যারা অকৃত্রিম অন্তঃকরণে ঈশ্বরকে মান্য করে, তারা নিশ্চয়ই ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হবে

পবিত্র আত্মার কাজ প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। এই কাজ ধাপে ধাপে আরও উন্নত হয়, আগামীকালের উদ্ঘাটন আজকের তুলনায় উচ্চতর, ধাপের পর ধাপে ক্রমান্বয়ে উন্নততর হতে থাকে। এই কাজের মধ্য দিয়েই ঈশ্বর মানুষকে নিখুঁত করে তোলেন। মানুষ যদি সমান তালে চলতে না পারে, তাহলে যেকোনও সময় তাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। তাদের আনুগত্যপূর্ণ হৃদয় না থাকলে, তারা সমাপ্তি অবধি অনুসরণ করতে অসমর্থ হবে। আগের যুগ চলে গিয়েছে; এ হল এক নতুন যুগ। আর এই নতুন যুগে, অবশ্যই নতুন কাজ করতে হবে। বিশেষভাবে অন্তিম যুগে, যেখানে মানুষকে নিখুঁত করে তোলা হয়, ঈশ্বর নূতনতর কাজ দ্রুততর বেগে সম্পন্ন করবেন, তাই মানুষের হৃদয়ে আনুগত্য না থাকলে, ঈশ্বরের পদাঙ্ক অনুসরণ করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে। ঈশ্বর কোনও নিয়মে আবদ্ধ নন, বা তিনি তাঁর কাজের কোনও পর্যায়কে অপরিবর্তনীয় বলেও মনে করেন না। পরিবর্তে, যে কাজ তিনি করেন তা সর্বদাই নূতনতর এবং সর্বদাই উন্নততর। প্রতিটি পর্যায়ে, তাঁর কাজ ক্রমাগত আরও ব্যবহারিক এবং মানুষের বাস্তবিক প্রয়োজনীয়তার সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা হওয়ার পরেই শুধুমাত্র মানুষ তার স্বভাবের চূড়ান্ত রূপান্তর অর্জন করতে পারে। জীবন সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান ক্রমাগত উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছায়, এবং তাই, অনুরূপ ভাবে, ঈশ্বরের কাজও ক্রমাগত উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত হয়। এইভাবেই একমাত্র মানুষ নিখুঁত এবং ঈশ্বরের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠতে পারে। এক দিকে মানুষের ধারণাকে পাল্টাতে এবং বিপরীতমুখী করতে এবং অন্য দিকে মানুষকে আরও উঁচু এবং বাস্তবসম্মত অবস্থায়, ঈশ্বর-বিশ্বাসের সর্বোচ্চ স্তরে চালিত করতে, ঈশ্বর এইভাবে কাজ করেন, যাতে অন্তিমে ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করা যায়। অবাধ্য স্বভাবের যে সকল ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধিতা করে, তারা সকলেই ঈশ্বরের ক্ষিপ্রগতি ও প্রবল বেগে ধাবমান কাজের এই পর্যায়ে বহিষ্কৃত হবে; যারা স্বেচ্ছায় মান্য করে চলে এবং যারা খুশি মনে নিজেদের বিনত করে, শুধুমাত্র তারাই এই পথের শেষ অবধি অগ্রসর হতে পারবে। এই ধরনের কাজের মাধ্যমে, তোমাদের সকলের শেখা উচিৎ কীভাবে নিজেকে সমর্পণ করতে হয় এবং কীভাবে নিজের পূর্বধারণাগুলো সরিয়ে রাখতে হয়। তোমায় প্রতি পদে সাবধান থাকতে হবে। অসাবধানী হলে, তুমি পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিত্যক্ত ও ঈশ্বরের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী মানুষদের একজন হয়ে উঠবে। কাজের এই পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার আগে, মানুষের অতীতের নিয়মকানুন ও আইন এতো অজস্র ছিল যে সে আত্মহারা হয়ে পড়েছিল, এবং পরিণতিতে, সে হয়ে উঠেছিল অহংসর্বস্ব ও আত্মবিস্মৃত। এসবই এমন বাধাস্বরূপ যা মানুষকে ঈশ্বরের নতুন কাজকে স্বীকার করা থেকে বিরত রাখে; এ সমস্তই মানুষের ঈশ্বরজ্ঞানের বৈরি। মানুষের অন্তরে আনুগত্য না থাকা এবং সত্যের জন্য আকাঙ্ক্ষাও না থাকা তাদের পক্ষে বিপজ্জনক। তুমি যদি শুধুমাত্র ঈশ্বরের সরল কাজ ও বাক্যের কাছে নিজেকে সমর্পণ করো, এবং নিগূঢ়তর কিছু গ্রহণের অযোগ্য হও, তাহলে তুমি তাদের মধ্যে একজন যে পুরনো পন্থাগুলিকেই আঁকড়ে ধরে রয়েছে এবং পবিত্র আত্মার কাজের গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। বিভিন্ন সময়কালে ঈশ্বরের কাজ ভিন্ন ধরণের হয়। তুমি যদি কোনও একটি পর্যায়ে ঈশ্বরের কাজের প্রতি পরম আনুগত্যের অধিকারী হও, অথচ পরবর্তী পর্যায়ে তাঁর কাজের প্রতি তোমার আনুগত্য কম হয়, কিংবা তুমি আনুগত্য স্বীকারে অক্ষম হও, তাহলে ঈশ্বর তোমাকে পরিত্যাগ করবেন। ঈশ্বরের নেওয়া এই পদক্ষেপের সাথে তুমি ছন্দ মিলিয়ে চললে, যখন তিনি পরবর্তী পর্যায়ে আরোহন করবেন তখনও তোমাকেও সেই ছন্দ বজায় রাখতে হবে; শুধুমাত্র তাহলেই তুমি পবিত্র আত্মার অনুগত একজন হয়ে উঠবে। তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করো বলে, আনুগত্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে তোমাকে অবশ্যই অবিচলিত থাকতে হবে। তোমার যখন ইচ্ছা তুমি তখন অনুগত হলে আর যখন ইচ্ছা নয় তখন হলে না, এমন করা যাবে না। এই ধরনের আনুগত্য ঈশ্বরের কাছে প্রশংসনীয় নয়। আমি যে নতুন কাজের বিষয়ে আলোচনা করি তুমি যদি তার সাথে ছন্দ মেলাতে না পারো, এবং পুরাতন বাক্যেই আটকে থাকো, তাহলে তোমার জীবনে অগ্রগতি কীভাবে হবে? ঈশ্বরের কাজ হলো তাঁর বাক্যের মাধ্যমে তোমায় যোগান দেওয়া। যখন তুমি তাঁকে মান্য করো এবং তাঁর বাক্য গ্রহণ করো, তখন পবিত্র আত্মা নিশ্চিতভাবে তোমার মধ্যে কাজ করবেন। আমি যেভাবে বলছি ঠিক সেভাবেই পবিত্র আত্মা কাজ করেন; আমি যা বলেছি ঠিক সেভাবে করো, তাহলে পবিত্র আত্মা অবিলম্বে তোমার মধ্যে কাজ করবেন। তোমরা দেখবে বলে আমি এক নতুন আলো বিচ্ছুরণ করি, যা তোমাদের বর্তমানের আলোয় নিয়ে আসে, এবং যেইমাত্র তোমরা এই আলোতে প্রবেশ করবে, তক্ষুনি পবিত্র আত্মা তোমার মধ্যে কাজ করবেন। কিছু মানুষ আছে যারা অবাধ্য হয়ে বলে উঠতে পারে “আপনি যা বলছেন তা আমি আদৌ পালন করব না”। সেক্ষেত্রে, আমি বলব যে তুমি পথের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছ; বিশুষ্ক হয়ে পড়েছ, বিন্দুমাত্র জীবন অবশিষ্ট নেই। তাই, তোমাদের স্বভাবের রূপান্তরের অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য, বর্তমান আলোর সাথে গতি মিলিয়ে চলা ব্যতীত অন্য কিছুই বেশি জরুরি নয়। পবিত্র আত্মা যে শুধুমাত্র ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যেই কাজ করেন এমন নয়, বরং তাছাড়াও, তিনি গির্জাতেও কাজ করেন। তিনি যেকোনও মানুষের মধ্যেই কাজ করতে পারেন। তিনি বর্তমানে তোমার মধ্যেও কাজ করতে পারেন এবং তুমি সেই কাজ অনুভব করবে। পরবর্তী সময়কালে, তিনি অন্য কারোর মধ্যে কাজ করতে পারেন, যেক্ষেত্রে তোমায় ত্বরায় অনুসরণ করতেই হবে; যত কাছ থেকে তুমি বর্তমান আলো অনুসরণ করো, তোমার জীবন তত বেশি বিকাশ লাভ করতে পারে। একজন যেমন ধরনের মানুষই হোক না কেন, যদি পবিত্র আত্মা তার মধ্যে কাজ করেন, তাহলে তোমাকে অবশ্যই তা অনুসরণ করতে হবে। সে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছে তা আপনজ্ঞানে গ্রহণ করো, এবং তুমি মহত্তর বস্তুসমূহ লাভ করতে পারবে। এই ভাবে তুমি আরও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবে। এটিই মানুষের নিখুঁত হওয়ার পথ এবং জীবনে বিকাশ লাভের উপায়। পবিত্র আত্মার কাজের প্রতি তোমার আনুগত্যের মাধ্যমেই নিখুঁত হয়ে ওঠার পথে পৌঁছানো যায়। তোমাকে নিখুঁত করে তোলার জন্য ঈশ্বর কোন প্রকার ব্যক্তির মাধ্যমে কাজ করবেন, তা তুমি জানো না, এবং এ-ও জানো না যে, কোন মানুষ, ঘটনাবলী, ও বস্তুসমূহের মাধ্যমে তিনি তোমাদের বিষয়সমূহ অর্জন অথবা দর্শন করতে দেবেন। তুমি সঠিক পথে পা ফেলতে পারলে, তোমার মধ্যে ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হয়ে ওঠার আশা প্রবল। আর যদি তা না পারো তাহলে, এর থেকে প্রতিপন্ন হয় যে, তোমাদের ভবিষ্যৎ হতাশাব্যঞ্জক, তমসাচ্ছন্ন। একবার তুমি সঠিক পথে পা ফেললে, সব বিষয়েই তুমি উদ্ঘাটন লাভ করবে। পবিত্র আত্মা অন্যদের কাছে যাই প্রকাশ করুন না কেন, তুমি নিজের থেকে কোনো বিষয়ের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তাদের জ্ঞানের উপর নির্ভর করে এগোলে, সেই অভিজ্ঞতা তোমার জীবনের অংশ হয়ে উঠবে, এবং তোমার এই অভিজ্ঞতা তুমি অন্যদের সরবরাহ করতে সমর্থ হবে। যাদের কোনও অভিজ্ঞতা নেই, তারাই কেবল মুখস্থ বিদ্যার মধ্য দিয়ে অন্যদের জ্ঞান দান করে; নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানের বিষয়ে কথা বলা আরম্ভ করার আগে, তোমায় অবশ্যই, অপরের আলোকপ্রাপ্তি এবং প্রদীপ্তির উপর ভিত্তি করে, অনুশীলনের একটি পন্থা খুঁজে নিতে হবে। তা তোমার জীবনের জন্য বৃহত্তর উপযোগিতা বহন করবে। এইভাবে, ঈশ্বরের থেকে আগত সকলকিছু মান্য করে চলার মাধ্যমে, তোমায় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। সবকিছুর মধ্যেই ঈশ্বরের ইচ্ছা কী তা তোমাকে জানার চেষ্টা করতে হবে এবং সব বিষয়ের থেকেই শিক্ষা নিতে হবে, যাতে তোমার জীবন বিকশিত হয়। এই প্রকার অনুশীলনই অগ্রগতির দ্রুততম পন্থা।

পবিত্র আত্মা তোমার বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তোমায় আলোকিত করেন, এবং তোমার বিশ্বাসের মাধ্যমে তোমায় নিখুঁত করে তোলেন। তুমি কি সত্যিই নিখুঁত হয়ে উঠতে ইচ্ছুক? যদি তুমি সত্যিই ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হয়ে উঠতে ইচ্ছুক হও, তাহলে তোমার দৈহিক কামনা ত্যাগ করার সাহস থাকবে, তুমি ঈশ্বরের বাক্য পালন করতে সক্ষম হবে, এবং তুমি নিষ্ক্রিয় বা দুর্বল হয়ে হবে না। ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা সমস্ত কিছু তুমি মান্য করতে সক্ষম হবে, এবং তোমার সকল কার্যকলাপ, তা তুমি প্রকাশ্যেই করে থাকো অথবা একান্তে, তা ঈশ্বরের সামনে উপস্থাপনের যোগ্য হবে। যদি তুমি একজন সৎ ব্যক্তি হও, এবং সব বিষয়ে সত্যের অনুশীলন করো, তাহলে তোমায় নিখুঁত করে তোলা হবে। সেইসব প্রতারক মানুষ, যারা অন্যদের সামনে এক রকম কাজ করে এবং পিছনে অন্যরকম কাজ করে, তারা নিখুঁত হতে ইচ্ছুক নয়। তারা সকলেই সর্বনাশ এবং ধ্বংসের সন্তান; তারা ঈশ্বরের নয়, শয়তানের আনুগত্যাধীন। তারা ঈশ্বরের নির্বাচিত ব্যক্তি নয়! যদি তোমার কার্যকলাপ এবং আচার-আচরণ ঈশ্বরের সামনে উপস্থাপনযোগ্য না হয় অথবা ঈশ্বরের আত্মা যদি তা দেখতে না পান, তাহলে তার থেকেই প্রমাণিত হয় যে তোমার কিছু ত্রুটি রয়েছে। শুধুমাত্র যদি তুমি ঈশ্বরের বিচার এবং শাস্তি স্বীকার করো, এবং তোমার স্বভাব পরিবর্তনের প্রতি যত্নশীল হও, তাহলেই তুমি নিখুঁত হয়ে ওঠার পথে পদার্পণ করতে পারবে। যদি তুমি সত্যিই ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে ইচ্ছুক হও, তাহলে বিন্দুমাত্র অভিযোগ না করে, ঈশ্বরের কাজের মূল্যায়ন বা বিচার করার দুঃসাহস না করে, তোমায় ঈশ্বরের সকল কাজ মেনে চলতে হবে। যারা ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে চায় তাদের জন্য এই হল ন্যুনতম আবশ্যিকতা। যারা ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে চায় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আবশ্যিকতা হল: সকল কিছুতেই ঈশ্বরের প্রতি প্রেমপূর্ণ হৃদয়ে কাজ করা। ঈশ্বরের প্রতি প্রেমপূর্ণ হৃদয়ে কাজ করার অর্থ কি? এর অর্থ হল তোমার সকল কার্য এবং আচরণ তুমি ঈশ্বর এর সামনে উপস্থাপন করতে পারবে। এবং তোমার কাজ ঠিক হোক বা ভুল, যেহেতু তোমার উদ্দেশ্য সৎ, তুমি তা ঈশ্বরকে বা তোমার ভাই বোনকে দেখাতে ভয় পাবেনা, এবং ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে তুমি একটা শপথ গ্রহণ করার সাহস দেখাতে পারবে। তোমাকে অবশ্যই তোমার সকল উদ্দেশ্য, চিন্তা, এবং ধারণা ঈশ্বরের সুবিবেচনার জন্য তাঁর সামনে পেশ করতে হবে; যদি তুমি এই পথে অনুশীলন এবং প্রবেশ কর, তাহলে তোমার জীবনে দ্রুত উন্নতি হবে।

যেহেতু তুমি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করো, সেহেতু তোমায় ঈশ্বরের সকল বাক্য এবং সকল কাজের উপর আস্থা রাখতে হবে। যার অর্থ হল, যেহেতু তুমি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করছ, সেহেতু তোমায় তাঁকে মান্য করে চলতে হবে। যদি তুমি এমন করতে অক্ষম হও, তাহলে তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করো কি না তাতে কিছু যায় আসেনা। যদি তুমি বহু বছর ধরে ঈশ্বরবিশ্বাসী হও, কিন্তু কখনই তাঁকে মান্য না করে থাকো, এবং তাঁর বাক্যের সম্পূর্ণতা মেনে না নিয়ে থাকো, এবং পরিবর্তে চাও যে ঈশ্বর তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করুন এবং তোমার ধারণা অনুযায়ী কাজ করুন, তাহলে তুমি সব থেকে বড় অবাধ্য, তুমি একজন অবিশ্বাসী। এই ধরনের লোকেরা কীভাবে ঈশ্বরের যে কাজ এবং বাক্য মানুষের ধারণার সাথে মেলে না তা মান্য করে চলতে পারবে? সব থেকে বড় অবাধ্য হল তারা, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঈশ্বরকে অবজ্ঞা করে ও তাঁর বিরোধিতা করে। তারা সকলেই ঈশ্বরের শত্রু, খ্রীষ্টবিরোধী। ঈশ্বরের নতুন কাজের প্রতি তাদের সর্বদা একটা বৈরি মনোভাব থাকে; তাদের কখনো নিজেদেরকে সমর্পণ করার সামান্যতম আগ্রহ থাকেনা, না তারা কখনো আনন্দের সাথে নিজেদেরকে সমর্পণ অথবা বিনীত করেছে। তারা অন্যের সামনে নিজেদের বড়াই করেছে এবং কখনো কারো কাছে নিজেকে সমর্পণ করে নি। ঈশ্বরের সামনে, তারা নিজেদের বাক্য প্রচারে শ্রেষ্ঠ এবং অন্যের মধ্যে কাজ করার ক্ষেত্রে দক্ষতম হিসাবে বিবেচনা করে। তাদের দখলে থাকা “ধনসম্পদ” তারা কখনই পরিত্যাগ করে না, কিন্তু তারা সেগুলিকে উপাসনার উদ্দেশ্যে, অপরের কাছে প্রচার করার উদ্দেশ্যে, এবং যে সকল মূর্খরা তাদের আদর্শ বলে মনে করে তাদের ভাষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহারযোগ্য পারিবারিক উত্তরাধিকার হিসাবে বিবেচনা করে। গির্জায় এরকম কিছু সংখ্যক লোক অবশ্যই আছে। এমন বলা যেতে পারে যে, তারা হল, “অপরাজেয় নায়ক”, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ঈশ্বরের গৃহে বিরাজ করছে। তারা কথা (মতবাদ) প্রচার করাকেই তাদের সর্বোচ্চ কর্তব্য বলে মনে করে। বছরের পর বছর, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, তারা তাদের “পবিত্র এবং অলঙ্ঘনীয়” কর্তব্য সবলে কার্যকর করে চলে। কেউ তাদের স্পর্শ করার সাহস পায় না; কেউ-ই প্রকাশ্যে তাদের ভর্ৎসনা করার স্পর্ধা রাখে না। তারা ঈশ্বরের গৃহের “রাজা” হয়ে ওঠে, যুগের পর যুগ ধরে তারা যথেচ্ছভাবে কাজ করে চলেছে, অপরকে সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। এই দানবগোষ্ঠী একসাথে হাত মিলিয়ে আমার কাজকে ধ্বংস করতে চাইছে; কীভাবে আমি এই জীবন্ত শয়তানদের আমার চোখের সামনে টিঁকে থাকার অনুমতি দিতে পারি? এমনকি যারা শুধুমাত্র অর্ধেক অনুগত তারাও শেষ অবধি চলতে পারে না, যারা স্বৈরাচারী, যাদের হৃদয়ে সামান্যতম আনুগত্যও নেই, তারা তো আরো পারবেনা! ঈশ্বরের বাক্য মানুষ সহজে লব্ধ করতে পারেনা। এমনকি তাদের সর্বস্ব শক্তি প্রয়োগ করেও তারা শুধুমাত্র একটি সামান্য অংশই লব্ধ করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত তাদের নিখুঁত হওয়ার অনুমতি দেয়। তাহলে, যে প্রধান দেবদূতের সন্তানেরা ঈশ্বরের কাজকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের কী পরিণতি হবে? তাদের কি ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হওয়ার আশা আরো কম নয়? আমার বিজয়কার্যের উদ্দেশ্য নিছকই জয়ী হওয়ার উদ্দেশ্যে জয় করা নয়, বরং ন্যায়পরায়ণতা এবং ন্যায়বিহীনতাকে প্রকাশের উদ্দেশ্যে জয় করা, মানুষের দণ্ড দেওয়ার উদেশ্যে প্রমাণ সংগ্রহ, দুষ্টদের নিন্দিত করা, এবং, উপরন্তু, যারা মান্য করে চলতে ইচ্ছুক তাদের নিখুঁত করে তোলার উদ্দেশ্যে জয় করা। অন্তিমে, সকলকে প্রকার অনুযায়ী পৃথক করা হবে, এবং যাদের চিন্তাভাবনা আনুগত্যে পরিপূর্ণ, তাদেরই নিখুঁত করে তোলা হবে। এই কাজটিকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করতে হবে। ইতিমধ্যে, যাদের সমস্ত ক্রিয়াকলাপই বিরোধিতামূলক, তারা দণ্ডিত হবে এবং চির অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হয়ে দগ্ধ হতে থাকবে, চিরতরে অভিশপ্ত হয়ে রইবে। যখন সময় আসবে, যখন অতীত যুগের সেই সকল “মহান এবং অদম্য নায়করা” হীনতম এবং বর্জিততম “দুর্বল এবং নপুংসক কাপুরুষে” পরিণত হবে। শুধুমাত্র এইভাবেই ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতার, এবং তাঁর মানুষের দ্বারা অপ্রতিরোধ্য স্বভাবের প্রতিটি দিক ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, এবং একমাত্র এভাবেই আমার অন্তরের ঘৃণার উপশম হতে পারে। এমনটা যে সম্পুর্ণরূপে যুক্তিসঙ্গত, সেই বিষয়ে তুমি কি সহমত নও?

যারা পবিত্র আত্মার কাজ উপলব্ধি করতে পারে, বা যারা এই স্রোতের মধ্যে রয়েছে, তারা সবাই যে জীবন লাভ করতে পারে, এমন নয়। জীবন সমগ্র মানবজাতির সাথে ভাগ করে নেওয়ার মতো কোন সার্বজনীন সম্পত্তি নয় এবং স্বভাবের পরিবর্তনসাধনও সকল মানুষের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। ঈশ্বরের কাজে সমর্পণ করা অবশ্যই বাস্তবিক এবং যথাযথ হতে হবে, এবং আবশ্যিকভাবেই তা যাপন করতে হবে। নিছক ঠুনকো আনুগত্য কখনই ঈশ্বরের প্রশংসা পায় না, এবং নিজের স্বভাব পরিবর্তনের অন্বেষণ না করে নিছকই ঈশ্বরের বাক্যের উপরিগত বিষয়গুলি মান্য করে চললে, তা ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য এবং ঈশ্বরের কাজে সমর্পণ উভয়ই এক ও অভিন্ন। যারা শুধুমাত্র ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমপর্ণ করে কিন্তু ঈশ্বরের কাজের প্রতি সমর্পণ করে না, তাদের অনুগত বলে গণ্য করা যেতে পারে না, এবং যারা প্রকৃতপক্ষে নিজেদেরকে সমর্পণ না করে নিছকই কিন্তু বাহ্যিকভাবে ধামাধারী হয়ে চলে, তাদের তো তেমন আরোই গণ্য করা যেতে পারে না। যারা প্রকৃতপক্ষেই ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে, তারা প্রত্যেকেই তাদের সেই কাজ থেকে লাভবান হয়, এবং তারা ঈশ্বরের স্বভাব এবং ঈশ্বরের কাজের বিষয় উপলব্ধি অর্জনে সক্ষম হয়। শুধুমাত্র এই ধরনের লোকেরাই প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সেইসব মানুষ নতুন কাজের মাধ্যমে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে, এবং তাদের জীবনে নতুন পরিবর্তন নিয়ে আসতে, সক্ষম হয়। শুধু এই সকল মানুষই ঈশ্বরের প্রশংসা পায়, শুধু এই সকল মানুষকেই নিখুঁত করা হয়, এবং একমাত্র এরাই হল সেই এই সকল মানুষের যাদের স্বভাব পরিবর্তিত হয়েছে। যারা আনন্দ সহকারে নিজেদেরকে ঈশ্বরের কাছে, এবং তাঁর বাক্য ও কাজের কাছে সমর্পণ করে, তারাই ঈশ্বরের দ্বারা প্রশংসিত হয়। শুধুমাত্র সেই সকল মানুষই সঠিক, এবং তারাই আন্তরিক ভাবে ঈশ্বরকে চায়, এবং আন্তরিকভাবে ঈশ্বরের অন্বেষণ করে। যারা শুধুমাত্র মুখেই ঈশ্বরভক্তির কথা বলে, কিন্তু আসলে ঈশ্বরকে অভিশাপ দেয়, তারা নিজেদেরকে মুখোশের আড়লে রাখে, তারা হল সেই সমস্ত লোক যারা সাপের বিষ বহন করে, তারাই সব থেকে বেশি বিশ্বাসঘাতক হয়। আজ না হোক কাল, এই দুর্বৃত্তদের ঘৃণ্য মুখোশগুলো টেনে ছিঁড়ে ফেলা হবে। এ-ই কি সেই কাজ নয় যা আজ সম্পন্ন করা হচ্ছে? খল ব্যক্তিগণ সর্বদা খল-ই রয়ে যাবে, এবং তারা কখনই দণ্ডের দিবস থেকে অব্যহতি পাবে না। ভালো লোকেরা সব সময় ভালোই থাকবে, এবং যেদিন ঈশ্বরের কাজ শেষ হবে তখন, তাদের প্রকাশ করা হবে। একজন দুষ্ট ব্যক্তিকেও ধার্মিক হিসাবে গণ্য করা হবেনা, বা কোনও ধার্মিককেও দুষ্ট রূপে গণ্য করা হবে না। আমি কি কখনো কোন মানুষকে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত হতে দেব?

যত তোমার জীবনের অগ্রগতি ঘটে, তত তোমার কাছে অবশ্যই সর্বদা থাকতে হবে নতুন প্রবেশ এবং নতুন, উচ্চতর অন্তর্দৃষ্টি, যা প্রতি পদে গভীরতর হয়। সমগ্র মানবজাতিকে এই অবস্থায় প্রবেশ করতেই হবে। যোগাযোগ স্থাপন করা, ধর্মোপদেশ শোনা, ঈশ্বরের বাক্যগুলি পাঠ করা, অথবা কোনো বিষয় পরিচালনা করার মাধ্যমে তুমি নতুন অন্তর্দৃষ্টি এবং নতুন আলোকপ্রাপ্তি লাভ করবে এবং পুরানো দিনকালের পুরানোনিয়মে আবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করবে না আর না; তুমি নিয়ত নতুন আলোকে বসবাস করবে, এবং কখনই ঈশ্বরের বাক্য থেকে বিপথগামী হবেনা। সঠিক পথে চলা বলতে এ-ই বোঝায়। অগভীর স্তরে কোনো মূল্য পরিশোধ করলে চলবে না; দিনের পর দিন, ঈশ্বরের বাক্য উন্নততর পর্যায়ে প্রবেশ করে, এবং নিয়ত নতুন বস্তুর আবির্ভাব ঘটে চলে, এবং, মানুষকেও, প্রত্যহ নতুন করে প্রবেশ করতেই হবে। ঈশ্বর যখন কিছু বলেন, তখন তিনি তা ফলপ্রসূ করে তোলেন এবং, যদি তুমি যদি তাল মিলিয়ে চলতে না পারো, তাহলে তুমি পিছিয়ে পড়বে। তোমাকে তোমার প্রার্থনায় আরো গভীরে পৌঁছাতে হবে; ঈশ্বরের বাক্য ভোজন এবং পান এমন কিছু নয় যা মাঝেমধ্যে করাই যথেষ্ট। তুমি যে আলোকপ্রাপ্তি এবং প্রদীপ্তি গ্রহণ করো, তা গভীরতর করে তোলো। তোমার পূর্বধারণা এবং কল্পনা ক্রমশ বিলীন হবে। তোমাকে তোমার বিচারক্ষমতাও আবশ্যিকভাবেই দৃঢ়তর করে তুলতে হবে, এবং যে বিষয়েরই সম্মুখীন হও না কেন, সেই বিষয়ে তোমার নিজস্ব চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গী থাকতে হবে। আত্মার মধ্যে কিছু বিষয় উপলব্ধি করার মাধ্যমে, তোমায় বাহ্যিক বিষয়বস্তুর বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি লাভ, এবং যে কোন সমস্যার সারমর্ম উপলব্ধি করতেই হবে। যদি তুমি এই সকল বিষয়বস্তুর মাধ্যমে প্রস্তুত না হও, তাহলে তুমি কীভাবে গির্জার নেতৃত্ব দেবে? যদি তুমি বাস্তবিকতা অথবা অনুশীলনের পথ ছেড়ে নিছকই আক্ষরিকতা এবং মতবাদে কথাই বলে চল, তাহলে তুমি খুবই অল্প সময়কাল ধরে এমন চালিয়ে যেতে পারবে। যদি তুমি নতুন বিশ্বাসীদেরকে এই কথাগুলো বলো তখন তাদের কাছে যদিও তা যৎসামান্য গ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে ঠিকই, কিন্তু কিছু সময় পর, যখন নতুন বিশ্বাসীরা কিছু বাস্তবিক অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, তখন তুমি আর তাদের যোগান দিতে পারবে না। তাহলে তুমি কীভাবে ঈশ্বরের ব্যবহারের উপযুক্ত রইবে? নতুন আলোকপ্রাপ্তি ব্যতীত, তুমি কাজ করতে পারো না। যাদের নতুন আলোকপ্রাপ্তি ঘটে নি, তারা জানে না যে কীভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়, এবং সেই সকল ব্যক্তি কখনই নতুন জ্ঞান বা নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে না। এবং, জীবনের যোগান দেওয়ার বিষয়ে, তারা কখনই তাদের কাজ সঠিক ভাবে করতে পারে না, এবং তারা ঈশ্বরের ব্যবহারের উপযুক্তও হয়ে উঠতে পারে না। এই ধরনেরর ব্যক্তি কোনও কাজেরই উপযুক্ত নয়, তারা নেহাতই অকর্মণ্য। বস্তুত, এইরকম মানুষেরা তাদের কাজ সম্পাদন করতে পূর্ণতই অক্ষম হয়, তারা সকলে কোন কাজেই উপযুক্ত নয়। তারা যে শুধুমাত্র তাদের কাজ সম্পাদন করতে অক্ষম হয় তা-ই নয়, তারা গির্জার উপরে অনেক অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করে। আমি এই “শ্রদ্ধেয় বৃদ্ধ মানুষদের” সনির্বন্ধে নির্দেশ দেবো সত্ত্বর গির্জা ছেড়ে চলে যেতে, যাতে অন্যদের আর তোমাদের দিকে দৃষ্টিপাত করতে না হয়। এই ধরণের লোকেদের নতুন কাজের বিষয়ে কোনোই উপলব্ধি নেই, এবং তারা অন্তহীন ধারণায় পরিপূর্ণ হয়। তারা গির্জার কোন কাজেই আসে না; বরং, তারা অপকর্ম করে এবং সর্বত্র নেতিবাচকতার প্রসার ঘটায়, এমনকি গির্জার মধ্যেও সকলপ্রকার অসদাচরণ এবং গোলোযোগের সাথে নিজেদের জড়িত রাখে, ফলস্বরূপ, যাদের বিবেচনাশক্তি নেই, তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি ঘটায়। এই ধরনের জীবন্ত শয়তানদের, এইসকল দুরাত্মাদের যত শীঘ্র সম্ভব গির্জা থেকে চলে যেতে হবে, নচেৎ তোমার কারণে গির্জা কলঙ্কিত হবে। তুমি বর্তমান কাজের বিষয়ে ভীত না-ও হতে পারো, কিন্তু তুমি কি আগামীর ধার্মিক দণ্ডে-ও ভীত নও? গির্জায় বিপুল সংখ্যক ব্যক্তি আছে ছে যারা সুবিধাবাদী, এবং বিপুল সংখ্যক নেকড়ে রয়েছে যারা ঈশ্বরের স্বাভাবিক কাজে বাধা প্রদান করতে চায়। এরা সকলেই হল দানব যাদের প্রেরণ করেছে দানবদের রাজা, এরা হল দুষ্ট নেকড়ে যারা নিরীহ মেষশাবকদের গ্রাস করতে চায়। যদি এইসব তথাকথিত মানুষদের বহিষ্কার না করা হয়, তাহলে এরা গির্জার বোঝা হয়ে উঠবে, পরিণত হবে নৈবেদ্য-গ্রাসকারী কীটে। আজ হোক বা কাল, এমন একটি দিন আসবে যখন এহেন ঘৃণার্হ, মূর্খ, নীচ এবং ন্যক্কারজনক কীটরা দণ্ডিত হবে!

পূর্ববর্তী: ঈশ্বর তাদেরই নিখুঁত করে তোলেন যারা তাঁর ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ

পরবর্তী: রাজ্যের যুগই হল বাক্যের যুগ

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন