ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 358

খুব শীঘ্রই আমার কার্য সম্পন্ন হবে, এবং অনেকগুলো বছর একসঙ্গে মিলে একটা দুঃসহ স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। আমি বিরামহীন ভাবে আমার বাক্য বারবার বলে যাচ্ছি, এবং নিরন্তর নতুন কাজ মেলে ধরছি। আমার উপদেশ অবশ্যই আমার প্রতিটি কাজের একটা প্রয়োজনীয় অংশ। আমার পরামর্শ ছাড়া তোমরা বিপথে চালিত হতে পারো, এমনকী, নিজেদের সম্পূর্ণ রূপে হারিয়েও ফেলতে পারো। আমার কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এখন তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এখনও আমি পরামর্শদানের কাজ জারি রাখতে চাই, অর্থাৎ তোমাদের শোনার জন্য কিছু উপদেশবাক্য প্রদান করতে চাই। আমি আশা করি, যে যন্ত্রনা আমি ভোগ করেছি, তোমরা তাকে ব্যর্থ হয়ে যেতে দেবে না, এবং, তার চেয়েও বড় কথা, যে সুচিন্তিত যত্ন আমি নিয়েছি তা তোমরা অনুভব করতে পারবে এবং আমার বাক্যের ওপর ভিত্তি করেই তোমরা স্থির করবে মানুষ হিসাবে তোমাদের আচরণ কী হবে। তোমরা যা শুনতে চাও আমার বাক্যগুলো তেমন হোক বা না হোক, তোমরা সেগুলি আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করো বা অস্বস্তির সঙ্গে, কিন্তু সেগুলিকে অবশ্যই তোমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। অন্যথায় তোমাদের অসতর্ক ও কাণ্ডজ্ঞানহীন স্বভাব ও আচরণ আমাকে প্রচণ্ড কষ্ট দেবে, সত্যি কথা বলতে কি আমার বিরক্তিও উৎপাদন করবে। আমি ভীষণভাবে আশা করি যে, তোমরা সকলে আমার বাক্য বারবার, হাজার হাজার বার পড়বে, যাতে সেগুলো তোমরা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারো। একমাত্র তবেই তোমাদের কাছ থেকে আমার প্রত্যাশা বিফলে যাবে না। তবে, তোমাদের কেউই এখন এভাবে জীবনযাপন করছ না। বরং তার বিপরীতটাই ঘটছে, তোমরা সব অনৈতিক জীবনে ডুবে রয়েছ, তোমাদের জীবনে রয়েছে শুধু যথেচ্ছ পান-ভোজন, আমার বাক্য কাজে লাগিয়ে তোমরা কেউই নিজেদের হৃদয় ও আত্মাকে সমৃদ্ধ করছ না। এই কারণেই মানবজাতির প্রকৃত স্বরূপ সম্বন্ধে আমি একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি: মানুষ যেকোনো সময় আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে, কেউই আমার বাক্যের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত হতে পারে না।

“শয়তানের দ্বারা মানুষ এমন ভাবে ভ্রষ্ট হয়েছে যে তার মধ্যে আর মানুষের চেহারা নেই।” বেশিরভাগ মানুষই এই শব্দবন্ধটিকে কিছুটা স্বীকার করে নিয়েছে। আমি এটা এই কারণেই বলছি যে এই “স্বীকৃতি”-টা একধরনের ভাসাভাসা একটা স্বীকৃতি, প্রকৃত জ্ঞানের বিপরীত। যেহেতু তোমরা কেউই নিজেকে সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করতে, বা সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারো না, তাই আমার বাক্য নিয়ে তোমরা সন্দিহান। কিন্তু তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর যে সমস্যা রয়েছে তা আমি এবার তথ্য সহকারে ব্যাখ্যা করব। সমস্যাটি হল বিশ্বাসঘাতকতা। “বিশ্বাসঘাতকতা” শব্দটির সঙ্গে তোমরা সকলেই পরিচিত, কারণ বেশিরভাগ মানুষই এমন কিছু কাজ করেছে যা আসলে অন্যের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা, যেমন স্ত্রীর প্রতি স্বামীর বিশ্বাসঘাতকতা, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতা, পিতার প্রতি পুত্রের বিশ্বাসঘাতকতা, মাতার প্রতি কন্যার বিশ্বাসঘাতকতা, মনিবের প্রতি চাকরের বিশ্বাসঘাতকতা, এক বন্ধুর প্রতি অন্য বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতা, আত্মীয়স্বজনদের পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা, ক্রেতার প্রতি বিক্রেতার বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সবকটি উদাহরণের মধ্যে বিশ্বাসঘাতকতা শব্দটির নির্যাস রয়েছে। সংক্ষেপে বলা যায়, বিশ্বাসঘাতকতা এমন এক আচরণ যা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, নৈতিকতার সীমা লঙ্ঘন করে, মানবিক নীতির বিরুদ্ধাচারণ করে এবং এই আচরণের মধ্যে দিয়ে মানুষের মনুষ্যত্ব লোপ পায়। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে, এই পৃথিবীতে মানুষ হয়ে জন্ম নিলে, তুমি এমন কিছু অবশ্যই করবে যার মাধ্যমে সত্যের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হবে। অন্য কোনো ব্যক্তির বিশ্বাসভঙ্গ করার মতো তুমি কিছু করেছ কিনা, বা এর আগে অনেকের প্রতি আরো অনেকবার বিশ্বাসঘাতকতা করেছ কিনা তা যদি মনে নাও করতে পার তবুও কিছু যায় আসে না। তুমি যদি পিতামাতা বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারো, তবে বাকিদের সঙ্গেও তা করতে পারো, সবচেয়ে বড় কথা তুমি আমার সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারো, আমি যা ঘৃণা করি সেটাও করতে পারো। অন্যভাবে বলতে গেলে, বিশ্বাসঘাতকতা কিন্তু শুধুমাত্র একটা অগভীর অনৈতিক আচরণ নয়, বিশ্বাসঘাতকতা হল সত্যের সঙ্গে বিরোধ। আর ঠিক এই সূত্র ধরেই মানবজাতি আমাকে প্রতিরোধ ও অমান্য করে থাকে। এই কারণেই নীচের বিবৃতিতে আমি বিষয়টিকে সংক্ষেপে ব্যক্ত করেছি: বিশ্বাসঘাতকতা মানুষের প্রকৃতি, আর এই প্রকৃতিই আমার সাথে প্রতিটি মানুষের সমন্বয়ের প্রধান শত্রু।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অত্যন্ত গুরুতর এক সমস্যা: বিশ্বাসঘাতকতা (১)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 44

ইস্রায়েলে আমার কার্য নির্বাহ করার সময় আমি “যিহোবা” নাম গ্রহণ করেছিলাম, এবং এই নামের অর্থ ইস্রায়েলীদের ঈশ্বর (ঈশ্বরের নির্বাচিত ব্যক্তিগণ)...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 24

যিহোবার কাজের পরে, যীশু মানুষের মধ্যে তাঁর কাজ করার জন্য দেহরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর কাজ বিচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন হয়নি, বরং তা যিহোবার...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 329

পূর্বে, ঈশ্বরের স্বর্গে থাকাকালীন, মানুষের কার্যকলাপ ছিল ঈশ্বরের প্রতি প্রতারণামূলক। আজ, ঈশ্বর মানুষের মধ্যেই রয়েছেন—কেউ জানে না কত বছর...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন