ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অন্তিম সময়ের বিচার | উদ্ধৃতি 79

বিচারের কাজটি ঈশ্বরের নিজস্ব, তাই স্বাভাবিকভাবেই এটি স্বয়ং ঈশ্বরের দ্বারাই সম্পন্ন হওয়া উচিত; তাঁর পরিবর্তে মানুষ তা করতে পারে না। যেহেতু বিচার ব্যবস্থা হল মানবজাতিকে জয়ের জন্য সত্যের ব্যবহার, তাই প্রশ্নাতীত ভাবে ঈশ্বর এখনও মানুষের মধ্যে এই কাজটি সম্পাদন করার জন্য অবতার রূপে উপস্থিত হবেন। অর্থাৎ, অন্তিম সময়ে খ্রীষ্ট এই সত্য বিশ্বজুড়ে মানুষদের শিক্ষা দিতে এবং তাদের কাছে সমস্ত সত্য প্রকাশ করতেই ব্যবহার করবেন। এটিই হল ঈশ্বরের বিচারের কাজ। ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতারের বিষয়ে অনেকেরই তিক্ত মনোভাব রয়েছে, কারণ মানুষের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন যে ঈশ্বর বিচারের কাজ করতে পুনরায় দেহধারণ করবেন। তবুও, আমি অবশ্যই বলব যে ঈশ্বরের কাজ প্রায়শই মানুষের প্রত্যাশা অতিক্রম করে যায় এবং মানুষের মনের পক্ষে এটি গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ মানুষ পৃথিবীর বুকে সামান্য কীটসম, আর ঈশ্বর হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ, যিনি মহাবিশ্বকে পূর্ণ করেন; মানুষের মন বদ্ধ দূষিত জলাশয়ের মতো যা শুধুমাত্র কীটেরই বংশবৃদ্ধি ঘটায়, পক্ষান্তরে, ঈশ্বরের চিন্তায় পরিচালিত কাজের প্রতিটি স্তর হল ঈশ্বরের প্রজ্ঞার জ্ঞানের বিশুদ্ধরূপ। মানুষ সর্বদা ঈশ্বরের সাথে দ্বন্দ্বের চেষ্টা করে, যার অবশ্যম্ভাবী ফল কারো অবিদিত নয় যে পরিশেষে কে অসফল হবে। আমার পরামর্শ, নিজেকে সোনার চেয়ে মূল্যবান মনে কোরো না। অন্যরা ঈশ্বরের বিচার মেনে নিতে পারলে, তুমি কেন পারবে না? তুমি অন্যদের চেয়ে কতটা উঁচুতে রয়েছ? অন্যরা যদি সত্যের সামনে মাথা নত করতে পারে, তুমিও কেন নয়? ঈশ্বরের কাজের গতি অপ্রতিরোধ্য। শুধুমাত্র তোমার “অবদান”-এর সাপেক্ষে তিনি আবার বিচারের পুনরাবৃত্তি করবেন না এবং তুমি এমন একটি ভাল সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার জন্য অনুশোচনায় দগ্ধ হবে। যদি তুমি আমার কথা বিশ্বাস না করো, তাহলে আকাশে সেই বিরাট শ্বেত সিংহাসনের জন্য অপেক্ষা করো যেখানে তোমার বিচারের রায়দান হবে! তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে সমস্ত ইসরায়েলের মানুষেরা যীশুকে প্রত্যাখ্যান এবং অস্বীকার করেছিল, তবুও মানবজাতিকে যীশুর পুনরুদ্ধারের সত্য এখনও মহাবিশ্ব জুড়ে এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত। এটা কি একটা বাস্তব সত্য নয় যা ঈশ্বর অনেক আগেই নির্মাণ করেছেন? যদি তুমি এখনও যীশুর হাত ধরে স্বর্গে যাওয়ার প্রত্যাশা করো, তবে আমি বলবো, তুমি একটি অবাধ্য নিষ্প্রাণ কাষ্ঠ খণ্ড মাত্র। যীশু তোমার মতো ভণ্ড বিশ্বাসী মানুষদের স্বীকৃতি দেন না যারা সত্যের প্রতি অবিশ্বাসী এবং যাদের শুধুমাত্র আশীর্বাদ কাম্য। পক্ষান্তরে, আগুনের কুণ্ডে শত সহ্রস্র বছরের জন্য তোমাকে নিক্ষেপ করার ক্ষেত্রে তিনি করুণা প্রদর্শন করবেন না।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, খ্রীষ্ট সত্যের দ্বারাই বিচারের কাজ করেন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 317

মানুষ চিরকাল অন্ধকারের শক্তির প্রভাবাধীনে বসবাস করে এসেছে, শয়তানের প্রভাবের দাসত্ববন্ধনে আটক থেকেছে, তার থেকে মুক্তি পেতে পারেনি এবং...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 141

বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঈশ্বরের কাজকে জানার অর্থই হল, অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের অবতারের প্রধান সেবাব্রত সম্পর্কে জানা, এবং তিনি এই পৃথিবীতে কী...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কাজ | উদ্ধৃতি 74

ঈশ্বরের সাথে মানুষের কখনোই তুলনা করা যায় না। তাঁর সারসত্য এবং তাঁর কাজ মানুষের কাছে ধারণাতীত এবং অজ্ঞেয়। ঈশ্বর যদি নিজে মানুষের জগতে তাঁর...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 26

অন্তিম সময়ের কার্য হল বাক্য উচ্চারণ করা। বাক্যের দ্বারা মানুষের মধ্যে অসামান্য পরিবর্তন আনা যায়। বাক্য গ্রহণের মাধ্যমে এখন মানুষের মধ্যে যে...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন