ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 391

ঈশ্বরবিশ্বাসী হওয়ার পর থেকে মানুষ আজ পর্যন্ত কী অর্জন করেছে? ঈশ্বর সম্পর্কে তুমি কী জানতে পেরেছো? ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তোমার মধ্যে কতটা পরিবর্তন এসেছে? আজ তোমরা সবাই জানো যে এখন ঈশ্বরের প্রতি মানুষের বিশ্বাস শুধুমাত্র আত্মার পরিত্রাণের জন্য বা দেহরূপের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নয়, এমনকি ঈশ্বরকে ভালোবাসার মাধ্যমে জীবনের উন্নতি, বা এই ধরনের কিছুর জন্যেই নয়। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে যদি তুমি তোমার নিজের দেহজ স্বাচ্ছন্দ্য বা সাময়িক সুখের জন্য ঈশ্বরকে ভালোবাসো, তাহলে শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের প্রতি তোমার ভালোবাসা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলেও তুমি হয়তো আর কিছুই চাইবে না। কিন্তু তখনও তোমার এই ভালোবাসা অশুদ্ধ এবং এই ভালোবাসায় ঈশ্বর কখনোই সন্তুষ্ট হন না। নিজেদের অর্থহীন জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্য বা নিজের অন্তরের শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য ঈশ্বরপ্রেমকে যারা ব্যবহার করে, তারা সহজ জীবন যাপনের লোভে এই কাজ করে, ঈশ্বরের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসার অন্বেষণের জন্য নয়। এই ধরনের ভালোবাসা আসলে আরোপিত, এ শুধুই নিজের মানসিক পরিতৃপ্তির সন্ধান, এবং ঈশ্বরের এই ভালোবাসার কোনও প্রয়োজন নেই। তাহলে ঈশ্বরের প্রতি তোমার ভালোবাসা আসলে কেমন? ঈশ্বরকে তুমি কেন ভালোবাসো? ঠিক এই মুহূর্তে তোমার মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা কতটুকু আছে? ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের মধ্যে অধিকাংশের ভালোবাসাই পূর্বোল্লিখিত প্রকারের। এই ধরনের ভালোবাসা কেবল স্থিতাবস্থা বজায় রাখে, তা অপরিবর্তনশীলতা অর্জন করতে পারে না, বা মানুষের মূলে প্রোথিত হতেও পারে না। এইসব ভালোবাসা নেহাতই তেমন ফুলের মত, যে শুধুই ফোটে কিন্তু ফল দান করে না। অন্যভাবে বলা যায়, একবার এইরকমভাবে ঈশ্বরকে ভালোবেসে নেওয়ার পর, তোমার সম্মুখের পথে নেতৃত্ব দেওয়ার যদি কেউ না থাকে, তাহলে তোমার পতন ঘটবে। তুমি যদি শুধু তোমার ঈশ্বরকে ভালবাসার সময়েই ঈশ্বরকে ভালোবাসো এবং পরে যদি তোমার স্বভাবে কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে অন্ধকারের কালিমা তোমাকে ঘিরে রাখবে, শয়তানের কবল এবং ফাঁদ থেকে তুমি মুক্ত হতে পারবে না। এইসব মানুষ ঈশ্বরের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে অর্জিত হতে পারে না। শেষ পর্যন্ত তাদের আত্মা, হৃদয় এবং দেহ শয়তানের কাছেই বন্দি থাকবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না। যারা ঈশ্বরের দ্বারা সম্পূর্ণভাবে অর্জিত হতে পারবে না, তারা তাদের পুরনো অবস্থানে অর্থাৎ শয়তানের কাছেই ফিরে যাবে, আর জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে নিমজ্জিত থেকে তারা অপেক্ষা করবে ঈশ্বরের কাছ থেকে পরবর্তী দণ্ড গ্রহণের জন্য। আর ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত মানুষ হল তারাই, যারা শয়তানকে সর্বতোভাবে পরিত্যাগ করেছে এবং তার আধিপত্যের অধীন থেকে মুক্ত হতে পেরেছে। রাজ্যের মানুষদের মধ্যে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গণ্য করা হয়। এইভাবেই রাজ্যের জনগণ গঠিত হয়। তুমি কি এইরকম একজন মানুষ হয়ে উঠতে চাও? তুমি কি ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হওয়ার প্রত্যাশী? তুমি কি শয়তানের আধিপত্যের অধীন থেকে মুক্ত হয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রত্যাবর্তন করতে চাও? এখন কি তুমি শয়তানের প্রভাবে রয়েছ, নাকি তুমি ঈশ্বরের রাজ্যের একজন? এইসব বিষয়গুলি এখনই স্পষ্ট হওয়া দরকার এবং এর আর কোনও ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, বিশ্বাসীদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 321

তোমরা কামনা কর ঈশ্বর তোমাদের নিয়ে পুলকিত হবেন, তথাপি তোমরা ঈশ্বর থেকে অনেক দূরে রয়েছো। এখানে বিষয়টা কী? তোমরা শুধু তাঁর বাক্যকেই গ্রহণ...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কাজ | উদ্ধৃতি 72

তুমি আমেরিকান, ব্রিটিশ, বা অন্য যেকোনো দেশের নাগরিক হও না কেন, তোমাকে তোমার নিজের জাতীয়তার গণ্ডির বাইরে, স্বীয় সত্তার সীমানা অতিক্রম করে,...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 188

অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কার্যের দ্বারা, এবং আজ তাঁর পরিকল্পিত যে কার্য তিনি তোমাদের মাঝে করে চলেছেন, তার দ্বারা তোমরা যে সর্বোচ্চ উন্নতি এবং...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 26

অন্তিম সময়ের কার্য হল বাক্য উচ্চারণ করা। বাক্যের দ্বারা মানুষের মধ্যে অসামান্য পরিবর্তন আনা যায়। বাক্য গ্রহণের মাধ্যমে এখন মানুষের মধ্যে যে...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন