ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 304
সমস্ত মানুষই যীশুর প্রকৃত মুখাবয়ব দেখতে চায় এবং তাঁর সঙ্গলাভের ইচ্ছা করে। আমার মনে হয় না কোনো ভ্রাতা বা ভগিনী বলবে যে তারা যীশুকে দেখতে চায় না বা তাঁর সাথে থাকতে চায় না। যীশুকে দেখার আগে—ঈশ্বরের অবতারকে দেখার আগে—তোমাদের বিভিন্ন ধরনের পূর্বধারণা থাকতে পারে, উদাহরণস্বরূপ যীশুর রূপ, তাঁর কথা বলার ধরন, জীবনযাপনের ধরন, ইত্যাদি। কিন্তু তাঁকে সত্যিই দেখে নেওয়ার পরে, তোমাদের ধারণাগুলো দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে যাবে। এমনটা কেন? তোমরা কি জানতে চাও? মানুষের চিন্তাভাবনাকে অবহেলা করা যায় না, এটা সত্যি কথা—কিন্তু তার থেকেও বেশি, খ্রীষ্টের সারসত্য মানুষের দ্বারা পরিবর্তিত হতে পারে না। খ্রীষ্টকে তোমরা কল্পনা করে থাকো অবিনশ্বর বা একজন ঋষি হিসাবে, কিন্তু কেউই তাঁকে ঐশ্বরিক সারসত্য সম্পন্ন সাধারণ মানুষ হিসাবে বিবেচনা করে না। যেমন, যারা দিনরাত ঈশ্বরকে দেখার আকাঙ্ক্ষা করে তাদের অনেকেই আসলে ঈশ্বরের শত্রু এবং তাঁর সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। এটা কি মানুষের তরফে করা একটা ভুল নয়? এমনকি তোমরা এখনও ভাবো যে বিশ্বাস ও আনুগত্য তোমাদেরকে খ্রীষ্টের মুখাবয়ব প্রত্যক্ষ করার যোগ্য করে তোলার জন্য যথেষ্ট, কিন্তু আমি তোমাদের আরও ব্যবহারিক বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত করার উপদেশ দিই! কারণ অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে, খ্রীষ্টের সংস্পর্শে আসা লোকেদের মধ্যে অনেকেই ব্যর্থ হয়েছে বা ব্যর্থ হবে; এরা সবাই ফরিশীদের ভূমিকা পালন করে। তোমাদের ব্যর্থতার কারণ কী? এর প্রধান কারণ হল, তোমাদের ধারণায় যে ঈশ্বর আছেন, তিনি মহান এবং প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু সত্য মানুষের ইচ্ছার অনুরূপ হয় না। খ্রীষ্ট যে মহান নন কেবল তা-ই নয়, বরং তিনি বিশেষভাবে ক্ষুদ্র; তিনি শুধু একজন মানুষ তাই নয়, বরং একজন সাধারণ মানুষ; তিনি স্বর্গে আরোহণ করতে পারেন না তা-ই নয়, তিনি পৃথিবীতেও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। এবং এই কারণে, জনগণ তাঁর সাথে একজন সাধারণ মানুষের মতোই আচরণ করে; তাঁর সাথে থাকলে তারা স্বাভাবিকভাবেই আচরণ করে, তাঁর সাথে নিরুদ্বেগ হয়ে কথা বলে, এবং এই সম্পূর্ণ সময় তারা “প্রকৃত খ্রীষ্ট”-এর আগমনের অপেক্ষা করে। যে খ্রীষ্টের ইতিমধ্যেই আগমন ঘটেছে, তোমরা তাঁকে একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে, এবং তাঁর বাক্যকে একজন সাধারণ মানুষের বাক্য হিসাবে গ্রহণ করেছো। এই কারণে, তোমরা খ্রীষ্টের কাছ থেকে কিছুই পাও নি, পরিবর্তে নিজেদের কদর্যতাকে দিনের আলোয় সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত করেছ।
খ্রীষ্টের সাথে যোগাযোগের আগে, তুমি হয়ত ভাবতে পারো যে তোমার স্বভাব সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়েছে, তুমি খ্রীষ্টের একজন বিশ্বস্ত অনুগামী, খ্রীষ্টের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য তোমার থেকে বেশি উপযুক্ত আর কেউ নেই—আর অনেক রাস্তা অতিক্রমের পরে, অনেক কাজ করার পরে, প্রচুর ফল এনে দেওয়ার পরে, অবশ্যই তুমিই হলে সেই ব্যক্তি, যে পরিশেষে মুকুট লাভ করবে। তবুও একটা প্রকৃত সত্য তুমি হয়ত জানো না: খ্রীষ্টকে দেখামাত্রই মানুষের ভ্রষ্ট স্বভাব এবং বিদ্রোহী ও প্রতিরোধী মনোভাব প্রকাশিত হয়ে পড়ে, আর এই সময়ে প্রকাশিত বিদ্রোহ ও প্রতিরোধ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় পুরোপুরি এবং সম্পূর্ণরূপে অনাবৃত হয়। এর কারণ, খ্রীষ্ট হলেন মনুষ্যপুত্র—সেই মনুষ্যপুত্র যিনি স্বাভাবিক মানবতার অধিকারী—যাকে মানুষ সম্মান বা শ্রদ্ধা কোনোটাই করে না। ঈশ্বর দেহরূপে বাস করেন বলেই মানুষের বিদ্রোহ এত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং এত স্পষ্ট বিশদে দিবালোকে প্রকাশিত হয়। তাই আমি বলি যে খ্রীষ্টের আগমন মানবজাতির সমস্ত বিদ্রোহী মনোভাব উদ্ঘাটিত করেছে এবং তাদের প্রকৃতিকে প্রবলভাবে লক্ষ্যণীয় করে তুলেছে। একে বলা হয় “একটি বাঘকে প্রলুব্ধ করে পাহাড়ের নিচে নিয়ে আসা” এবং “একটি নেকড়েকে প্রলুব্ধ করে তার গুহা থেকে বের করে আনা”। সাহস করে বলতে পারবে যে তুমি ঈশ্বরের অনুগত? সাহস করে বলতে পারবে যে তুমি ঈশ্বরের প্রতি সম্পূর্ণ আজ্ঞাকারিতা প্রদর্শন করো? সাহস করে বলতে পারবে যে তুমি বিদ্রোহী নও? কেউ কেউ বলবে: “যখনই ঈশ্বর আমাকে কোনো নতুন পরিবেশে স্থাপন করেন, আমি কোনোরকম বিরক্তিপ্রকাশ ছাড়াই সর্বদা সমর্পণ করি, উপরন্তু আমি ঈশ্বর সম্পর্কে কোনো পূর্বধারণা পোষণ করি না”। আবার কেউ বলবে: “ঈশ্বর আমাকে কোনো কাজ দিলে তা আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী করি এবং কখনোই অমনোযোগী হই না”। সেই ক্ষেত্রে, আমি তোমাদের জিজ্ঞাসা করি: খ্রীষ্টের সাথে বসবাসকালে কি তোমরা তাঁর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারো? আর কতদিন তোমরা তাঁর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ থাকতে পারবে? এক দিন? দুই দিন? এক ঘণ্টা? দুই ঘণ্টা? তোমাদের বিশ্বাস প্রশংসনীয় হতে পারে, কিন্তু অধ্যবসায়ের ক্ষেত্রে তোমাদের খুব বেশি কিছু নেই। একবার তুমি সত্যিই খ্রীষ্টের সাথে বসবাস শুরু করলে, তোমার নিজের নৈতিকতা বিষয়ে ঔদ্ধত্ব এবং নিজেকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া তোমার কথা এবং কাজের মাধ্যমে ধীরে ধীরে অনাবৃত হবে আর তার সাথে স্বাভাবিকভাবেই অনাবৃত হবে তোমার মাত্রাতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা, আনুগত্যহীন মানসিকতা এবং অসন্তোষ। অবশেষে, যতক্ষণ না তুমি আর খ্রীষ্ট জল আর আগুনের মতো অসঙ্গত হয়ে পড়ছ, ততক্ষণ তোমার অহংকার আরও বৃদ্ধি পাবে এবং তারপরে তোমার প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে অনাবৃত হবে। সেই সময়, তোমার পূর্বধারণাগুলি আর গোপন রাখা যাবে না, তোমার অভিযোগগুলিও স্বাভাবিকভাবেই বেরিয়ে আসবে, এবং তোমার নীচ মনুষ্যত্ব সম্পূর্ণরূপে উন্মোচিত হবে। এমনকি তারপরেও, তুমি এখনও নিজের বিদ্রোহী মনোভাব স্বীকার করো না, পরিবর্তে বিশ্বাস করো যে এঁর মতো একজন খ্রীষ্টকে মানুষের পক্ষে গ্রহণ করা সহজ নয়, তুমি মনে করো যে তিনি মানুষের প্রতি খুব বেশি কঠোর, এবং তিনি যদি আরও দয়ালু একজন খ্রীষ্ট হতেন তাহলে তুমি সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করতে। তোমরা বিশ্বাস করো যে তোমাদের বিদ্রোহী মনোভাব ন্যায্য, যখন তিনি তোমাদের প্রচণ্ড প্ররোচিত করেন, তখনই কেবলমাত্র তোমরা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করো। একবারও তোমরা বিবেচনা করো নি যে তোমরা খ্রীষ্টকে ঈশ্বর রূপে দেখো না, তোমাদের মধ্যে তাঁকে আজ্ঞা করার ইচ্ছার অভাব রয়েছে। বরং জেদীর মতো জোর করো যে খ্রীষ্ট তোমার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করুন, আর যখনই তাঁর কোনো কাজ তোমার ধারণার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সেই মুহূর্তেই তুমি বিশ্বাস করো যে তিনি ঈশ্বর নন, তিনি একজন মানুষ। তোমাদের মধ্যে কি এমন অনেকেই নেই যারা এইভাবে তাঁর সাথে বিতর্ক করেছ? সর্বোপরি, তোমরা যাকে বিশ্বাস করো, তিনি কে? আর কী উপায়ে তোমরা অনুসন্ধান করো?
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যারা খ্রীষ্টের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ তারা অবশ্যই ঈশ্বরের বিরোধীপক্ষ
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।