উত্তরকথন

যদিও এই বাক্যগুলি ঈশ্বরের অভিব্যক্তির সামগ্রিক প্রকাশ নয়, কিন্তু মানুষের ঈশ্বরকে জানার এবং স্বভাব পরিবর্তনের জন্য এগুলিই যথেষ্ট। সম্ভবত এমন কেউ-কেউ আছে যারা মনে করে যে, মূল চৈনিক ভূখণ্ডে ঈশ্বরের কার্য সমাপ্ত হয়ে যাওয়া থেকেই প্রমাণ হয় যে কহতব্য সকল বাক্যই তাঁর দ্বারা উচ্চারিত হয়ে গিয়েছে, এবং তাঁর আর বলার মত নতুন কিছু থাকা সম্ভব নয়, কারণ ঈশ্বর কেবলমাত্র সেই বাক্যগুলিই বলতে সক্ষম। অধিকন্তু, এমন মানুষও রয়েছে যারা বিশ্বাস করে “বাক্য দেহে আবির্ভূত হল” পুস্তকটি রাজ্যের যুগে কৃত ঈশ্বরের সকল অভিব্যক্তি ধারণ করে যে, এবং এই পুস্তকটি লাভ করা ঈশ্বরের সমস্ত কিছু লাভ করার সমতুল্য, অথবা, যে, এই পুস্তকটি মানবজাতিকে ভবিষ্যৎ কালে পরিচালিত করবে, ঠিক যেমন বাইবেল করেছিল। আমার বিশ্বাস যারা এ-ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে তারা সংখ্যায় স্বল্প নয়, কারণ মানুষ সর্বদা ঈশ্বরের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে পছন্দ করে। যদিও তারা সকলেই ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তা ও সর্বব্যাপিতার কথা ঘোষণা করে, তবু তাদের প্রকৃতির কারণেই ঈশ্বরকে একটা গণ্ডীর মধ্যে চিহ্নিত করে ফেলাটা তাদের পক্ষে সহজ হয়। প্রত্যেকেই ঈশ্বরকে জানতে পারছে, কিন্তু ইত্যবসরে প্রত্যেকেই তাঁকে প্রতিরোধ ও তাঁর সীমানাচিহ্নিত করছে।

রাজ্যের যুগে ঈশ্বরের কার্য সবেমাত্র শুরু হয়েছে। এই পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত ঈশ্বরের সকল উচ্চারণের লক্ষ্য শুধুমাত্র সেই সময়ে তাঁর অনুসরণকারী মানুষজন, এবং এগুলি কেবল তাঁর অভিব্যক্তির একটি অংশ যা তাঁর বর্তমান অবতারে উক্ত হয়েছিল; এগুলি তাঁর অভিব্যক্তির সামগ্রিকতাকে বিধৃত করে না। উপরন্তু, এমনও বলা যায় না যে এই অবতারে থাকাকালীন যে সকল কার্য ঈশ্বর সম্পাদন করবেন এটা তা সামগ্রিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করে। বিভিন্ন জাতিসত্তা ও বিভিন্ন পশ্চাদপটের মানুষের উদ্দেশ্যে ঈশ্বর তাঁর বাক্যসমূহ প্রকাশ করবেন, এবং তিনি সমগ্র মানবজাতিকে জয় করবেন ও পুরাতন যুগের অবসান ঘটাবেন। তাহলে, তাঁর বাক্যের সামান্য একটু অংশ প্রকাশ করার পরেই কেমন করে তিনি সবকিছুর উপসংহার টানবেন? সহজ কথায়, তাঁর কার্য বিভিন্ন সময়কাল ও বিভিন্ন পর্যায়ে বিভক্ত; তিনি তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্য করছেন এবং তাঁর কার্যক্রমের পর্যায় অনুসারে তাঁর বাক্য অভিব্যক্ত করেছেন। মানুষ আদৌ কীভাবে ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তা ও প্রজ্ঞার তল পেতে পারে? যে বাস্তব সত্য আমি এখানে ব্যাখ্যা করতে চাই তা হল: ঈশ্বর যা এবং তাঁর যা আছে তা শাশ্বতভাবে অফুরন্ত ও অসীম। ঈশ্বর জীবন ও সকল বস্তুর উৎস; কোনো সৃজিত সত্তা তাঁর তল পেতে পারে না। সব শেষে, আমি অবশ্যই প্রত্যেককে স্মরণ করিয়ে দেওয়া অব্যাহত রাখব: আর কখনো ঈশ্বরকে পুস্তকের মধ্যে, বাক্যের মধ্যে, বা তাঁর অতীত উচ্চারণের মধ্যে গণ্ডীবদ্ধ করো না। ঈশ্বরের কার্যের চরিত্রকে বর্ণনা করার জন্য কেবল একটি শব্দই আছে: অভিনব। তিনি পুরাতন পন্থা গ্রহণ বা তাঁর কার্যের পুনরাবৃত্তি পছন্দ করেন না; উপরন্তু, তিনি চান না মানুষ তাঁকে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডীর মধ্যে সীমায়িত রেখে পূজা করুক। এ-ই হল ঈশ্বরের স্বভাব।

পূর্ববর্তী: পরিশিষ্ট ৪: ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তির মধ্যে তাঁর উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করা

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।👇

সম্পর্কিত তথ্য

রাজ্যের যুগই হল বাক্যের যুগ

রাজ্যের যুগে, যে পদ্ধতিতে তিনি কাজ করেন তা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে, এবং সমগ্র যুগের কাজ সম্পাদন করার জন্য, ঈশ্বর নতুন যুগের সূচনা করতে বাক্যের...

সর্বশক্তিমানের দীর্ঘশ্বাস

তোমার হৃদয়ে এক বিশাল গোপন বিষয় আছে যার ব্যাপারে তুমি কখনও সচেতন ছিলে না, কারণ তুমি বেঁচে আছ আলোকহীন এক জগতে। তোমার হৃদয় আর তোমার আত্মাকে...

প্রার্থনার অনুশীলন বিষয়ে

তোমরা তোমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রার্থনার উপর জোর দাও না। মানুষ প্রার্থনার বিষয়টিকে অবহেলা করে। প্রার্থনা সাধারণত করা হয়ে থাকে দায়সারাভাবে...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন