অধ্যায় ২
নতুন কর্মপদ্ধতির মধ্যে প্রবেশের সাথে সাথে, আমার কার্যে নতুন পদক্ষেপও থাকবে। যেহেতু তা রাজ্যের মধ্যে, সেহেতু আমি প্রত্যক্ষভাবে দেবত্বের মাধ্যমে কার্যসাধন করবো, পথের প্রতিটি পদক্ষেপকে সূক্ষ্মতম অনুপুঙ্খ পর্যন্ত নিখুঁতভাবে নেতৃত্বদান করবো, সম্পূর্ণত মানবীয় অভিপ্রায়ের অপমিশ্রণমুক্তভাবে। নিম্নে যা বর্ণিত হচ্ছে তা হল প্রকৃত অনুশীলনপন্থার এক রূপরেখা: যেহেতু কষ্টভোগ ও পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে তারা “লোক”-এর অভিধা অর্জন করেছে, এবং যেহেতু তারা রাজ্যের লোক, সেহেতু আমি অবশ্যই তাদের উপর কঠোর চাহিদা আরোপ করবো, যে চাহিদানুসারে অর্জনীয় মান পূর্ববর্তী প্রজন্মসমূহে আমার কার্যপদ্ধতি অপেক্ষা উচ্চতর হবে। এ শুধু বাক্যের বাস্তবিকতা নয়; যা আরও গুরুত্বপূর্ণ তা হল, এটিই অনুশীলনের বাস্তবিকতা। এগুলি অবশ্যই সর্বপ্রথম অর্জন করতে হবে। সকল বাক্যে ও কর্মে, তারা অবশ্যই রাজ্যের লোকের কাঙ্ক্ষিত মানসমূহ পূরণ করবে, এবং কোনো লঙ্ঘনকারী থাকলে তারা অবশ্যই তৎক্ষণাৎ অপসারিত হবে, নচেৎ আমার সুনাম তাদের দ্বারা কলঙ্কিত হবে। অবশ্য, যে সমস্ত অজ্ঞান ব্যক্তি সুস্পষ্টভাবে দর্শন বা অনুধাবনে অক্ষম, তারা এর ব্যতিক্রম। আমার রাজ্যের নির্মাণকার্যে, আমার প্রজ্ঞার শনাক্তকরণ এবং আমার কার্যের মধ্য দিয়ে অনুমোদনপ্রাপ্তির মাধ্যমে, আমার বাক্যসমূহ ভোজন ও পানের উপর মনোনিবেশ করো। কেউ যদি আমার বাক্যাবলী সম্বলিত পুস্তক ব্যতীত অন্য পুস্তকের প্রতি মনোযোগ প্রদান করে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমি তাদের চাই না; এধরনের লোকগুলি আমার বিরোধিতাকারী বারাঙ্গনা বিশেষ। একজন প্রেরিত শিষ্য হিসাবে কোনোক্রমেই কেউ দীর্ঘক্ষণ গৃহে অবস্থান করবে না। কেউ যদি তা করে, তাহলে তার উপর আমি বলপ্রয়োগ করবো না, কিন্তু সেই ব্যক্তিকে বর্জন করবো এবং পুনরায় কখনো ব্যবহার করবো না। যেহেতু প্রেরিত শিষ্যেরা দীর্ঘকালব্যাপী গৃহে অধিষ্ঠান করে না, সেহেতু যে গির্জার নৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হবে, সেখানেই তারা দীর্ঘসময় অতিবাহিত করবে। প্রেরিত শিষ্যেরা অবশ্যই গির্জার প্রতি একজোড়া সমাবেশ পিছু অন্তত একটিতে অংশগ্রহণ করবে। এইভাবে, সহকর্মীদের সমাবেশগুলি (প্রেরিত শিষ্যদের সকল সমাবেশ, গির্জার নেতৃবর্গের সকল সমাবেশ, এবং স্বচ্ছ অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন সন্তদের সকল সমাবেশ সমেত) অবশ্যই ঘনঘন অনুষ্ঠিত হবে। তোমাদের মধ্যে অন্তত কিছুজন অবশ্যই প্রতিটি সমাবেশে যোগদান করবে, এবং প্রেরিত শিষ্যগণ বাধ্যতামূলকভাবে শুধুমাত্র গির্জাসমূহের দেখভালের কাজে মনোনিবেশ করবে। সন্তদের উপর পূর্বে যে চাহিদা স্থাপন করা হতো এখন তা কঠোরতর। স্বীয় নামে আমি সাক্ষ্য বহন করার পূর্বে যারা অপরাধসংঘটন করেছিল, আমার প্রতি তাদের আত্মনিবেদনের কারণে, পরীক্ষা করার পর আমি তথাপি তাদের ব্যবহার করবো। কিন্তু, আমার সাক্ষ্যদানের পরেও পুনরায় যারা অপরাধ করেছে, অথচ অনুতাপের যন্ত্রণা স্বীকার করে নতুন করে আরম্ভ করতে সংকল্পবদ্ধ, এধরনের লোকগুলি কেবল গির্জার অভ্যন্তরেই রইবে। তখনো, তারা অসতর্ক ও উচ্ছৃঙ্খল হতে পারবে না, বরং অন্যদের তুলনায় অবশ্যই অধিক বাধানিষেধের মধ্যে থাকবে। আমার বাক্যোচ্চারণের পরেও যারা তাদের জীবনরীতির সংশোধন ঘটাবে না, আমার আত্মা অবিলম্বে তাদের ত্যাগ করবে, এবং আমার বিচার কার্যায়িত করে তাদের বহিষ্কৃত করার ক্ষমতার অধিকারী হবে গির্জা। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, এবং বিচার-বিবেচনার কোনো অবকাশ এখানে থাকতে পারে না। বিচার চলাকালীন কেউ যদি ভেঙে পড়ে—অর্থাৎ, কেউ যদি প্রস্থান করে—তাহলে, আমার পরীক্ষাগ্রহণ এবং শয়তানকে উন্মত্তের মতো গির্জার মধ্যে ধাবিত হওয়ার সুযোগদান এড়াতে, সেই ব্যক্তিটির প্রতি কারো মনোযোগ প্রদান করা বিধেয় হবে না। এমন কোনো ব্যক্তির সম্পর্কে এটিই আমার বিচার। প্রস্থানকারী কোনো ব্যক্তির প্রতি কেউ যদি ন্যায়পরায়ণতাবিবর্জিত এবং আবেগপ্রসূত আচরণ করে, তাহলে ওই প্রস্থানকারী ব্যক্তিটিই শুধু পদচ্যুত হবে না, উপরন্তু প্রথমোক্ত ব্যক্তিটিও আমার লোকদের মধ্য থেকে বহিষ্কৃত হবে। প্রেরিত শিষ্যদের আরেকটি কার্যভার হল সুসমাচার প্রচারের উপর মনোনিবেশ করা। নিঃসন্দেহে, সন্তরাও এই কাজ করতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই বিচক্ষণ হতে হবে, এবং সমস্যাসৃজন থেকে বিরত থাকতে হবে। উপরোক্ত বিষয়গুলি হল অনুশীলনের সাম্প্রতিক পন্থাসমূহ। এছাড়াও, স্মরণে রেখো যে, স্বীয় ধর্মোপদেশসমূহকে আরো সারগর্ভ করার বিষয়ে তোমাদের অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে, যাতে সকলেই আমার বাক্যের বাস্তবিকতায় প্রবেশ করতে পারে। আবশ্যিকভাবে তোমরা আমার বাক্যনিচয়কে এমন ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করবে যে সকল মানুষ সেগুলি সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে উপলব্ধি করতে পারে। এই বিষয়টি সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। আমার লোকদের মধ্যে যারা বিশ্বাসঘাতকতার চিন্তা পোষণ করে তারা অবশ্যই বহিষ্কৃত হবে, এবং আমার গৃহে তাদের দীর্ঘঅবস্থান অনুমোদিত হবে না, অন্যথায় আমার সুনামে তারা কলঙ্কলেপন করবে।
ফেব্রুয়ারি ২১, ১৯৯২