ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 323

মানুষ দীর্ঘকাল ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছে, তবুও তাদের বেশীরভাগেরই “ঈশ্বর” শব্দটি কী বোঝায় সে বিষয়ে কোনো উপলব্ধি নেই, তারা শুধুমাত্র বিহ্বলভাবে অনুসরণ করে যায়। ঠিক কী কারণে মানুষের ঈশ্বরে বিশ্বাস করা উচিত, অথবা ঈশ্বর কী, সে বিষয়ে তাদের কোনো সূত্র নেই। যদি মানুষ ঈশ্বর কী তা না জেনেই ঈশ্বরকে শুধু বিশ্বাস এবং অনুসরণ করতে জানে, এবং যদি তারা ঈশ্বরকেও না চেনে, তাহলে এটা কি কেবল খুব বড় পরিহাস নয়? যদিও, এতদূর এসে মানুষ অনেক স্বর্গীয় রহস্যের সাক্ষী হয়েছে এবং পূর্বের অ-বোধগম্য অনেক গভীর জ্ঞান শুনেছে, তবুও তারা মানুষের দ্বারা পূর্বে অচিন্তিত সর্বাপেক্ষা মৌলিক সত্যের মধ্যে অনেকগুলির সম্পর্কেই অজ্ঞ। কেউ কেউ বলতে পারে, “আমরা বহু বছর ধরে ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছি। ঈশ্বর কী, তা আমরা কীভাবে না জেনে থাকতে পারি? এই প্রশ্নটি কি আমাদের ছোট করে না?” বাস্তবে, মানুষ আজ আমাকে অনুসরণ করলেও, তারা বর্তমানের কাজের কিছুই জানে না, এমনকি তারা সবচেয়ে স্পষ্ট এবং সরল প্রশ্নগুলিও উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়, ঈশ্বরের বিষয়ে এই ধরনের অত্যন্ত জটিল প্রশ্নগুলির উপলব্ধি করা তো আরও দূরের বিষয়। জেনে রাখো তোমার যে সমস্ত প্রশ্নের বিষয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই, যেগুলিকে তুমি শনাক্ত করোনি, সেগুলি বোঝা তোমার জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তুমি শুধুই ভিড়কে অনুসরণ করতে জানো, আসলে নিজেকে কী দিয়ে সজ্জিত করা উচিত সে বিষয়ে তুমি কোনো মনোযোগ দাও না বা পরোয়া করো না। তুমি কি সত্যিই জানো কেন তোমার ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস থাকা উচিত? তুমি কি সত্যিই জানো ঈশ্বর কী? তুমি কি সত্যিই জানো মানুষ কী? একজন ঈশ্বরবিশ্বাসী হিসাবে যদি তুমি এই বিষয়গুলি বুঝতে অসমর্থ হও, তাহলে তুমি কি একজন ঈশ্বরবিশ্বাসীর মর্যাদা হারাও না? আমার বর্তমানের কাজ হল: মানুষদের নিজ সারসত্য বোঝানো, আমি যা করি তার সমস্তটা বোঝানো এবং ঈশ্বরের প্রকৃত মুখকে জানানো। এটা আমার পরিচালনামূলক পরিকল্পনার অন্তিম কার্য, আমার কাজের শেষ পর্যায়। এই কারণেই আমি জীবনের সকল রহস্য তোমাদের আগেই বলে দিচ্ছি, যাতে তোমরা আমার থেকে সেগুলি গ্রহণ করতে পারো। এটা অন্তিম যুগের কাজ হওয়ায় আমাকে অবশ্যই তোমাদের জীবনের সমস্ত সত্য বলতে হবে যা তোমরা আগে কখনো গ্রহণ করতে সক্ষম ছিলে না, যদিও তোমরা অত্যন্ত অভাবগ্রস্ত এবং অত্যন্ত অ-সজ্জিত হওয়ার কারণে তা বুঝতে বা বহন করতে অক্ষম। আমি আমার কাজ শেষ করব; আমার করণীয় কাজটি আমি সম্পূর্ণ করব এবং তোমাদের প্রতি যে সমস্ত দায়িত্ব অর্পণ করেছি তা বলবো, পাছে অন্ধকার নেমে আসার পরে তোমরা আবার বিপথগামী হয়ে পড়ো এবং শয়তানের পরিকল্পনায় পতিত হও। এমন অনেক পথ আছে যা তোমরা বোঝো না, অনেক বিষয়েই তোমাদের জ্ঞান নেই। তোমরা এত অজ্ঞ; আমি তোমাদের উচ্চতা এবং ত্রুটিগুলির বিষয়ে ভালই জানি। অতএব, অনেক বাক্য তোমাদের অবোধ্য হলেও আমি তোমাদের এই সমস্ত সত্য বলতে ইচ্ছুক, যেগুলি তোমরা আগে কখনও গ্রহণ করতে সক্ষম ছিলে না, কারণ বর্তমান আত্মিক উচ্চতায় তোমরা আমার কাছে তোমাদের সাক্ষ্যে দৃঢ় থাকতে সক্ষম কিনা-এটা নিয়ে আমি চিন্তায় থাকি। এমনটা নয় যে আমি তোমাদের সামান্য মনে করি; তোমরা হলে সেই সকল পশু যাদের এখনও আমার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাকি, এবং তোমাদের অন্তরে কতটুকু মহিমা রয়েছে তা একেবারেই আমার চোখে পড়ে না। আমি তোমাদের ওপর কাজ করতে আমার অনেক শক্তি ব্যয় করলেও তোমাদের মধ্যে ইতিবাচক উপাদানের বস্তুত অস্তিত্ব নেই বলেই মনে হয় আর নেতিবাচক উপাদানগুলো আঙুলে গোনা যায়, এবং সেগুলো কেবলমাত্র শয়তানকে লজ্জিত করার সাক্ষ্য হিসাবে কাজ করে। তোমাদের মধ্যে আর যা কিছু আছে তা হল শয়তানের বিষ। তোমরা আমার দিকে এমনভাবে তাকাও যেন তোমরা পরিত্রাণের ঊর্ধ্বে। বিষয়গুলি যেমন, তাতে আমি তোমাদের বিভিন্ন অভিব্যক্তি এবং আচরণ দেখি এবং পরিশেষে, তোমাদের প্রকৃত আত্মিক উচ্চতা জানি। এই কারণেই আমি সর্বদা তোমাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি: নিজেদের মতো করে জীবনযাপনের জন্য ছেড়ে দেওয়ার পর, মানুষেরা কি সত্যিই বর্তমানে যেমন আছে তার মতো বা তার থেকে ভালো থাকতে পারবে? তোমাদের অপরিণত আত্মিক উচ্চতা কি তোমাদের উদ্বিগ্ন করে না? তোমরা কি সত্যিই ইসরায়েলের মনোনীত মানুষদের মতো হতে পারবে—যারা সর্বদা আমার প্রতি এবং কেবল আমার প্রতিই অনুগত? তোমাদের মধ্যে পিতামাতার কাছ থেকে পথভ্রষ্ট হওয়া শিশুদের দুষ্টুমি প্রকাশিত হয় নি, বরং মালিকের চাবুকের নাগালের বাইরে থাকা পশুদের থেকে বিস্ফোরিত পশুত্ব প্রকাশিত হয়েছে। তোমাদের নিজেদের প্রকৃতি জানা উচিত, যা তোমাদের সকলের মধ্যে থাকা দুর্বলতাও বটে; এটা তোমাদের সকলেরই এক সাধারণ অসুখ। সুতরাং, আজ তোমাদের প্রতি আমার একমাত্র উপদেশ হল আমার কাছে তোমাদের সাক্ষ্যে দৃঢ় হয়ে থাকো। কোনো পরিস্থিতিতেই পুরনো ব্যাধিকে আবার মাথাচাড়া দিতে দিও না। সাক্ষ্য দেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—এটাই আমার কাজের মূল। যেভাবে মরিয়ম তার স্বপ্নে আসা যিহোবার উদ্ঘাটন গ্রহণ করেছিল, তোমাদেরও আমার বাক্যগুলি সেইভাবে গ্রহণ করতে হবে: প্রথমে বিশ্বাস আর তারপর সেগুলি মান্য করার দ্বারা। শুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এটাই মান্য বলে বিবেচিত হয়। কারণ তোমরাই আমার বাক্য সবচেয়ে বেশি শ্রবণ কর, তোমরাই আমার দ্বারা সর্বাপেক্ষা আশীর্বাদপ্রাপ্ত। আমি তোমাদের আমার সমস্ত মূল্যবান সম্পদ প্রদান করেছি, তোমাদের ওপর সমস্ত কিছু অর্পণ করেছি, তা সত্ত্বেও তোমরা ইসরায়েলের মানুষদের থেকে কত ব্যাপকভাবে ভিন্ন উচ্চতায় রয়েছ; তোমাদের মধ্যে নিতান্ত আকাশ-পাতাল তফাত। কিন্তু তাদের তুলনায় তোমরা অনেক বেশি পেয়েছ; যেখানে তারা আমার আবির্ভাবের জন্য আকুল হয়ে অপেক্ষা করে, তোমরা সেখানে আমার সঙ্গে সুখে দিনযাপন করো, আমার ধন ভাগ করে নাও। এই পার্থক্যের পরিপ্রেক্ষিতে, কোন বিষয়টি তোমাদেরকে আমার সাথে বাকবিতণ্ডা করার এবং আমার সম্পত্তিতে অংশ দাবি করার অধিকার দেয়? তোমরা কি প্রচুর অর্জন করোনি? আমি তোমাদেরকে এত কিছু দিয়েছি, কিন্তু বিনিময়ে তোমরা আমাকে দিয়েছ শুধুই হৃদয়বিদারক দুঃখ ও উদ্বেগ, অদম্য বিরক্তি এবং অসন্তোষ। তোমরা এত বিদ্বেষী—তবুও করুণার যোগ্য, তাই তোমাদের প্রতি আমার সমস্ত বিরক্তি অবদমিত করে বারবার আপত্তি জানানো ছাড়া আমার আর কোনও উপায় নেই। হাজার হাজার বছরের কাজে, আমি মানবজাতির সঙ্গে কখনও আপত্তি করিনি কারণ আমি আবিষ্কার করেছি যে, মানবজাতির বিকাশের সর্বত্র, তোমাদের মধ্যে থাকা কেবলমাত্র “প্রতারকরাই” সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে, ঠিক প্রাচীন যুগের বিখ্যাত পূর্বপুরুষদের দ্বারা ছেড়ে যাওয়া মূল্যবান সম্পত্তির মতো। আমি সেইসব অর্ধমানব শূকর এবং কুকুরদেরকে কতই না ঘৃণা করি। তোমাদের মধ্যে বিবেকবোধের খুব অভাব! তোমাদের চরিত্র খুবই নিম্নমানের! তোমাদের হৃদয় অত্যন্ত কঠিন! আমি ইসরায়েলীদের কাছে এই ধরনের বাক্য ও কাজ নিয়ে গেলে, অনেক আগেই গৌরব অর্জন করে ফেলতাম। কিন্তু তোমাদের মধ্যে এটা অসাধ্য; তোমাদের মধ্যে রয়েছে কেবল নিষ্ঠুর অবহেলা, নিরুত্তাপ মনোভাব আর অজুহাত। তোমরা খুবই অনুভূতিহীন এবং একেবারেই মূল্যহীন!

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের বিষয়ে তোমার উপলব্ধি কী?

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 220

তোমরা কি অনুধাবন করেছ ঈশ্বর মানুষের এই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন কাজ সম্পন্ন করবেন? একবার ঈশ্বর বলেছিলেন, এমনকি সহস্রবর্ষীয় রাজত্বেও মানুষকে অবশ্যই...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অন্তিম সময়ের বিচার | উদ্ধৃতি 80

তুমি কি এখন বুঝতে পারছ বিচার কী এবং সত্য কী? বুঝতে পারলে আমি তোমাকে বিচারের জন্য মাথা নত করে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দিচ্ছি, অন্যথায় তুমি...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 26

অন্তিম সময়ের কার্য হল বাক্য উচ্চারণ করা। বাক্যের দ্বারা মানুষের মধ্যে অসামান্য পরিবর্তন আনা যায়। বাক্য গ্রহণের মাধ্যমে এখন মানুষের মধ্যে যে...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 402

জীবনের সাধনা তাড়াহুড়ো করে পাওয়ার মতো জিনিস নয়; জীবনের বিকাশ মাত্র দুই এক দিনে ঘটে না। ঈশ্বরের কাজ স্বাভাবিক এবং ব্যবহারিক এবং এতে একটি...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন