ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 221
ঈশ্বরের বাক্য ছড়িয়ে পড়বে অগুন্তি গৃহে, সবাই এগুলি জানবে, এবং কেবল তখনই তাঁর কার্য সারা মহাবিশ্ব জুড়ে পরিব্যাপ্ত হবে। এর অর্থ, যদি ঈশ্বরের কার্য সমগ্র মহাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হয়, তাহলে অবশ্যই তাঁর বাক্যের প্রচার করতে হবে। ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশের দিনটিতে, ঈশ্বরের বাক্যগুলি তাদের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দেখাবে। অনাদিকাল থেকে আজ অবধি তাঁর উচ্চারিত প্রত্যেকটি বাক্য সম্পন্ন ও সংঘটিত হবে। এইভাবে পৃথিবীর বুকে সকল মহিমা হবে ঈশ্বরের, যার অর্থ, পৃথিবীতে তাঁর মহিমা রাজত্ব করবে। যারা দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ তারা ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত বাক্যের দ্বারা শাস্তিপ্রাপ্ত হবে, যারা ধার্মিক তারা তাঁর মুখনিঃসৃত বাক্যের দ্বারা আশীর্বাদধন্য হবে, এবং তাঁর মুখনিঃসৃত বাক্যের দ্বারা সবকিছু প্রতিষ্ঠিত ও সম্পূর্ণ হবে। তিনি সংকেত বা অলৌকিক ঘটনা দেখাবেন না; সবই তাঁর বাক্যের দ্বারা সম্পন্ন হবে, এবং তাঁর বাক্যই সত্যের জন্ম দেবে। পৃথিবীর প্রত্যেকে ঈশ্বরের বাক্য উদযাপন করবে, তা তারা সাবালক অথবা শিশু, পুরুষ অথবা নারী, বৃদ্ধ অথবা তরুণ যা-ই হোক না কেন, সবাই ঈশ্বরের বাক্যের অধীনে নিজেদের সমর্পণ করবে। ঈশ্বরের বাক্য দেহে আবির্ভূত হয়, ফলে পৃথিবীর মানুষ সেগুলিকে সুস্পষ্ট ও জীবন্ত রূপে দেখতে পায়। একেই বলে বাক্যের দেহে পরিণত হওয়া। ঈশ্বর এই পৃথিবীতে এসেছেন মূলত “বাক্যকে দেহে পরিণত” করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য। অর্থাৎ তিনি এসেছেন যাতে তাঁর বাক্য দেহ থেকে নিঃসৃত হয় (পুরাতন নিয়মের মোশির সময়ের মত নয়, যখন ঈশ্বরের কন্ঠ সরাসরি আকাশ থেকে ছড়িয়ে পড়ত)। এর পর, তাঁর সমস্ত বাক্য নিষ্পন্ন হবে সহস্রবর্ষীয় রাজত্বের যুগে, মানুষের চোখের সামনে ঘটনা হয়ে দৃশ্যমান হবে এবং সেগুলি ন্যূনতম তারতম্য ছাড়াই মানুষ স্বচক্ষে দেখতে পাবে। ঈশ্বরের অবতাররূপের পরম অর্থ এইটিই। এর অর্থ, আত্মার কর্ম সম্পন্ন হয় দেহ ও বাক্যের মাধ্যমে। “বাক্যের দেহে পরিণত হওয়া” এবং “বাক্যের দেহে আবির্ভাব ঘটা” বিষয়টির প্রকৃত অর্থ এটাই। একমাত্র ঈশ্বরই পারেন আত্মার ইচ্ছা ব্যক্ত করতে, এবং একমাত্র দেহরূপী ঈশ্বরই পারেন আত্মার হয়ে কথা বলতে। ঈশ্বরের বাক্য ঈশ্বরের অবতারের মধ্যে সরলভাবে ব্যক্ত হয়, এবং অন্য সকলেই সেই বাক্য দ্বারা চালিত হয়। কেউই ব্যতিক্রম নয়, সবাই এর পরিধির অন্তর্গত। কেবল এই সব উচ্চারণই মানুষকে সচেতন করতে পারে; যারা এই পদ্ধতিতে উপকৃত হয়না যদি তারা মনে করে যে স্বর্গ থেকে বাক্য লাভ করবে তাহলে তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে। ঈশ্বরের দেহধারী অবতারের মধ্যে কর্তৃত্ব এমনই প্রবলভাবে প্রদর্শিত হয়, যে সবাইকেই তা সম্পূর্ণ প্রত্যয়ের সঙ্গে বিশ্বাস করতে হয়। এমনকি সর্বাপেক্ষা সম্মানীয় বিশেষজ্ঞ এবং ধর্মযাজকেরাও এই সব বাক্য উচ্চারণ করতে পারে না। সবাইকেই অবশ্যই এগুলির কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে, কেউই অন্য কিছুর সূচনা করতে সক্ষম হবে না। ঈশ্বর মহাবিশ্বকে জয় করতে বাক্য ব্যবহার করবেন। তিনি তাঁর অবতাররূপী দেহ দিয়ে নয়, বরং দেহে রূপান্তরিত ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের মানুষকে জয় করবেন; একমাত্র এটাই বাক্যের দেহে পরিণত হওয়া, এবং এটাই বাক্যের দেহে আবির্ভাব। সম্ভবত, মানুষের মনে হয় যেন ঈশ্বর বিশেষ কিছু কাজ করেননি—কিন্তু ঈশ্বরকে কেবলমাত্র তাঁর বাক্য উচ্চারণ করতে হবে, আর তাতেই তাদের পূর্ণ প্রত্যয় ও সম্ভ্রম জন্মাবে। সত্য ব্যতিরেকে মানুষ চিৎকার ও আর্তনাদ করে; ঈশ্বরের বাক্য যখন তারা লাভ করে, তখন তারা নীরব হয়। ঈশ্বর অবশ্যই এই সত্য সাধন করবেন, কারণ এটাই ঈশ্বরের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা: বাক্যের পৃথিবীতে আবির্ভাব নিষ্পন্ন করা। আসলে আমার ব্যাখ্যা করার কোন প্রয়োজন নেই—পৃথিবীতে সহস্রবর্ষীয় রাজত্বের আবির্ভাব বস্তুত পৃথিবীতে ঈশ্বরের বাক্যের আবির্ভাব। স্বর্গ থেকে নব জেরুজালেমের অবরোহণই হলো মানুষের মাঝে বিরাজ করার জন্য এবং মানুষের প্রতিটি কাজ ও নিগূঢ়তম চিন্তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য পৃথিবীতে ঈশ্বরের বাক্যের আবির্ভাব। এও আরেকটি সত্য যা ঈশ্বর সাধন করবেন; এটাই সহস্রবর্ষীয় রাজত্বের সৌন্দর্য। ঈশ্বরের দ্বারা স্থিরীকৃত পরিকল্পনা হলো: সহস্র বছর ধরে তাঁর বাক্য পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে, এবং সেগুলি তাঁর সমস্ত কার্যকে প্রতিভাত করবে, এবং পৃথিবীতে তাঁর সমস্ত কাজ সম্পন্ন করবে, এর পর মানবজাতির এই পর্যায়ের অবসান হবে।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সহস্রবর্ষীয় রাজত্বের যুগ উপস্থিত
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।