ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 130

যীশু এবং আমি এক আত্মার থেকে এসেছি। যদিও আমরা দেহে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কহীন, কিন্তু আমাদের আত্মা এক; যদিও আমরা যা করি তার বিষয় এবং যে কাজ আমরা হাতে নিই সেগুলি এক নয়, তবু সারসত্যে আমরা একই; আমাদের দেহ ভিন্ন রূপ ধারণ করে, কিন্তু তা যুগের পরিবর্তনের জন্য ও আমাদের কাজের প্রয়োজনের ভিন্নতার জন্য; আমাদের সেবাব্রত ভিন্ন, তাই আমরা যে কাজ সামনে আনি এবং যে স্বভাব আমরা মানুষের কাছে প্রকাশ করি, সেগুলোও আলাদা। সেই কারণেই, মানুষ আজ যা দেখে এবং বোঝে, তা অতীতের থেকে আলাদা, যার কারণ হচ্ছে যুগের পরিবর্তন। যদিও তারা লিঙ্গ ও দেহরূপে ভিন্ন, এবং তারা একই পরিবারে জন্মায় নি, একই সময়ের মধ্যে তো নয়ই, কিন্তু তাদের আত্মা তবুও এক। তাদের দেহের মধ্যে রক্তসম্পর্ক বা কোনো দৈহিক আত্মীয়তা না থাকলেও, এটা অস্বীকার করা যায় না যে, তারা দুটি ভিন্ন সময়কালে ঈশ্বরের অবতাররূপ। তারা যে ঈশ্বরের অবতার তা অকাট্য সত্য। যদিও, তারা একই রক্তসম্পর্কের নন এবং একই মানবীয় ভাষায় কথা বলেন না (একজন ছিলেন এক পুরুষ যিনি ইহুদিদের ভাষায় কথা বলতেন, এবং অপরজন এক নারী যিনি শুধুমাত্র চৈনিক ভাষা বলেন)। এই সব কারণের জন্যই তাঁরা তাঁদের যথোচিত কাজ করতে ভিন্ন দেশে এবং ভিন্ন সময়কালে জীবনযাপন করেছেন। যদিও এটা সত্য যে তাঁরা একই আত্মা, তাঁদের একই সারসত্য, কিন্তু তাঁদের দেহের বাহ্যিক আবরণের মধ্যে কোনো চূড়ান্ত মিল নেই। তাঁরা একই মানবতার অংশীদার, কিন্তু যতদূর তাঁদের দেহের বাহ্যিক চেহারা এবং তাঁদের জন্মের পরিস্থিতি বিবেচ্য, তাঁরা একইরকম নন। এই বিষয়গুলির কোনো প্রভাব তাঁদের সংশ্লিষ্ট কাজে বা মানুষের তাঁদের সম্পর্কিত জ্ঞানের উপরে পড়ে না, কারণ চূড়ান্ত বিশ্লেষণে, তাঁরা একই আত্মা এবং কেউ তাঁদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। এমনকি যদিও তাঁরা রক্তের দ্বারা সম্পর্কিত নন, এবং তাঁদের দেহ ভিন্ন বংশজাত, কিন্তু তাঁদের সমগ্র সত্তাই তাঁদের আত্মার চালিকাশক্তি, যা তাঁদের জন্য বিভিন্ন সময়কালে বিভিন্ন কাজ বরাদ্দ করে। যিহোবার আত্মা যীশুর আত্মার পিতা নন, এবং যীশুর আত্মাও যিহোবার আত্মার পুত্র নন: তাঁরা এক এবং একই আত্মা। একইভাবে, আজকের ঈশ্বরের অবতার এবং যীশু রক্তের দ্বারা সম্পর্কিত নন, কিন্তু তাঁরা এক, কারণ তাঁদের আত্মা একই। ঈশ্বর করুণা এবং প্রেমময় উদারতার কাজ করতে পারেন, পাশাপাশি ধার্মিক বিচার ও মানুষের শাস্তিবিধানের কাজও করতে পারেন, এবং মানুষকে অভিশাপ দেওয়ার কাজও করতে পারেন; এবং শেষে, তিনি এই পৃথিবী ধ্বংস করার ও দুষ্টের দণ্ডদানের কাজ করতে পারেন। তিনি কি এইসবই নিজে করেন না? এটাই কি ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তা নয়?

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, দু’টি অবতার অবতাররূপের তাৎপর্য সম্পূর্ণ করে

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 453

সংকল্প করলে সবাই ঈশ্বরের সেবা করতে পারে—কিন্তু যারা ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতি সম্পূর্ণ যত্নশীল এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা উপলব্ধি করতে পারে, একমাত্র...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের স্বভাব এবং তিনি কে ও তাঁর কী আছে | উদ্ধৃতি 255

তুমি প্রকৃতপক্ষেই অনন্ত জীবন লাভের পথ জানতে চাইলে এবং এর সন্ধানে উদগ্রীব হয়ে থাকলে, প্রথমে এই প্রশ্নের উত্তর দাও: ঈশ্বর আজ কোথায়? সম্ভবত...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 483

কেন তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করো? অধিকাংশ মানুষ এই প্রশ্ন দ্বারা বিভ্রান্ত হয়। বাস্তববাদী ঈশ্বর এবং স্বর্গের ঈশ্বর সম্পর্কে তাদের সর্বদা দুটি...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 44

ইস্রায়েলে আমার কার্য নির্বাহ করার সময় আমি “যিহোবা” নাম গ্রহণ করেছিলাম, এবং এই নামের অর্থ ইস্রায়েলীদের ঈশ্বর (ঈশ্বরের নির্বাচিত ব্যক্তিগণ)...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন