ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 32

অন্তিম সময়ে, ঈশ্বর তাঁর বাক্য প্রকাশ করতে এসেছেন। তিনি আত্মার দৃষ্টিকোণ থেকে, মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে, এবং তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলেন; তিনি একটি সময়কালে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে কথা বলেন, মানুষের ধারণা পরিবর্তন করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন এবং মানুষের অন্তর থেকে অনিশ্চিত ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি অপসারণ করেন। এটাই হল ঈশ্বর কৃত প্রধান কাজ। যেহেতু মানুষের বিশ্বাস হল, ঈশ্বর পীড়িতদের নিরাময় করতে, অপদেবতা বিতাড়ন করতে, বিস্ময়কর ঘটনা প্রদর্শন করতে এবং মানুষের ওপর জাগতিক আশীর্বাদ বর্ষণ করতে এসেছেন, তাই মানুষের মন থেকে এই ধরনের ধারণা মুছে ফেলতেই ঈশ্বর শাস্তিদান ও বিচারের কাজের পর্যায়টি সম্পাদন করেন—যাতে মানুষ ঈশ্বরের বাস্তবিকতা ও স্বাভাবিকত্ব সম্পর্কে জানতে পারে, যাতে তার অন্তর থেকে যীশুর প্রতিমূর্তি অপসারিত হয়ে সেখানে ঈশ্বরের নতুন প্রতিমূর্তি প্রতিস্থাপিত হতে পারে। মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি পুরনো হওয়ার সাথে সাথে, তা বিগ্রহে পরিণত হয়। যীশু যখন এসে কাজের সেই পর্যায় পরিচালনা করেছিলেন, তখন তিনি ঈশ্বরের সম্পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব করেন নি। তিনি কিছু সংকেত প্রদর্শন করেছিলেন এবং আশ্চর্যজনক কাজ করেছিলেন, কিছু বাক্য উচ্চারণ করেছিলেন, এবং শেষ পর্যন্ত ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ঈশ্বরের একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি ঈশ্বরের সমস্ত কিছুর প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন নি, বরং তিনি ঈশ্বরের কাজের একটি অংশ সম্পন্ন করার মাধ্যমে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তার কারণ ঈশ্বর এতই মহান, এতই বিস্ময়কর, এবং তিনি এতই অতলস্পর্শী এবং তার কারণ তিনি প্রতিটি যুগে তাঁর কাজের একটি মাত্র অংশ সম্পন্ন করেন। এই যুগে ঈশ্বরের সম্পাদিত প্রধান কাজ হল মানুষের জীবনে বাক্যের বিধান দেওয়া, মানুষের প্রকৃতি, সারসত্য এবং দুর্নীতিগ্রস্ত স্বভাবের প্রকাশ, এবং ধর্মীয় ধারণা, সামন্ততান্ত্রিক এবং সেকেলে চিন্তাভাবনা নির্মূল করা; মানুষের জ্ঞান ও সংস্কৃতিকে অবশ্যই ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারা প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমে শোধিত হতে হবে। অন্তিম সময়ে ঈশ্বর মানুষকে নিখুঁত করে তোলার জন্য কোনোরকম সংকেত বা বিস্ময়কর ঘটনা না দেখিয়ে, বাক্য ব্যবহার করেন। মানুষের অনাবৃতকরণ, বিচার, শাস্তি প্রদান ও তাদের ত্রুটিমুক্ত করার জন্য তিনি তাঁর বাক্য ব্যবহার করেন, যাতে এই বাক্যের মধ্যেই মানুষ ঈশ্বরের প্রেমময়তা ও প্রজ্ঞা দেখতে পারে, তাঁর স্বভাব সম্পর্কে জানতে পারে, আর এই বাক্যের মাধ্যমেই যাতে মানুষ তাঁর কাজ প্রত্যক্ষ করতে পারে। বিধানের যুগে যিহোবা তাঁর বাক্যের মাধ্যমেই মোশিকে মিশর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এবং তিনি ইসরায়েলীদের প্রতিও কিছু বাক্য বলেছিলেন; সেই সময়ে ঈশ্বরের কাজের কিছু অংশ প্রাঞ্জল হয়েছিল, কারণ মানুষের ক্ষমতা ছিল সীমিত এবং কোনোকিছুতেই তার জ্ঞান সম্পূর্ণ হত না, তাই ঈশ্বর বাক্য বলা ও কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। অনুগ্রহের যুগে মানুষ আরও একবার ঈশ্বরের কাজের অংশ প্রত্যক্ষ করেছিল। যীশু সংকেত প্রদর্শন করতে ও বিস্ময়কর ঘটনা ঘটাতে, পীড়িতদের নিরাময় করতে ও অপদেবতা বিতাড়নে সক্ষম ছিলেন এবং তিনি ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন, এই ঘটনার তিন দিন পরে তাঁর পুনরুত্থান হয় আর তিনি মানুষের সামনে দেহরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ঈশ্বরের বিষয়ে মানুষ এর থেকে বেশি কিছু জানে না। ঈশ্বর মানুষকে যতটুকু দেখান, সে ততটুকুই জানে, আর যদি ঈশ্বর মানুষকে বেশি কিছু না দেখান, তাহলে তা হবে ঈশ্বরের বিষয়ে মানুষের সীমাবদ্ধতা। এইভাবে ঈশ্বর কাজ চালিয়ে যান, যাতে তাঁর বিষয়ে মানুষের জ্ঞান আরও গভীর হতে পারে, যাতে মানুষ ধীরে ধীরে ঈশ্বরের সারসত্য জানতে পারে। অন্তিম সময়ে, মানুষকে নিখুঁত করার জন্য ঈশ্বর তাঁর বাক্য ব্যবহার করেন। তোমার দুর্নীতিগ্রস্ত স্বভাব ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারাই প্রকাশিত হয় এবং ধর্মীয় ধারণাসমূহ ঈশ্বরের বাস্তবিকতা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের অবতার প্রধানত এই বাক্য পূরণের জন্য আসেন “বাক্য দেহরূপে পরিণত হল, বাক্য দেহরূপে অবতীর্ণ হল, এবং বাক্য দেহে আবির্ভূত হল,” আর এই বিষয়ে যদি তোমার পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান না থাকে, তাহলে তুমি দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে পারবে না। অন্তিম সময়ে ঈশ্বর প্রধানত কাজের একটি পর্যায় সম্পন্ন করতে আসেন যার মাধ্যমে বাক্য দেহে আবির্ভূত হয়, আর এটা ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার একটি অংশ। এইভাবে, তোমাদের যেন অবশ্যই একটা স্পষ্ট জ্ঞান থাকে; ঈশ্বর যেভাবেই কাজ করুন না কেন, তাঁকে সীমাবদ্ধ করার অনুমতি তিনি মানুষকে দেন না। ঈশ্বর যদি অন্তিম সময়ে কাজ না করতেন, তাহলে তাঁর প্রতি মানুষের জ্ঞান আর বর্ধিত হত না। তুমি শুধু জানতে যে ঈশ্বরকে ক্রুশবিদ্ধ করা যায়, তিনি সদোমকে ধ্বংস করতে পারেন, যীশু মৃত অবস্থা থেকে উত্থিত হতে পারেন এবং পিতরের কাছে আবির্ভূত হতে পারেন… কিন্তু তুমি কখনোই বলতে না যে ঈশ্বরের বাক্য সমস্ত কিছুই সম্পন্ন করতে পারে, মানুষকেও জয় করতে পারে। এই ধরনের জ্ঞানের কথা তুমি শুধুমাত্র ঈশ্বরের বাক্যের অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই বলতে পারো, আর তুমি যতই ঈশ্বরের বাক্যের অভিজ্ঞতা লাভ করবে, তাঁর প্রতি তোমার জ্ঞান ততই পুঙ্খানুপুঙ্খ হবে। একমাত্র তখনই তুমি নিজস্ব ধারণার মধ্যে ঈশ্বরকে আর সীমাবদ্ধ করবে না। মানুষ ঈশ্বরের কাজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই তাঁকে জানতে পারে; ঈশ্বরকে জানার অন্য কোনো সঠিক উপায় নেই।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের বর্তমানের কার্যকে জানা

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 537

তুমি যখন তোমার ভ্রষ্ট স্বভাব ত্যাগ করবে এবং স্বাভাবিক মানবতার জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে যাবে, কেবলমাত্র তখনই তুমি নিখুঁত হয়ে উঠবে। যদিও তুমি...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 554

ঈশ্বর কোন পথে মানুষকে নিখুঁত করে তোলেন? এতে কোন দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত? তুমি কি ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে চাও? তুমি কি তাঁর বিচার ও শাস্তিকে...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 317

মানুষ চিরকাল অন্ধকারের শক্তির প্রভাবাধীনে বসবাস করে এসেছে, শয়তানের প্রভাবের দাসত্ববন্ধনে আটক থেকেছে, তার থেকে মুক্তি পেতে পারেনি এবং...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন