যারা ঈশ্বরের বাক্যের বাস্তবতার মধ্যে প্রবেশ করেছে শুধু সেইসব মানুষেরই স্বভাব পরিবর্তিত হয়েছে
অন্য সবকিছুর আগে মানুষের মধ্যে পবিত্র আত্মার প্রথম পদক্ষেপ হল মানুষের হৃদয়কে লোকজন, ঘটনাবলী ও দ্রব্যসামগ্রী থেকে সরিয়ে এনে ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে প্রবিষ্ট করা, যাতে মানুষের হৃদয় বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের বাক্য সমস্ত সন্দেহের ঊর্ধ্বে ও সর্বৈব সত্য। তুমি যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস কর, তাহলে তুমি অবশ্যই তাঁর বাক্যে বিশ্বাস করবে; যদি অনেক বছর ধরে ঈশ্বর-বিশ্বাসের পরেও তুমি পবিত্র আত্মার গৃহীত পথ সম্বন্ধে অনবহিত থাকো, তাহলে তুমি কি প্রকৃতই একজন ঈশ্বরবিশ্বাসী? একটা স্বাভাবিক মানবিক জীবন—ঈশ্বরের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক আছে এমন স্বাভাবিক মানবিক জীবন অর্জন করতে হলে—প্রথমে অবশ্যই তুমি তাঁর বাক্যে বিশ্বাস করবে। মানুষের মধ্যে পবিত্র আত্মার কার্যের প্রথম পদক্ষেপটি যদি তুমি অর্জন করে না থাকো, তাহলে তোমার কোনো বুনিয়াদ নেই। এমনকি ন্যূনতম তত্ত্বটিও যদি তোমার ধারণক্ষমতার বাইরে হয়, তাহলে কীভাবে তুমি সম্মুখবর্তী পথ ধরে হাঁটবে? ঈশ্বর যার মাধ্যমে মানুষকে নিখুঁত করেন সেই সঠিক পথে পদার্পণের অর্থ হল পবিত্র আত্মার সাম্প্রতিক কার্যের সঠিক পথে প্রবেশ করা; এর অর্থ হল পবিত্র আত্মার গৃহীত পথে পদার্পণ করা। এই মুহূর্তে, পবিত্র আত্মার গৃহীত পথ হল ঈশ্বরের সাম্প্রতিক বাক্যসমূহ। সেই হিসেবে, মানুষকে যদি পবিত্র আত্মার পথে পদার্পণ করতে হয়, তাহলে তারা অবশ্যই ঈশ্বরের অবতারের সাম্প্রতিক বাক্যগুলি মান্য করবে, ভোজন ও পান করবে। যে কার্য তিনি সম্পাদন করেন তা বাক্যের কার্য; সমস্তকিছু শুরু হয় তাঁর বাক্য থেকে, এবং সবকিছু নির্মিত হয় তাঁর বাক্যের উপর, তাঁর সাম্প্রতিক বাক্যের উপর ভিত্তি করে। ঈশ্বরের অবতার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্যই হোক, কি ঈশ্বরের অবতারকে জানার জন্যই হোক, প্রতিটির জন্যই প্রয়োজন তাঁর বাক্যসমূহে আরো উদ্যম ব্যয় করা। তা না হলে মানুষ কোনো অভীষ্টই অর্জন করতে পারে না, এবং শূন্য হাতে তাদের ফিরতে হবে। শুধুমাত্র ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার মাধ্যমে এবং তার ফলে তাঁকে জানার এবং তাঁকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে মানুষ ধীরে ধীরে ঈশ্বরের সঙ্গে একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। তাঁর বাক্য ভোজন ও পান করা এবং তাদের অনুশীলন করা অপেক্ষা ঈশ্বরের সঙ্গে উৎকৃষ্টতর সহযোগিতা মানুষের জন্য আর কিছু নেই। এই প্রকার অনুশীলনের মাধ্যমে ঈশ্বরের মানুষদের হয়ে তাদের সাক্ষ্যে তারা সুদৃঢ়তম অবস্থান গ্রহণ করতে পারে। মানুষ যখন ঈশ্বরের সাম্প্রতিক বাক্যের সারসত্যকে অনুধাবন করে এবং তা মেনে চলতে সক্ষম হয়, তারা তখন পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হবার পথে জীবন ধারণ করে, এবং ঈশ্বর কর্তৃক মানুষকে নিখুঁত করার সঠিক পথে পদার্পণ করে। এর পূর্বে, শুধুমাত্র ঈশ্বরের মহিমার সন্ধান করেই, বা শান্তি ও আনন্দের অন্বেষণ করেই, মানুষ ঈশ্বরের কার্যকে লাভ করতে পারতো, কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্নতর। ঈশ্বরের অবতারের বাক্য ব্যতীত, তাঁর বাক্যের বাস্তবতা ব্যতীত, মানুষ ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করতে পারে না, এবং (এ ধরণের) সকলেই ঈশ্বরের দ্বারা অপসারিত হবে। একটা স্বাভাবিক আধ্যাত্মিক জীবন অর্জন করতে হলে, মানুষের প্রথম উচিৎ ঈশ্বরের বাক্যকে ভোজন ও পান করা, ও তাদের অনুশীলন করা, এবং তারপর, এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করা। কেমন করে তুমি সহযোগিতা করবে? ঈশ্বরের মানুষদের হয়ে সাক্ষ্যে কীভাবে তুমি দৃঢ় অবস্থান নেবে? কেমন ভাবেই বা তুমি ঈশ্বরের সঙ্গে একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করবে?
তোমার প্রাত্যহিক জীবনে ঈশ্বরের সঙ্গে তোমার একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক আছে কিনা বোঝার উপায়:
১. তুমি কি ঈশ্বরের নিজস্ব সাক্ষ্যে বিশ্বাস কর?
২. তুমি কি তোমার অন্তর থেকে বিশ্বাস কর যে ঈশ্বরের বাক্যসমূহ সত্য ও অভ্রান্ত?
৩. যারা তাঁর বাক্যসমূহের অনুশীলন করে তুমি কি তাদের একজন?
৪. তুমি কি তাঁর অর্পিত কর্মভারের প্রতি বিশ্বস্ত? তাঁর অর্পিত কর্মভারের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার জন্য তুমি কী কর?
৫. তুমি যা কিছু কর তা কি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার ও তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত থাকার জন্য?
উপরের তালিকাবদ্ধ বিষয়গুলির মাধ্যমে বর্তমান পর্যায়ে ঈশ্বরের সঙ্গে তোমার একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে কিনা তুমি তার ধারণা করতে পারবে।
তুমি যদি ঈশ্বরের অর্পিত কর্মভার স্বীকার করতে পারো, তাঁর অঙ্গীকার মেনে নিতে পারো, এবং পবিত্র আত্মার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করতে পারো, তাহলে তুমি ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসরণ করছ। তোমার অভ্যন্তরে পবিত্র আত্মার দ্বারা নির্দেশিত পথটি কি তোমার কাছে পরিষ্কার? এই মুহূর্তে তুমি কি পবিত্র আত্মার নির্দেশিত পথ অনুসারে আচরণ করছো? তোমার হৃদয় কি ঈশ্বরের নিকটবর্তী হয়েছে? তুমি কি পবিত্র আত্মার নবীনতম আলোকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাও? তুমি কি ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হতে চাও? তুমি কি পৃথিবীর বুকে ঈশ্বরের মহিমার একটা প্রকাশ হয়ে উঠতে চাও? ঈশ্বর তোমার কাছে যা চান তা অর্জন করার মতো সংকল্প কি তোমার আছে? ঈশ্বরের বাক্যসমূহ যখন উচ্চারিত হয় তখন যদি তোমার ভিতর সহযোগিতা করার ও ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার সংকল্প থাকে—তোমার মানসিকতা যদি এইরূপ হয়—এর অর্থ হল ঈশ্বরের বাক্য তোমার হৃদয়ে ফলপ্রসূ হয়েছে। যদি তোমার মধ্যে এরকম সংকল্পের ঘাটতি থাকে, যদি অনুসরণ করার মতো কোনো লক্ষ্য তোমার না থাকে, তার অর্থ হল তোমার হৃদয় ঈশ্বরের দ্বারা আন্দোলিত হয়নি।
মানুষ আনুষ্ঠানিকভাবে একবার রাজ্যের প্রশিক্ষণে প্রবেশ করলে, তাদের কাছে ঈশ্বর যা দাবি করেন তা এক উচ্চতর স্তরে উত্থিত হয়। কোন ক্ষেত্রে এই উচ্চতর দাবিগুলি পরিলক্ষিত হতে পারে? আগে বলা হতো যে মানুষের জীবন নেই। আজ তারা জীবনের অন্বেষণ করে, তারা ঈশ্বরের মানুষ হয়ে উঠতে চায়, ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হতে চায়, ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে চায়। এটা কি একটা উচ্চতর স্তর নয়? বস্তুত, মানুষের কাছে ঈশ্বর যে দাবিগুলি করেন তা আগের থেকে সরলতর। মানুষের আর সেবা-প্রদানকারী হওয়ার বা মৃত্যু বরণ করার দরকার নেই—তাদের একমাত্র যা প্রয়োজন তা হলো ঈশ্বরের মানুষ হয়ে ওঠা। এটা কি সহজতর নয়? তোমায় শুধুমাত্র যা করতে হবে তা হলো ঈশ্বরের কাছে হৃদয় নিবেদন করা এবং তাঁর নির্দেশনার অনুবর্তী হওয়া, আর তাহলেই সবকিছু ফলপ্রসূ হয়ে উঠবে। এটাকে তোমার এতো কঠিন কাজ বলে মনে হচ্ছে কেন? এখন জীবনে প্রবেশের কথা যা বলা হয় তা পূর্বাপেক্ষা স্পষ্টতর। অতীতে মানুষ বিভ্রান্ত ছিল, সত্যের বাস্তবতা কী তা তারা জানত না। বস্তুত, ঈশ্বরের বাক্য শ্রবণ করে যারা প্রতিক্রিয়া জানায়, যারা পবিত্র আত্মার দ্বারা আলোকপ্রাপ্ত ও আলোকিত, এবং যারা ঈশ্বরের সম্মুখে তাঁর ত্রুটিহীনতা গ্রহণ করে ও স্বভাবে পরিবর্তিত হয়—এধরণের সকল মানুষের জীবন আছে। ঈশ্বর জীবন্ত সত্তা চান, মৃত বস্তুপিণ্ড নয়; তুমি যদি মৃত হও তাহলে তোমার জীবন নেই, এবং ঈশ্বর তোমার সঙ্গে কথা বলবেন না, তোমাকে তিনি তাঁর মানুষদের একজন হিসেবে তুলে তো ধরবেনই না। যেহেতু তোমরা ঈশ্বরের দ্বারা উন্নীত হয়েছো ও তাঁর কাছ থেকে এত বড় একটা আশীর্বাদ লাভ করেছো, এটা প্রমাণ করে যে তোমরা সবাই জীবন-সম্বলিত মানুষ, এবং জীবন-সম্বলিত মানুষ ঈশ্বরের কাছ থেকেই আসে।
কোনো এক ব্যক্তির জীবনযাত্রার স্বভাব পরিবর্তন করার সাধনায় অনুশীলনের পথটি খুব সরল। তোমার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতায় তুমি যদি পবিত্র আত্মার সাম্প্রতিক বাক্যগুলি অনুসরণ করতে ও ঈশ্বরের কার্যকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হও, তাহলে তোমার স্বভাব পরিবর্তনযোগ্য। পবিত্র আত্মা যা-কিছু বলেন তুমি যদি তার অনুসরণ ও অনুসন্ধান কর, তাহলে তুমি তাঁর আজ্ঞানুবর্তী ব্যক্তি, এবং তোমার স্বভাব পরিবর্তিত হবে। পবিত্র আত্মার সাম্প্রতিক বাক্যের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্বভাবও পরিবর্তিত হয়; তুমি যদি সর্বদা তোমার পুরনো অভিজ্ঞতা ও অতীতের নিয়মগুলি আঁকড়ে ধরে থাকো, তাহলে তোমার স্বভাব পরিবর্তিত হতে পারে না। পবিত্র আত্মার আজকের বাক্য যদি সকল মানুষকে এক স্বাভাবিক মনুষ্যত্বের জীবনে প্রবেশ করতে বলে, কিন্তু তুমি যদি বাহ্যিক সামগ্রীতে আটকে থাকো, এবং বাস্তবতার বিষয়ে বিভ্রান্ত হও ও একে গুরুত্বসহকারে গ্রহন না করো, তাহলে যারা পবিত্র আত্মার কার্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হয়েছে তুমি তাদেরই একজন, এমন একজন যে পবিত্র আত্মার পরিচালনার পথে প্রবেশ করেনি। তোমার স্বভাব পরিবর্তিত হতে পারে কি পারে না তা তুমি পবিত্র আত্মার সাম্প্রতিক বাক্যের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারো কিনা এবং তোমার প্রকৃত জ্ঞান আছে কিনা—এই দুইয়ের উপর নির্ভর করে। তোমরা আগে যা বুঝেছিলে এটা তার থেকে ভিন্ন। তোমাদের স্বভাবের যে পরিবর্তন তোমরা পূর্বে উপলব্ধি করেছিলে তা ছিল যে তুমি, যে কিনা ত্বরিত মতামত জ্ঞাপনে পারদর্শী, সেই তুমিই ঈশ্বরের অনুশাসনের মাধ্যমে বিচারবিবেচনাহীন কথা বলা থেকে বিরত হয়েছ। কিন্তু এটা পরিবর্তনের একটা দিক মাত্র। এই মুহূর্তে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পবিত্র আত্মার নির্দেশনা অনুসরণ করা: ঈশ্বর যা কিছু বলেন তা অনুসরণ করো ও পালন করো। মানুষ নিজে তাদের স্বভাব পরিবর্তন করতে পারে না; তাদের অবশ্যই ঈশ্বরের বাক্যের বিচার ও শাস্তিপ্রদান এবং কষ্টভোগ ও পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, অথবা তাঁর বাক্যের দ্বারা মোকাবিলার সম্মুখীন হতে, অনুশাসিত এবং কর্তিত হতে হবে। কেবল তখনই তারা ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবে, এবং আর কখনো তাঁর প্রতি আন্তরিকতাশূন্য হবে না। ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারা পরিমার্জনের মাধ্যমেই মানুষের স্বভাব পরিবর্তিত হয়। শুধুমাত্র তাঁর বাক্যের উদঘাটন, বিচার, অনুশাসন ও মোকাবিলার মাধ্যমেই তারা আর কখনো অপরিণামদর্শী আচরণ করতে সাহস করবে না, বরং সুস্থিত ও অপ্রমত্তচিত্ত হয়ে উঠবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো, তারা ঈশ্বরের সাম্প্রতিক বাক্য ও তাঁর কার্যের কাছে নিজেদের সমর্পণ করতে সক্ষম হবে; এমনকি এগুলি যদি প্রচলিত মনুষ্যোচিত ধারণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না-ও হয়, তবু তারা সেই পূর্বধারণাগুলিকে সরিয়ে রেখে স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবে নিজেদের সমর্পণ করতে সমর্থ হবে। অতীতে স্বভাব পরিবর্তন সংক্রান্ত কথাবার্তার প্রধান উপজীব্য ছিল নিজের সবকিছু পরিহার করা, দেহকে কষ্টভোগ করতে দেওয়া, শরীরকে অনুশাসিত করা এবং নিজেকে পার্থিব আসক্তি থেকে মুক্ত করা—যা হলো এক ধরণের স্বভাব পরিবর্তন। আজ সকলেই জানে, স্বভাব পরিবর্তনের প্রকৃত অভিব্যক্তি হলো ঈশ্বরের সাম্প্রতিক বাক্যগুলিকে মান্য করা ও তাঁর নূতন কার্যগুলিকে যথাযথ অর্থে জানা। এইভাবে, নিজস্ব ধারণার রঙে রঞ্জিত ঈশ্বর সম্বন্ধে মানুষের পূর্ব উপলব্ধিকে মুছে ফেলা যাবে, এবং তারা ঈশ্বর বিষয়ে প্রকৃত জ্ঞান ও তাঁর প্রতি যথার্থ আনুগত্য অর্জন করতে পারবে—শুধুমাত্র এটাই স্বভাব পরিবর্তনের এক অকৃত্রিম অভিব্যক্তি।
জীবনে প্রবেশের জন্য মানুষের অন্বেষণ ঈশ্বরের বাক্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। আগে বলা হত, ঈশ্বরের বাক্যের কারণেই সবকিছু নিষ্পন্ন হয়, কিন্তু এই সত্যকে কেউ চাক্ষুষ করেনি। তুমি যদি বর্তমান পর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্যে প্রবেশ কর, তোমার কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে, এবং ভবিষ্যতের পরীক্ষার জন্য তুমি উত্তম একটা ভিত্তি নির্মাণ করতে পারবে। ঈশ্বর যা-ই বলুন, তুমি শুধু তাঁর বাক্যে প্রবেশের বিষয়ে মনোনিবেশ কর। ঈশ্বর যখন বলেন তিনি মানুষের শাস্তিপ্রদান শুরু করবেন, তাঁর শাস্তি স্বীকার করে নাও। ঈশ্বর যখন মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে বলেন, তাঁর বিচার মেনে নাও। তুমি যদি সবসময় তাঁর নবতম উচ্চারণের মধ্যে বাস কর, ঈশ্বরের বাক্যগুলি অন্তিমে তোমায় নিখুঁত করে তুলবে। যত বেশি করে তুমি ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে প্রবেশ করবে, তত তাড়াতাড়ি তোমায় নিখুঁত করা হবে। কেন আমি সহকারিতার পর সহকারিতা ধরে তোমাদের ঈশ্বরের বাক্যকে জানতে ও তার মধ্যে প্রবেশ করতে বলি? যখন তুমি ঈশ্বরের বাক্যের অন্বেষণ ও তার অভিজ্ঞতা লাভ কর, এবং তাঁর বাক্যের বাস্তবতার মধ্যে প্রবেশ কর, একমাত্র তখনই পবিত্র আত্মা তোমার অভ্যন্তরে কাজ করার সুযোগ পান। তাই, ঈশ্বরের কার্য সম্পাদনের প্রতিটি পদ্ধতিতে তোমরা সবাই অংশগ্রহণকারী, এবং তোমাদের যন্ত্রণার মাত্রা যা-ই হোক, অন্তিমে সকলেই একটি “স্মারক” লাভ করবে চূড়ান্ ত্রুটিহীনতা অর্জন করার জন্য তোমাদের অবশ্যই ঈশ্বরের সকল বাক্যের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। পবিত্র আত্মার মানুষকে নিখুঁত করার কাজটি একতরফা নয়; তাঁর মানুষের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, তিনি চান সকলে যেন সচেতনভাবে তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করে। ঈশ্বর যা-ই বলুন, শুধু তাঁর বাক্যে অনুপ্রবেশের দিকে মনোনিবেশ কর—তোমাদের জীবনের পক্ষে এটা বেশি হিতকর হবে। সমস্তকিছুই তোমাদের স্বভাবের একটা পরিবর্তন অর্জন করার জন্য। তুমি যখন ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে প্রবেশ করবে, তোমার হৃদয় তাঁর দ্বারা আলোড়িত হবে, এবং তাঁর কার্যের এই পর্যায়ে ঈশ্বর যা-কিছু অর্জন করতে চান তার সবই তুমি জানতে পারবে, এবং এগুলি অর্জন করার জন্য তোমার মধ্যে একটা সংকল্প তৈরি হবে। শাস্তিদানের কালে কিছু মানুষ বিশ্বাস করেছিল এটা বুঝি কার্যের একটা পদ্ধতি এবং ঈশ্বরের বাক্যে তারা বিশ্বাস করেনি। ফলস্বরূপ, তারা পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে যায়নি এবং কোনোকিছু অর্জন বা উপলব্ধি ছাড়াই শাস্তিদানের কাল থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়েছে। কিছু মানুষ লেশমাত্র সংশয় ছাড়াই এই বাক্যাবলীর মধ্যে যথার্থরূপে প্রবেশ করেছিল, যারা বলেছিল ঈশ্বরের বাক্য অভ্রান্ত সত্য এবং মনুষ্যজাতির শাস্তি পাওয়া উচিৎ। তারা তাদের ভবিষ্যৎ ও গন্তব্যের চিন্তা পরিহার করে কিছুকাল তারা সেখানে সংগ্রাম করেছিল এবং নিষ্ক্রান্ত হওয়ার পর তাদের স্বভাব কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছিল এবং তারা ঈশ্বর সম্বন্ধে গভীরতর উপলব্ধি লাভ করেছিল। শাস্তিপ্রদান থেকে যারা নিষ্ক্রান্ত হল তারা সকলেই ঈশ্বরের মাধুর্যকে অনুভব করেছে ও উপলব্ধি করেছে যে কার্যের এই পর্যায়টি তাদের উপর বর্ষিত ঈশ্বরের বিপুল ভালোবাসাকে মূর্ত করে, এ হল ঈশ্বরের ভালোবাসার বিজয় ও পরিত্রাণ। তারা এ-ও বলেছিল যে ঈশ্বরের ভাবনা সর্বদা সুন্দর এবং মানুষের মধ্যে ঈশ্বর যা-কিছু করেন তার উৎস প্রেম, ঘৃণা নয়।ঈশ্বরের বাক্যে যারা বিশ্বাস করেনি, তাঁর বাক্যে যারা দৃষ্টিপাত করেনি, শাস্তিদানের সময় তারা পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে যায়নি, এবং ফলস্বরূপ পবিত্র আত্মা তাদের সাথে ছিলেন না এবং তারা কিছুই অর্জন করেনি। আর যারা শাস্তিদানের কালে প্রবেশ করেছিল, তারা পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু পবিত্র আত্মা তাদের অভ্যন্তরে গোপনে কাজ করছিলেন, আর তাই তাদের জীবনযাত্রার স্বভাব পরিবর্তিত হয়েছিল। বাহ্যিক অবয়বে কিছু মানুষকে খুব ইতিবাচক মনে হয়, মনে হয় সারাদিন যেন উল্লাসে ভরপুর, কিন্তু তারা ঈশ্বরের বাক্যের পরিমার্জন দশার মধ্যে প্রবেশ করেনি, আর তাই তারা বিন্দুমাত্র পরিবর্তিত হয়নি, যা কিনা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস না করার পরিণাম। ঈশ্বরের বাক্যে যদি তুমি বিশ্বাস না কর, পবিত্র আত্মা তাহলে তোমার মধ্যে কার্য করবেন না। তাঁর বাক্যে যারা বিশ্বাস করে তাদের সকলের কাছে ঈশ্বর দৃশ্যমান হন, আর তাঁর বাক্যকে যারা বিশ্বাস ও স্বীকার করে তারা তাঁর ভালোবাসা লাভ করতে সক্ষম হবে!
ঈশ্বরের বাক্যের বাস্তবতার মধ্যে প্রবেশ করতে হলে তোমাকে অনুশীলনের পথ খুঁজে পেতে হবে এবং ঈশ্বরের বাক্যকে কীভাবে বাস্তবে প্রয়োগ করা যায় তা জানতে হবে। কেবল এভাবেই তোমার জীবনযাত্রার ধরনে একটা পরিবর্তন আসবে, শুধু এই পথেই তুমি ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে পারবে, এবং ঈশ্বরের দ্বারা এই ভাবে নিখুঁত হয়েছে এমন মানুষই শুধু তাঁর অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। নতুন আলো গ্রহণ করার জন্য তোমাকে তাঁর বাক্যের মধ্যে বাস করতে হবে। পবিত্র আত্মার দ্বারা কেবল একবার আলোড়িত হলেই হবে না—তোমায় আরো গভীরে যেতে হবে। যারা কেবল একবার আলোড়িত হয়েছে, তাদের অভ্যন্তরীন উদ্দীপনা জাগ্রত হয় এবং তারা সন্ধান করতে চায়, কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হতে পারে না; পবিত্র আত্মার দ্বারা তাদের অবিরাম আন্দোলিত হতে হবে। অতীতে অনেকবার আমি আশা প্রকাশ করেছি যে ঈশ্বরের আত্মা মানুষের আত্মাকে উদ্দীপিত করতে পারে, যাতে তারা তাদের জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তনে প্রয়াসী হয় ও ঈশ্বরের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হতে চাওয়ার মাঝে নিজেদের অপর্যাপ্ততাগুলি উপলব্ধি করতে পারে, এবং তাঁর বাক্যাবলী অনুভব করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিজেদের কলুষগুলি (যেমন নিজের নৈতিকতা বিষয়ে ঔদ্ধত্ব, অহংকার, পূর্বধারণা ইত্যাদি) পরিত্যাগ করতে পারে। ভেবো না যে কেবল নতুন আলো গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী হলেই চলবে—একই সঙ্গে যা কিছু নেতিবাচক সে সবই তোমাদের বর্জন করতে হবে। একদিকে, একটা সদর্থক দৃষ্টিকোণ থেকে তোমাদের প্রবেশ করতে হবে, অন্যদিকে নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে যা-কিছু অশুদ্ধ তা থেকে মুক্ত হতে হবে। কোন-কোন অশুদ্ধি আজো তোমার মধ্যে রয়ে গেছে তা জানার জন্য তোমাকে ক্রমাগত নিজেকে পরীক্ষা করতে হবে। মানুষের ধর্মীয় ধারণা, অভিসন্ধি, আশা, নৈতিকতা বিষয়ে ঔদ্ধত্ব, ও অহংকার—এ-সবই অশুচি বস্তু। নিজের অভ্যন্তরে তাকাও, এবং কোন ধর্মীয় ধারণা তুমি পোষণ কর তা জানতে সবকিছুকে ঈশ্বরের উদ্ঘাটনের সমস্ত বাক্যের পাশাপাশি রাখ। সেগুলিকে যথাযথ সনাক্ত করতে পারলে তবেই তুমি সেগুলি পরিহার করতে পারবে। কিছু কিছু মানুষ বলে “এখন কেবল পবিত্র আত্মার সাম্প্রতিক কার্যের আলো অনুসরণ করাটাই যথেষ্ট। আর কোনো বিষয়ে মাথা ঘামাবার কোনো দরকার নেই।” কিন্তু তারপর, যখন তোমার ধর্মীয় পূর্বধারণাগুলি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে, তখন তুমি সেগুলি থেকে কীভাবে মুক্ত হবে? তোমার কি মনে হয় বর্তমানে ঈশ্বরের বাক্যগুলি অনুসরণ করা কোনো সহজসাধ্য কাজ? তুমি যদি ধর্মের সাথে জড়িত কেউ হও, তাহলে তোমার ধর্মীয় পূর্বধারণা ও তোমার হৃদয়ে লালিত প্রথাগত আধ্যাত্মিক তত্ত্ব থেকে একটা বিপত্তি দেখা দিতে পারে, আর যখন এইসব বিপত্তি মাথা চাড়া দেয়, তখন তোমার নতুন কিছুকে গ্রহণের ক্ষেত্রে সেগুলি হস্তক্ষেপ করে। এ সবই হল বাস্তব সমস্যা। তুমি যদি শুধুমাত্র পবিত্র আত্মার সাম্প্রতিক বাক্যের অন্বেষণ কর, তবে তুমি ঈশ্বরের অভিপ্রায় পূরণ করতে পারবে না। যখন তুমি পবিত্র আত্মার বর্তমান আলোকের অন্বেষণ কর, সেই একই সময়ে তোমাকে চিনতে হবে যে তুমি কোন ধারণা এবং উদ্দেশ্য পোষণ কর, আর নিজের কোন নৈতিকতা বিষয়ে তুমি উদ্ধত এবং কোন আচরণগুলি ঈশ্বরের আজ্ঞানুবর্তী নয়। এই বিষয়গুলিকে সনাক্ত করার পর তোমাকে এগুলি পরিহার করতে হবে। তোমার পূর্বের কাজ ও আচরণকে পরিত্যাগ করতে বলার একমাত্র উদ্দেশ্য হল পবিত্র আত্মা আজ যা বলেন তুমি যেন সেই বাক্যগুলি অনুসরণ করতে পারো। একদিকে, স্বভাবের পরিবর্তন সাধিত হয় ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারা, এবং অন্যদিকে, এর জন্য মনুষ্যজাতির তরফ থেকে সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। ঈশ্বরের বাক্য যেমন আছে, তেমনি মানবিক অনুশীলনও রয়েছে, এবং উভয়ই অপরিহার্য।
তোমার ভবিষ্যৎ সেবাপ্রদানের পথে কীভাবে তুমি ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করতে পারো? একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জীবনে প্রবেশের জন্য প্রয়াসী হওয়া, স্বভাব পরিবর্তনের জন্য সচেষ্ট হওয়া, এবং সত্যের গভীরে প্রবেশ করার জন্য উদ্যোগী হওয়া—এই হল নিখুঁত হওয়া এবং ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হওয়ার পথ। তোমরা সবাই ঈশ্বরের অর্পিত কর্মভারের গ্রহীতা, কিন্তু কী ধরণের কর্মভার? এটা কার্যের পরবর্তী পর্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত; কার্যের পরের পর্যায়টি হবে বৃহত্তর কার্য যা সারা মহাবিশ্ব জুড়ে সম্পাদিত হবে, তাই আজ জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তনে তোমাদের প্রয়াসী হওয়া উচিৎ, যাতে ঈশ্বর নিজ কার্যের মাধ্যমে যে গৌরব অর্জন করছেন আগামীদিনে তুমি সত্যই তার প্রমাণ হয়ে উঠতে পারো, যাতে তোমরা তাঁর ভবিষ্যতেরকার্যের জন্য দৃষ্টান্তস্থানীয় হয়ে উঠতে পারো। আজকের অন্বেষণ পুরোটাই ভবিষ্যতের কার্যের বুনিয়াদ নির্মাণের জন্য, যাতে তোমরা ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত হতে পারো এবং তাঁর সাক্ষ্য বহন করতে পারো। একে তুমি যদি তোমার অন্বেষণের লক্ষ্যে পরিণত কর, তাহলে তুমি পবিত্র আত্মার সান্নিধ্য লাভ করতে পারবে। তোমার অন্বেষণের লক্ষ্য তুমি যত ঊর্ধ্বে স্থাপন করবে, তত বেশি তোমায় নিখুঁত করা যাবে। যত বেশি তুমি সত্যের সন্ধান করবে, পবিত্র আত্মা তত বেশি কার্য করবেন। তোমার অন্বেষণে তুমি যত বেশি উদ্যম ঢালবে তত বেশি তুমি অর্জন করবে। মানুষের অভ্যন্তরীণ অবস্থা অনুসারে পবিত্র আত্মা তাদের নিখুঁত করেন। কিছু কিছু মানুষ বলে যে তারা ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত হতে বা তাঁর দ্বারা নিখুঁত হতে আগ্রহী নয়, তারা বলে যে তারা শুধু চায় তাদের শরীরটি যেন নিরাপদে থাকে এবং কোনো দুর্ভাগ্য যাতে সহ্য করতে না হয়। কিছু কিছু মানুষ আবার রাজ্যে প্রবেশে অনিচ্ছুক, অথচ অতল গহ্বরে অবতরণ করতে তাদের আপত্তি নেই। এসব ক্ষেত্রে, ঈশ্বরও তোমার ইচ্ছে পূরণ করবেন। তুমি যার পিছনে দৌড়াবে, ঈশ্বর তা-ই ঘটাবেন। তাহলে বর্তমানে তুমি কীসের পশ্চাদ্ধাবন করছো? নিখুঁত হয়ে ওঠার? তোমার বর্তমান কাজকর্ম ও আচরণ কি ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হওয়া ও তাঁর দ্বারা অর্জিত হওয়ার লক্ষ্যে? তোমার দৈনন্দিন জীবনে তোমাকে ক্রমাগত এইভাবে নিজেকে পরিমাপ করে যেতে হবে। একটি মাত্র লক্ষ্যের সন্ধানে তুমি যদি তোমার সমস্ত হৃদয় সঁপে দাও, ঈশ্বর নিশ্চিতভাবেই তোমায় নিখুঁত করবেন। পবিত্র আত্মার পথ এটাই। যে পথে পবিত্র আত্মা মানুষদের চালিত করেন তা নির্ধারিত হয় তাদের অন্বেষণের দ্বারা। তুমি যত বেশি করে নিখুঁত হওয়ার জন্য ও ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হওয়ার জন্য ব্যাকুল হবে, পবিত্র আত্মা তোমার অন্তরে তত বেশি কার্য সম্পাদন করবেন। তোমার অন্বেষণে তুমি যত বেশি ব্যর্থ হবে, এবং যত বেশি তুমি নেতিবাচক ও অধোগতিপ্রবণ হবে, কার্য করার সুযোগ থেকে পবিত্র আত্মাকে তত বেশি তুমি বঞ্চিত করবে; সময়ের সাথে সাথে একদিন পবিত্র আত্মা তোমায় পরিত্যাগ করবেন। তুমি কি ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে চাও? তুমি কি ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হতে চাও? তুমি কি ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত হতে চাও? ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হওয়া, অর্জিত হওয়া ও ব্যবহৃত হওয়ার খাতিরে সবকিছু করার জন্য তোমাদের প্রয়াসী হওয়া উচিৎ, যাতে এই মহাবিশ্ব ও সকল বস্তু তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের ক্রিয়াকর্মকে প্রতীয়মান দেখতে পায়। সকল জিনিসের মাঝে তোমরা হলে প্রধান, এবং যা কিছু আছে সেগুলির মধ্যে, তোমরা তোমাদের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরকে তাঁর সাক্ষ্য ও মহিমা উপভোগ করতে দেবে—এটাই প্রমাণ যে সকল প্রজন্মের মধ্যে তোমরাই হলে সবচেয়ে বেশি আশীর্বাদধন্য!