ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের স্বভাব এবং তিনি কে ও তাঁর কী আছে | উদ্ধৃতি 246
আমার বলা প্রতিটা বাক্যের মধ্যে আছে ঈশ্বরের স্বভাবের কথা। আমার বাক্য তোমরা মনোযোগ দিয়ে বিবেচনা করলে ভালো করবে, এবং নিশ্চিতভাবেই তা থেকে তোমরা প্রভূত লাভবান হবে। ঈশ্বরের সারসত্যকে উপলব্ধি করা খুবই কঠিন। তবে আমার বিশ্বাস তোমাদের সকলের অন্তত মোটামুটি একটা ধারণা আছে ঈশ্বরের স্বভাব সম্পর্কে। তাহলে আমি আশা করবো, তোমরা যা করেছো তার মধ্যে থেকে আরো কিছু আমাকে দেখাতে পারবে যা ঈশ্বরের স্বভাবকে ক্ষুব্ধ করে না। আমি আশ্বস্ত হব তখনই। যেমন ধরো, ঈশ্বরকে সবসময়ের জন্য হৃদয়ে ধারণ করো। যখন যে কাজ করবে, তা করবে তাঁর নির্দেশ অনুসারে। সবকিছুর মধ্যে তাঁর অভিপ্রায়ের সন্ধান করো, এবং এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকো যাতে ঈশ্বরের প্রতি অশ্রদ্ধা আর অসম্মান প্রকাশিত হয়। হৃদয়ের ভবিষ্যতের শূন্যতা পূরণ করবে বলে ঈশ্বরকে কখনও মনের আড়ালে রেখো না। তা যদি করো, তবে তুমি ঈশ্বরের স্বভাবকে ক্ষুব্ধ করবে। আবার ধরো, সারা জীবনে তুমি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কোনও অসম্মানসূচক মন্তব্য করোনি বা কোনও অভিযোগ করোনি; ধরা যাক, তোমার ওপর তিনি যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, সব তুমি ঠিকমতো পালন করতে পারো, এবং সারা জীবন তাঁর বাক্যের প্রতি সমর্পণ করে চলতে সক্ষম; তাহলে তুমি প্রশাসনিক ফরমানের সাথে অধর্ম করার থেকে দূরে থাকতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কখনও বলে থাকো, “আমি কেন ভাবছি না যে তিনি ঈশ্বর?” “আমার মনে হয় এসব বাক্য পবিত্র আত্মার কাছে প্রাপ্ত কিছু আলোকপ্রাপ্তি ছাড়া আর কিছু নয়,” “আমার মতে, ঈশ্বর যা করেন তার সবই অনিবার্যভাবে ঠিক, এমনটা নয়,” “ঈশ্বরের মনুষ্যত্ব আমার চেয়ে বড়ো নয়,” “ঈশ্বরের বাক্য একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়,” অথবা এই ধরণের রায়দান করার মতো সব মন্তব্য করে থাকো, তবে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, তোমরা আরও নিয়মিতভাবে পাপ স্বীকার করো, অনুতাপ করো। তা না হলে তোমরা কখনও ক্ষমালাভের সুযোগ পাবে না, কারণ তোমরা কোনও মানুষকে ক্ষুব্ধ করছ না, স্বয়ং ঈশ্বরকে ক্ষুব্ধ করছ। তোমাদের মনে হতে পারে যে, তোমরা কোনও মানুষের বিচার করছ, কিন্তু ঈশ্বরের আত্মা বিষয়টা সেভাবে দেখেন না। তাঁর দেহরূপের প্রতি তোমাদের অশ্রদ্ধা তাঁকেই অশ্রদ্ধা করার সমান। তাই যদি হয়, তাহলে কি তোমরা ঈশ্বরের স্বভাবকেই ক্ষুব্ধ করলে না? তোমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ঈশ্বরের আত্মা যা-কিছু করেন, তা করেন তাঁর দেহরূপের কাজকে রক্ষা করার জন্য, যাতে সে-কাজ ভালোভাবে করা হয়। এটা যদি অবহেলা কর, তবে আমি বলব যে তুমি এমন মানুষ যে ঈশ্বরবিশ্বাসে সফল হবে না কখনও। তুমি যেহেতু ঈশ্বরের ক্রোধের উদ্রেক করেছ, তাই তিনি তোমাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সমুচিত দণ্ড দেবেন।
ঈশ্বরের সারসত্যকে জানতে পারা মোটেই তুচ্ছ বিষয় নয়। তোমাকে তাঁর স্বভাব উপলব্ধি করতেই হবে। এভাবে ক্রমশ নিজের অজ্ঞাতসারেই জানতে পারবে তাঁর সারসত্যকে। এই জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করলে দেখবে পা রেখেছ উচ্চতর এবং সুন্দরতর এক অবস্থায়। অবশেষে, তুমি নিজের কুৎসিত অন্তরের কথা ভেবে নিজেই লজ্জা পাবে, বুঝতে পারবে এই লজ্জা থেকে লুকোনোর জায়গা কোথাও নেই। সেই সময় তোমার আচরণে ঈশ্বরের স্বভাবকে ক্ষুব্ধ করার প্রবণতা উত্তরোত্তর কমে আসবে, তোমার হৃদয় ক্রমশ আরও বেশি করে ঈশ্বরের হৃদয়ের কাছে পৌঁছবে, এবং তোমার হৃদয়ে তাঁর প্রতি ভালোবাসা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। মানুষের এক সুন্দর অবস্থায় প্রবেশের এটা একটা সঙ্কেত। তবে এখনও তোমরা তা অর্জন করতে পারোনি। তোমরা সবাই যে তোমাদের নিয়তির জন্য ছুটে বেড়াচ্ছ, ঈশ্বরের সারসত্যকে জানার চেষ্টা করার জন্য কারও কোনওরকম আগ্রহ আছে? এই অবস্থা যদি চলতেই থাকে, নিজেদের অজ্ঞাতেই তোমরা প্রশাসনিক ফরমান লঙ্ঘন করবে, কারণ ঈশ্বরের স্বভাব সম্পর্কে তোমরা খুবই কম জানো। অতএব এখন তোমরা যা করছ তা কি ঈশ্বরের স্বভাবের বিরুদ্ধে তোমাদের অপরাধের ভিত্তিভূমি তৈরি করছে না? আমি যে তোমাদের বলছি ঈশ্বরের স্বভাব বোঝার জন্য তা আমার কাজ থেকে পৃথক নয়। কারণ তোমরা যদি প্রশাসনিক ফরমানের বিরুদ্ধে বারবার অধর্ম করতে থাকো, তোমাদের মধ্যে কে দণ্ডের হাত থেকে বাঁচবে? তাহলে কি আমার কাজ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে যাবে না? সুতরাং, আমি এখনও তোমাদের বলছি নিজেদের আচরণ খুঁটিয়ে যাচাই করা ছাড়াও তোমরা নিজেদের পদক্ষেপের ব্যাপারে সাবধান হও। এটাই তোমাদের কাছে আমার আরও বড়ো দাবি। আশা করি তোমরা সবাই একথা ভালো করে বিবেচনা করবে এবং আন্তরিকভাবে মেনে চলবে। এমন দিন যদি আসে যেদিন তোমাদের কাজকর্ম আমার তীব্র ক্রোধকে জাগিয়ে তুলবে, তাহলে তার পরিণামও শুধু তোমাদেরই বুঝতে হবে, তোমাদের জায়গায় অন্য কেউ সেই দণ্ড ভোগ করবে না।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের স্বভাব বোঝা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।