোগ করতেন? এবং মানবজাতিকে উদ্ধার না করতে হলে কেন তিনি দ্বিতীয়বার দেহধারণ করে প্রত্যাবর্তিত হতেন, জন্মগ্রহণ করতেন এই ভূমিতে, যেখানে দানবেরা জমায়েত করে, এবং কেন-ই বা তিনি শয়তানের দ্বারা গভীরভাবে কলুষিত এই মানুষগুলির সঙ্গে বসবাস করতেন? ঈশ্বর কি বিশ্বসনীয় নন? তাঁর কাজের কোন অংশটি মানবজাতির উদ্দেশ্যে কৃত নয়? তাঁর কাজের কোন অংশটি তোমাদের নিয়তির উদ্দেশ্যে কৃত নয়? ঈশ্বর যে পবিত্র, তা অপরিবর্তনীয়! তিনি ক্লেদের দ্বারা কলুষিত নন, যদিও তিনি ক্লেদে আবিল এক ভূমিতে এসে উপস্থিত হয়েছেন; এই সমস্তকিছুর অর্থ শুধু এ-ই হতে পারে যে মানবজাতির প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসা একান্ত নিঃস্বার্থ, এবং তিনি যে কষ্ট ও অবমাননা সহ্য করেন তা অত্যন্ত সুবিশাল! তোমাদের সকলের ও তোমাদের নিয়তির উদ্দেশ্যে তাঁর সহন করা অবমাননা যে কত বিশাল, তা কি তোমরা জানো না? মহান ব্যক্তিবর্গকে অথবা ধনী ও ক্ষমতাবানদের পুত্রগণকে উদ্ধার করার বদলে বরং তিনি হীন ও সকলের অবজ্ঞার পাত্র এমন মানুষদের উদ্ধার করার বিষয়ে জোর দেন। এই সমস্তকিছু কি তাঁর পবিত্রতা নয়? এই সমস্তকিছু কি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা নয়? সমগ্র মানবজাতির টিকে থাকার স্বার্থে তিনি এক ক্লেদাক্ত ভূমিতেই বরং জন্ম নেবেন, সহন করে নেবেন সকল অবমাননা। ঈশ্বর ঘোরতর বাস্তব—মিথ্যা কোনও কাজ তিনি করেন না। তাঁর কার্যের প্রতিটি পর্যায়ই কি এরকম ব্যবহারিকভাবে সম্পাদিত হয় না? যদিও সকলেই তাঁর নিন্দামন্দ করে আর বলে যে তিনি পাপীদের সাথে এক পংক্তিতে বসেন, এবং যদিও সকলেই তাঁকে পরিহাস করে বলে যে তিনি আবর্জনার সন্তানদের সাথে বসবাস করেন, তিনি হীনতম মানুষদের সাথে থাকেন, তবু তিনি নিঃস্বার্থভাবে আত্মনিবেদন করেন, এবং তিনি মানবজাতির মাঝে এখনও এভাবে প্রত্যাখ্যাত। যে কষ্ট তিনি সহ্য করেন তা কি তোমাদের কষ্টের চেয়ে বেশি নয়? যে কাজ তিনি করেন তা কি তোমাদের পরিশোধিত মূল্যের চেয়ে অধিক নয়? আবর্জনাপূর্ণ ভূমিতে জন্ম নিয়েও তোমরা ঈশ্বরের পবিত্রতা লাভ করেছ। তোমরা এমন এক ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেছ যেখানে দানবরা জমায়েত হয়, তবু তোমরা সুবিশাল সুরক্ষা প্রাপ্ত হয়েছ। কী বিকল্প রয়েছে তোমাদের? কী অভিযোগ রয়েছে তোমাদের? যে কষ্ট তিনি সহ্য করেছেন তা কি তোমাদের সহ্য করা কষ্টের চেয়ে বেশি নয়? তিনি পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন, কিন্তু কখনোই মানবজগতের ভোগবিলাস উপভোগ করেননি। এ ধরনের বিষয় তিনি ঘৃণা করেন। ঈশ্বর এই উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে আগমন করেননি যে মানুষ তাঁকে জাগতিক বস্তুসমুহ দ্বারা আপ্যায়িত করুক, অথবা তিনি মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, ও অলঙ্কার উপভোগ করতেও আসেননি। এইসব বিষয়ে তিনি কোনও মনোযোগ দেন না। তিনি পৃথিবীতে এসেছেন মানুষের জন্য কষ্টভোগ করতে, পার্থিব বিত্তসম্পদ উপভোগ করতে নয়। তিনি এসেছেন কষ্টভোগ করতে, কাজ করতে, এবং তাঁর পরিচালনামূলক পরিকল্পনাটি সম্পূর্ণ করতে। থাকার জন্য তিনি দূতাবাস বা বর্ণাঢ্য হোটেলের মতো ভালো কোনও জায়গা বেছে নেননি, অথবা তাঁর সেবার জন্য অনেক ভৃত্যও নিযুক্ত নয়। তোমরা যা দেখেছ তার উপর ভিত্তি করে তোমরা কি জানো না যে তিনি কাজ করতে এসেছেন, না কি আনন্দ উপভোগ করতে? তোমাদের চোখ কি তা দেখে না? কতকিছু দিয়েছেন তিনি তোমাদের? কোনও আরামদায়ক স্থানে জন্মগ্রহণ করলে কি তিনি মহিমা অর্জন করতে পারতেন? সেক্ষেত্রে কি তিনি কাজ করতে সক্ষম হতেন? তাঁর তা করার কি কোনও তাৎপর্য থাকত? তিনি কি মানবজাতিকে পূর্ণত বিজয় করতে পারতেন? তিনি কি মানুষকে ক্লেদাক্ত ভূমি থেকে উদ্ধার করতে পারতেন? মানুষ তাদের পূর্বধারণা অনুসারে জিজ্ঞাসা করে: “ঈশ্বর তো পবিত্র, তবু কেন তিনি আমাদের এই ক্লেদাক্ত স্থানে জন্ম নিয়েছেন? আপনি তো আমাদের মতো ক্লেদাক্ত লোকজনকে ঘৃণা ও অবজ্ঞা করেন; আপনি আমাদের প্রতিরোধ ও বিদ্রোহপরায়ণতাকে ঘৃণা করেন, তাহলে কেন আপনি আমাদের সাথে বাস করেন? আপনি হলেন এক পরম ঈশ্বর। আপনি তো যে কোনও স্থানেই জন্ম নিতে পারতেন, তাহলে কেন আপনাকে এই ক্লেদাক্ত ভূমিতেই জন্ম নিতে হল? আপনি আমাদের প্রত্যহ শাস্তি দেন ও বিচার করেন, এবং আপনি স্পষ্টতই অবগত যে আমরা মোয়াবের উত্তরসূরি, তাহলে তবুও কেন আপনি আমাদের মাঝেই বসবাস করেন? কেন-ই বা আপনি মোয়াবের উত্তরসূরিদের একটি পরিবারেই জন্মগ্রহণ করেছেন? কেন এমন করলেন আপনি?” তোমাদের এহেন চিন্তাভাবনাগুলি সম্পূর্ণভাবে যুক্তিবিহীন! কেবলমাত্র এহেন কার্যই মানুষকে তাঁর মহত্ত্ব, তাঁর বিনয়, এবং তাঁর প্রচ্ছন্নতা প্রত্যক্ষ করতে দেয়। তাঁর কাজের স্বার্থে তিনি সর্বস্ব ত্যাগ করতে ইচ্ছুক, এবং তাঁর কাজের স্বার্থে তিনি সকল কষ্ট ভোগ করেছেন। তিনি কাজ করেন মানুষের স্বার্থে, এবং তদুপরি, শয়তানকে পরাজিত করতে, যাতে সকল জীব তাঁর আধিপত্যের অধীনে সমর্পিত হতে পারে। কেবলমাত্র এ-ই হল অর্থবহ, মূল্যবান কর্ম। যাকোবের বংশধরেরা যদি চীনে, এই ভূখণ্ডে, জন্মগ্রহণ করত, তোমরা সকলে যদি যাকোবের উত্তরসূরি হতে, তাহলে তোমার মধ্যে সম্পাদিত কাজের তাৎপর্য কী হত? শয়তান কী বলত? শয়তান তাহলে বলত: “তারা আগে আপনাকে ভয় পেত, তারা প্রথম থেকেই আপনাকে মান্য করেছে, এবং আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার কোনও ইতিহাস তাদের নেই। তারা মানবজাতির মাঝে অন্ধকারতম, হীনতম, বা অনগ্রসরতম নয়।” বস্তুতই কাজটি যদি এভাবে করা হত, তাহলে এর দ্বারা কে-ই বা প্রতীত হত? সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে চীনদেশীয়রাই সকল মানুষের মধ্যে অনগ্রসরতম। তারা নীচ হয়েই জন্মায়, ন্যূনতম সততা নিয়ে; তারা অল্প-বুদ্ধি ও অসাড়, এবং তারা অমার্জিত ও ক্ষয়িষ্ণু। তারা শয়তানোচিত স্বভাবে নিমজ্জিত, ক্লেদাক্ত ও লম্পট। তুমি এই সকল শয়তানোচিত স্বভাবেরই অধিকারী। একবার এই কার্য সম্পন্ন হয়ে গেলে মানুষ এই ভ্রষ্ট স্বভাবসমূহ পরিহার করবে এবং তারা সম্পূর্ণভাবে মান্য করতে ও সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে সক্ষম হবে। কাজের কেবলমাত্র এই ধরনের ফলগুলিই হল সৃষ্টির মাঝে সাক্ষ্য! সাক্ষ্য কী, তা কি তুমি উপলব্ধি করো? প্রকৃতপক্ষে সাক্ষ্য কীভাবে দেওয়া উচিত? এহেন কাজ তোমাদের বৈপরীত্যের মাধ্যমে উজ্জ্বল করে তোলার বস্তু, এবং সেইসাথে সেবা প্রদান করার বস্তু করে তুলেছে; অধিকন্তু, তা তোমাদের পরিত্রাণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। আজ, তোমরা হলে ঈশ্বরের লোক; পরবর্তীকালে তোমরা হয়ে উঠবে আদর্শ ও নমুনা। এই কাজে তোমরা বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হও, এবং শেষে, তোমরা হয়ে উঠবে পরিত্রাণের লক্ষ্যবস্তু। এই কারণে অনেক মানুষ নেতিবাচক হয়ে রয়েছে; তারা কি পূর্ণতই অন্ধ নয়? তুমি কিছুই স্পষ্টভাবে দেখো না! শুধুই এভাবে অভিহিত হওয়া কি তোমায় অভিভূত করে? ঈশ্বরের ধার্মিক স্বভাব কী, তা কি তুমি উপলব্ধি করো? ঈশ্বরের পরিত্রাণ কী, তা কি তুমি উপলব্ধি করো? ঈশ্বরের ভালোবাসা কী, তা কি তুমি উপলব্ধি করো? তোমার কোনো সততা নেই! তোমার বিষয়ে সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হলে তুমি খুশি হও। মন্দভাবে উল্লেখ করা হলে তুমি অনিচ্ছুক হয়ে ওঠো এবং পশ্চাদপসরণ করো। তুমি কী? তুমি প্রকৃত পথের সাধনা করছ না! এই মুহুর্তে অন্বেষণ করা থেকে বিরত হও—এ লজ্জাজনক! এত তুচ্ছ কোনোকিছু যে তোমায় অভিভূত করে, তা কি লজ্জার লক্ষণ নয়?

তোমার উচিত হবে নিজেকে কিছুটা চিনতে শেখা। নিজেকে খুব বেশি উঁচু নজরে দেখো না, এবং স্বর্গে যাওয়ার স্বপ্ন দেখো না—শুধু দায়িত্বশীলভাবে পৃথিবীতে বিজিত হওয়ার অন্বেষণ করো। সেইসব অলীক স্বপ্নগুলি নিয়ে ভেবো না যেগুলির অস্তিত্বই নেই! কেউ যদি পরবর্তী কথাগুলির মতো কিছু বলে, তবে সেগুলিই হল সংকল্প ও দৃঢ়তা সম্পন্ন কোনও ব্যক্তির কথা: “যদিও আমি মোয়াবের বংশধর, তবু আমি ঈশ্বরের জন্য সচেষ্ট হতে ইচ্ছুক। আমার পুরানো পূর্বসূরির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবো আমি! সে আমায় জন্ম দিয়েছে, পদদলিত করেছে, এবং এখন অবধি আমি অন্ধকারে বাস করছিলাম। আজ, ঈশ্বর আমায় মুক্ত করেছেন, এবং অবশেষে আমি স্বর্গ-সূর্যকে দেখেছি। ঈশ্বরের দ্বারা অনাবৃত হওয়ার মাধ্যমে আমি অবশেষে বুঝেছি যে আমি মোয়াবের এক উত্তরসূরি। আগে, আমার চোখে ঠুলি পরানো ছিল, এবং আমি জানতাম না যে ঈশ্বর এত কাজ করেছেন, কারণ বৃদ্ধ শয়তান আমায় অন্ধ করেছিল। তার থেকে আমি মুখ ফিরিয়ে নেব এবং তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অপদস্থ করব!” তাহলে, তোমাদের কি এহেন সংকল্প রয়েছে? যদিও তোমাদের প্রত্যেককেই মানুষের মতো দেখতে, তবু তোমরাই সকলের চেয়ে দ্রুত ভেঙে পড়ো, এবং তোমরা এবিষয়ে সবচেয়ে স্পর্শকাতর। যে মুহূর্তে বলা হয় যে তোমরা মোয়াবের বংশধর, তোমাদের মুখমণ্ডল ও ওষ্ঠাধর কুঞ্চিত হয়। এ কি কোনও শূকরের স্বভাব নয়? তোমরা অপদার্থ। খ্যাতি ও সৌভাগ্যের স্বার্থে তোমরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দেবে! হয়ত তুমি মোয়াবের উত্তরসূরি হতে চাও না, কিন্তু তুমি কি তা-ই নও? আজ আমি তোমাদের বলছি যে তোমরা তা-ই, এবং তোমাদেরকে অবশ্যই তা চিনে উঠতে হবে। বাস্তব তথ্যের পরিপন্থী কথা আমি বলি না। এই কারণে কিছু কিছু মানুষ নেতিবাচক হয়ে পড়েছে, কিন্তু নেতিবাচক হওয়ার মতো কী আছে? তুমি কি অতিকায় লাল ড্রাগনেরও একজন সন্তান নও? তুমি মোয়াবের উত্তরসূরি, একথা বলা কি অন্যায়? তুমি কী যাপন করছ তা ভিতর ও বাইরে থেকে ভালো করে দেখো। আপাদমস্তক তোমার মধ্যে প্রশংসনীয় কিছুই নেই। লাম্পট্য, ক্লেদ, অন্ধত্ব, প্রতিরোধ, বিদ্রোহপরায়ণতা—এগুলি সকলই কি তোমার স্বভাবের অংশ নয়? তুমি সততই এক লাম্পট্যের ভূমিতে বসবাস করো, এবং কোনও মন্দকর্ম সংঘটনই বাকি রাখো না। তুমি মনে করো যে তুমি চমকপ্রদভাবে পবিত্র। নিজের কৃতকর্মগুলির দিকে দৃষ্টিপাত করে দেখো, তা সত্ত্বেও তুমি এত আত্মতুষ্ট হয়ে রয়েছ। এমন কী করেছ তুমি যা প্রশংসার যোগ্য? তোমরা হলে বন্যজন্তুর মতো। তোমাদের কোনও মানবিকতা নেই! তোমরা পশুদের সাথে সন্ধি পাতাও এবং দুষ্ট, চরিত্রহীন ধারণা নিয়ে জীবনযাপন করো। কতকিছুর অভাব রয়েছে তোমাদের মধ্যে? তোমরা স্বীকার করো যে তোমরা অতিকায় লাল ড্রাগনের সন্তান, এবং তোমরা সেবাপ্রাদানে ইচ্ছুক, কিন্তু পরবর্তীতে, যখন তোমায় মোয়াবের উত্তরসূরি বলা হয়, তখন নেতিবাচক হয়ে পড়ো। এ কি সত্য নয়? বিষয়টি হল তুমি যেমন তোমার পিতামাতার থেকে জন্মগ্রহণ করেছ, ঠিক তেমন—তারা যতই মন্দ হোক না কেন, তুমি তবুও তাদের থেকেই জন্ম নিয়েছ। এমনকি যদি তোমায় দত্তক নেবে এমন কোনও মাতা খুঁজে পাও এবং নিজ গৃহ পরিত্যাগ করো, তবুও কি তুমি তোমার আসল পিতামাতারই সন্তান নও? এই সত্য কি পরিবর্তন করা যায়? আমি কি কারণ ছাড়াই তোমায় মোয়াবের উত্তরসূরি বলে আখ্যায়িত করেছি? কেউ কেউ বলে: “আপনি কি আমায় অন্য কোনও সম্বোধন করতে পারতেন না?” আমি বলি: “যদি তোমায় আমি এমন এক বস্তু হিসাবে সম্বোধন করি যে নিজের নিষ্প্রভতার বিপরীতে অন্যকে উজ্জ্বল করে তোলে, তাহলে কেমন হয়?” তারা তা হতেও ইচ্ছুক নয়। তাহলে, তোমরা কী হতে ইচ্ছুক? নিজের নিষ্প্রভতার বিপরীতে অপরকে উজ্জ্বল করে তোলার বস্তু, এবং সেবা-প্রদানকারী—তোমরা কি তা-ই নও? তোমরা অন্য কী-ই বা বেছে নিতে? তুমি কি অতিকায় লাল ড্রাগনের দেশে জন্মগ্রহণ করা এক ব্যক্তি নও? তুমি যেভাবেই বলো না কেন যে তুমি দাউদের সন্তান, তা বাস্তব তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ কি এমনকিছু যা তুমি নিজের জন্য বেছে নিতে পারো? তুমি কি নিজের পছন্দসই যেকোনও সুন্দর নাম নিজের জন্য বেছে নিতে পারো? অতিকায় লাল ড্রাগনের যে সন্তানগণের কথা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছিল, তোমরা, কলুষিত মানুষেরাই কি তারা নও? সেবা-প্রদানকারীদের ক্ষেত্রে বলা যায়—তারাও কি তোমরা, কলুষিত মানুষেরাই নও? বিজিত হওয়ার যে আদর্শ ও নমুনাসমূহের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল—তোমরা কি তারাও নও? তোমাদের উদ্দেশ্যেই কি নিখুঁত হয়ে ওঠার পথের বিষয়ে বলা হয় না? যাদের শাস্তি দেওয়া হয় এবং বিচার করা হয়, তোমরাই তারা; পরে যাদের নিখুঁত করে তোলা হবে, তারা কি তোমাদের মধ্যেই কেউ কেউ নও? এই অভিধাটির কি এখনও কোনও তাৎপর্য রয়েছে? তোমরা এতই বোধহীন, এত তুচ্ছ এক বিষয়কেও কি তোমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাও না? তোমরা জানো না যে কে কার বংশজ, কিন্তু আমার কাছে তা স্পষ্ট, এবং আমি তোমাদের তা বলছি। আজ তা শনাক্ত করতে সক্ষম হওয়া ভালো। সর্বদা নিজেকে এত হীন ভেবো না। যতই তুমি নেতিবাচক হও এবং পশ্চাদপসরণ করো, ততই তা প্রতিপন্ন করে যে তুমি শয়তানের বংশধর। কেউ কেউ আছে, তাদের যখন বন্দনাগীতি শোনানো হয় তখন তারা বলে: “মোয়াবের উত্তরসূরিরা কি স্তবগান শুনতে পারে? আমি শুনবো না, আমি যোগ্য নই!” তুমি যদি তাদেরকে গাইতে বলো, তবে তারা বলে: “মোয়াবের উত্তরসূরিরা যদি গায়, তবে ঈশ্বর কি তা শুনতে ইচ্ছুক? ঈশ্বর আমায় ঘৃণা করেন। আমি ঈশ্বরের সামনে যেতে অত্যন্ত লজ্জিত এবং আমি তাঁর সাক্ষ্য দিতে অপারগ। আমি কিছুতেই গাইবো না, পাছে ঈশ্বর তা শুনে বিরক্ত হন।” এ কি বিষয়টা মোকাবিলা করার এক নেতিবাচক উপায় নয়? সৃষ্ট সত্তা হিসাবে তুমি এক ব্যভিচারের ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেছিলে, এবং তুমি হলে অতিকায় লাল ড্রাগনের সন্তান, মোয়াবের উত্তরসূরি; তোমার উচিত তোমার পুরানো পূর্বজের থেকে এবং বৃদ্ধ শয়তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া। যে তা করে, শুধুমাত্র সে-ই হল এমন একজন যে প্রকৃতপক্ষেই ঈশ্বরের আকাঙ্ক্ষা করে।

আদিতে, যখন আমি তোমাদের ঈশ্বরের লোকের পদমর্যাদা দিয়েছিলাম, তখন তোমরাই সকলের থেকে বেশি আনন্দে লম্ফঝম্প করেছিলে। কিন্তু যেইমাত্র আমি বললাম যে তোমরা মোয়াবের উত্তরসূরি, তৎক্ষণাৎ তোমরা কেমন হয়ে পড়লে? তোমরা সবাই ভেঙে পড়লে! কোথায় তোমাদের আত্মিক উচ্চতা? পদমর্যাদার বিষয়ে তোমাদের ধারণা অতিশয় জোরালো! অধিকাংশ মানুষই নিজেদের বড় করে তুলতে পারে না। কেউ চলে যায় ব্যবসা করতে, কেউ বা চলে যায় কাজ করতে। যেই আমি তোমাদের মোয়াবের উত্তরসূরি বলি, তক্ষুনি তোমরা সবাই দৌড়ে পালাতে চাও। এই কি তোমাদের ঈশ্বরের সাক্ষ্য দেওয়া, যা নিয়ে তোমরা সারাদিন গলা ফাটাও? এভাবে কি শয়তানকে মানানো যাবে? এ কি লজ্জার পরিচয় নয়? তোমাদের রাখার উপযোগিতাই বা তাহলে কী? তোমরা সবাই আবর্জনাস্বরূপ! কী ধরনের কষ্ট তোমরা সহ্য করেছ যে তোমাদের মনে হয় তোমাদের সাথে এত অন্যায় করা হয়েছে? তোমরা সকলেই মনে করো যে ঈশ্বর তোমাদের একবার নির্দিষ্ট মাত্রা অবধি অত্যাচার করার পর খুশি হবেন, যেন তোমাদের নিন্দা করার অভিপ্রায় নিয়েই তিনি এসেছিলেন, এবং তোমাদের নিন্দা করার পর আর তোমাদের ধ্বংসসাধন করার পর তাঁর কার্য সম্পন্ন হবে। আমি যা বলেছি তা কি এই? তোমরা কি তোমাদের অন্ধত্বের কারণেই এমন চিন্তা করো না? বিষয়টি কি এমন যে তোমরা নিজেরাই ভালো করার জন্য সচেষ্ট হও না, নাকি আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তোমাদের নিন্দা করি? আমি কখনোই তা করিনি—এ হল এমনকিছু যা তোমরা নিজেরাই ভেবে বসেছ। আমি যেভাবে কাজ করি তা কখনোই এরকম ছিল না, এবং আমার সেই অভিপ্রায়ও নেই। আমি যদি প্রকৃতপক্ষেই তোমাদের ধ্বংস করে ফেলতে চাইতাম, তাহলে কি আমার এত কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হত? আমি যদি প্রকৃতপক্ষেই তোমাদের ধ্বংস করে ফেলতে চাইতাম, তাহলে কি আমার তোমাদের সাথে এত আন্তরিকভাবে কথা বলার দরকার হত? আমার ইচ্ছা এরকম: যখন আমি তোমাদের উদ্ধার করব, তখনই আমি বিশ্রাম নিতে পারব। কোনও ব্যক্তি যত হীন হয়, ততই সে আমার পরিত্রাণের লক্ষ্যবস্তু হয়। যত সক্রিয়ভাবে তোমরা প্রবেশ করতে সক্ষম হবে, ততই আমি খুশি হব। যত তোমরা ভেঙে পড়ো, ততই আমি বিচলিত হই। তোমরা সততই চাও সদর্পে অগ্রসর হয়ে সিংহাসন অধিকার করতে—আমি তোমাদের বলছি, এ তোমাদের আবর্জনা থেকে উদ্ধার করার পথ নয়। সিংহাসনে বসার অলীক কল্পনা তোমায় নিখুঁত করে তুলতে পারে না; তা বাস্তবসম্মত নয়। আমি বলি যে তুমি মোয়াবের একজন উত্তরসূরি, এবং তুমি তাতে অখুশি হও। তুমি বলো: “আপনি আমায় অতল গহ্বরে যেতে বাধ্য করলে আমি আপনার সাক্ষ্য দেব না বা আপনার জন্য কষ্টভোগ করব না।” তোমার এরকম করা কি আমার বিরোধিতা হবে না? এরকম করলে কি তোমার উপকার হবে? আমি তোমায় এত অনুগ্রহ প্রদান করেছি—তুমি কি তা বিস্মৃত হয়েছ? তোমরা ঈশ্বরের হৃদয়কে অবজ্ঞাভরে প্রত্যাখ্যান ও অবমাননা করেছ, যে হৃদয় এক প্রেমময় মাতার হৃদয়ের সমতুল; তোমাদের জন্য এর পরিণাম কি হবে? তুমি যদি আমার সাক্ষ্য না দাও তাহলে আমি তোমার উপর বলপ্রয়োগ করব না—তবে তোমার জেনে রাখা উচিত যে পরিশেষে তুমি ধ্বংসের লক্ষ্যবস্তু হবে। তোমার কাছ থেকে সাক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে আমি অন্য লোকজনের থেকে তা অর্জন করব। তা আমার কাছে কোনও বিষয়ই নয়, কিন্তু শেষে তুমি এবিষয়ে অনুতপ্ত হবে, এবং ততদিনে তোমার অন্ধকারে পতিত হওয়ার পর বহুকাল অতিক্রান্ত হয়ে যাবে। তখন কে তোমায় উদ্ধার করতে সক্ষম হবে? ভেবো না যে তোমায় ছাড়া কাজটা করা যাবে না—তোমাকে পাওয়া মানে খুব বেশি কিছু থাকা নয়, আবার তোমাকে না পাওয়া মানে খুব বেশি কিছুর অভাবও নয়। নিজেকে অতিমাত্রায় সম্মানের চোখে দেখো না। তুমি যদি আমায় অনুসরণ করতে অনিচ্ছুক হও, তাহলে তা দেখায় যে তুমি বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন, এবং তোমার মধ্যে আকাঙ্ক্ষা করার মতো কিছুই নেই। তুমি যদি সুবক্তা হও, তাহলে তা কি শুধু এই জন্যেই নয় যে তুমি আমার কার্যের মাধ্যমে আনীত বাক্যের দ্বারা নিজেকে প্রস্তুত করেছ? তোমার মধ্যে এমন কী আছে যা প্রশংসনীয়? কল্পনার আতিশয্যে আত্মহারা হয়ো না! আমি যদি তোমাদের—মোয়াবের উত্তরসূরিদের—থেকে মহিমা অর্জনে অপারগ হই, তাহলে আমি আমার কাজের জন্য মোয়াবের উত্তরসূরিদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনও গোষ্ঠীকে বেছে নেবো যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি মহিমা অর্জন করছি। তুমি যদি আমার সাক্ষ্য দিতে অনিচ্ছুক থাকো, তাহলে বেরিয়ে যাও! আমি তোমাদের জোর করব না! ভেবো না যে আমি তোমাদের ছাড়া এক পা-ও এগোতে পারি না। এই চীনের ভূমিতে আমার কাজের জন্য উপযুক্ত লক্ষ্যবস্তু খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ। এই ভূমিতে অন্য কোনোকিছুই পাওয়া যায় না—ক্লেদাক্ত, ভ্রষ্ট জনগণ একেবারে সর্বত্রই রয়েছে, এবং আমার কার্য যেকোনও স্থানেই সম্পাদিত হতে পারে। এত অহংকারী হয়ো না! যতই অহংকারী হও না কেন, তুমি কি তবুও ব্যভিচারের ফলে জন্মগ্রহণ করা সন্তানই নও? নিজের মূল্যের দিকে দৃষ্টিপাত করো—তোমার কাছে আর কী বিকল্প রয়েছে? তোমায় শুধু বেঁচে থাকার অনুমতিটুকু দেওয়াই হল এক বিরাট উন্নীতকরণ, তাহলে তুমি কী নিয়ে এখনও উদ্ধত থেকে যেতে পারো? যুগের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে আমার কার্য না থাকলে, তুমি কি বহুপূর্বেই প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম বিপর্যয়সমূহের মাঝে পতিত হতে না? তুমি কি এখনও এত আরামে জীবনযাপন করতে পারো? এই বিষয়টি নিয়ে তুমি এখনও অনবরত কলহ করে চলো। যখন থেকে আমি তোমায় মোয়াবের উত্তরসূরি বলেছি, তখন থেকেই তুমি সর্বক্ষণ ওষ্ঠাধর কুঞ্চিত করে চলেছ। তোমরা নিজেদের শিক্ষিত করে তোলো না, ঈশ্বরের বাক্য পড়ো না, এবং নানান ব্যক্তিকে একেবারে সহ্যই করতে পারো না। অন্য লোকজনকে শিক্ষিত হয়ে উঠতে দেখলে তুমি তাদের বাধা দাও এবং নিরুৎসাহ করার মতো কথাবার্তা বলে ওঠো। কিছু স্পর্ধা আছে তোমার! তুমি বলো: “মোয়াবের উত্তরসূরিদের কেমন শিক্ষাই বা থাকতে পারে? আমি তোয়াক্কাই করব না।” এ কি পশুসুলভ কথা নয়? তুমি কি আদৌ মনুষ্য পদবাচ্য? আমি এতকিছু বললাম, কিন্তু তা তোমার মধ্যে কিছুই অর্জন করতে পারেনি। এই সমস্ত কাজ কি আমি বৃথাই করলাম? এই সকল বাক্য কি আমি বৃথাই বললাম? এমনকি কোনো কুকুর হলেও তার লেজ নাড়াতো; এমন একজন মানুষ কুকুরেরও অধম। তুমি কি মানুষ হিসাবে অভিহিত হওয়ার যোগ্য? যখন আমি মোয়াবের উত্তরসূরিদের কথা বলি, কিছু ব্যক্তি নিজেদের ইচ্ছাকৃতভাবে হেয় করে। তারা পূর্বাপেক্ষা ভিন্নভাবে পোশাক-আশাক পরিধান করে, এবং তারা এতই অবিন্যস্ত যে তাদের মানুষের মতো দেখায় না, এবং তারা বিড়বিড় করে বলে: “আমি মোয়াবের বংশধর। আমি কোনোভাবেই ভালো নই। কোনও আশীর্বাদ পাওয়ার কথা চিন্তা করা হল দিবাস্বপ্ন দেখা। মোয়াবের উত্তরসূরিদের কি নিখুঁত করে তোলা যেতে পারে?” যেই আমি মোয়াবের উত্তরসূরিদের সম্বন্ধে বললাম, অধিকাংশ লোকজনের আর কোনো আশা অবশিষ্ট রইল না; তারা বলে: “ঈশ্বর বলেন যে আমরা মোয়াবের উত্তরসূরি—এর তাৎপর্য কী? তিনি কথা বলার জন্য কোন স্বর গ্রহণ করেছেন তা লক্ষ্য করো—এ প্রত্যাহারযোগ্য নয়! তাঁর বাক্যে কোনও প্রীতি নেই। আমরা কি ধ্বংসের লক্ষ্যবস্তু নই?” পূর্বে যা বলা হয়েছিল তা কি তুমি বিস্মৃত হয়েছ? তোমার কি এখন শুধুমাত্র এই “মোয়াবের উত্তরসূরি” পরিভাষাটুকুই স্মরণে রয়েছে? প্রকৃতপক্ষে, বহু বাক্যেরই উদ্দেশ্য হল কোনও প্রভাব অর্জন করা, কিন্তু সেগুলি তথ্যবিধৃত সত্যকেও প্রকাশিত করে। বেশিরভাগ মানুষই তা বিশ্বাস করে না। তুমি আমার জন্য এভাবে কষ্টভোগ করতে ইচ্ছুক নও। তুমি মৃত্যভয়ে ভীত এবং সর্বক্ষণ অব্যাহতি পেতে চাও। তুমি যেতে চাইলে আমি তোমায় থেকে যেতে বাধ্য করব না, কিন্তু আমার তোমায় স্পষ্টভাবে বলা উচিত: একটি পূর্ণ জীবৎকাল বৃথা অতিবাহিত কোরো না, এবং অতীতে আমি তোমাকে যে বিষয়গুলি বলেছি, সেগুলি ভুলে যেও না। এক সৃষ্ট সত্তা হিসাবে তোমার একজন সৃষ্ট সত্তার পালনীয় দায়িত্বই পালন করা উচিত। নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো কাজকর্ম কোরো না; তোমার যা করণীয় তা হল নিজেকে সৃষ্টির প্রভুর প্রতি সমর্পিত করা। মোয়াবের উত্তরসূরিরাও সৃষ্ট সত্তা, বিষয়টি শুধু এই যে তারা নিজেদের নিষ্প্রভতার বিপরীতে অপরকে উজ্জ্বল করে তোলার জন্য ব্যবহৃত বস্তুস্বরূপ, এবং তারা অভিশপ্ত। যা-ই হোক না কেন, তুমি তবুও এক সৃষ্ট সত্তাই। তুমি যদি এমন বলো তাহলে বিশেষ ভুল কিছু বলবে না: “যদিও আমি মোয়াবের একজন উত্তরসূরি, তবু আমি এতমাত্রায় ঈশ্বরের আশীর্বাদ উপভোগ করেছি যে আমার অবশ্যই কিছুটা বিবেক থাকা উচিত। আমি এই ব্যাপারটা নিছকই স্বীকার করে নেবো, কিন্তু এটা নিয়ে আর ভাববো না। এমনকি এই স্রোতের ভিতর আমি যদি কষ্টভোগও করি, তবে একেবারে শেষ পর্যন্তই কষ্টভোগ করব, আর আমি যদি মোয়াবের বংশধর হই, তবে তা-ই হোক। তবুও আমি শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করব!” তোমাকে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করতে হবে। যদি তুমি পালিয়ে যাও, তাহলে প্রকৃতপক্ষেই তোমার কোনও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা থাকবে না—তুমি ধ্বংসের পথে পদার্পণ করবে।

তোমাদেরকে তোমাদের উৎপত্তির বিষয়ে উপলব্ধি করানো ভালো ব্যাপার, এবং তোমাদের তথ্যনিষ্ঠ সত্যগুলি উপলব্ধি করানো কাজের পক্ষে উপকারী। তা না করলে, কাঙ্ক্ষিত পরিণাম অর্জিত হবে না। এ হল বিজয়কার্যের একটি অংশ, এবং এ হল কার্যের এক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এ এক বাস্তবিক তথ্য। এই কার্যের উদ্দেশ্য হল মানুষের অন্তরাত্মাকে জাগরিত করা, তাদের বিবেকবোধকে জাগ্রত করে তুলে তাদেরকে এই সুমহান পরিত্রাণ অর্জন করতে দেওয়া। কারও যদি বিবেকবোধ থাকে তবে নিজের হীন অবস্থান দেখে তার উচিত ঈশ্বরকে আরও বেশি করে ধন্যবাদ জানানো। তার অবশ্যই উচিত তাঁর বাক্যকে নিজ হস্তে ধারণ করা, উচিত তার প্রতি তাঁর প্রদত্ত অনুগ্রহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা, এবং এমনকি তিক্ত ক্রন্দন করে বলা: “আমাদের অবস্থান নিম্ন এবং আমরা এই বিশ্বে কিছুই অর্জন করিনি। আমরা হীন, কেউই আমাদের উঁচু নজরে দেখে না। নিজেদের বাড়ির পরিবেশে আমরা নিগৃহীত হই, আমাদের স্বামীরা আমাদের প্রত্যাখ্যান করে, আমাদের স্ত্রীরা আমাদের নিন্দামন্দ করে, আমাদের সন্তানগণ আমাদের হেয় করে, এবং আমরা যখন বৃদ্ধ হই, আমাদের পুত্রবধুরাও আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। সত্যিই আমরা কম কষ্ট সহ্য করিনি, এবং আমরা যে এখন ঈশ্বরের মহান প্রেম উপভোগ করছি, তা এক পরম সৌভাগ্য! ঈশ্বর আমাদের উদ্ধার না করলে আমরা কীভাবে মানুষের দুঃখকষ্ট স্পষ্টভাবে দেখতে পেতাম? আমরা কি এখনও এই পাপেই অধঃপতিত হয়ে রইতাম না? এ-ও কি ঈশ্বরের দ্বারা আমাদের উন্নীতকরণ নয়? আমি হলাম হীনতম ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন, এবং ঈশ্বর আমায় এত উচ্চে উন্নীত করেছেন। এমনকি যদি আমি ধ্বংসও হয়ে যাই, তবু আমায় তাঁর প্রেমের প্রতিদান দিতেই হবে। ঈশ্বর আমাদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করেন এবং আমাদের মতো এত নীচ মানুষজনের সাথেও মুখোমুখি কথা বলেন। তিনি আমায় শিক্ষাদান করতে আমার হস্ত ধারণ করেন। তাঁর মুখ দিয়ে তিনি আমায় খাদ্যগ্রহণ করান। তিনি আমার সঙ্গে বাস করেন এবং আমার সাথে কষ্টভোগ করেন। এমনকি তিনি যদি আমায় শাস্তিও দেন—আমি কী-ই বা বলতে পারি? শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়াও কী ঈশ্বরের দ্বারা উন্নীত হওয়াই নয়? আমি শাস্তিপ্রাপ্ত, তবু আমি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা দেখতে পাই। আমি বিবেকবর্জিত হতে পারি না—ঈশ্বরের ভালোবাসার প্রতিদান দিতেই হবে আমায়। আমি আর ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারব না।” ঈশ্বরের অবস্থান ও তাঁর মর্যাদা মানুষের সমান নয়—তাঁর কষ্টভোগ অভিন্ন, এবং তাঁর অন্নবস্ত্রও অভিন্ন, কিন্তু সকল মানুষ তাঁকে সম্মান করে, এবং এ-ই হল একমাত্র পার্থক্য। বাকি যা কিছু তিনি উপভোগ করেন তা কি মানুষের সাথে অভিন্ন নয়? তাহলে ঈশ্বরকে তোমার সাথে কোনো নির্দিষ্ট উপায়ে আচরণ করতে বলার যোগ্যতা তুমি কী করে পাও? ঈশ্বর এত প্রবল কষ্ট সহ্য করেছেন এবং এত সুমহান কার্য নির্বাহ করেছেন, আর তোমরা—যারা পিপীলিকা তথা কীটপতঙ্গেরও অধম—তারা আজ এত উচ্চে উন্নীত হয়েছ। তুমি যদি ঈশ্বরের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে না পারো, তাহলে কোথায় তোমার বিবেক? কেউ কেউ অন্তর থেকে বলে ওঠে: “যখনই আমি ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করার কথা ভাবি, আমার চোখ অশ্রুপূর্ণ হয়ে পড়ে এবং আমি বিবেকের দংশন অনুভব করি। আমি ঈশ্বরের কাছে ঋণী। এ আমি করতে পারি না। আমি তাঁর সাথে এমন আচরণ করতে পারি না। আমায় যদি মৃত্যুবরণ করতে হত এবং মৃত্যুবরণের মাধ্যমে তাঁর কার্যকে মহিমা প্রদান করতে হত, তাহলে আমি যারপরনাই সন্তুষ্ট হতাম। অন্যথায়, বেঁচে থেকেও আমি কোনও শান্তি অনুভব করব না।” এই কথাগুলি শোনো—এক সৃষ্ট সত্তার যে দায়িত্ব পালন করা উচিত এগুলি তা বর্ণনা করে। কোনও ব্যক্তির মধ্যে যদি সর্বদা এই দর্শন থাকে, তবে সে অন্তর থেকে স্বচ্ছ হবে ও স্বস্তিতে থাকবে; এইসব বিষয়ে সে সুনিশ্চিত থাকবে। তুমি বলবে: “ঈশ্বর আমার ক্ষতি করছেন না, এবং তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমায় উপহাস বা অপদস্থ করছেন না। যদিও তিনি কিছুমাত্রায় কঠোরভাবে কথা বলেন এবং তা হৃদয়বিদারী, তবে তা আমার নিজেরই স্বার্থে। যদিও তিনি এত কঠোরভাবে কথা বলেন, তবু এখনও তিনি আমায় উদ্ধার করছেন, এবং এখনও তিনি আমার দুর্বলতাগুলির প্রতি বিবেচনাশীল। তিনি আমায় দণ্ডদানের উদ্দেশ্যে তথ্যের ব্যবহার করছেন না। আমি বিশ্বাস করি যে ঈশ্বরই হলেন পরিত্রাণ।” তুমি যদি প্রকৃতপক্ষেই এই দর্শনটিতে বিশ্বাস রাখো, তাহলে তোমার পলায়ন করার সম্ভাবনা কম। তোমার বিবেক তোমায় যেতে দেবে না, এবং বিবেকের দংশন তোমায় বলবে যে তুমি ঈশ্বরের সাথে এরকম আচরণ করতে পারো না। তুমি যেসমস্ত অনুগ্রহ লাভ করেছ সেগুলির বিষয়ে চিন্তা করো। তুমি আমার এতগুলি বাক্য শুনেছ—এমন কি হতে পারে যে তুমি বৃথাই তা শ্রবণ করেছ? আর যে-ই পালিয়ে যাক না কেন, তুমি পালিয়ে যেতে পারো না। অন্যান্য ব্যক্তিগণ বিশ্বাস করে না, কিন্তু তোমায় বিশ্বাস করতেই হবে। অন্যান্য ব্যক্তিগণ ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করে, কিন্তু তোমায় অবশ্যই ঈশ্বরের পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে এবং তাঁর সাক্ষ্য দিতে হবে। অন্যরা ঈশ্বরকে অপবাদ দেয়, কিন্তু তুমি তা করতে পারো না। ঈশ্বর তোমার প্রতি যতই নির্দয় হোন না কেন, তোমায় তবুও তাঁর প্রতি সঠিক আচরণ করতে হবে। তোমায় তাঁর ভালোবাসা পরিশোধ করতে হবে, এবং তোমায় অবশ্যই বিবেকসম্পন্ন হতে হবে, কারণ ঈশ্বর নিরপরাধ। স্বর্গ থেকে মানুষের মাঝে কাজ করতে এসে তিনি ইতিমধ্যেই প্রবল অবমাননা ভোগ করেছেন। তিনি পবিত্র, সামান্যতমও ক্লেদ নেই তাঁর। ক্লেদাক্ত এক ভূমিতে আগমন করতে তিনি কত অপমান সহ্য করেছেন? তোমাদের স্বার্থেই তিনি তোমাদের উপর কাজ করেন। তুমি যদি বিবেকহীনভাবে তাঁর সাথে আচরণ করো, তাহলে তার চেয়ে অকালমৃত্যুই শ্রেয় হবে!

বর্তমানে, অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই দর্শনের এই দিকটির অভাব রয়েছে; তারা এই কাজের একেবারেই তল পায় না, এবং তারা জানে না যে ঈশ্বর এর মাধ্যমে পরিশেষে কী অর্জন করতে চান। বিশেষত সেই বিভ্রান্ত লোকেরা—যেন তারা কোনও গোলোকধাঁধায় প্রবেশ করেছে এবং কয়েকবার বাঁক নেওয়ার পরই পথ হারিয়েছে। তুমি যদি তাদের কাছে ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার লক্ষ্যটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যাখ্যা করো, তবে তারা বিভ্রান্ত হবে না। অনেকেই এর তল করতে পারে না, এবং তারা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের কাজ হল মানুষকে অত্যাচার করা। তারা তাঁর কার্যের প্রজ্ঞা ও বিস্ময়করতা উপলব্ধি করে না, এবং তারা উপলব্ধি করে না যে তাঁর কাজের উদ্দেশ্য হল তাঁর সুমহান ক্ষমতা প্রকাশিত করা, এবং তার চেয়েও বেশি করে, মানবজাতিকে উদ্ধার করা। তারা সেসব কিছুই দেখে না; তারা শুধু দেখে তাদের কোনও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তারা স্বর্গে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে কি না। তারা বলে: “ঈশ্বরের কাজ সবসময়ে এত ঘুরপথে চলে; সরাসরি আমাদেরকে আপনার প্রজ্ঞা প্রত্যক্ষ করতে দিলেই যথেষ্ট। আপনার এভাবে আমাদের অত্যাচার করা উচিত নয়। আমাদের যোগ্যতার খুবই অভাব রয়েছে, এবং আমরা আপনার ইচ্ছা উপলব্ধি করি না। যদি আপনি প্রত্যক্ষভাবে কথা বলতেন ও কাজ করতেন তবে খুবই ভালো হতো। আপনি চান যে আমরা অনুমান করি, কিন্তু আমরা তা করতে পারি না। আপনি যদি তাড়াতাড়ি করে আমাদের আপনার মহিমা চাক্ষুষ করার অনুমতি দেন, তাহলে ভীষণ ভালো হয়। এমন ঘুরপথে কাজকর্ম করার দরকারটাই বা কী?” এখন তোমাদের যে বিষয়টির সর্বাধিক অভাব রয়েছে তা হল বিবেক। অধিকতর বিবেকবান হও। চক্ষুযুগল সবিস্তারে উন্মিলিত করো, যাতে দেখতে পাও যে বস্তুত কে এই কাজের পদক্ষেপগুলি সম্পন্ন করছেন। দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছিও না। জীবনের পথের যে অভিজ্ঞতা তোমার লাভ করা উচিত, এখন খুব বেশি হলে তার উপরিগত দিক সম্পর্কে তুমি কিছুটা উপলব্ধি লাভ করেছ। এখনও অনেক সত্য রয়ে গিয়েছে যেগুলির অভিজ্ঞতা তোমায় লাভ করতে হবে, এবং যখন সেই দিনটি আসবে যেদিন তুমি তা সম্পূর্ণ বুঝতে পারবে, সেদিন থেকে তুমি আর এভাবে কথা বলবে না, বা অভিযোগও করবে না। তুমি এত সত্বর বিষয়গুলিকে সংজ্ঞায়িতও করবে না। তুমি বলবে: “ঈশ্বর কত প্রাজ্ঞ, ঈশ্বর কত পবিত্র, ঈশ্বর কত শক্তিশালী!”

পূর্ববর্তী: ঈশ্বরের পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যই চারিত্রিক ক্ষমতা বাড়ানো হয়

পরবর্তী: পিতরের অভিজ্ঞতা: শাস্তি ও বিচার সম্পর্কে তার জ্ঞান

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন