ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 456

যাদের কোনো ধর্মীয় পূর্বধারণা নেই, নিজেদের পুরানো সত্তাকে যারা পরিত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং যারা সরল চিত্তে ঈশ্বরকে মান্য করে, ঈশ্বর আজ থেকেই তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে নিখুঁত করতে শুরু করবেন। তিনি তাদেরই নিখুঁত করবেন যারা ঈশ্বরের বাক্যের প্রত্যাশী। এইসব ব্যক্তিদেরকেই ঈশ্বরের সেবার জন্য উদ্যোগী হতে হবে। ঈশ্বরের প্রাচুর্য অফুরন্ত এবং প্রজ্ঞা সীমাহীন। তাঁর বিস্ময়কর কাজ এবং মূল্যবান বাক্য অপেক্ষা করে আছে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের উপভোগের জন্য। বিষয়টা যা দাঁড়াচ্ছে, যাদের ধর্মীয় পূর্বধারণা রয়েছে, যারা স্বঘোষিত বিদ্বান, এবং যারা নিজেদের উপেক্ষা করতে পারে না, তাদের পক্ষে এই নতুন বিষয়গুলি স্বীকার করা কঠিন। পবিত্র আত্মার এইসব ব্যক্তিদের নিখুঁত করার কোনো সম্ভাবনাই নেই। যদি কোনো ব্যক্তি মান্য করার সংকল্প না করে, এবং ঈশ্বরের বাক্যের জন্যে তৃষ্ণার্ত না হয়, তাহলে তাদের কাছে এই নতুন বিষয়গুলি গ্রহণ করার কোনো উপায় নেই; তারা ঘোরতর বিদ্রোহী ও ধূর্ত হয়ে উঠবে এবং শেষ পর্যন্ত ভুল পথে চালিত হবে। নিজের কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঈশ্বর আরও সেইসব মানুষদের উন্নীত করবেন যারা তাঁকে সত্যিই ভালোবাসে আর যারা সেই নতুন চিন্তার আলোকে স্বীকার করে নিতে প্রস্তুত। প্রবীণত্বের অহংকারে মত্ত সেইসব ধর্মাধিকারিকদের তিনি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করবেন। যারা পরিবর্তনকে প্রতিরোধ করে ঈশ্বর তাদের একজনকেও চান না। তুমি কি এইসব মানুষের একজন হতে চাও? তুমি কি নিজের পছন্দ অনুযায়ী ঈশ্বর-সেবা করো, নাকি ঈশ্বরের অভিপ্রায় অনুযায়ী চলো? এই বিষয়টি তোমার নিজের জন্যই অবশ্যই জানা উচিত। তুমি কি একজন তথাকথিত ধর্মীয় অধিকর্তা, নাকি ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হয়ে ওঠা এক নবজাতক? তোমার কত পরিমাণ সেবা পবিত্র আত্মার দ্বারা প্রশংসিত? এর কতটা ঈশ্বর মনে রাখারও প্রয়োজন বোধ করবেন না? তোমার এত বছর ঈশ্বরসেবা তোমার জীবনে কতটুকু পরিবর্তন আনতে পেরেছে? এই সবকিছুর ব্যাপারে কি তোমার ধারণা স্বচ্ছ? তুমি যদি প্রকৃত বিশ্বাসী হও, তাহলে তোমার পুরনো ধর্মীয় ধারণাগুলি তুমি পরিত্যাগ করবে, আর নতুন উপায়ে আরো ভালোভাবে ঈশ্বরের সেবা শুরু করবে। উঠে দাঁড়ানোর জন্যে এখনও দেরী হয়ে যায়নি। পুরনো ধর্মীয়-পূর্বধারণা কোন মানুষের সমস্ত জীবন নষ্ট করে দিতে পারে। দীর্ঘকাল ধরে চর্চিত তথাকথিত ঈশ্বর-সেবার অভিজ্ঞতা তাকে ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্যুত করে দিতে পারে, এবং সে নিজের মতো করে সব কাজ করতে পারে। এইসব পরিত্যাগ না করলে, এগুলিই তোমার জীবনে উন্নতির অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। ঈশ্বর সর্বদাই তাদের নিখুঁত করেন যারা তাঁর সেবা করে, তিনি সহজে তাদের বিতাড়িত করেন না। তুমি যদি সত্যই ঈশ্বরের বিচার ও তাঁর শাস্তি স্বীকার করে নাও, যদি পুরানো ধর্মীয় বিধান এবং নিয়মগুলিকে বর্জন করতে পারো এবং প্রাচীন ধর্ম-বিশ্বাসের তুলনায় ঈশ্বরের আজকের বাক্যের পরিমাপ করা বন্ধ করো, একমাত্র তাহলেই তোমার জন্য এক ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করবে। কিন্তু তুমি যদি এখনও প্রাচীন ধ্যান-ধারণাগুলিকে মূল্যবান বলে আঁকড়ে ধরে থাকো, তাহলে তুমি কোনোভাবেই উদ্ধার লাভ করতে পারবে না। ঈশ্বর এমন ব্যক্তিদের কোনো খেয়াল রাখেন না। তুমি যদি সত্যিই নিখুঁত হতে চাও, তাহলে তোমাকে অবশ্যই প্রাচীন সব ধ্যান-ধারণা সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করতে হবে। আগের কাজগুলি যদি সঠিক হয়েও থাকে, এমনকি সেগুলি যদি ঈশ্বরের কাজও হয়, তবুও তোমাকে তা পরিত্যাগ করতে হবে, তাকে আঁকড়ে ধরে থাকা বন্ধ করতে হবে। এমনকি যদি এটা সুস্পষ্টভাবে পবিত্র আত্মারই কাজ হয়ে থাকে এবং তা সরাসরি তিনিই সম্পন্ন করে থাকেন, তারপরও তোমাকে তা বর্জন করতে হবে। তাকে আর কোনোভাবেই অবলম্বন করে থাকলে চলবে না। এটাই ঈশ্বরের প্রয়োজন। সবকিছুরই পুনর্নবীকরণ আবশ্যক। ঈশ্বর তাঁর কাজে এবং বাক্যে এমন কোনো বিষয়ের উল্লেখ করেন না যা বিগত হয়েছে, দেখেন না পুরাতন পঞ্জিকা। ঈশ্বর সর্বদাই নতুন, কখনোই পুরনো হন না। এমনকি তিনি পূর্বকার নিজ বাক্যগুলিকেও আঁকড়ে ধরে থাকেন না—যা প্রমাণ করে যে ঈশ্বর কোনো নিয়ম অনুসরণ করেন না। অতএব, তুমি যদি একজন মানুষ হিসাবে সর্বদাই অতীতের জিনিস আঁকড়ে ধরে থাকো, যদি তুমি তাদের ত্যাগ করতে অস্বীকার করো, এবং কঠোরভাবে একটি সূত্রবদ্ধ পদ্ধতিতে তাদের প্রয়োগ করো, যখন ঈশ্বর আগে যে পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করতেন এখন আর তা করেন না, তাহলে তোমার কথা আর কাজ কি বিঘ্নসৃষ্টিকারী হবে না? এটা কি ঈশ্বরের শত্রুতা নয়? তুমি কি এইসব পুরানো ধ্যান-ধারণার জন্য তোমার পুরো জীবনটাই নষ্ট এবং ধ্বংস করে দিতে চাও? এই পুরানো ধারণাগুলি তোমাকে এমন একজন মানুষে পরিণত করবে যে ঈশ্বরের কাজে বাধা দেয়—তুমি কি এই প্রকার মানুষ হতে চাও? তুমি সত্যিই যদি তা না চাও তাহলে তুমি যা করছো তা দ্রুত বন্ধ করো এবং ঘুরে দাঁড়াও; আবার সব নতুন করে শুরু করো। ঈশ্বর অতীতের সেবা মনে রাখবেন না।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ধর্মীয় সেবার বিশুদ্ধিকরণ আবশ্যক

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 454

ঈশ্বরের অর্পিত সমগ্র মানবজাতির মুক্তির কার্যের দায়িত্ব সম্পাদন করতে যীশু সমর্থ ছিলেন, কারণ তিনি নিজের জন্য কোনো পরিকল্পনা বা ব্যবস্থা না...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 334

গন্তব্য সংক্রান্ত বিষয়টির যখনই উল্লেখ করা হয়, তোমরা বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করো; উপরন্তু, এটি এমন একটি বিষয় যার প্রতি তোমরা...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 305

তোমরা সর্বদা খ্রীষ্টকে দেখতে চাও, কিন্তু আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, নিজেদের এত উচ্চ মর্যাদায় রেখো না; যে কেউই খ্রীষ্টকে দেখতে পারে, কিন্তু...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন