ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 129
ঈশ্বরের সম্পাদিত কাজের প্রতিটি পর্যায়েরই নিজস্ব ব্যবহারিক তাৎপর্য রয়েছে। অনেককাল আগে, যীশু যখন এসেছিলেন, তখন তিনি পুরুষ রূপে এসেছিলেন, আর...
ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য যারা আকুলভাবে অপেক্ষা করছেন তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই!
যিহোবার কাজের পরে, যীশু মানুষের মধ্যে তাঁর কাজ করার জন্য দেহরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর কাজ বিচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন হয়নি, বরং তা যিহোবার কাজের ভিত্তির উপরেই গড়ে উঠেছিলো। এই কাজ ছিল এক নতুন যুগের জন্য, যা ঈশ্বর আইনের যুগের পরিসমাপ্তি ঘটানোর পর করেছিলেন। একইভাবে, যীশুর কাজ শেষ হওয়ার পরে, ঈশ্বর পরবর্তী যুগের জন্য তাঁর কাজ চালিয়ে নিয়ে যান, কারণ ঈশ্বরের সমগ্র ব্যবস্থাপনা সর্বদা এগিয়ে চলেছে। যখন পুরানো যুগ চলে যাবে, তখন এটি একটি নতুন যুগ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে এবং একবার পুরানো কাজ শেষ হয়ে গেলে, ঈশ্বরের ব্যবস্থাপনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন কাজের উদ্ভব হবে। এই অবতার হল ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতার রূপ, যিনি যীশুর কাজের অনুসরণ করেন। অবশ্যই, এই অবতারত্ব স্বাধীনভাবে ঘটে না; এটি আইনের যুগ এবং অনুগ্রহের যুগের পরে কাজের তৃতীয় স্তর। প্রতিবার যখন ঈশ্বর কাজের একটি নতুন পর্যায়ের সূচনা করেন, তখন সর্বদা এক নতুন সূচনা হবে এবং তা সর্বদা এক নতুন যুগকে নিয়ে আসবে। এর সাথে সঙ্গতি রেখে ঈশ্বরের স্বভাব, তাঁর কাজ করার পদ্ধতি, তাঁর কাজের স্থান, এবং তাঁর নামেও একই রকম পরিবর্তন হয়েছে। তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, নতুন যুগে ঈশ্বরের কাজকে মেনে নেওয়া মানুষের পক্ষে কঠিন। কিন্তু মানুষ যেভাবেই তাঁর বিরোধিতা করুক না কেন, ঈশ্বর সর্বদা তাঁর কাজ করছেন এবং সর্বদা সমগ্র মানবজাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যীশু যখন মানুষের জগতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তিনি অনুগ্রহের যুগের সূচনা করেছিলেন এবং আইনের যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন। অন্তিম সময়ে, ঈশ্বর আরও একবার দেহরূপে আবির্ভূত হয়েছেন এবং এই অবতারের মাধ্যমে তিনি অনুগ্রহের যুগের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের যুগের সূচনা করেছেন। যারা ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতারকে গ্রহণ করতে সক্ষম তাদের সকলকে রাজ্যের যুগে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেইসাথে তারা ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরের নির্দেশনা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। যদিও যীশু মানুষের মধ্যে অনেক কাজ করেছিলেন, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র সমস্ত মানবজাতির মুক্তি সম্পূর্ণ করেছিলেন এবং মানুষের পাপস্খালনের বলি হয়েছিলেন; তিনি মানুষকে তার সমস্ত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্তি দেননি। শয়তানের প্রভাব থেকে মানুষকে পুরোপুরি মুক্ত করার জন্য শুধু যীশুর পাপস্খালনের বলি হওয়া আর মানুষের পাপ বহন করার প্রয়োজন ছিল তাই নয়, বরং মানবজাতিকে সম্পূর্ণরূপে তার শয়তানোচিত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বরের আরো মহত্তর কর্মের প্রয়োজন ছিল। এবং তাই, এখন যখন মানুষ তার পাপের ক্ষমা পেয়েছে, ঈশ্বর মানুষকে নতুন যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেহরূপে ফিরে এসেছেন এবং শাস্তি ও বিচারের কাজ শুরু করেছেন। এই কাজ মানুষকে এক উচ্চতর জগতে নিয়ে এসেছে। যারা তাঁর রাজত্বের অধীনে আত্মসমর্পণ করে তারা উচ্চতর সত্য উপভোগ করবে এবং বৃহত্তর আশীর্বাদ লাভ করবে। তারা প্রকৃতপক্ষেই আলোতে বাস করবে, এবং তারা সত্য, পথ ও জীবন লাভ করবে।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ভূমিকা
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।👇
ঈশ্বরের সম্পাদিত কাজের প্রতিটি পর্যায়েরই নিজস্ব ব্যবহারিক তাৎপর্য রয়েছে। অনেককাল আগে, যীশু যখন এসেছিলেন, তখন তিনি পুরুষ রূপে এসেছিলেন, আর...
যে আচরণ আমাকে মান্য করতে পারে না তা সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাসঘাতকতা। যে আচরণ আমার প্রতি অনুগত হতে পারে না তা বিশ্বাসঘাতকতা। আমাকে ঠকানো এবং...
আমার সমগ্র পরিচালনামূলক পরিকল্পনা, ছয় হাজার বছর ব্যাপী পরিচালনামূলক পরিকল্পনায় রয়েছে তিনটি পর্যায় বা তিনটি যুগ: সূচনাকালের বিধানের যুগ;...
আমার মহিমা প্রত্যক্ষ করতে পারবে, এমন বিশ্বাস কারোর মধ্যেই নেই, আমি তাদের এই বিষয়ে কোনোভাবে বাধ্যও করি না, বরং আমার মহিমা মানবজাতির মধ্যে...