ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি133

ঈশ্বরের কাজ এমনই যা তুমি অনুধাবন করতে পার না। তুমি যদি কখনোই সম্পূর্ণ রূপে উপলব্ধি করে উঠতে না পার তোমার নির্বাচন সঠিক কিনা, অথবা না জানতে পার ঈশ্বরের কাজ নিশ্চিতভাবে সফল হবে কিনা, তাহলে কেন নিজের ভাগ্যপরীক্ষা করে দেখছো না যে এই সাধারণ মানুষটি তোমাকে অমূল্য সাহায্য করতে পারে কিনা? আর ঈশ্বর নিশ্চিত রূপেই মহান কাজ করছেন কিনা? যদিও, আমি অবশ্যই তোমাকে বলব যে নোহের যুগে মানুষ এমন হারে পানাহার করছিল, বিবাহ করছিল ও বিবাহ দিচ্ছিল যে ঈশ্বরের পক্ষে তা প্রত্যক্ষ করা অসহ্য হয়ে উঠেছিল, তাই তিনি মানবজাতির ধ্বংসের জন্য পাঠালেন ভয়ঙ্কর বন্যা, কেবল নোহের পরিবারের আটজন এবং সমস্ত ধরনের পাখি ও জন্তু জানোয়ারকে রক্ষা করলেন। অন্তিম সময়ে অবশ্য ঈশ্বর তাদেরই রক্ষা করেন যারা শেষ পর্যন্ত তাঁর বিশ্বস্ত। যদিও দুই যুগই ছিল ঈশ্বরের পক্ষে অসহনীয় চরম ভ্রষ্টাচারের যুগ, আর দুই যুগেই মানবজাতি এতো ভ্রষ্টাচারপূর্ণ হয়ে পড়েছিল যে ঈশ্বরকে তাদের প্রভু বলে মানতে অস্বীকার করেছিল, তবুও ঈশ্বর শুধু নোহের সময়েই মানবজাতিকে ধ্বংস করেছিলেন। মানবজাতি উভয় যুগেই ঈশ্বরকে চরম পীড়া দিয়েছে তবুও ঈশ্বর অন্তিম সময়ের মানুষদের প্রতি এখনও ধৈর্যশীল। এরকম কেন? তোমরা কী কখনও আশ্চর্য হও না যে এর কারণ কী? যদি তোমরা সত্যিই না জেনে থাক, তাহলে বলি শোনো। ঈশ্বর এখনও পর্যন্ত অন্তিম সময়ের মানুষের প্রতি কৃপা করে চলেছেন, তার কারণ এটা নয় যে এখনকার মানুষ নোহর যুগের থেকে কম ভ্রষ্টাচারী, কিংবা এজন্য নয় যে তারা ঈশ্বরের কাছে অনুতপ্ত। এমন তো একেবারেই নয় যে, অন্তিম সময়ের প্রযুক্তি এত উন্নত, যে তাকে ধ্বংস করার জন্য ঈশ্বর স্বয়ং নিজেকে আনতে পারছেন না। বরং এই কারণে যে, অন্তিম সময়ে একদল মানুষের মধ্যে ঈশ্বরকে কাজ করতে হবে, এবং অবতাররূপে তিনি স্বয়ং সেটা সমাধা করবেন। উপরন্তু, ঈশ্বর এই দলের মধ্যে থেকে একটা অংশকে বেছে নেবেন যারা হবে তাঁর পরিত্রাণের বস্তু, তাঁর পরিচালনামূলক পরিকল্পনার ফসল এবং তাদের পরের যুগে নিয়ে যাবেন। সুতরাং, যাই হয়ে যাক, ঈশ্বর এই যে মূল্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ তিনি অবতাররূপে অন্তিম সময়ে যে কাজ করবেন সেই কাজের প্রস্তুতির জন্য। আজ পর্যন্ত যে তোমাদের অস্তিত্ব বর্তমান রয়েছে, তা এই অবতারের অনুগ্রহেই। তোমরা যে বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়েছ সে কেবল এই দেহরূপে ঈশ্বর বাস করছেন বলেই। এই সাধারণ মানুষটির জন্যই এই সকল সৌভাগ্য অর্জিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, সমস্ত জাতি শেষাবধি এই সামান্য মানুষটিরই ভজনা করবে, জয়জয়কার করবে আর মান্য করবে। কেননা, সত্য, জীবন, এবং তাঁর দেখানো পথই সমগ্র মানবজাতিকে উদ্ধার করেছে, মানুষ আর ঈশ্বরের দ্বন্দ্ব লাঘব করেছে, দুইয়ের দূরত্ব হ্রাস করেছে, মানুষ আর ঈশ্বরের ভাবনার মধ্যে সংযোগ সাধন করেছে। তিনিই ঈশ্বরের জন্য মহত্তর গৌরব অর্জন করেছেন। এইরকম এক সাধারণ মানুষ তোমার আস্থা ও বন্দনার যোগ্য নন? সেই সাধারণ দেহরূপ কি খ্রীষ্ট আখ্যা পাওয়ার অনুপযুক্ত? এইরকম সাধারণ লোক কি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের উদ্ভাস হয়ে উঠতে পারেন না? এরকম একজন মানুষ যিনি মানব জাতিকে বিপর্যয়ের থেকে রক্ষা করেছেন তিনি কি তোমাদের ভালবাসা পাওয়ার অধিকারী নন? তোমরা কি চাও না তাঁকে আঁকড়ে ধরে রাখতে? তোমরা যদি তাঁর মুখনিঃসৃত সত্য প্রত্যাখ্যান করো এবং তোমাদের মধ্যে তাঁর অস্তিত্বকে ঘৃণা কর, তাহলে শেষ পরিণতি কী হবে তোমাদের?

অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের সমস্ত কাজ এই সাধারণ মানুষটির হাতেই সঞ্চালিত হবে। তিনি সমস্তই তোমার হাতে অর্পণ করবেন, তদুপরি, তোমার সাথে সম্পর্কিত সমস্ত কিছুর সিদ্ধান্ত তিনিই নিতে পারেন। তোমরা তাঁকে যেমন ভাবো তেমন কি তিনি হতে পারেন, এতই সামান্য যে তাঁর কথা উল্লেখ করাই মূল্যহীন? তাঁর সত্য কি তোমাদের আস্থা অর্জনের পক্ষে যথেষ্ট নয়? তাঁর সমস্ত কর্মের সাক্ষ্য কি তোমাদের বিশ্বাস অর্জনের পক্ষে যথেষ্ট নয়? নাকি তাঁর দেখানো পথে তোমার চলা ততটা যোগ্য নয়? সবই বলা এবং করার পরেও কী কারণে তোমরা তাঁকে ঘৃণা করো, তাঁকে দূরে ঠেলে দাও, তাঁকে এড়িয়ে যাও? ইনিই সেই মানুষ যিনি সত্য প্রকাশ করেন, ইনিই সেই মানুষ যিনি সত্য সরবরাহ করেন এবং ইনিই তোমাদের অনুসরণীয় পথ প্রদর্শন করেন। তোমরা এখনো এইসকল সত্যের মধ্যে ঈশ্বরের কাজের চিহ্ন খুঁজে পেতে অক্ষম—এমনটা কি হতে পারে? যীশুর কাজ ছাড়া মানব জাতি ক্রুশ অতিক্রম করতে পারত না, কিন্তু বর্তমানের অবতারের আগমন না ঘটলে ক্রুশ অতিক্রমকারীরা নতুন যুগে যাওয়ার জন্য কখনোই ঈশ্বরের অনুমোদন অর্জন করতে পারত না। এই সাধারণ মানুষটির আগমন ছাড়া তোমরা কখনোই ঈশ্বরের সত্যিকারের অবয়ব প্রত্যক্ষ করতে পারতে না, সেই যোগ্যতাও অর্জন করতে পারতে না, কারণ তোমরা সকলে এমন বস্তু যা বহু কাল আগেই ধ্বংস হয়ে যেত। ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতার আবির্ভাব হেতু, ঈশ্বর তোমাদের মার্জনা করেছেন, তোমাদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করেছেন। পরিশেষে, তোমাদের সামনে আমাকে এই কথাগুলি বলতেই হবে: ঈশ্বরের অবতার এই সাধারণ মানুষটি, তোমাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিই সেই মহান কাজ যা মানুষের মধ্যে ঈশ্বর ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, তুমি কি জানতে? ঈশ্বর মানুষের মধ্যে এক মহান কাজ করেছেন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 207

আজকের যুগেও এমন কিছু মানুষ আছে যারা এখনও উপলব্ধি করতে পারছে না যে ঈশ্বর নতুন কাজের সূত্রপাত করেছেন, অইহুদি দেশগুলিতেই শুরু করেছেন তাঁর নতুন...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 335

গন্তব্য এবং ভাগ্য তোমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—তা নিয়ে তোমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তোমরা বিশ্বাস করো যে, যদি বিশেষ যত্ন সহকারে কাজগুলি না...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ধর্মীয় ধারণা প্রকাশ করা | উদ্ধৃতি 281

ঈশ্বরের সাথে মানুষের কখনোই তুলনা করা যায় না। তাঁর সারসত্য এবং তাঁর কাজ মানুষের কাছে ধারণাতীত এবং অজ্ঞেয়। ঈশ্বর যদি নিজে মানুষের জগতে তাঁর...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 219

এটাই সেই সময় যখন আমার আত্মা অসামান্য কাজ সম্পাদিত করে, এবং আমি অইহুদি দেশে আমার কাজ শুরু করি। তদুপরি, এটাই সেই সময় যখন আমি সমস্ত সৃষ্ট...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন