যারা খ্রীষ্টের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ তারা অবশ্যই ঈশ্বরের বিরোধীপক্ষ

সমস্ত মানুষই যীশুর প্রকৃত মুখাবয়ব দেখতে চায় এবং তাঁর সঙ্গলাভের ইচ্ছা করে। আমার মনে হয় না কোনো ভ্রাতা বা ভগিনী বলবে যে তারা যীশুকে দেখতে চায় না বা তাঁর সাথে থাকতে চায় না। যীশুকে দেখার আগে—ঈশ্বরের অবতারকে দেখার আগে—তোমাদের বিভিন্ন ধরনের পূর্বধারণা থাকতে পারে, উদাহরণস্বরূপ যীশুর রূপ, তাঁর কথা বলার ধরন, জীবনযাপনের ধরন, ইত্যাদি। কিন্তু তাঁকে সত্যিই দেখে নেওয়ার পরে, তোমাদের ধারণাগুলো দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে যাবে। এমনটা কেন? তোমরা কি জানতে চাও? মানুষের চিন্তাভাবনাকে অবহেলা করা যায় না, এটা সত্যি কথা—কিন্তু তার থেকেও বেশি, খ্রীষ্টের সারসত্য মানুষের দ্বারা পরিবর্তিত হতে পারে না। খ্রীষ্টকে তোমরা কল্পনা করে থাকো অবিনশ্বর বা একজন ঋষি হিসাবে, কিন্তু কেউই তাঁকে ঐশ্বরিক সারসত্য সম্পন্ন সাধারণ মানুষ হিসাবে বিবেচনা করে না। যেমন, যারা দিনরাত ঈশ্বরকে দেখার আকাঙ্ক্ষা করে তাদের অনেকেই আসলে ঈশ্বরের শত্রু এবং তাঁর সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। এটা কি মানুষের তরফে করা একটা ভুল নয়? এমনকি তোমরা এখনও ভাবো যে বিশ্বাস ও আনুগত্য তোমাদেরকে খ্রীষ্টের মুখাবয়ব প্রত্যক্ষ করার যোগ্য করে তোলার জন্য যথেষ্ট, কিন্তু আমি তোমাদের আরও ব্যবহারিক বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত করার উপদেশ দিই! কারণ অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে, খ্রীষ্টের সংস্পর্শে আসা লোকেদের মধ্যে অনেকেই ব্যর্থ হয়েছে বা ব্যর্থ হবে; এরা সবাই ফরিশীদের ভূমিকা পালন করে। তোমাদের ব্যর্থতার কারণ কী? এর প্রধান কারণ হল, তোমাদের ধারণায় যে ঈশ্বর আছেন, তিনি মহান এবং প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু সত্য মানুষের ইচ্ছার অনুরূপ হয় না। খ্রীষ্ট যে মহান নন কেবল তা-ই নয়, বরং তিনি বিশেষভাবে ক্ষুদ্র; তিনি শুধু একজন মানুষ তাই নয়, বরং একজন সাধারণ মানুষ; তিনি স্বর্গে আরোহণ করতে পারেন না তা-ই নয়, তিনি পৃথিবীতেও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। এবং এই কারণে, জনগণ তাঁর সাথে একজন সাধারণ মানুষের মতোই আচরণ করে; তাঁর সাথে থাকলে তারা স্বাভাবিকভাবেই আচরণ করে, তাঁর সাথে নিরুদ্বেগ হয়ে কথা বলে, এবং এই সম্পূর্ণ সময় তারা “প্রকৃত খ্রীষ্ট”-এর আগমনের অপেক্ষা করে। যে খ্রীষ্টের ইতিমধ্যেই আগমন ঘটেছে, তোমরা তাঁকে একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে, এবং তাঁর বাক্যকে একজন সাধারণ মানুষের বাক্য হিসাবে গ্রহণ করেছো। এই কারণে, তোমরা খ্রীষ্টের কাছ থেকে কিছুই পাও নি, পরিবর্তে নিজেদের কদর্যতাকে দিনের আলোয় সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত করেছ।

খ্রীষ্টের সাথে যোগাযোগের আগে, তুমি হয়ত ভাবতে পারো যে তোমার স্বভাব সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়েছে, তুমি খ্রীষ্টের একজন বিশ্বস্ত অনুগামী, খ্রীষ্টের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য তোমার থেকে বেশি উপযুক্ত আর কেউ নেই—আর অনেক রাস্তা অতিক্রমের পরে, অনেক কাজ করার পরে, প্রচুর ফল এনে দেওয়ার পরে, অবশ্যই তুমিই হলে সেই ব্যক্তি, যে পরিশেষে মুকুট লাভ করবে। তবুও একটা প্রকৃত সত্য তুমি হয়ত জানো না: খ্রীষ্টকে দেখামাত্রই মানুষের ভ্রষ্ট স্বভাব এবং বিদ্রোহী ও প্রতিরোধী মনোভাব প্রকাশিত হয়ে পড়ে, আর এই সময়ে প্রকাশিত বিদ্রোহ ও প্রতিরোধ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় পুরোপুরি এবং সম্পূর্ণরূপে অনাবৃত হয়। এর কারণ, খ্রীষ্ট হলেন মনুষ্যপুত্র—সেই মনুষ্যপুত্র যিনি স্বাভাবিক মানবতার অধিকারী—যাকে মানুষ সম্মান বা শ্রদ্ধা কোনোটাই করে না। ঈশ্বর দেহরূপে বাস করেন বলেই মানুষের বিদ্রোহ এত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং এত স্পষ্ট বিশদে দিবালোকে প্রকাশিত হয়। তাই আমি বলি যে খ্রীষ্টের আগমন মানবজাতির সমস্ত বিদ্রোহী মনোভাব উদ্ঘাটিত করেছে এবং তাদের প্রকৃতিকে প্রবলভাবে লক্ষ্যণীয় করে তুলেছে। একে বলা হয় “একটি বাঘকে প্রলুব্ধ করে পাহাড়ের নিচে নিয়ে আসা” এবং “একটি নেকড়েকে প্রলুব্ধ করে তার গুহা থেকে বের করে আনা”। সাহস করে বলতে পারবে যে তুমি ঈশ্বরের অনুগত? সাহস করে বলতে পারবে যে তুমি ঈশ্বরের প্রতি সম্পূর্ণ আজ্ঞাকারিতা প্রদর্শন করো? সাহস করে বলতে পারবে যে তুমি বিদ্রোহী নও? কেউ কেউ বলবে: “যখনই ঈশ্বর আমাকে কোনো নতুন পরিবেশে স্থাপন করেন, আমি কোনোরকম বিরক্তিপ্রকাশ ছাড়াই সর্বদা সমর্পণ করি, উপরন্তু আমি ঈশ্বর সম্পর্কে কোনো পূর্বধারণা পোষণ করি না”। আবার কেউ বলবে: “ঈশ্বর আমাকে কোনো কাজ দিলে তা আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী করি এবং কখনোই অমনোযোগী হই না”। সেই ক্ষেত্রে, আমি তোমাদের জিজ্ঞাসা করি: খ্রীষ্টের সাথে বসবাসকালে কি তোমরা তাঁর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারো? আর কতদিন তোমরা তাঁর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ থাকতে পারবে? এক দিন? দুই দিন? এক ঘণ্টা? দুই ঘণ্টা? তোমাদের বিশ্বাস প্রশংসনীয় হতে পারে, কিন্তু অধ্যবসায়ের ক্ষেত্রে তোমাদের খুব বেশি কিছু নেই। একবার তুমি সত্যিই খ্রীষ্টের সাথে বসবাস শুরু করলে, তোমার নিজের নৈতিকতা বিষয়ে ঔদ্ধত্ব এবং নিজেকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া তোমার কথা এবং কাজের মাধ্যমে ধীরে ধীরে অনাবৃত হবে আর তার সাথে স্বাভাবিকভাবেই অনাবৃত হবে তোমার মাত্রাতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা, আনুগত্যহীন মানসিকতা এবং অসন্তোষ। অবশেষে, যতক্ষণ না তুমি আর খ্রীষ্ট জল আর আগুনের মতো অসঙ্গত হয়ে পড়ছ, ততক্ষণ তোমার অহংকার আরও বৃদ্ধি পাবে এবং তারপরে তোমার প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে অনাবৃত হবে। সেই সময়ে, তোমার পূর্বধারণাগুলি আর গোপন রাখা যাবে না, তোমার অভিযোগগুলিও স্বাভাবিকভাবেই বেরিয়ে আসবে, এবং তোমার নীচ মনুষ্যত্ব সম্পূর্ণরূপে উন্মোচিত হবে। এমনকি তারপরেও, তুমি এখনও নিজের বিদ্রোহী মনোভাব স্বীকার করো না, পরিবর্তে বিশ্বাস করো যে এঁর মতো একজন খ্রীষ্টকে মানুষের পক্ষে গ্রহণ করা সহজ নয়, তুমি মনে করো যে তিনি মানুষের প্রতি খুব বেশি কঠোর, এবং তিনি যদি আরও দয়ালু একজন খ্রীষ্ট হতেন তাহলে তুমি সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করতে। তোমরা বিশ্বাস করো যে তোমাদের বিদ্রোহী মনোভাব ন্যায্য, যখন তিনি তোমাদের প্রচণ্ড প্ররোচিত করেন, তখনই কেবলমাত্র তোমরা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করো। একবারও তোমরা বিবেচনা করো নি যে তোমরা খ্রীষ্টকে ঈশ্বর রূপে দেখো না, তোমাদের মধ্যে তাঁকে আজ্ঞা করার ইচ্ছার অভাব রয়েছে। বরং জেদীর মতো জোর করো যে খ্রীষ্ট তোমার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করুন, আর যখনই তাঁর কোনো কাজ তোমার ধারণার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে মুহূর্তেই তুমি বিশ্বাস করো যে তিনি ঈশ্বর নন, তিনি একজন মানুষ। তোমাদের মধ্যে কি এমন অনেকেই নেই যারা এইভাবে তাঁর সাথে বিতর্ক করেছ? সর্বোপরি, তোমরা যাকে বিশ্বাস করো, তিনি কে? আর কী উপায়ে তোমরা অনুসন্ধান করো?

তোমরা সর্বদা খ্রীষ্টকে দেখতে চাও, কিন্তু আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, নিজেদের এত উচ্চ মর্যাদায় রেখো না; যে কেউই খ্রীষ্টকে দেখতে পারে, কিন্তু আমার মতে কেউই খ্রীষ্টকে দেখার যোগ্য নয়। যেহেতু মানুষের প্রকৃতি মন্দ, অহঙ্কার এবং বিদ্রোহী মনোভাবে পরিপূর্ণ, যে মুহূর্তে তুমি খ্রীষ্টকে দেখবে, তোমার প্রকৃতি তোমাকে ধ্বংস করবে এবং মৃত্যুদণ্ড দেবে। একজন ভ্রাতা (বা ভগিনী)-র সাথে তোমার মেলামেশা তোমার বিষয়ে অনেক কিছু না-ও প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু তুমি যখন খ্রীষ্টের সাথে যুক্ত হও তখন ব্যাপারটা এত সহজ থাকে না। যেকোনো সময়, তোমার পূর্বধারণাগুলি বদ্ধমূল হতে পারে, অহঙ্কার অঙ্কুরিত হওয়া শুরু করতে পারে এবং বিদ্রোহী মনোভাব ফল বহন করতে পারে। এই ধরনের মনুষ্যত্ব নিয়ে তুমি কীভাবে খ্রীষ্টের সাথে যুক্ত হওয়ার উপযুক্ত হতে পারো? তুমি কি সত্যিই প্রতিদিনের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁকে ঈশ্বর হিসাবে মানতে সক্ষম? তোমার কি সত্যিই ঈশ্বরের কাছে সমর্পণের বাস্তবিকতা থাকবে? তোমাদের হৃদয়ে আসীন মহৎ ঈশ্বরকে তোমরা যিহোবা রূপে উপাসনা করে থাকো, অথচ যে খ্রীষ্ট দৃশ্যমান তাঁকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করো। তোমাদের বোধ খুবই নিকৃষ্ট এবং মনুষ্যত্ব খুবই হীন! তোমরা সর্বদা খ্রীষ্টকে ঈশ্বর হিসাবে বিবেচনায় অক্ষম; শুধুমাত্র মাঝে মাঝে, তোমার খেয়ালখুশি মতো, তুমি তাঁকে আঁকড়ে ধরো এবং তাঁকে ঈশ্বর হিসাবে উপাসনা করো। এই কারণেই আমি বলছি তোমরা ঈশ্বর বিশ্বাসী নও, বরং খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে তোমরা তাদের সহযোগী দল। এমনকি যারা অন্যদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে, সেসব মানুষদেরও প্রতিদান দেওয়া হয়, অথচ খ্রীষ্ট, যিনি তোমাদের মধ্যে এই ধরনের কাজ করেছেন, তিনি না পেয়েছেন মানুষের ভালবাসা, না পেয়েছেন তাদের প্রতিদান এবং সমর্পণ। এটা কি হৃদয়বিদারক বিষয় নয়?

ঈশ্বর বিশ্বাসের এই সমস্ত বছরে হয়ত তুমি কখনোই কাউকে অভিশাপ দাও নি বা কোনো খারাপ কাজ করো নি, তা সত্ত্বেও খ্রীষ্টের সাথে যুক্ত হওয়ার সময় তুমি সত্য বলতে পারো না, সততা সহকারে কাজ করতে পারো না অথবা খ্রীষ্টের বাক্য মান্য করতে পারো না। এই ক্ষেত্রে আমি বলবো, তুমি হলে এই বিশ্বের সবচেয়ে অশুভ ও বিদ্বেষপরায়ণ মানুষ। তুমি হয়ত তোমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, স্ত্রী (বা স্বামী), পুত্র কন্যা এবং পিতামাতার প্রতি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ও অনুগত, কখনোই কারোর থেকে সুবিধা নাও নি, কিন্তু যদি তুমি খ্রীষ্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হতে পারো, যদি তাঁর সাথে সমন্বিত হয়ে মেলামেশা না করতে পারো, তাহলে তুমি তোমার সমস্ত কিছু প্রতিবেশীর ত্রাণে ব্যয় করে দিলেও, অথবা তোমার পিতা, মাতা ও বাড়ির সদস্যদের নির্ভুল খেয়াল রাখলেও, আমি বলব যে তুমি এখনও দুর্নীতিপরায়ণ, তদুপরি কূট কৌশলে পূর্ণ। তুমি অন্যদের সাথে ভালোভাবে মেলামেশা করতে পারো অথবা কিছু ভালো কাজ করো বলেই নিজেকে খ্রীষ্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনে কোরো না। তুমি কি মনে করো যে তোমার দানশীল অভিপ্রায় স্বর্গের আশীর্বাদকে ফাঁকি দিতে পারবে? তুমি কি মনে করো যে কয়েকটা ভালো কাজ তোমার আনুগত্যের পরিবর্ত রূপে কাজ করবে? তোমাদের মধ্যে কেউই মোকাবিলার সম্মুখীন হতে বা অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন গ্রহণ করতে সক্ষম নও, এবং তোমরা সকলেই খ্রীষ্টের স্বাভাবিক মানবতাকে স্বাগত জানানোকে কঠিন মনে করো, তা সত্ত্বেও তুমি ঈশ্বরের প্রতি তোমার আনুগত্যের ভেরী অবিরাম বাজিয়ে চলেছ। তোমাদের মতো এহেন বিশ্বাস একটি উপযুক্ত প্রতিফল বহন করে আনবে। কল্পিত মায়ায় লিপ্ত হওয়া এবং খ্রীষ্টকে দেখার ইচ্ছা পোষণ করা বন্ধ করো, কারণ তোমরা আত্মিক উচ্চতায় খুবই ক্ষুদ্র, এতই নগণ্য যে তোমরা তাঁকে দেখারও যোগ্য নও। যখন তুমি তোমার বিদ্রোহী মনোভাব থেকে সম্পূর্ণরূপে শুদ্ধ হয়ে যাবে এবং খ্রীষ্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারবে, সেই মুহূর্তে ঈশ্বর স্বাভাবিকভাবেই তোমার কাছে আবির্ভূত হবেন। যদি অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন বা বিচারের মধ্যে দিয়ে না গিয়েই তুমি ঈশ্বরকে দেখতে যাও, তবে অবশ্যই তুমি ঈশ্বরের বিরোধী হয়ে যাবে এবং ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত হবে। মানুষের প্রকৃতি সহজাতভাবে ঈশ্বরের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, কারণ সমস্ত মানুষই শয়তানের সবচেয়ে গভীর কলুষের শিকার হয়েছে। মানুষ যদি তার নিজের ভ্রষ্ট আচরণের মাঝে থেকেই ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে, তবে নিশ্চিতভাবেই তা থেকে ভালো ফলাফল আসতে পারে না; তার কর্ম ও বাক্য অবশ্যই প্রতিটি পদে তার ভ্রষ্ট আচরণকে প্রকাশ করবে, এবং ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তার বিদ্রোহী মনোভাব তার প্রতিটি প্রেক্ষিত থেকেই প্রকাশিত হবে। নিজের অজান্তেই মানুষ খ্রীষ্টের বিরোধিতা করতে, তাঁকে প্রতারিত করতে, এবং তাঁকে পরিত্যাগ করতে যায়; যখন তা ঘটবে, মানুষ আরও বেশি অনিশ্চিত অবস্থায় থাকবে এবং এরকম চলতে থাকলে, সে দণ্ডের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

অনেকে বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত থাকা যদি এতই বিপজ্জনক হয়, তাহলে ঈশ্বরের থেকে দূরে থাকাই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ। এই ধরনের মানুষদের পক্ষে কী অর্জন করা সম্ভব? তারা কি ঈশ্বরের অনুগত হতে পারবে? নিশ্চিতভাবেই ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হওয়া কঠিন—কিন্তু তার কারণ হচ্ছে মানুষ কলুষিত, এর কারণ এই নয় যে ঈশ্বর তার সাথে যুক্ত হতে সক্ষম নন। তোমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে নিজেকে জানার সত্যের প্রতি আরো বেশি প্রয়াস নিবেদন করা। কেন তোমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাও নি? কেন তোমাদের স্বভাব তাঁর কাছে ঘৃণ্য? কেন তোমাদের বক্তব্য তাঁর ঘৃণার উদ্রেক করে? যখনই কিছুটা আনুগত্য প্রদর্শন করো, তখনই তোমরা নিজেদের গুণগান করতে থাকো, এবং প্রতিটি ছোট অবদানের জন্য একটি পুরষ্কার দাবি করো; যৎসামান্য আজ্ঞাকারিতা দেখানোর পরেই তোমরা অন্যদেরকে তুচ্ছ করে দেখ, এবং কিছু ছোট কাজ সম্পন্ন করেই ঈশ্বরের অবজ্ঞাকারী হয়ে যাও। ঈশ্বরকে গ্রহণ করার বিনিময়ে তুমি অর্থ, উপহার আর প্রশংসা দাবি করো। একটি বা দুটি মুদ্রা দান করতেই তোমার মনে কষ্ট হয়; আর দশটি মুদ্রা দিলে তো তুমি আশীর্বাদ পাওয়ার এবং অন্যের থেকে আলাদা আচরণ পাওয়ার আশা করো। তোমাদের মতো এহেন মানবতার কথা বলা বা শোনা স্বাভাবিকভাবেই আপত্তিকর। তোমাদের কথায় এবং কাজে প্রশংসনীয় কিছু আছে কি? যারা তাদের দায়িত্ব পালন করে আর যারা করে না; যারা নেতৃত্ব দেয় আর যারা অনুসরণ করে; যারা ঈশ্বরকে গ্রহণ করে আর যারা করে না; যারা দান করে আর যারা করে না; যারা প্রচার করে আর যারা সেই বাক্য গ্রহণ করে এবং এমনই আরও অনেকে: এই সমস্ত মানুষেরাই নিজেদের প্রশংসা করে। এটা কি তোমাদের কাছে হাস্যকর বলে মনে হয় না? তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করো এটা সম্পূর্ণরূপে জানার পরেও তুমি ঈশ্বরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারো না। তোমরা যে একেবারেই অযোগ্য তা ভালোভাবে জানার পরেও, তোমরা একই রকম গর্ব করতে থাকো। তোমাদের কি মনে হয় না যে তোমাদের বোধশক্তির এতটা অবনতি হয়েছে যে তোমাদের আর আত্ম-নিয়ন্ত্রণ নেই? এইরকম উপলব্ধি নিয়ে তুমি কীভাবে ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হওয়ার উপযুক্ত হবে? এই সন্ধিক্ষণে নিজেদের জন্য তোমরা ভয় পাও না? ইতিমধ্যেই তোমাদের স্বভাবের এমন অবনতি হয়েছে যে তুমি ঈশ্বরের সাথে সুসঙ্গত হতে অক্ষম। এই কারণে তোমাদের বিশ্বাস কি হাস্যকর নয়? তোমাদের বিশ্বাস কি অযৌক্তিক নয়? কীভাবে তুমি তোমার ভবিষ্যতে প্রবেশ করবে? কোন পথে এগোতে হবে তা তুমি কীভাবে বেছে নেবে?

পূর্ববর্তী: যতক্ষণে তুমি যীশুর আধ্যাত্মিক দেহ প্রত্যক্ষ করবে, ততক্ষণে ঈশ্বর স্বর্গ ও পৃথিবীকে নতুন করে তৈরি করে ফেলবেন

পরবর্তী: অনেকেই আহুত হয়, কিন্তু সামান্য কয়েকজনই মনোনীত হয়

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন