ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 403
এই বিষয়ে আরও বলতে গেলে, ঈশ্বরের বাক্যের কথাই তোমার কথা বলার নীতি হওয়া উচিত। সাধারণত, যখন তোমরা একত্রিত হও, তখন তোমাদের উচিত ঈশ্বরের বাক্য...
ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য যারা আকুলভাবে অপেক্ষা করছেন তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই!
তোমরা কামনা কর ঈশ্বর তোমাদের নিয়ে পুলকিত হবেন, তথাপি তোমরা ঈশ্বর থেকে অনেক দূরে রয়েছো। এখানে বিষয়টা কী? তোমরা শুধু তাঁর বাক্যকেই গ্রহণ করো, তাঁর পরিচালনা বা কর্তনকে নয়, আর তাঁর প্রতিটা ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে, তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে তোমরা তো আরো কম সক্ষম। তাহলে বিষয়টা এখানে কী? চূড়ান্ত বিশ্লেষণে, তোমাদের বিশ্বাস আসলে শূন্যগর্ভ ডিমের খোলার মতো, যা কখনই কোনো মুরগিছানা উৎপাদন করতে পারবে না। কারণ তোমাদের বিশ্বাস তোমাদেরকে সত্যের নিকটবর্তী করে নি অথবা তোমাদের জীবন প্রদান করে নি, কিন্তু এর পরিবর্তে তোমাদের ভরণপোষণ এবং আশার এক অলীক অনুভূতি দিয়েছে। এই ভরণপোষণ এবং আশার অনুভূতিই হল তোমাদের ঈশ্বরে বিশ্বাস করার লক্ষ্য, সত্য এবং জীবন নয়। এইজন্যই আমি বলি যে ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের বিশ্বাসের ধারা দাসত্ব ও নির্লজ্জতার মাধ্যমে অনুগ্রহ লাভের চেষ্টা ব্যতীত আর কিছুই ছিল না, এবং এটিকে কোনোভাবেই প্রকৃত বিশ্বাস রূপে গণ্য করা যায় না। এইরূপ বিশ্বাসের থেকে কীভাবে মুরগিছানা জন্ম নিতে পারে? অন্যভাবে বলতে গেলে, এই ধরনের বিশ্বাস কী সাধন করতে পারে? ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের বিশ্বাসের উদ্দেশ্য হল নিজেদের লক্ষ্য পূরণের জন্য তাঁকে ব্যবহার করা। এটা কি ঈশ্বরের স্বভাবের বিরুদ্ধে তোমার অপরাধের আরও একটি উদাহরণ নয়? তোমরা স্বর্গে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস কর এবং পৃথিবীতে তাঁর অস্তিত্বকে অস্বীকার কর, তথাপি আমি তোমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝে উঠতে পারি না; আমি কেবল সেইসব মানুষের প্রশংসা করি যাদের পা মাটিতে থাকে এবং যারা পৃথিবীতে ঈশ্বরের সেবা করে, কিন্তু কখনই তাদের প্রশংসা করি না যারা কখনই পৃথিবীতে থাকা খ্রীষ্টকে স্বীকার করে না। স্বর্গের ঈশ্বরের প্রতি এই ধরনের মানুষেরা যতই অনুগত হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত তারা আমার হাত, যা দুষ্টদের দণ্ড দেয়, তার থেকে রেহাই পাবে না। এইসব মানুষেরা দুষ্ট; এরা মন্দ লোক যারা ঈশ্বরের বিরোধিতা করে এবং যারা কখনই সানন্দে খ্রীষ্টকে মান্যতা দেয় নি। অবশ্যই সেইসব লোকেরাও এই মানুষদের অন্তর্ভুক্ত যারা খ্রীষ্টকে জানে না, এবং তদুপরি, যারা খ্রীষ্টকে স্বীকার করে না। তুমি কি বিশ্বাস কর যে যতক্ষণ তুমি স্বর্গের ঈশ্বরের প্রতি অনুগত থাকবে, ততক্ষণ খ্রীষ্টের প্রতি নিজের খুশি মতো আচরণ করতে পার? ভুল! খ্রীষ্ট সম্পর্কে তোমার অজ্ঞতা হল স্বর্গের ঈশ্বর সম্পর্কে অজ্ঞতার নামান্তর। স্বর্গের ঈশ্বরের প্রতি তুমি যতই অনুগত হও না কেন এটি নিছক ফাঁকা বুলি এবং ছলনা, কারণ পৃথিবীর ঈশ্বর শুধু যে মানুষের সত্য গ্রহণ এবং গভীরতর জ্ঞানলাভের ক্ষেত্রে সহায়ক তা-ই নয়, বরং তার চেয়েও বেশি মানুষকে তিরস্কার করতে এবং পরবর্তীতে দুষ্টদের দণ্ড দেওয়ার জন্য তথ্য আহরণেও সহায়ক। তুমি কি এর উপকারী এবং ক্ষতিকর পরিণাম বুঝতে পেরেছো? তোমার কি এরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছে? আমি চাই তোমরা সত্বর একদিন এই সত্য অনুধাবন করো: ঈশ্বরকে জানতে হলে তোমাদের অবশ্যই কেবল স্বর্গের ঈশ্বরকেই নয়, বরং আরও গুরুত্বসহকারে পৃথিবীর ঈশ্বরকেও জানতে হবে। তোমাদের অগ্রাধিকারগুলির ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হয়ো না অথবা গৌণ কারণকে কখনও মূল কারণের উপরে স্থান দিয়ো না। কেবলমাত্র এইভাবেই তুমি প্রকৃত অর্থে ঈশ্বরের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে, ঈশ্বরের নিকটবর্তী হতে পারবে এবং তোমার হৃদয়কে তাঁর নিকটবর্তী করতে পারবে। যদি তুমি বহু বছর ধরে বিশ্বাসী হয়ে থাকো এবং দীর্ঘকাল যাবৎ আমার সঙ্গে সংযুক্ত থাকো, তথাপি আমার থেকে দূরবর্তী থাকো, তাহলে আমাকে বলতে হয়, তুমি নিশ্চয় প্রায়শই ঈশ্বরের স্বভাবকে ক্ষুব্ধ কর, এবং তোমার পরিণতি অনুমান করা খুব কঠিন হবে। যদি দেখা যায় আমার সাথে বহু বছরের সাহচর্য তোমায় কেবল যে মানবতা এবং সত্যের অধিকারী ব্যক্তিতে পরিবর্তিত করতে ব্যর্থ হয়েছে তা-ই নয়, বরং তদুপরি তোমার মন্দ দিকগুলিকে তোমার স্বভাবের অঙ্গীভূত করে দিয়েছে, এবং তুমি কেবল পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ উদ্ধতই হও নি, বরং আমার বিষয়ে তোমার ভুল বোঝাবুঝিও বহুগুণ বেড়েছে, যার ফলে তুমি আমাকে তোমার ছোট জুড়িদার রূপে বিবেচনা করেছো, তাহলে আমি বলি যে তোমার রোগ আর কেবল উপরিগত নেই, বরং তোমার অস্থির গভীরে প্রবেশ করেছে। তোমার জন্য যা বাকি রয়েছে তা হল তোমার শেষকৃত্যের ব্যবস্থার জন্য অপেক্ষা করা। তোমার তখন তোমার ঈশ্বর হওয়ার জন্য আমাকে মিনতি করার প্রয়োজন নেই, কারণ তুমি মৃত্যুদণ্ডের উপযুক্ত এক পাপ করেছো, ক্ষমার অযোগ্য পাপ। এমনকি আমি যদি তোমার প্রতি করুণাও দেখাই, স্বর্গের ঈশ্বর কিন্তু তোমার জীবন নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন, কারণ ঈশ্বরের স্বভাবের বিরুদ্ধে তোমার অপরাধ কোনো সাধারণ সমস্যা নয়, বরং এটি একটি গুরুতর সমস্যা। যখন সেই সময় আসবে, তোমাকে আগে থেকে কিছু না বলার জন্য আমাকে দোষারোপ কোরো না। পুরো বিষয়টা ঘুরে-ফিরে যা দাঁড়ায় তা হলো: যখন তুমি একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসাবে পৃথিবীর ঈশ্বর খ্রীষ্টের সাহচর্য কর, অর্থাৎ তুমি বিশ্বাস কর যে ঈশ্বর একজন সাধারণ ব্যক্তি ব্যতীত আর কিছুই নন, তখনই তুমি ধ্বংস হবে। তোমাদের সবার প্রতি এটাই আমার একমাত্র সাবধানবাণী।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পৃথিবীতে ঈশ্বরকে কীভাবে জানা যাবে
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
এই বিষয়ে আরও বলতে গেলে, ঈশ্বরের বাক্যের কথাই তোমার কথা বলার নীতি হওয়া উচিত। সাধারণত, যখন তোমরা একত্রিত হও, তখন তোমাদের উচিত ঈশ্বরের বাক্য...
এই বিশাল জগতে, মহাসমুদ্রের পলি জমে মাটি তৈরি হচ্ছে, আর মাটি ভেসে গিয়ে মহাসমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে, বারংবার। সবকিছু যাঁর শাসনে চলে, সেই পরমাত্মা...
Job Defeats Satan and Becomes a True Man in the Eyes of God When Job first underwent his trials, he was stripped of all his property and...
অন্তিম সময়ের কার্যে প্রতীক এবং বিস্ময়ের প্রকাশের চেয়ে বাক্য বেশি শক্তিশালী, এবং বাক্যের ক্ষমতা প্রতীক এবং বিস্ময়কে ছাড়িয়ে যায়। সেই বাক্য...