ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 329
পূর্বে, ঈশ্বরের স্বর্গে থাকাকালীন, মানুষের কার্যকলাপ ছিল ঈশ্বরের প্রতি প্রতারণামূলক। আজ, ঈশ্বর মানুষের মধ্যেই রয়েছেন—কেউ জানে না কত বছর পার হয়ে গিয়েছে—তবুও যেকোনো কার্যকলাপের সময় মানুষ সেই পুরোনো ধারা অনুকরণ করে ঈশ্বরকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানুষ কি তার চিন্তাধারায় অনেকটাই পিছিয়ে নেই? যিহুদার ক্ষেত্রেও এই ব্যাপারটি একই রকম ছিল: যীশু আসার আগে, যিহুদা তার ভাই ও বোনেদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলত এবং যীশু আসার পরেও তার কোনো পরিবর্তন হয়নি; সে যীশুকে কণামাত্র না চেনা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সে যীশুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। এর কারণ কি এই নয় যে সে ঈশ্বরকে চিনতে পারেনি? আজকের দিনেও, যদি তোমরা এখনও ঈশ্বরকে চিনতে না পারো, তাহলে সম্ভবত তোমরাই পরবর্তী যিহুদা হতে চলেছ এবং এর ফলস্বরূপ, দুই হাজার বছর আগে অনুগ্রহের যুগের সময়ে যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার মত হৃদয়বিদারক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। তোমাদের কি তা বিশ্বাস হয় না? এ একটা বাস্তব ঘটনা! বর্তমানে, অধিকাংশ মানুষের একই অবস্থা—আমি হয়তো একটু আগেই এই কথা বলছি—এবং এই ধরনের লোকেরা সবাই যিহুদার ভূমিকাই পালন করছে। আমি নিরর্থক কথা বলছি না, বলছি বাস্তবতার ভিত্তিতে তোমার এ বিষয়ে স্থিতপ্রত্যয় হওয়া ছাড়া উপায় নেই। অনেক মানুষই বিনয়ের ভান করে থাকে, কিন্তু তাদের অন্তরে বদ্ধ জলাশয় ছাড়া কিছুই থাকে না, পূতিগন্ধময় বদ্ধ জলাশয়। এই মুহূর্তে গির্জায় এই ধরনের ব্যক্তিরা অনেকেই আছে, এবং তোমরা মনে কর যে আমি এ বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অবগত নই। আজ, আমার আত্মাই আমার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়, এবং আমার সাক্ষ্য দেয়। তুমি কি মনে করো যে আমি কিছুই জানি না? তুমি কি মনে করো যে আমি তোমাদের অন্তরের প্রচ্ছন্ন বিপথগামী চিন্তাভাবনাগুলির কিছুই বুঝতে পারি না? ঈশ্বরের সাথে পেরে ওঠা কি এতই সহজ? তুমি কি মনে করো যে তুমি তার সাথে তোমার পছন্দ মতো আচরণ করতে পারো? অতীতে, আমি তোমাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম পাছে তোমরা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়, তাই আমি তোমাকে স্বাধীনতা দিতে থাকি, কিন্তু মানবজাতি স্বীকার করে উঠতে পারেনি যে আমি তাদের ভালো করেছি, যখন আমি তাদের এক ইঞ্চি দিয়েছি তখন তারা এক গজ নিয়ে নিয়েছে। নিজেদের মধ্যেই সবাইকে প্রশ্ন করো: আমি প্রায় কখনওই কারও সাথে মোকাবিলা করিনি, এবং প্রায় কখনওই কাউকে লঘুভাবে তিরস্কারও করিনি—তবুও আমি মানুষের অভিপ্রায় এবং ধারণাসমূহ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত। তোমার কি মনে হয় যে ঈশ্বর, যার অস্তিত্বের সাক্ষী তিনি নিজেই, তিনি নির্বোধ? তাহলে সেক্ষেত্রে, আমি বলব যে তুমি একেবারেই অন্ধ! আমি তোমার স্বরূপ অনাবৃত করবো না, কিন্তু দেখাই যাক না, তুমি কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পার। চলো দেখা যাক তোমার চতুর ছোটখাটো কৌশলগুলি তোমাকে উদ্ধার করতে পারে, নাকি ঈশ্বরকে ভালবাসার জন্য তোমার যথাসাধ্য চেষ্টাই তোমাকে উদ্ধার করবে। আজ, আমি তোমার নিন্দা করব না; এসো আমরা ঈশ্বরের আবির্ভাবের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করি, এবং দেখি যে তিনি কীভাবে তোমাদের উপর প্রতিশোধ নেন। এখন তোমার সাথে নিরর্থক গল্পগুজব করার সময় আমার কাছে নেই, এবং আমি শুধুমাত্র তোমার কারণে আমার বৃহত্তর কাজটি বিলম্বিত করতে ইচ্ছুক নই। তোমার মত একজন কীটের সাথে মোকাবিলা করতে ঈশ্বরের যে সময় লাগবে তুমি তার যোগ্য নও—তাই দেখা যাক তুমি আর কতটা চরিত্রহীন হয়ে উঠতে পার। এই ধরনের লোকেরা কিঞ্চিৎমাত্রও ঈশ্বরজ্ঞানের অন্বেষণ করে না, তাঁর প্রতি তাদের ন্যূনতম ভালবাসাও থাকে না, এবং তবুও তারা চায় যে ঈশ্বর তাদের ধার্মিক বলে আখ্যায়িত করুন—এ কি রসিকতা নয়? যেহেতু খুব অল্প সংখ্যক মানুষই প্রকৃতপক্ষে সৎ, সেহেতু আমি শুধুমাত্র তাদেরই জীবন প্রদান করে যাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করব। আজ আমার যা করা উচিত, আমি শুধু তাই করব, কিন্তু ভবিষ্যতে আমি প্রত্যেক ব্যক্তির উপর তাদের কৃতকর্ম অনুসারে প্রতিফল নিয়েই আসবো। আমি যা বলার সবই বলে দিয়েছি, আর ঠিক এইভাবেই আমি কাজ করি। আমি শুধু আমার যা করা উচিত তাই করি, যা করা উচিত নয় তা করি না। তবুও, আমি আশা করব যে তোমরা গভীর অনুধ্যানে আরও বেশি সময় ব্যয় করবে: ঈশ্বর সম্পর্কে তোমার জ্ঞানের ঠিক কতটুকু সত্য? তুমি কি এমন কেউ যে আরো একবার ঈশ্বরকে ক্রুশবিদ্ধ করেছে? আমার শেষ বাক্যগুলি হল: যারা ঈশ্বরকে ক্রুশবিদ্ধ করেছে তাদের উপর ধিক্কার বর্ষিত হোক।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অসাধু ব্যক্তিরা অবশ্যই শাস্তি পাবে
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।