ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 359
যে আচরণ আমাকে মান্য করতে পারে না তা সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাসঘাতকতা। যে আচরণ আমার প্রতি অনুগত হতে পারে না তা বিশ্বাসঘাতকতা। আমাকে ঠকানো এবং মিথ্যা দিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা মানেই বিশ্বাসঘাতকতা। অনেক রকম ধারণা পোষণ এবং সেগুলো সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়াই বিশ্বাসঘাতকতা। আমার সাক্ষ্য ও স্বার্থকে তুলে ধরতে পারার ব্যর্থতা মানেই বিশ্বাসঘাতকতা। হৃদয়ে আমার থেকে বহুদূরে থেকে মুখে আমার প্রতি মিথ্যে হাসি ঝুলিয়ে রাখাটাও বিশ্বাসঘাতকতা। এগুলি সবই বিশ্বাসঘাতকতা, যা তোমরা সবসময়ই করতে পারো। তোমাদের মধ্যে এগুলো খুব সাধারণ ঘটনা। তোমাদের মধ্যে কেউই হয়তো এগুলোকে কোনো সমস্যা বলেই মনে করো না, কিন্তু আমি সেভাবে ভাবি না। আমার প্রতি কোনো মানুষের বিশ্বাসঘাতকতাকে আমি তুচ্ছ বিষয় বলে উড়িয়ে দিতে পারি না, এগুলোকে কিছুতেই আমি অগ্রাহ্য করতে পারি না। এখন যখন আমি তোমাদের মধ্যে কাজ করছি তখনও তোমরা এইভাবে আচরণ করছ—যদি এমন কোনো দিন আসে যেদিন তোমাদের ওপর নজর রাখার জন্য কেউ থাকবে না, তবে কি সেদিন তোমরা সেই দস্যুদের মতো নিজেদের ছোট ছোট পাহাড়ের অধিপতি বলে ঘোষণা করবে না? সেটা যদি ঘটে তবে তোমরা এক প্রলয় ডেকে আনবে, কিন্তু তোমাদের পরে সেই প্রলয়ের ধ্বংসস্তূপ কে পরিষ্কার করবে? তোমরা মনে করো তোমাদের কিছু কিছু বিশ্বাসঘাতকতা বিরল ঘটনা, সেগুলো তোমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নয়, তাই সেগুলো নিয়ে এমন কঠোর ভাবে মোটেই আলোচনা করা উচিত নয় যাতে তোমাদের অহংকারে আঘাত লাগে। তোমরা সত্যিই যদি এটা ভাবো তাহলে তোমাদের বোধবুদ্ধির বড়ই অভাব। এই ভাবনাই বিদ্রোহের নমুনা ও আদিরূপ। মানুষের প্রকৃতিই হল তার জীবন। এই নীতির ওপর নির্ভর করেই মানুষ বেঁচে থাকে, একে মানুষ পরিবর্তন করতে পারে না। এবার উদাহরণ হিসাবে বিশ্বাসঘাতকতার প্রকৃতিকেই ধরা যাক। তুমি যদি কোনো আত্মীয় বা বন্ধুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতামূলক কোনো কাজ করতে পারো, তাতেই প্রমাণ হয় যে এটা তোমার জীবনের অঙ্গ এবং এই প্রকৃতি নিয়েই তুমি জন্মেছ। এটা কেউই অস্বীকার করতে পারে না। যেমন, কোনো মানুষ যদি অন্যের জিনিস চুরি করে আনন্দ পায়, তবে এই চৌর্যবৃত্তি তার জীবনের অঙ্গ। তবে তারা যে সবসময়ই চুরি করে এমনটাও নয়। কখনো চুরি করে, কখনো করে না। তবে তারা চুরি করুক বা নাই করুক তার দ্বারা প্রমাণিত হয় না যে চৌর্যবৃত্তি একটা সামান্য আচরণ। বরং, এতে প্রমাণিত হয় যে চৌর্যবৃত্তি তাদের জীবনের একটা অঙ্গ, অর্থাৎ তাদের প্রকৃতি। কেউ প্রশ্ন করবে: এটা যখন তাদের প্রকৃতি, তাহলে সুন্দর জিনিস দেখলেও মাঝে মাঝে তারা কেন চুরি করে না? উত্তরটা খুবই সহজ। তাদের চুরি না করার অনেক কারণ আছে। চারপাশের কড়া নজর এড়িয়ে কোনো একটা বড় জিনিসের হাতসাফাই সম্ভব নয় বুঝে তারা চুরি না করতে পারে, অথবা, সেটা হয়তো চুরির উপযুক্ত সময় নয়, কিংবা জিনিসটা হয়তো খুব দামি এবং সেটা কড়া পাহারার মধ্যে রয়েছে, বা, সে জিনিসটার প্রতি তাদের হয়তো আগ্রহ নেই, কিংবা, জিনিসটা তাদের কী কাজে লাগবে সে সম্বন্ধে তাদের কোনো ধারণা নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সবকটি কারণই সম্ভব। তবে সে যাই হোক না কেন, তারা কোনো জিনিস চুরি করুক বা নাই করুক তাতে এটা প্রমাণিত হয় না যে তাদের চৌর্যবৃত্তি শুধু ক্ষণিকের। ব্যাপারটা ঠিক তার উলটো, এটা তাদের স্বভাবের অংশ এবং এর পরিবর্তন খুব কঠিন। এই ধরনের ব্যক্তিরা একবার চুরি করেই সন্তুষ্ট হয়না; সুন্দর কিছু দেখলে বা অনুকূল পরিস্থিতি বুঝলে অন্যের দ্রব্যের ওপর নিজের দাবি জাহির করার চিন্তা এদের মাথায় জেগে ওঠে। এই কারণেই আমি বলি যে, এই চিন্তা শুধু ক্ষণিকের জন্য মাথায় আসে না, এটা সেই ব্যক্তির প্রকৃতির মধ্যেই নিহিত থাকে।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অত্যন্ত গুরুতর এক সমস্যা: বিশ্বাসঘাতকতা (১)
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।